কীভাবে অনলাইন বিজনেস শুরু করবেন?

Level 4
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

প্রযুক্তির এই যুগে কমবেশি সবার মনেই মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে অনলাইন বিজনেস করার ইচ্ছে। কিন্তু কিভাবে শুরু করতে হবে, কত টাকা লাগবে, কোন কোন দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে এসব বিষয়গুলো সহজে বুঝে উঠতে পারে না অনেকেই। অনলাইন বিজনেস শুরু করার আগে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকতে হবে। জানতে হবে অনলাইন বিজনেস কী, এই সেক্টরে কিভাবে ভালো করা যায়। জেনে নিন ঘরে বসে একজন সফল উদ্যোক্তা হওয়ার অভিনব কৌশল সম্পর্কে বিস্তারিত।

অনলাইন বিজনেস কী?

অনলাইন বিজনেস এর সংজ্ঞা

অনলাইন বিজনেস সম্পর্কে ভালোভাবে ধারনা না থাকলে আপনি একটি বিজনেস সঠিক ভাবে শুরু করতে পারবেন না। তাই অনলাইন বিজনেস কি এ সম্পর্কে আগে জেনে নিন। অনলাইন বিজনেস হলো প্রযুক্তি নির্ভর একটি বিজনেস। এখানে অনলাইনে একটি দোকান বা পেইজ তৈরি করে প্রোডাক্ট এর ছবি দিয়ে কাস্টমারকে আকৃষ্ট করা হয়। ছবি দেখে ক্রেতা প্রোডাক্ট কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে। অনলাইন মাধ্যমে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে কথোপকথন এর মাধ্যমে একটি প্রোডাক্ট এর অর্ডার কনফার্ম হয়।

বিক্রেতা ছবিতে দেয়া প্রোডাক্ট টি ভালোভাবে প্যাকিং করে ডেলিভারি ম্যানের মাধ্যমে ক্রেতার হাতে পৌঁছে দেয়। ডেলিভারি ম্যান ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছে দেয় আবার পণ্যের মূল্য বিক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়। এভাবেই মূলত একটি অনলাইন বিজনেস পরিচালিত হয়।

অনলাইন বিজনেস শুরু করার উপায়

যেভাবে অনলাইন বিজনেস শুরু করবেন

অনলাইন বিজনেস শুরু করার জন্য কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করতে হবে। পর্যায়ক্রমে সঠিকভাবে সবগুলো কাজ করতে পারলে আপনার বিজনেস রানিং হয়ে যাবে। জেনে নিন অনলাইন বিজনেস শুরু করার ধাপ সমূহ সম্পর্কে।

১. বিজনেস প্লানিং

অনলাইন বিজেনস শুরু করার আগে আপনাকে চিন্তা করতে হবে কোন ধরনের বিজনেস আপনি করবেন। আপনি যদি ক্রিয়েটিভ কোনো কাজ পারেন তাহলে সেটা দিয়ে শুরু করতে পারেন। যেমন: রান্না, হাতের কাজ, ড্রয়িং ইত্যাদি। অথবা নিজের আশেপাশে উৎপাদন হয় এমন কোনো পণ্য নিয়ে বিজনেস করতে পারেন। যেমন: কৃষিপণ্য, ফল, মৃৎশিল্প, কুটির শিল্প ইত্যাদি।

আপনি যদি টেইলারিং বা ফ্যাশন ডিজাইনিং এর কাজ জানেন তাহলে নিজেই ডিজাইন করে বিভিন্ন পোশাক তৈরি করতে পারেন। কাস্টমাইজড পোশাকের চাহিদা এখন সবার শীর্ষে। চাইলে যে কোনো পণ্য পাইকারি কিনেও বিজনেস শুরু করতে পারেন। তবে চেষ্টা করবেন এমন কোনো পণ্য নিয়ে বিজনেস শুরু করতে যার চাহিদা প্রচুর পরিমানে আছে।

২. মূলধন সংগ্রহ

আপনার বিজনেস প্লান যেটাই হোক না কেন প্রথমে আপনাকে ইনভেস্ট করতে হবে। নিজে তৈরি করে কিছু সেল করলেও প্রাথমিক ভাবে সরঞ্জাম ও কাঁচামাল কিনতে হবে। পাইকারি কিনে সেল করলেও আপনার মূলধন প্রয়োজন। তাই বিজনেস প্লান করার সাথে সাথে মূলধন সংগ্রহ করার চেষ্টা করুন। মূলধন সংগ্রহ করা হয়ে গেলে আপনি প্রাকটিকাল ভাবে কাজ শুরু করতে পারবেন। এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে মোটামুটি তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা মূলধন নিয়ে একটি ব্যবসা শুরু করা যায়।

৩. কাঁচামাল সংগ্রহ

আপনি এই পর্যায়ে আপনার প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সংগ্রহ করে নিন। প্রথমেই খুব বেশি পরিমানে না করে অল্প পরিমানে সংগ্রহ করুন এবং পণ্য তৈরি করতে থাকুন। পাইকারি কিনে সেল করলেও প্রথমে অল্প পরিমানে সংগ্রহ করুন। পরবর্তীতে ভালো সাড়া পেলে আপনার মূলধন অনুযায়ী যতোটুকু সম্ভব পণ্য স্টক করতে পারবেন।

৪. পেইজ ও ওয়েবসাইট তৈরি করুন

আপনার বিজনেস ব্রান্ডের সঠিক নাম নির্বাচন করে একটি পেইজ তৈরি করুন। প্রাথমিক পর্যায়ে একটি পেইজের মাধ্যমে বিজনেস শুরু করুন। পরবর্তীতে একটি বিজনেস ওয়েবসাইট ক্রয় করে বিজনেস ওয়েবসাইট সেটআপ করুন। বিজনেস পেইজ ও ওয়েবসাইটই মূলত আপনার দোকান। এরপর আপনার অনলাইন শপকে নিজের পছন্দমতো সাজিয়ে নিন।

৫. পণ্যের ছবি তুলুন ও পাবলিশ করুন

আপনার যেহেতু এখন মূলধন আছে, স্টক করা পণ্য আছে এবং একটি অনলাইন শপও আছে এখন পণ্যের ছবি তুলে তা অনলাইন শপে পাবলিশ করে দিন। ক্রেতারা ছবি দেখে ও সব ডিটেইলস জেনে অর্ডার কনফার্ম করবে। পরবর্তীতে ডেলিভারি ম্যানের সাহায্যে পণ্যটি ক্রেতার হাতে পৌঁছে দিন।

আশাকরি অনলাইন বিজনেস শুরু করার প্রাথমিক ধারণা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছেন। আপনি যদি ঘরে বসেই নিজের বিজনেস করে স্বাবলম্বী হতে চান তাহলে শুরু করতে পারেন আপনার অনলাইন বিজনেস। বর্তমানে এর চাহিদা রয়েছে শহর থেকে গ্রাম পর্যায়েও। আপনার নতুন বিজনেস এর জন্য শুভকামনা রইল।

Level 4

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 43 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস