
আজকাল ওয়েব সাইট হোস্টিং জগতে ক্লাউড হোস্টিং নিয়েই আলোচনা সবচেয়ে বেশি। আপনারা অনেকেই হয়ত এটা সম্পর্কে জানেন। তবে যারা জানেন না, তাদের জন্য আমার এ প্রয়াস:
ক্লাউড হোস্টিং কি?
সাধারণত আমরা যখন কোন ওয়েবসাইট হোস্টিং করি, তা একটি সার্ভারে সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু ক্লাউড হোস্টিং এর ক্ষেত্রে অনেক গুলো সার্ভারের মাধ্যমে আপনার সাইট ইউজারের কাছে পৌছাতে পারে। অর্থাৎ একটি সার্ভারের মধ্যেই আপনার সাইট সিমাবধ্য না থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সার্ভার এর সমন্বয়ে তৈরি বলয় বা ক্লাউড এর মাধ্যমে ইউজারের কাছে পৌছাতে পারে। এমনকি এই বলয় অনেক সময় ভিন্ন ভিন্ন দেশে সংরক্ষিত সার্ভার এর সমন্বয়ে তৈরি হয়ে থাকে। নিচের ছবিটা দেখলে কিছুটা খোলাসা হবে:

ক্লাউড হোস্টিং এর সুবিধা:
ওয়েব সাইট কোন একটি সার্ভারের মধ্যে সিমাবধ্য থাকেনা, বিধায় একটি সার্ভার ক্রাশ করলেও অন্য গুলো থেকে আপনার সাইট ঠিকই দেখা যাবে। এর মাধ্যমে ১০০% আপটাইম নিশ্চিত করা যায়।
আনেক ক্লাউড হোস্টিং কম্পানিই কন্টেন্ট ডেলিভারি নেটওয়ার্ক (সি.ডি.এন) এর মাধ্যমে তাদের সেবা দেয়। অর্থাৎ, আপনার মূল সার্ভার টি ইউ.এস.এ বা ইউ.কে তে হলেও আপনার সাইট লোড হবে ইউজারের কাছাকাছি সি.ডি.এন সার্ভার থেকে। অর্থাৎ, কেউ আপনার সাইটে অস্ট্রেলিয়া থেকে ভিজিট করলে আপনার সাইট লোড হবে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত সি.ডি.এন সার্ভার থেকে। এর মাধ্যমে ৩০%-৪০% সাইট স্পিড বেশি পাওয়া যায়।
ক্লাউড হোস্টিং এর অসুবিধা:
ক্লাউড হোস্টিং এর একটি বড় অসুবিধা হল, এটি বেশ ব্যায়বহুল। অন্তত বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে।
তাই ১০০% আপটাইম পেতে এবং দ্রুত সাইট লোড চাইলে আপনিও ক্লাউড হোস্টিং ব্যবহার করতে পারেন।
কয়েকটি ক্লাউড হোস্টিং কোম্পানি :
আমি Destroyer। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
জানার পরিধি দিন দিন বেড়েই চলেছে । ধন্যবাদ techtune আর ধন্যবাদ আপনাকেও । সুন্দর tune .