উইন্ডোজ স্টার্টআপ সমস্যার সমাধান – সহজ পদ্ধতি

কখনো কখনো উইন্ডোজের গতি কমে যায় এবং যথাযথভাবে স্টার্ট হতে ব্যর্থ হয়। আর সমস্যা সৃষ্টির কারণ হলো উইন্ডোজ ইনস্টল হওয়ার সময় কিছু কিছু সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে পিসিতে লোড হয় আপনার অজান্তে। আপনি এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন সিস্টেম কনফিগারেশন টুলের মাধ্যমে উইন্ডোজের ট্রাবলশুট করে। এজন্য উইন্ডোজ চালু করতে হবে সেইফ মোডে। সেইফ মোডে উইন্ডোজ চালু করতে কমপিউটারের স্টার্টআপ বিপ শব্দের সাথে সাথে F8 কী চাপতে হবে। উইন্ডোজ চালু করার পর আপনি পেতে পারেন আরেকটি সহজ পদ্ধতি, যা সিস্টেম কনফিগারেশন টুল হিসেবে পরিচিত। ইতঃপূর্বে কমপিউটার জগৎ-এর নিয়মিত বিভাগ পাঠশালায় ‘সিস্টেম কনফিগারেশন’ টুল সম্পর্কে বিসত্মারিত আলোচনা করা হয়েছে। তাই এ সংখ্যায় ব্যবহারকারীর পাতায় ‘সিস্টেম কনফিগারেশন’ টুলের মাধ্যমে উইন্ডোজ স্টার্টআপের বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সমাধান দেখানো

উইন্ডোজ ৭ এবং ভিসত্মায় সিস্টেম কনফিগারেশন টুল খুব সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় Start Menu-র সার্চ বক্সে System config টাইপ করে এন্টার চেপে। আর এক্সপি ব্যবহারকারীরা এটি চালু করতে পারেন Start>Run-এ ক্লিক করে আবির্ভূত বক্সে C:\windows\pchealth\helpctr\ binaries\MSConfig.exe টাইপ করে Okতে ক্লিক করে।

সিস্টেম কনফিগারেশন নামের শক্তিশালী টুলটি চালু হওয়ার পর এর মাধ্যমে বেছে নিতে পারবেন প্রতিবার উইন্ডোজ স্টার্টআপের সময় প্রকৃত অর্থে যা ঘটে, তা। Startup ট্যাবের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ইউটিলিটি ডিজ্যাবল করতে পারবেন, যা সাধারণত উইন্ডোজের সাথে স্বাভাবিকভাবে চালু হয়। এর ফলে আপনার সিস্টেমকে আনস্ট্যাবল বা অস্থিতিশীলকারীকে সমূলে দূর করতে পারবেন, তবে কাজ খুবই সতর্ক হয়ে ও যত্ন নিয়ে করতে হবে। আমাদের পরামর্শ, Services ট্যাব নিয়ে সতর্কতার সাথে কাজ করা। কেননা, এগুলো আনটিক করলে সমস্যা ফিক্স করার চেয়ে আরো বেশি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে সহায়ক টুল হলো Tools ট্যাব, যা ডায়াগনস্টিক টুলের সম্পূর্ণ লিস্ট প্রদর্শন করে উইন্ডোজে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো লুকানো থাকে, যার মধ্যে কয়েকটি নিচে ব্যবহারকারীর উদ্দেশে তুলে ধরা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে একটি বেছে নিন এবং Launch-এ ক্লিক করুন ব্যবহার করার জন্য।

সবগুলো পোস্ট দেখতে এবং সব সমাধান পেতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন।

নেটওয়ার্কের ট্রাবলশুট করার জন্য পিং

Ping কমান্ডের মাধ্যমে আপনার নেটওয়ার্ক যথাযথভাবে কাজ করছে কি না, তা চেক করে দেখুন। টেস্ট করে দেখুন Ping কমান্ড ব্যবহার করে দুটি কমপিউটার বা ডিভাইসের মাধ্যমে কমিউনিকেট করা যায় কি না। পিং একটি সহজ ও হিডেন টুল যা কমপিউটার নেটওয়ার্কে সমস্যা পুঙ্খানুপঙ্খভাবে পরীক্ষা করে বের করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অন্যান্য অনেক অ্যাডভান্সড টুলের মতো এতে অ্যাক্সেস করা যায় ভেতর থেকে। পিং কমান্ডের উদ্দেশ্য হলো দুটি কমপিউটার বা ডিভাইস একে অপরের সাথে কমিউনিকেট করতে পারে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা যায় খুবই প্রাথমিক লেবেল।পিং কমান্ড ব্যবহার করার জন্য কমান্ড প্রম্পটে Ping টাইপ করে স্পেস দিয়ে যে ডিভাইসকে যুক্ত করতে চান তা টাইপ করে এন্টার চাপুন।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আপনার নেটওয়ার্কের দুটি কমপিউটারের নাম ABC এবং XYZ, এখন আপনি চেক করে দেখতে পারেন এ দুটি ডিভাইস কমান্ড প্রম্পটের মাধ্যমে কমিউনিকেট করে কি না। এজন্য ABC কমপিউটারে টাইপ করুন ping xyz, যদি নেটওয়ার্ক রানিং থাকে কিছু টেক্সটসম্বলিত লাইন আবির্ভূত হবে, যা শুরু হয় Reply এবং এতে সময় উল্লেখ থাকে মিলিসেকেন্ড হিসেবে। যদি কোনো এরর মেসেজ আবির্ভূত হয় অথবা কোনো উত্তর না আসে, তাহলে ক্যাবল অথবা ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক চেক করে দেখা উচিত।
-t যোগ করলে পিং চলতেই থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না Ctrl+C কী একত্রে চাপা হচ্ছে থামানোর জন্য। যেমন ping –t google.com। এটি এক সহায়ক টুল। সংযোগ সমস্যা ফিক্স হলে তাৎক্ষণিকভাবে জানতে পারবেন এই কমান্ডের মাধ্যমে।
ইন্টারনেট কানেকশন ঠিকভাবে কাজ করছে কি না তা দ্রুতগতিতে চেক করার জন্য ping google.com টাইপ করে এন্টার চাপুন।

সিস্টেম ইনফরমেশন ব্যবহার করে পিসির তথ্য সংগ্রহ

আপনার পিসির হার্ডওয়্যারের বিসত্মারিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য লিস্ট করে সিস্টেম ইনফরমেশন টুল। পিসির প্রতিটি অংশের বিসত্মারিত তথ্য কেউ মনে রাখে না। তবে কখনো কখনো পিসির সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের বিসত্মারিত তথ্য জানতে হয় প্রয়োজনের তাগিদে, বিশেষ করে কারিগরি সহায়তা দেয়ার জন্য এই তথ্যগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উইন্ডোজ থেকে পাই সিস্টেম ইনফরমেশন টুল সম্পর্কে সহায়ক এবং গোপন তথ্য জানার উপায়। উইন্ডোজ ৭ এবং ভিসত্মায় এই টুল রান করানো যায়। এজন্য Start Menu-এর সার্চ বক্সে System information টাইপ করে এন্টার চাপতে হবে। এক্সপির ক্ষেত্রে এই টুলটি আরো বেশি গোপনভাবে রাখা হয়েছে। এই টুল পেতে পারেন Start>Run বাটনে ক্লিক করে আবির্ভূত বক্সে C:\windows\system32\dllcache\ msinfo32.exe টাইপ করে Ok-তে ক্লিক করুন।
সিস্টেম ইনফরমেশন টুল চালু হয় সিস্টেম সামারি সহযোগে, যেখানে সচরাচর সব ধরনের সহায়ক তথ্য রয়েছে এবং পিসিতে কোন মাদারবোর্ড ব্যবহার হচ্ছে তা ক্যাসিং না খুলে জানার একমাত্র উপায় হলো এই সিস্টেম ইনফরমেশন টুল।
বাম দিকের প্যানে Components or Software Environment ক্যাটাগরিতে ক্লিক করলে পিসির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের আরো বিসত্মারিত তথ্য জানতে পারবেন।

Level 0

আমি কমজগৎ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 57 টি টিউন ও 17 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Computer Jagat has been involved with the ICT movement here in Bangladesh for more than a period of two decades. During this period we have been able to create a set of records for which we feel proud of.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

tnk u bro…

Level 0

tnx