আমার পাঠকদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা এখনো পড়াশোনা করছেন অর্থাৎ যারা শিক্ষার্থী। কেন বলছি? কারণ আজকের টিউনটি বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের বেশি কাজে লাগতে পারে বলে আমি আশা করছি। কেননা আজকের টিউনে থাকবে ছাত্রজীবনে সফল হওয়ার জন্য বা ছাত্রজীবনকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর সেরা কিছু টিপস। তাহলে চলুন মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
…(বাকি টপিকগুলো পরের টিউনে থাকবে, ইংশাআল্লাহ)
একজন মানুষের কতক্ষণ ঘুমানো প্রয়োজন তা তার বয়সের উপর অনেকাংশে নির্ভর করে। যেহেতু আমরা এখানে ছাত্রদের নিয়ে কথা বলছি তাই সেদিকে নাইবা যাই। যেহেতু ছাত্র জীবনের মূল কাজই হচ্ছে পড়াশোনা করা তাই তার মানসিকভাবে প্রফুল্ল থাকা অনেক বেশি প্রয়োজন। এর জন্য আবশ্যক পর্যাপ্ত ঘুম। একজন মানুষের স্বাভাবিক সুস্থতার জন্য দৈনিক কমপক্ষে ৮ ঘণ্টার ঘুমের (গভীর ঘুম) প্রয়োজন। তাই আপনি যদি ছাত্র হয়ে থাকেন তাহলে তাহলে আপনাকে অবশ্যই দিনে কমপক্ষে ৬-৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করতে হবে।
আপনি যদি একজন ভালো ছাত্র হতে চান তাহলে আমি বলব আপনাকে প্রতিদিন খুব সকালে ঘুম থেকে উঠা উচিত। বিজ্ঞানভিত্তিক গবেষণাতেও দেখা গেছে সকালে ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস মানুষের দেহের জন্য অনেক বেশি উপকারী। আর আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনার উচিত ফজরের সালাত আদায়ের মাধ্যমে দিনের প্রারম্ভ বা শুরু করা। এরপর আপনি চাইলে কিছু হালকা ব্যায়াম করে নিতে পারেন। আর অন্যক্ষেত্রে আপনি আপনার নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে পারেন।
আপনার কখন পড়া উচিত তা ঠিক করতে হবে আপনাকেই। আপনার মানসিকতা, পছন্দ-অপছন্দ, মনোযোগ ইত্যাদির উপর লক্ষ রেখে নিজের পড়ার টাইম টেবিল তৈরি করুন। কোনও শিক্ষার্থীর সকালে পড়তে ভাল লাগে আবার কারো রাতের পড়াটাকেই সবচেয়ে ভালো মনে হয়। আপনি নিজেই এক্সপেরিমেন্ট করে দেখুন, কখন পড়লে আপনি সবচেয়ে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। তারপর সে অনুযায়ী পড়ার টাইম টেবল তৈরি করুন। তবে সকালে পড়াটা কিছুটা বেশি উপকারিতা বয়ে আনতে পারে কেননা সকালে আমাদের মাথা একদম ফ্রেশ থাকে আবার পরিবেশও থাকে কোলাহল মুক্ত ফলে সহজে পড়া বোঝা ও আয়ত্ব করা সহজতর হতে পারে আপনার জন্য।
কার কতক্ষণ পড়া উচিত, তা আসলে আমি নির্দিষ্ট সময়ের গণ্ডিতে এনে উল্লেখ করতে পারবনা। কেননা কেউ যে কোনও পাঠ শেষ করতে পারে ২ ঘণ্টায় তা অন্য একজনের জন্য ৪ ঘণ্টার পরিশ্রমেও শেষ নাও হতে পারে। এর কারণ কতক্ষণ পড়া হয়েছে, তার চেয়ে কিভাবে পড়া হয়েছে তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাৎ কতটা মনোযোগ দিয়ে আপনি পড়ছেন তার উপরই অনেকটা ভিত্তি করবে আপনাকে দৈনিক কত ঘণ্টা বা কত সময় ধরে পড়তে হবে। মূল কথা আপনার পাঠ শেষ করতে যত সময় লাগে তা যথাযথভাবে দেয়ার চেষ্টা করুন। তবে দৈনিক ৮-১০ ঘণ্টার চেয়ে বেশি না পড়াই ভালো।
আপনি যে টেবিলে পড়েন তা যেন প্রকৃতপক্ষেই পড়ার উপযোগী হয় তা নিশ্চিত করুন। আপনার পড়ার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে এমন ডিভাইস (যেমন স্মার্ট-ফোন, ল্যাপটপ ইত্যাদি) যথাসম্ভব এড়িয়ে চলার জন্য পড়ার টেবিল হতে তা দূরে রাখুন। বিশেষ করে স্মার্ট ফোন ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। আপনি পড়ার মাঝে হয়ত কিছুটা বিরতি নেয়ার উদ্দেশ্যে ফোনটা হাতে নিলেন, ফেসবুকে একটু ঢুঁ মারলেন, ইমেইল চেক করলেন, মেসেঞ্জার কিছুটা ঘাঁটলেন.পরে দেখলেন ২ ঘণ্টা চলে গেছে। এতে করে আপনার এতটা সময়-তো নষ্ট হলই, তারপর আবার পড়ার মানসিকতাও চলে গেলো। তাই পড়ার টেবিল থেকে যাবতীয় ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র নাগালের কিছুটা বাইরে রাখুন।
আশাকরি আজকের টিউন থেকে আমার প্রিয় পাঠক তথা টিউডারগণ কিছু হলেও জানতে পেরেছেন। এমন টিউন আরও পেতে ফলো দিয়ে রাখতে পারেন। কোন বিষয়ে টিউন চান তা জানাতে পারেন টিউমেন্টস করে। আজকের মতো এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হচ্ছে পরের টিউনে, ইংশাআল্লাহ.
পরের পর্বের টিউনটি পড়তে এই লিঙ্কে ক্লিক করুনঃ- https://www.techtunes.io/tips-and-tricks/tune-id/968765
আমি আহসান হাবীব তুর্য। শিক্ষার্থী, সরকারি আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রী কলেজ, চট্টগ্রাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
আমি মোঃ আহসান হাবীব, ছেলেবেলা থেকেই জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ইত্যাদি নিয়ে বেশ উৎসুক ছিলাম। এখনোও তাই আছি। তবে এখন শুধু নিজে জ্ঞানার্জনই করি না সেই অর্জিত জ্ঞানকে বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করি সবার কাছে।তাই করে যেতে চাই আজীবন।আমি- "জানতে ভালোবাসি, জানাতে ভালোবাসি"