আমরা প্রায়শ কাষ্টমার থেকে বিভিন্ন অভিযোগ ও প্রতিকার চেয়ে রিকোয়েষ্ট পাই তাদের ওয়েবসাইট এর ডোমেইন ও হোস্টিং এর ব্যাপারে। অভিযোগগুলো এমন যে, ডোমেইন/ হোস্টিং কিনেছে যার থেকে সে এখন কোন ইনফরমেশান দিচ্ছে না বা হঠাত ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিয়েছে, কেউবা ১০০ এমবি জেনারেল হোস্টিং কিনেছেন ২০০০ টাকা দিয়ে, ডোমেইন কিনেছে ৩০০০ টাকা দিয়ে যেখানে ১ জিবি পিউর এসএসডি হোস্টিং এর মূল্যই ২০০০ টাকা এবং ডোমেইন সর্বোচ্চ ১০০০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে বড় অভিযোগগুলো হয় এমন, একটা ভালো ভিজিটর আছে এমন ওয়েবসাইটের ডোমেইন ও হোস্টিং যার থেকে কেনা হয়েছে সে এখন আর সেই ওয়েবসাইটের এক্সেস দিচ্ছে না বা হঠাত করেই নাই হয়ে গিয়েছে সব অফ করে। এইসব ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টদের কাছে ওয়েবসাইট ব্যাকাপ না থাকলে অনেক সময় আমাদের কিছুই করার থাকেনা। তাই ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে সতর্কতা কিভাবে অবলম্বন করে সেটি নিয়ে আজকের এই টিউন।
১। রেপুটেশানঃ ডোমেইন বা হোস্টিং কেনার ক্ষেত্রে ভুঁইফোড় কোম্পানীর কমদামী প্যাকেজ দেখে অল্প কিছু টাকা বাঁচাতে এমন প্যাকেজ কিনেছেন তো ধরা খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি রিস্ক নিয়ে নিলেন। তাই ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার আগে অবশ্যই সেই কোম্পানীর রেপুটেশান, গ্রাহকদের এক্সপেরিয়েন্স এইসব চেক করে নিবেন। এই রেপুটেশান চেক করার সহজ উপায় হচ্ছে, তাদের ফ্যানপেইজে রিভিউ, টুইটারে একটিভিটি, ইন্টারন্যাশনাল ফোরামগুলোতে তাদের র্যাংকিং চেক করা। এই লিংকে গেলে আপনি বাংলাদেশি টপ কিছু ডোমেইন ও হোস্টিং প্রোভাইডারের নাম পাবেন।
২। পলিসিঃ ডোমেইন ও হোস্টিং কেনার সময় অবশ্যই তাদের পেমেন্ট, রিফান্ড এবং নীতিমালা সম্পর্কে জেনে করবেন। বেশীরভাগ বাটপার কোম্পানী কিংবা প্রতারক এই ব্যাপারগুলো সম্পর্কে কাষ্টমারকে আগেই কোন ধারনা দেয় না। এছাড়া ডোমেইন ও হোস্টিং এক্সেস কার কাছে থাকবে, প্যানেল দিবে কিনা এইসব জেনে তারপর কিনবেন। যারা এইগুলা দিবে না দেবার প্রতিশ্রুতি করবে না তাদের থেকে আমাদের সাজেশান রইল দূরে থাকার।
৩। কোম্পানী ঠিকানা ও যোগাযোগ ঠিকানাঃ ভুঁইফোঁড় কোম্পানীগুলোর সাধারণত কোন অফিস ঠিকানা থাকেনা এবং যোগাযোগ করার জন্য শুধু ফোন নাম্বার থাকে। তাই যাদের থেকে কিনবেন তাদের অফিস এড্রেস আছে কিনা বা যোগাযোগের অন্য মাধ্যম আছে কিনা জেনে নিবেন। যারা প্রতিষ্ঠান করে তাদের অবশ্যই সরকার থেকে ট্রেড লাইসেন্স থেকে শুরু করে, ট্যাক্স, টিন সার্টিফিকেটসহ অনেক ডকুমেন্ট করতে হয় তখন তার আইডেন্টি সরকারের কাছে লিপিবদ্ধ করতে হয়। তাই এমন অফিস ভেরিফাই করে নিতে পারেন যাতে ওয়েবসাইট ফিরে না পেলে পরবর্তীতে আপনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সহয়ায়তায় আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।
৪। নিরাপত্তাঃ যাদের থেকে ডোমেইন ও হোস্টিং কিনবেন তাদের সার্ভিসগুলো কতটুকু নিরাপদ তা জেনে নেবার চেষ্টা করবেন।আপনার ওয়েবসাইটের ইনফরমেশান কতটুকু নিরাপদ তাদের কাছে সেটি চেক করে নিবেন। এছাড়া যে কোন সমস্যা হলে তাদের সাপোর্ট থেকে তাদের অন্য গ্রাহকরা কতটুকু সাহায্য পায় সেটিও খোঁজ করে নিবেন। সতর্কতা সরূপ নিয়মিত ওয়েবসাইটের ব্যকআপ নিয়ে রাখবেন যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যা হলে ওয়েবসাইট আবার লাইভ করা যায়।
এর বাইরে হোস্টিং অথরিটির মতিগতি খারাপ দেখেলে সাথে সাথে সুযোগমত আপনার ওয়েবসাইট অন্য রেপুটেটেড কোম্পানীতে ট্রানফার করে ফেলবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে টিউনটি পড়ার জন্য। ডোমেইন ও হোস্টিং সংক্রান্ত কোন সাহায্য লাগবে টিউমেন্টে আমাদের জানান।
আমি এক্সনহোস্ট হোস্ট। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 7 বছর 8 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 12 টি টিউন ও 11 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
বিশ্বমানের SSD শেয়ার্ড, রিসেলার, ভিপিএস ও ডেডিকেটেড সার্ভারের হোস্টিং সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হোস্টিং সেবা প্রতিষ্ঠান ExonHost। সুলভমূল্যে হোস্টিং, ডোমেইন নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন। ওয়েবসাইটঃ https://www.exonhost.com/
একমাস আগে আমি http://www.webbangladesh.net থেকে ডোমেন আর হোষ্টিং কিনেছি। নেট ঘেটে আমার কাছে মনে হয়েছে অন্য সব কোম্পানীর চাইতে এদের রেট কম। সার্ভিস নিয়ে এখন পর্যন্ত সন্তুষ্ট। তারপরও এদের চেয়ে কোথাও যদি রেট কম পাওয়া যায়, টেক ভাইদের তা জানাতে অনুরোধ করছি। পছন্দ হলে সাইট ট্রান্সফার করব।