ক্যামেরার সামনে না এসে ভিডিও তৈরি করে আয় করার ৫ টি পদ্ধতি

টিউন বিভাগ ইউটিউবিং
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 4
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

আমাদের অনেকেরই স্বপ্ন যে অনলাইনে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করবো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে আপনি ক্যামেরার সামনে আসতে চান না। তবে আপনি ক্যামেরার সামনে না এসেও আকর্ষণীয় সব ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এখন প্রশ্ন হলো ক্যামেরার সামনে না এসে ভিডিও তৈরি করলে কি আদৌও মানুষ আপনার ভিডিও দেখবে?

হ্যাঁ, অবশ্যই দেখবে। কিন্তু আপনার ভিডিও হতে হবে আকর্ষণীয় এবং তথ্যবহুল। আপনি যদি দর্শকদের চাহিদামতো কনটেন্ট তৈরি করতে পারেন তাহলে আপনার ক্যামেরার সামনে আসা কিংবা না আসার বিষয়টি প্রধান হয়ে দাঁড়াবে না।

এখন প্রশ্ন হতে পারে যে ক্যামেরার সামনে না এসে কেমন ধরনের ভিডিও তৈরি করা যায়? আপনার এই প্রশ্নের উত্তর দিতেই আমার পুরো টিউনটি সাজিয়েছি। তাই চলুন এমন ৫ টি ভিডিও আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নেই যেখানে আপনি ক্যামেরার সামনে না এসেই ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

১. এনিমেশন ভিডিও

এনিমেশন ভিডিও তৈরি করে আয়

আপনি যদি এনিমেশন ভিডিও তৈরি করার ছোটখাটো কিছু স্কিল শিখতে পারেন তাহলে হাতে থাকা মোবাইলটা দিয়েই সুন্দর সুন্দর এনিমেশন ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। বর্তমানে এমন অনেক এনিমেশন ভিডিও তৈরির অ্যাপস রয়েছে। আপনি একটু ঘাটাঘাটি করলেই এমন অসংখ্য অ্যাপস ও ওয়েবসাইট পেয়ে যাবেন।

তবে মূল বিষয় হলো স্ক্রিপ্ট। আপনার ভিডিওর স্ক্রিপ্ট যদি ইউনিক হয় তাহলে হাজার হাজার এনিমেশন ভিডিওর মধ্য থেকেও আপনার ভিডিও প্রথম সারিতে উঠে আসতে পারবে। খুব নরমাল এনিমেশন এডিটিং করেও শুধুমাত্র কনটেন্ট এর কারনে জনপ্রিয় হয়ে গেছে এমন কনটেন্ট ক্রিয়েটর বাংলাদেশেই অনেক আছে। তাই এনিমেশন ভিডিও তৈরির বেসিক ধারনা নিয়ে এই সেক্টরে কাজ শুরু করতে পারেন।

২. গেমিং ভিডিও

গেমিং ভিডিও তৈরি করে আয়

বর্তমানে ইউটিউব, ফেসবুক সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গেমিং ভিডিওর ব্যপক চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে। আর কম্পিউটার কিংবা মোবাইলের স্ক্রিন রেকর্ড করে সহজেই গেমিং ভিডিও তৈরি করা যায়। ফলে এখানে আপনার ক্যামেরার সামনে আসার প্রশ্নই আসে না।

তবে চাইলেই সবাই গেমিং ভিডিও তৈরি করতে পারে না। এক্ষেত্রে যে কোনো জনপ্রিয় একটি গেইমের ওপর আপনার পারদর্শিতা থাকতে হবে। আপনার যদি মনে হয় আপনি গেমিং সেক্টরে খুব ভালো কিংবা নিয়মিত গেমিং এর সাথে যুক্ত থাকতে পারবেন তাহলে এই বিষয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। আবারও বলছি গেমিং ভিডিওর চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশি।

৩. অডিও বই

অডিও বই তৈরি করে আয়

অডিও বই বলতে যে কোনো একটি বইয়ের লেখাগুলোতে ভয়েস দিয়ে ভিডিও কিংবা অডিও আকারে প্রকাশ করাকে বোঝায়। এক্ষেত্রে সাহিত্য, পাঠ্যবই কিংবা অন্যান্য যে কোনো বইয়ের টেক্সট হবে আপনার ভিডিওর স্ক্রিপ্ট। বইয়ের লেখাগুলো কম্পিউটার স্ক্রিনে রেখে স্ক্রিন ভিডিও তৈরি করতে হবে। সেই সাথে পুরো বইটি পড়তে হবে। এভাবে অডিও বই তৈরি করে আয় করতে পারেন।

ইউটিউবে অডিও বইয়ের ব্যপক চাহিদা রয়েছে। অনেকেই টাকার জন্য বই কিনে পড়তে পারে না। আবার অলসতার কারণে কেউ কেউ বই না পড়ে অডিও শুনে নেয়। আপনার যাদি ভয়েস ভালো থাকে ও উচ্চারণ স্পষ্ট হয় তাহলে অডিও বই তৈরি করে ভালো সাড়া পাবেন।

৪. রান্নার ভিডিও

রান্নার ভিডিও তৈরি করে আয়

আপনি যদি রান্না ভালো পারেন তাহলে এই সেক্টরে ভিডিও তৈরি করতে পারেন। রান্নার ভিডিও করার জন্য ভিডিওগ্রাফি সম্পর্কে মোটামুটি দক্ষ হওয়া জরুরি। এক্ষেত্রে রান্নার পদ্ধতি গুলো ধাপে ধাপে ভিডিও রেকর্ড করবেন। তারপর সবগুলো ভিডিও ক্লিপ একত্রিত করে সুন্দর করে এডিট করে নিলেই হবে।

বর্তমানে ক্যামেরার সামনে না এসে রান্নার ভিডিও তৈরি করে অনেকই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। চাইলে তাদের ভিডিওগুলো ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। তারা কোন এঙ্গেলে ভিডিও শুট করছে তা বোঝার চেষ্টা করুন। একটু মনোযোগ সহকারে খেয়াল করলে খুব সহজেই ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। আর রান্নার ভিডিও গুলোর বর্তমানে অনেক বেশি চাহিদা রয়েছে।

৫. মোটিভেশনাল ভিডিও

মোটিভেশনাল ভিডিও তৈরি করে আয়

মোটিভেশনাল স্ক্রিপ্ট লেখার প্রতি আকর্ষণ থাকলে আপনি এই সেক্টরে ভালো ফলাফল পাবেন৷ এক্ষেত্রে বিভিন্ন কপিরাইট মুক্ত ওয়েবসাইট থেকে ভিডিও সংগ্রহ করে তার সাথে ভয়েস যোগ করলেই হয়ে যাবে। মোটিভেশনাল ভিডিওর ক্ষেত্রে স্ক্রিপ্ট ও ভয়েস হলো আসল বিষয়। এই দুটো বিষয়ে ভালো পারফরম্যান্স থাকলে ভিডিও হিট হবেই।

তাই আপনার প্রথম কাজ হবে ভালো ভালো মোটিভেশনাল স্ক্রিপ্ট তৈরি করা। তার সাথে পাওয়ারফুল ভয়েস যুক্ত করে কপিরাইট মুক্ত ভিডিওতে বসিয়ে দিলেই কাজ শেষ।

আপনি আপনার আগ্রহ অনুযায়ী যে কোনো একটি সেক্টরে ভিডিও তৈরি করা শুরু করতে পারেন৷ কেননা সবগুলো সাইটে একসাথে কাজ শুরু করলে কোনো কাজই সাঠিকভাবে হবে না। আর যে কোনো কাজের প্রতি নিজের আগ্রহ ও অদম্য ইচ্ছাশক্তি প্রধান বিষয়। তাই আগে নিজের পছন্দের বা আগ্রহের বিষয় খুঁজে বের করুন এবং কাজ শুরু করুন।

Level 4

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 43 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস