রেগুলার আয় করার জন্য ১০ টি ইউনিক ওয়েবসাইট আইডিয়া

Level 4
শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর

আপনি যদি বিভিন্ন ব্লগ লিখে কিংবা অন্য যে কোনো উপায়ে ওয়েবসাইট থেকে আয় করার চিন্তা ভাবনা করেন তাহলে আজকের টিউনটি আপনার জন্য। ওয়েবসাইট তৈরি করা, এটা তো খুব কঠিন কিছু না। কিন্তু আসল চ্যালেঞ্জ হলো ওয়েবসাইটে ভিজিটর নিয়ে আসা। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অহরহ ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিজিটর নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আবার কখনো কখনো হঠাৎ করে ভিজিটর পাওয়া গেলেও নিয়মিত ভিজিটর ধরে রাখাটা বেশ চ্যালেঞ্জিং।

ভিজিটর ধরে রাখার জন্য ওয়েবসাইট এর টপিক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এমন বিষয়ের ওপরওয়েবসাইট তৈরি করা দরকার যা নিয়মিত ভিজিটর ধরে রাখতে পারবে। কেননা রেগুলার ইনকাম করতে হলে প্রতিনিয়ত কম বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইটে নিয়ে আসতে হবে।

আজকের টিউনের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথেএমন ১০ টি ওয়েবসাইট টপিক নিয়ে আলোচনা করব যা নিয়মিত ভিজিটর ধরে রাখতে সক্ষম। তাহলে চলুন এমন ১০ টি ওয়েবসাইট সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।

১. আন্তর্জাতিক নিউজ ওয়েবসাইট

আন্তর্জাতিক নিউজ ওয়েবসাইট থেকে আয় করুন

আন্তর্জাতিক পর্যায়ের খবর সম্পর্কে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের প্রতিটি দেশের মানুষ কমবেশি সার্চ করে থাকে। তাই আপনি যদি আন্তর্জাতিক পর্যায়ের বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে ব্লগ লেখার ক্ষমতা রাখেন তাহলে সময় এখন আপনার-ই। নিউজ ওয়েবসাইট কিন্তু কোনো সাময়িক সময়ের জন্য তৈরি করা হয় না। তাই এ ধরনের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর আসবে এবং নিয়মিত আয় হবে।

এখানে আন্তর্জাতিক নিউজ ওয়েবসাইট এর কথা বলা হয়েছে। কেননা এই সাইটে বিশ্বের সকল প্রান্ত থেকে ভিজিটর আসবে। ফলস্বরূপ নির্দিষ্ট অঞ্চলভিত্তিক সাইটের তুলনায় আপনার সাইটে ভিজিটর স্বাভাবিক ভাবেই বেশি আসবে। ব্লগ লেখার মাধ্যমে আয় করতে চাইলে এটি সত্যিই একটি দারুন ওয়েবসাইট টপিক আইডিয়া। তবে অবশ্যই ইংরেজিতে ব্লগ লিখতে হবে।

২. জব সার্কুলার ওয়েবসাইট

জব সার্কুলার ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

আপনি এমন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে বিভিন্ন ক্লায়েন্ট তাদের কাজ করানোর জন্য কর্মী খুঁজতে এখানে আসবে। এবং তারা নিজেরাই জব সার্কুলার দিবে। আবার কর্মীরা কাজ খুঁজতে আপনার ওয়েবসাইটে ঘুরবে। এই যে ক্লায়েন্ট এবং কর্মীদের সংযোগ স্থাপন করবেন এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট টি একটি জব সার্কুলার ওয়েবসাইট হয়ে উঠবে। আপনার ওয়েবসাইট এখানে শুধুমাত্র একটি প্লাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

আর্নিং ওয়েবসাইট গুলোতে নিয়মিত কাজ খুঁজতে ভিজিটর দের আনাগোনা ঘটে। আবার ক্লায়েন্ট-ও তার প্রয়োজন মাফিক কর্মী খুঁজতে ওয়েবসাইটে আসবে। তাই এখান থেকে নিয়মিত ভিজিটর পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি। ফলে আয়ও বেশি হবে।

আপনি কনটেন্ট রাইটার, ডিজিটাল মার্কেটার, গ্রাফিক্স ডিজাইনার, এসাইনমেন্ট রাইটার কিংবা ডিজিটাল প্রোডাক্ট নিয়ে কাজ করে এমন যে কোনো কর্মীদের জন্য এমন একটি প্লাটফর্ম তৈরি করতে পারেন। কেননা এই সেক্টরে কর্মীদের ক্লায়েন্ট খুঁজে পেতে এবং ক্লায়েন্টের কর্মী খুঁজে পেতে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়। ওয়েবসাইট ডিজাইন আকর্ষণীয় হলে ও access সহজ হলে এখান থেকেও ভালো এমাউন্ট আয় করার সম্ভাবনা আছে।

৩. শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট

শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

বর্তমানে শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট গুলোতে সবথেকে বেশি ভিজিটর পাওয়া যায়। কেননা ই-লার্নিং এর ওপর বর্তমানে সকল শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী নির্ভরশীল। তাই পড়াশোনা বিষয়ক যে কোনো সার্ভিস নিয়ে আপনি একটি ওয়েবসাইট চালু করতে পারেন। হতে পারে পড়াশোনার কোনো কোর্স, টিউশন সার্ভিস, অনলাইন বই ইত্যাদি।

আপনার ওয়েবসাইটে শিক্ষামূলক ব্লগ লিখেও ভিজিটর ধরে রাখতে পারবেন। ক্লাস ভিত্তিক প্রয়োজনীয় নোটস, সাজেশন, বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ব্লগ বর্তমানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আর এই ধরনের ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিজিটর আসে তাই বিজনেস ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। অর্থাৎ নিয়মিত আয়ের নিশ্চয়তা এখানেও থাকছে।

৪. ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট

ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

ফ্যাশন সচেতন মানুষ প্রতিনিয়ত নিজেদের জীবনযাত্রাকে উন্নত থেকে উন্নততর করার লক্ষে আপ টু ডেট তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে। এজন্য তারা নিয়মিত গুগল সার্চ করে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক ব্লগ পড়ে এবং ভিডিও দেখে। ফলে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক সাইটগুলোতে নিয়মিত ভিজিটর এনগেজড হতে থাকে।

আপনি যদি একজন ফ্যাশন এক্সপার্ট হয়ে থাকেন অথবা এই বিষয়ে আপনার ভালো ধারণা থাকে তাহলে ফ্যাশন ও লাইফস্টাইল বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন। এখানে নিয়মিত কনটেন্ট আপডেট করলে আপনার ভিজিটর এর অভাব হবে না। আর এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি বিউটি প্রোডাক্ট থেকে শুরু করে যে কোনো ফ্যাশন প্রোডাক্ট এর advertisement সাইটে যুক্ত করতে পারবেন। ফলে এখান থেকে আয় বেশি হওয়ার চান্স থাকছে। এছাড়া নিজেও প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন। কেননা এসকল সেক্টরে বেশ ভালোই অনলাইন ক্রেতা পাওয়া যায়।

৫. Selling ওয়েবসাইট

সেলিং ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

আপনি যদি অনলাইনে কোনো পণ্য বিক্রয়ের ব্যবসা দ্বার করাতে চান তাহলে একটি selling ওয়েবসাইট চালু করতে পারেন। এই ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে আপনি আপনার ডিজিটাল প্রোডাক্ট কিংবা এনালগ প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন৷ এক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইট যতো বেশি তথ্যমূলক, আকর্ষনীয় ও অ্যাক্সেস যোগ্য হবে ততো বেশি ভিজিটর এনগেজড হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে।

যোহেতু এই ওয়েবসাইট থেকে আপনি নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করবেন তাই এটা কোনো সাময়িক আয়ের মাধ্যম হবে না। এখান থেকে আপনার নিয়মিত আয় অব্যাহত থাকবে। তবে চেষ্টা করবেন একটি ওয়েবসাইটকে শুধুমাত্র একই ক্যাটাগরির পণ্যের প্রচারের মাধ্যমে পরিচিত করে তোলার।

৬. কুকিং ওয়েবসাইট

কুকিং ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

আপনি যদি রান্নার বিষয়ে খুব পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে একটি কুকিং ওয়েবসাইট চালু করতে পারেন। এই ওয়েবসাইটে নিয়মিত রান্নার বিভিন্ন টিপস, রেসিপি, ক্রোকারিজ আইটেম এর রিভিউ নিয়ে ব্লগ লিখতে পারেন। এই সকল ব্লগের কখনো রিচ ডাউন হয় না৷ কেননা এসব কনটেন্ট এর কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই। প্রতিনিয়ত মানুষ রান্নার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সার্চ করতে থাকে।

তাই নিয়মিত আয়ের দিক থেকে বিবেচনা করলে কুকিং ওয়েবসাইট হতে পারে একটি আদর্শ টপিক৷ এই ওয়েবাসাইটের মাধ্যমে চাইলে আপনি রান্নার সাথে সম্পৃক্ত যে কোনো গেজেট এর ব্যবসা-ও চালিয়ে যেতে পারেন। আর এই ধরনের ওয়েবসাইট তৈরিতে তুলনামূলক খরচ কম হয়।

৭. DIY Crafts ওয়েবসাইট

DIY Crafts ওয়েবাসাইট তৈরি করে আয় করুন

এই ধরনেট Crafts ওয়েবসাইট এর জন্য আপনার একটি শৈল্পিক মন থাকতে হবে। বিভিন্ন ধরনের শিল্পকর্ম কীভাবে তৈরি করা যায় সে বিষয়ে ব্লগ লিখে কিংবা ভিডিও তৈরি করে দর্শক ধরে রাখতে হবে DIY Crafts সাইটে। বর্তমানে এই সেক্টরে ভিজিটর এনগেজড খুব ভালো হয়। নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করতে পারলে এই ধরনের ওয়েবসাইটে রেগুলার ভিজিটর পাবেন।

বিশেষ করে DIY Crafts এর বিভিন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে এখান থেকে উল্লেখযোগ্য ভাবে আয় করতে পারবেন। আবার এই ধরনের শিল্পকর্ম তৈরির কনটেন্ট এর কোনো দিন মেয়াদোত্তীর্ণ হবে না। ফলে আপনার কনটেন্ট value থাকবে আজীবন।

৮. ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট

ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

এবার ভাববেন না যে আপনাকে ফটোগ্রাফার হতে হবে। হ্যাঁ আপনি যদি ফটোগ্রাফিতে এক্সপার্ট হয়ে থাকেন কিংবা এই বিষয়ে আলাদা প্যাশন খুঁজে পান তাহলে এটা আপনার plus point। কিন্তু আপনি একজন ফটোগ্রাফার না হয়েও ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট এর owner হতে পারবেন।

আপনার ওয়েবসাইট হবে এমন যেখানে প্রফেশনাল ফটোগ্রাফার তাদের ছবি বিক্রির জন্য advertisement প্রচার করতে পারবে। আর আপনার ওয়েবসাইটটি যদি ট্রাস্টেড হয় তাহলে সম্ভাব্য ক্রেতা আপনার ওয়েবসাইটে একবার হলেও আসবে। এভাবে আপনি ভিজিটর ধরে রাখতে পারবেন। পাশাপাশি যারা ফটোগ্রাফার তাদের বিক্রয়ের ওপর কমিশন-ও আদায় করতে পারবেন (যদি এমন নিয়ম আপনি চালু রাখেন)।

৯. মিউজিক ওয়েবসাইট

মিউজিক ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

হ্যাঁ, ফটোগ্রাফি ওয়েবসাইট এর মতোই মিউজিক ওয়েবসাইট এর জন্যও আপনাকে কোনো সংগীতশিল্পী কিংবা মিউজিশিয়ান হতে হবে না। যদি এই বিষয়ে পারদর্শিতা থাকে তাহলে আরও ভালো। তবে পারদর্শীতা থাকতে হবে এমনটা না।

আপনি এমন এক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন যেখানে আপনি কপিরাইট মুক্ত মিউজিক এর সংগ্রহ রাখবেন। ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইট থেকে কপিরাইট মুক্ত মিউজিক সংগ্রহ করে তাদের কাজে লাগাতে পারবে। তাছাড়া এমন একটি অপশন চালু করতে পারেন যে মিউজিশিয়ান তাদের মিউজিক আপনার ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবে। বর্তমানে কিন্তু কপিরাইট মুক্ত মিউজিক এর উচ্চ চাহিদা রয়েছে। বিশেষ করে ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটর যারা আছে তাদের জন্য আপনার ওয়েবসাইট হয়ে উঠবে খুবই জনপ্রিয়।

আর মিউজিক ওয়েবসাইট এর কনটেন্ট সব সময়ই সমান ভাবে গুরুত্ব পায়। তাই এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত ইনকাম হয়ে থাকে।

১০. স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট

স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কিত ওয়েবসাইট তৈরি করে আয় করুন

আপনি যদি স্বাস্থসেবা বিষয়ে মোটামুটি এক্সপার্ট থাকেন তাহলে একটি স্বাস্থসেবা বিষয়ক ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন৷ এই ওয়েবসাইটে শারিরীক ও মানসিক স্বাস্থ্যের পরিচর্যা সহ বিভিন্ন টিপস নিয়ে ব্লগ লিখতে পারেন। প্রশ্ন ও উত্তর সেশন রাখতে পারেন। যাতে নিয়মিত ভিজিটর ওয়েবসাইট থেকে উপকৃত হতে পারে।

তাছাড়া দৈনিক শরীরচর্চার বিষয়ে বিভিন্ন টিউটোরিয়াল স্বাস্থসেবা সম্পর্কিত ওয়েবসাইটের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে। আর দৈনিক শরীরচর্চার জন্য প্রতিদিন একবার হলেও নিয়মিত ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। ফলে এই ধরনের ওয়েবসাইট থেকে নিয়মিত ভিজিটর ধরে রাখা সম্ভব হবে এবং নিয়মিত আয়-ও হবে।

নিয়মিত আয় করতে চাইলে যে সকল বিষয়ের ওপর ওয়েবসাইট তৈরি করবেন না

নিয়মিত আয় করতে চাইলে যে সকল ওয়েবসাইট তৈরি করবেন না

আপনাকে মাথায় রাখতে হবে আপনি নিয়মিত আয় করার জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করছেন। এমন কিছু ওয়েবসাইট আছে যা হঠাৎ করেই বেশ ভিজিটর নিয়ে আসে এবং বেশ ভালো ইনকাম-ও হয়। কিন্তু এই flow বেশিদিন স্থায়ী হয় না। আপনি যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে সাময়িক নয় বরং নিয়মিত আয় করতে চান তাহলে এই ধরনের বিষয়গুলো তালিকা থেকে বাদ দেয়া উচিত। নিচে বিষয়গুলো উল্লেখ করা হলো।

১. ট্রেন্ডি বা ভাইরাল টপিক

যে কোনো ট্রেন্ডি বা ভাইরাল টপিক এর ওপর নির্ভর করে ওয়েবসাইট চালু করবেন না। কেননা আপনি চাচ্ছেন নিয়মিত আয় করতে। ট্রেন্ডি টপিক গুলো নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর তার জনপ্রিয়তা হারায়। ফলে ঐ flow টা চলে গেলে সেই টপিক এর ওপর আর কেউ সার্চ করে না। যার ফলে আপনার ওয়েবসাইট এর ভিজিটর একদমই থাকে না।

এসকল ট্রেন্ডি টপিক নিয়ে ওয়েবসাইট চালু করলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুব ভালোই আয় হবে। কিন্তু এটা লং লাস্টিং হবে না। যেমন: করোনা ভাইরাস সম্পর্কে এখন আর কেউ সার্চ করে না। ফলে এই বিষয়ের ওপর চালু করা ওয়েবসাইট গুলো এখন আর ভিজিটর পায় না। এমন অনেক টপিক আছে যেমন ফুটবল বিশ্বকাপ, ক্রিকেট বিশ্বকাপ, কোনো সাময়িক সমস্যা ইত্যাদি।

২. আঞ্চলিক পলিটিক্স

অঞ্চলভিত্তিক পলিটিকাল বিষয়গুলো হঠাৎ করেই সোশাল মিডিয়ায় ঝড় তোলে। কিন্তু কয়েক দিন বা কয়েক মাস পর এই বিষয় গুলো চাপা পড়ে যায়। এই যে সাময়িক ঝড় এটা আর থাকে না। ফলে ঐ বিষয়ে লোকজন আর গুগল সার্চ করে না৷ অর্থাৎ এই ধরনের ওয়েবসাইট এর ভিজিটর লেভেল শূন্যে নেমে আসে।

৩. আঞ্চলিক যুদ্ধ বিগ্রহ

আঞ্চলিক যুদ্ধ খুব বেশি সময় ধরে স্থায়ী হয় না। এই যুদ্ধ বিষয়ক আপডেট নিয়ে যে সকল ওয়েবসাইট চালু করা হয় তা যুদ্ধের শেষে নিজের value হারায়। তাই যদি নিয়মিত আয়ের লক্ষে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে এসকল বিষয় তালিকা থেকে বাদ দিন।

এরকম আরও অনেক বিষয় আছে যেগুলো সাময়িক সময়ের জন্য মানুষের আগ্রহের বিষয়। নির্দিষ্ট সময় পর এগুলো তাদের গুরুত্ব হারাবেই। তাই আগে বিবেচনা করুন আপনার ওয়েবসাইট এর বিষয়বস্তু কতোদিন লাস্টিং করবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিন কোন বিষয়ে আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন।

শেষকথা

আশাকরি যারা নতুন ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আজকের টিউনটি উপযুক্ত ছিল। আবারও বলছি যে সকল ওয়েবসাইট আইডিয়া দেয়া হয়েছে তা শুধুমাত্র নিয়মিত আয় হবে এই বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা হয়েছে। এবার আপনি খুঁজে বের করুন আপনার আগ্রহের বিষয় কোনটি। তারপর ঐ বিষয় ওপর সম্ভাব্য মার্কেট নিয়ে রিসার্চ করে কাজ শুরু করুন। ধন্যবাদ।

Level 4

আমি শারমিন আক্তার। শিক্ষার্থী, ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গাজীপুর। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 43 টি টিউন ও 26 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস