
আগের পাঠে আমরা জেনেছিলাম যে বারোটি নোট থেকে বাছাই করা কিছু নোটকে স্কেল বলে। বাছাই করার পদ্ধতি আবার ভিন্ন হতে পারে, যার উপর নির্ভর করে স্কেলের নাম। এ পাঠে আমরা স্কেলের গঠন সম্পর্কে জানব। স্কেলের ধারনা পোক্ত হলে পরে কর্ডের গঠন সম্পর্কে জানব। স্কেলের প্রথম নোটকে রুট (root) নোট বা মূল নোট বা কি (key) নোট বলে।
স্কেল বা কর্ডের নিয়ম শেখার আগে আমরা বারোটি নোটকে বৃত্তাকারে সাজাব। এতে কোন নোটের আগে বা পরে কোন নোট আছে তা খুব সহজে ধরা যাবে। সুবিধার জন্য আমরা নোটগুলোকে ঘড়ির কাটা ঘুরার দিকে সাজিয়েছি। নিচের ছবিতে দেখুন।
C নোটকে ১নং ধরলে ৫নং নোটটা কী হবে? উত্তর E (C তে আঙুল রেখে গুণে গুণে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে ৫নং নোটে যান)। G কে ১নং নোট ধরে ৭নং নোটটা কী হবে? উত্তর C# (G তে আঙুল রেখে গুণে গুণে ঘড়ির কাটার দিকে ঘুরে ৭নং নোটে যান)।
ইন্টারভেল: দুটো নোটের মাঝে দূরত্বকে ইন্টারভেল বলে। ইন্টারভেল মাপা হয় হাফ-নোট (Half note) বা হোল-নোট (Whole note) দিয়ে। একটা হোল-নোট দুটো হাফ-নোটের সমান। হাফ-নোটকে H, হোল-নোটকে W দিয়ে প্রকাশ করা হয়। যেমন, C ও D এর মধ্যে দূরত্ব হলো এক হোল-নোট; E ও F এর মধ্যে দূরত্ব এক হাফ-নোট।
ক্রোমাটিক স্কেল: বারোটি নোটের সবগুলোকে নিয়ে গঠিত হয় ক্রোমাটিক স্কেল (স্বরগম)। অন্যভাবে বললে, ক্রোমাটিক স্কেলের প্রতিটি নোটের মধ্যকার ইন্টারভেল হাফ-নোট। ক্রোমাটিক স্কেল নিজে থেকে ব্যবহৃত হয় না। অন্য সব স্কেল গঠন করা হয় ক্রোমাটিক স্কেল থেক।
মেজর স্কেল:
মেজর স্কেল গঠনের নিয়ম হলো : রুট-W-W-H-W-W-H-অক্টেভ
তার মানে, আমরা যদি C থেকে শুরু করি, C নিবো, C থেকে হোল-নোট দূরত্ব, অর্থাৎ D নিব, D থেকে হোল-নোট দূরত্বে থাকা E নিব, E এর পর হাফ-নোট ব্যবধানে থাকা F নিব। এভাবে, সবশেষ গিয়ে আবার মূল নোট C পাব। এগুলো আমাদের সি মেজর স্কেলের নোট। এক C থেকে পরের C পর্যন্ত নোটগুলোকে এক অক্টেভ বলে।
আমরা যদি D থেকে শুরু করি, তবে নোটগুলো হবে: D, E, F#, G, A, B, C#, D
Bb থেকে শুরু করলে হবে: Bb, C, D, Eb, F, G, A, Bb
মাইনর স্কেল:
মাইনর স্কেল গঠনের নিয়ম হলো : ১(রুট)-W-H-W-W-H-W-(অক্টেভ)
তার মানে, আমরা যদি C থেকে শুরু করি, C নিবো, C থেকে হোল-নোট দূরত্ব, অর্থাৎ D নিব, D থেকে হাফ-নোট পরে Eb নিব, Eb থেকে হোল-নোট দূরে F নিব। এভাবে, শেষে গিয়ে আবার মূল নোট C পাব। এগুলো আমাদের সি মাইনর স্কেলের নোট।
আমরা যদি A থেকে শুরু করি: A, B, C, D, E, F, G, A (লক্ষ্য করবেন, এগুলো কিন্তু সি মেজর স্কেলেরও নোট)
E থেকে শুরু করলে: E, F#, G, A, B, C, D, E
পেন্টাটোনিক স্কেল: পেন্টাটোনিক স্কেলে মাত্র ৫টি নোট থাকে। পাঁচটি নোট বাছাই করার একাধিক উপায় আছে বলে পেন্টাটোনিক স্কেলও ভিন্ন হয়। প্রধান দুটি পেন্টাটোনিক হলো: পেন্টাটোনিক মেজর ও পেন্টাটোনিক মাইনর।
পেন্টাটোনিক মেজর গঠনের নিয়ম হলো: (রুট) - W - W - WH - W - (অক্টেভ)
সিতে ধরলে, নোটগুলো হবে: C, D, E, G, A, C
পেন্টাটোনিক মাইনর গঠনের নিয়ম হলো: (রুট) - WH - W - W - WH - (অক্টেভ)
সিতে ধরলে, নোটগুলো হবে: C, Eb, F, G, Bb, C
মেজর স্কেলের সাথে মেজর পেন্টাটোনিক, এবং মাইনর স্কেলের সাথে মাইনর পেন্টাটোনিক স্কেল বাজানো যায়। রক গানের লিডে পেন্টাটোনিক স্কেলের বহুল ব্যবহার হয়।
গিটারে স্কেলের অবস্থান:
আমরা সব স্কেলের সব নোট মুখস্ত করব না। গিটারে বিশেষ নিয়মে টিউনিং করা হয় বলে, স্কেলগুলো ফ্রেটবোর্ডের বিশেষ অবস্থানে পাওয়া যায়। আবার, গিটারে একই নোট ভিন্ন তারে আছে বলে, একই স্কেল একাধিক অবস্থানে বাজানো যায়। সহজে মনে রাখার জন্য পরের পাঠে আমরা সহজ কিছু প্যাটার্ন শিখব।
গানের লিড বা রিফ ভাল বাজাতে হলে, স্কেল সম্পর্কে খুব ভাল ধারনা থাকতে হবে, পারত পক্ষে পুরো ফ্রেটবোর্ড মুখস্ত রাখতে হবে।
২৪ ঘণ্টা Live অনলাইন রেডিও ”রেডিও কথা” , শুনতে হলে আপনাকে লগিন করতে হবে৷ http://www.radiokotha.com ওয়েবসাইট এ । আমাদের ফেইসবুক পেজ এ একটা লাইক দিলে খুব খুশি হব : http://www.facebook.com/radiokothabd
আমি radiokothabd। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
vaiya oshadharon hoise..ami amuture level er.. tarporeo bolbo apni chliye jan