বস্তু দেখার জন্য আলো

পদার্থবিজ্ঞান ছাড়া আমাদের কোন গতি নাই,
ওহহহ না,গতি ছাড়া তো বলই হয় না..
তবে তো, কোন কাজই হবেনা??
অর্থ্যাৎ পদার্থবিজ্ঞান ছাড়া কোন কাজই হবে না।(প্রমাণিত)
(আমার কথা শুনে হাসিয়েন না।কারন যতই হাসুন,আপনার কাজ হবেনা।ভালো হবে হেটে হেটে হাসুন)
আজকের টপিকস টা নিয়ে চোখ বন্ধ করে ৫ মিনিট চিন্তা করুন কি কি কথা আসতে পারে।পরে জানায়েন আমাই...
হ্যাঁ!এখন থেকে শুরু।ready!1 2 3...
আরে বোকা!!চোখ বন্ধ করে চিন্তা করলে ঘড়ির সময় কিভাবে দেখবেন?চোখ খুলেই চিন্তা করুন....
এবার চলুন,একটু বিশ্লেষণী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কথা শুরু করা যাক....
পদার্থবিজ্ঞান হলো আমাদের চারপাশের ঘটনাগুলোর ব্যখ্যাকারি বিজ্ঞান।আমরা আমাদের চারপাশে হাজারো ধরনের ঘটনা ঘটতে দেখতে পাই।আমার আলোর ঘটনাটাই প্রথমে মনে পড়ল।কারন যেকোন কিছু দেখার জন্য আলোর উপস্হিতি এবং বস্তু হতে আমাদের চোখে আলো আসা প্রয়োজন।তাই সকল ঘটনাগুলোর প্রম দিকের ঘটনাসমূহের মধ্যে একটি ঘটনা হলো "বস্তু দেখার জন্য জন্য আলো।"
(বি.দ্র.আমার অনেক প্রশ্ন আছে এই আলো নিয়ে।উত্তর গুলো কারো সাহায্য ছাড়াই নিজে খুজবার চেষ্টা করেছি।আর তাই উত্তরগুলো কোন জায়গায় থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে।যেহেতু আমি নিজের যুক্তিতে কথা বলব,তাই ভুল হতেই োপারে।ভুলগুলোকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখে জানিয়ে দিয়েন।)
.
.
আমার মনে হয়, আমরা প্রতিনিয়ত প্রকৃতির কাছো ধোকা খাচ্ছি।অনেকেই আমাই পাগল ভাববেন।কারন প্রকৃতি কি করে আমাদের ধোকা দিতে পারে!!
এর উত্তরটা আমি পরে দিচ্ছি।আগে জেনে নেই আমরা কিভাবে কোন বস্তুকে দেখি।
আমরা জানি,আমাদের চোখ লেন্সের মতো কাজ করে।
আমাদের চোখের ক্রিয়া উত্তল লেন্সের মতো।
কোন বস্তুর থেকে আলো আমাদের চোখে পড়লে সেই বস্তুর একটা প্রতিবিম্ব গঠিত হয় আমাদের চোখে।যার ফলো আমাদের মস্তিষ্কে দর্শনের অনুভুতি জাগে এবং সেই বস্তুকে আমরা দেখতে পাই।
আমাদের রেটিনা রড ও কোন নামক কতগুলো আলোক সংবেদনশীল কোষ তথা স্নায়ুতন্তু দ্বারা গঠিত।রেটিনার উপর আলো পড়লে তা ঐ স্নায়ুতন্তুতে এক প্রকার উত্তেজনা সৃষ্টি করে,ফলে আমরা বস্তুকে দেখতে চাই এবং দেখি।
উল্লেখ্য যে রেটিনার উপরে বস্তুর উল্টা প্রতিবিম্ব পড়ে।এই অনুভূতি চক্ষু নার্ভের সাহায্যে মস্তিষ্কে যায় এবং রেটিনায় গঠিত বস্তুর প্রতিবিম্ব উল্টা
হলেও মস্তিষ্কের বিশেষ প্রক্রিয়ার জন্য আমরা বস্তুকে সোজা দেখি(জীববিজ্ঞানের কথাগুলো আসলেই কেমন জানি!!!এতখন কেউ কি বোর হয়ে যান নি)
এবার পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে একটু গল্প করতে হবে বুঝতে পারছি।
আগেই বলেছি যে আমাদের চক্ষুলেন্স হলো উত্তল।আমরা এটাও জানি যে,স্পষ্ট দর্শনের নূন্যতম দূরত্ব ২৫ সে.মি.।কেন জানি কি?
আবার স্পষ্ট দর্শনের সর্বোচ্চ দূরত্ব যেকোন জায়গা হতে পারে।কেন??
আসলে উত্তল লেন্সে অসীম থেকে আগত আলোকরশ্মির প্রতিবিম্বটি হয় বাস্তব ও উল্টা।তাই এই বস্তুকে চোখ দেখতে পাই।তবে ব্যক্তিবিশেষে সেটা আলাদা।একই রকম ঘটনা ঘটতে থাকে লেন্সের ফোকাস দূরত্ব পর্যন্ত।
কিন্তু যদি লেন্সের ফোকাস দূরত্ব থেকে বস্তু দূরত্ব কম হয়ে যায়,তবে প্রতিবিম্বটি হয়ে যায় অবাস্তব ও সোজা।এই সোজা প্রতিবিম্ব রেটিনায় পড়লে মস্তিষ্ক বাবাজি সবকিছু উলটাপাল্টা করে দেয়।যার জন্য তাকে অস্পষ্ট ও খুব নিকটে হলে দেখাই যায় না।
আসলে আমাদের চোখ নিজস্ব ফোকাস দূরত্ব কে কমা বাড়া করতে পারে বিভিন্ন বস্তু দেখার সুবিধার জন্য,এটা সবারই জানা।
তবে মানবচোখ সাধারনত ফোকাস দূরত্বকে ২৫ সে.মি. এর নিচে আনতে পারে না।তাই এমন ঘটে।(ভাই বোর হয়েন না,এতখন পদার্থবিজ্ঞানরই কথা বললাম)।
এখন তবে দেখার বিষয়টা পরিষ্কার।
.
.
এবার সেই প্রকৃতির ধোকাবাজির কথাই যাওয়া যাক।আচ্ছা বলুনতো আমরা যেসব রংযুক্ত
বস্তু দেখি, সেগুলো কি সত্যই এমন রং এর?
উত্তরে বলব আমি না।কারন একমাত্র আলোই ৭ টি বর্ণের সমাহার।নির্দিষ্ট তরঙ্গদৈর্ঘ্য বিশিষ্ট আলোর বর্ণ নির্দিষ্ট।আবার একেক রকম আলোর প্রতিসরণাঙ্কও একেক রকম।বিশ্বাস হচ্ছে না।তবে একটা কাঁচ নিয়ে সূর্যের আলোর সামনে ধরুন।কি দেখলেন?
নিশ্চয়ই প্রতিসরিত রশ্মি ৭ টি ভাগে বিভক্ত।
কি বুঝলেন??
বুঝেছি, এখন রংধনুর কথা ভাবছেন!
আরে ভাই,হ্যা,সূর্যের আলো নির্দিষ্ট আকৃতির মেঘে আপতিত হয়ে রংধনু তৈরি করে।
যেহেতু একেক বী্ণের আলোর প্রতিসরণাঙ্ক একেক রকম,তাই প্রতিসরনের সময় আলো গুলো কমবেশি বেকে গিয়ে ৭ টি রং এ পরিণত হয়েছে।এবার বিশ্বাস হয়েছে তো যে সূর্যের আলো বর্ণযুক্ত?
উহহহ,ভুলেই গেছি,প্রকৃতির ধোকাবাজি নিয়ে কথা বলতে বলতে কোথায় চলে গেছিলাম..
কেন সমস্যা না।আমরা তো সবাই জানি যে,কোন বস্তুই আলো তৈরী করতে পারেনা।
কি ভাবছেন?নিশ্চয়ই ভাবছেন,আমাদের চোখে আাসা আলো তবে কিসের আলো??
নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন কি বলতে চাচ্ছি।আসলে সূর্যের সেই আলোই বস্তুতে প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে।
আচ্ছা এবার বলুনতো,সূর্যের আলো যদি প্রতিলিত হয়েই আসে,তবে ৭ টিই রং আসলে বস্তুকে আলাদা আলাদা রঙে দেখি কেন??
কিছু বুঝলেন কি??
আসলে প্রতিটি বস্তুই নির্দিষ্ট বর্ণের আলো শোষণ করতে পারে।আর অশোষণকৃত আলো প্রতিলিত করে।তার মানে কথাটা কি দাড়ালো,"আমাদের প্রকৃতি রংহীন।"
শুধু মাত্র সূর্যের আলোর নির্দিষ্ট আলো শোষণ করে,আর বাকিগুলো প্রতিফলিত হয়ে আমাদের চোখে আসে।।আর কোন বস্তু যে রংকে প্রতিফলিত করে,আমরা তাকে সেই রঙেই দেখি।
কোন বস্তু ৭ টিই রং প্রতিফলিত করলে তাকে সাদা,সব রং শোষণ করলে তাকে কালো,যেকোন একটি রং প্রতিফলিত করলে তাকে সেই বর্ণের এবই একাধিক রং প্রতিলিত করলে বর্ণগুলোর মিশ্রণকে দেখি।
তার মানে,আমাদের চারপাশ মূলত রংহীন।তবে সূর্যের বর্ণে সে রঙিল।আমাদের ধোকা দিয়ে সে নিজেপে রঙযুক্ত করেছে।যাই হোক,ধোকার জন্য প্রকৃতিটা অনেক সুন্দর।
তবে আপনারা যাই বলুন না কেন,আমি বলব,"প্রকৃতি তুমি ধোকাবাজ।"
প্রকৃতি কেমন জানি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।কিন্তু আমরাও কৌতুহলী মানুষ।ঠিক ধরে ফেলেছি।
যারা এতটুকু বুঝেছেন তারা মনের মাঝে প্রশ্ন তৈরি করুন।তবে আমার একটা প্রশ্ন মাথাই আসছে....
আচ্ছা কোন বস্তু সব রং শোষণ করে নিল।তবে সেখান থেকে কোন আলোই আর প্রতিফলিত হবে না।তবে বস্তুটিকে অদৃশ্য দেখার কথা, কালো কেন দেখি??
এর উত্তর খুজে পেয়েছি একটা প্রবাদ থেকে।সেটি হলো,
"আলো বলে,'অন্ধকার,তুমি বড় কালো'
অন্ধকার বলে,'ভাই,তাই তুমি আলো'।"
.
অনেকেই বুঝে ফেলেছেন মজাদার এই প্রবাদটি।আসলে আমাদের মহাবিশ্বে অদৃশ্য বস্তু বলে কিছুই নাই।বস্তু হতে
আলো চোখে আসলে তাকে আমরা দেখি,আবার আলোর অনুপস্হিতি ঘটলে সেটাকে অন্ধকার বা কালো দেখি।
কিছু বুঝলেন কি?
আসলে অন্ধকারই আমাদের কাছে কালো।বিশ্বাস হচ্ছে না?আমি বিশ্বাস করাবই!!
প্রথমে একটি খালি ঘরকে কয়লা কালো রং করুন(কয়লাই সব বর্ণের আলো শোষণে সক্ষম)।
এবার ঘরে আলোর ব্যাবস্হা করুন।এবার দিনের বেলায় ঐ রুমে রাতের পোকার শব্দ কৃত্রিমভাবে তৈরি করুন।এবার ঘরে ঢুকে যান।১০০ শতাংশ মনে হবে তখন রাত হয়ে গেছে।আপনি ঘরকে অন্ধকারই দেখবেন।
এবার তবে বিশ্বাস হলো তো যে কালোটাই অন্ধকার।
আমরা কোন বস্তুর রং কালো দেখি,পছন্দ করি পারিপার্শ্বিকের সাপেক্ষে।চারপাশে অন্য রং এর মাঝে অন্ধকারকে কালো বলে বিশেষ নাম দেওয়া হয়েছে।এটাও যদি বিশ্বাস না হয় তবে কোন একটি কালো বস্তুকে নিয়ে ঐ রুমটাই ঢুকে যান।যেহেতু চারপাশ কালো।তাই সেই বস্তুকে দেখতে পাবেন না,কারন সেখানে কালোর সাপেক্ষে কালোকেই নির্ণয় করতে হবে।
আপাতত এতটুকুই।আবার কোনদিন কি নিয়ে লিখতে বসব কেজানে??

Level 0

আমি অনিক কুমার রাজ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

আমি হাজারো কৌতুহলকে সাথে নিয়ে কাজ করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস