ক্রোম ব্রাউজার এত জনপ্রিয় কেন? ক্রোম ব্রাউজারে সংযুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচার এখানে উল্লেখ করা হলো

টিউন বিভাগ টিপস এন্ড ট্রিকস
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

গুগল ক্রোম প্রথম রিলিজ হয় ২০০৮ সালে, তখন সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার ছিল মজিলা ফায়ারফক্স।

ক্রোম ব্রাউজার রিলিজ হওয়া পর থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার সংযুক্ত করে ব্যবহারকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করতে সক্ষম হয়, সেই তুলনায় মজিলা ফায়ারফক্স পিছিয়ে যায়, তারা দ্রুত ব্যবহারকারী হারাতে থাকে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার গুগল ক্রোম।

 

গুগল ক্রোমের বিভিন্ন ভার্সনে বিভিন্ন ফিচার দেয়া হয়েছে। আমি গুগলের সর্বশেষ ভার্সন ১০৯.০০ এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ফিচারের সুবিধা উপস্থাপন করলাম:

০১.Incognito Mode(ছদ্মবেশী মুড): Incognito Mode হচ্ছে Private Session ব্রাউজিং, আপনার ব্রাউজার করা কোন হিস্ট্রিরি, কুকি বা তথ্য ব্রাউজার জমা থাকবে না। ট্যাব বন্ধ করার সাথে সাথে সকল তথ্য ব্রাউজার থেকে মুছে যাবে। নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপে সাধারণত Incognito Mode চালু করে ব্রাউজার করা হয়। 

০২. Guest Mode(অতিথি মুড): মূলত পাবলিক কম্পিউটার বা অন্যদের কম্পিউটারে ব্রাউজ করার সময় Guest Mode ব্যবহার করা হয়। Guest Mode এ মূল ব্যবহারকারী প্রফাইলে  প্রবেশ না করে ব্রাউজার করা যায়, এর ফলে Guest Mode এর ব্যবহারকারী মূল ব্যবহারকারীর কোন ব্রাউইজিং তথ্য দেখতে পান না। Guest Mode  ট্যাব বন্ধ করার সাথে সাথে Browsing History, Cookies সহ সব তথ্য ব্রাউজার থেকে মুছে যাবে। 

০৩. Cast Tab (শেয়ার ট্যাব): আপনি ব্রাউজারের সম্পূর্ণ ট্যাব বা ব্রাউজারে সকল কন্টেন্ট আপনার টিভি স্ক্রিন দেখতে পারবেন।

০৪.Energy and Memory Saver Modes: (গুগল ক্রোম সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েব ব্রাউজার কিন্ত এই ব্রাউজার আপনার কম্পিউটারের মূল্যবান র‍্যাম ম্যামোরী দখল করে রাখে আপনার ল্যাপটপরের ব্যাটারী দ্রুত শেষ করে ফেলে। আপনি যদি ল্যাপটপের চার্জার খুলে গুগল ক্রোমে ব্রাউজ করেন পার্থক্যটি খুব সহজে বুঝতে পারবেন।  টাস্ক ম্যানেজার দেখেও বুঝতে পারবেন আপনার র‍্যাম মেমরী ও প্রসেসর কতটুকু ক্রােম ব্রাউজার ব্যবহার করছে। তবে এই ইস্যুটি গুগল ভালো করেই জানে, তাই গুগল তাদের সর্বশেষ ভার্সনে ‘Energy and Memory Saver Modes’ এর একটি দারুন ফিচার সংযুক্ত করেছেন। যারা ব্রাউজারের অনেক ট্যাব খুলে রেখে কাজ করেন, তাদের জন্য এই ফিচার অনেক কাজে লাগবে। গুগলের অফিসিয়াল তথ্য মতে, অনেকগুলো ট্যাব খোলা থাকলেও যেসব ট্যাব এ আপনি কাজ করছেন সেই সব ট্যাবকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে আপনাকে ভালো ব্রাউজিং স্পিড দিবে। এক্ষেত্রে খুলে রাখা অব্যবহৃত ট্যাব এর ম্যামোরী রানিং ট্যাবের জন্য ব্যবহার করা হবে। অব্যবহৃত ট্যাবগুলো সাময়িক সময়ের জন্য Inactive করে রাখবে। আপনি যখনই আবার ঐসব Inactive ট্যাবে ব্রাউজিং করতে যাবেন, ব্রাউজার অটোমটিক ট্যাবগুলো Active করে দিবে। এর ফলে আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপরের মূল্যবান ম্যামরী বাঁচবে। আপনি কম্পিউটার থেকে ভালো স্পিড পাবেন এবং ব্যাটারী খরচও কম হবে।

উপরের ফিচারগুলো আপনার ব্রাউজারে চালু করতে সমস্যা হলে নিচের ভিডিও অনুসরণ করা যেতে  পারে।

এছাড়াও আপনি গুগল ক্রােমে Extensions ইনস্টল করে নতুন নতুন ফিচার সংযুক্ত করতে পারবেন। গুগল ক্রোমের জন্য অসাধারণ কিছু Extensions রয়েছ। যা আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারে নতুন মাত্রা যোগ করবে।

 

হার্ডডিস্ক পার্টিশন, কোন ডাটা হারাবে না, ইচ্ছে মতো ড্রাইভের সাইজ বাড়াতে/কমাতে পারবেন, Partition Hard Disk/SSD without Data lost

Level 1

আমি রায়হান আহমেদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 14 টি টিউন ও 19 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 5 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস