নতুন ব্লগারদের জন্য ব্লগিংয়ে সফল হওয়ার সম্পূর্ণ গাইডলাইন

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা। সকলকে স্বাগতম আজকের নতুন টিউনে। আশাকরি সকলে ভালো আছেন। আজকের টিউনটি মূলত নতুন ব্লগারদের জন্য। অর্থাৎ যারা নতুন ব্লগসাইট তৈরি করে ইনকাম করার কথা ভাবছেন তাদের জন্য।

কারণ আজকে আমি ব্লগিংয়ে সফল হওয়ার জন্য যে গাইডলাইন ফলো করতে হয়। সেই গাইডলাইন সম্পর্কে আলোচনা করবো। তাই ব্লগার হিসেবে যদি সফল হতে চান। তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন।

ব্লগিং হলো বর্তমানে অনলাইনে ইনকাম করার একটি খুবই জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। তাই অনেকে হয়তো ব্লগিং করে ইনকাম করার কথা ভাবছেন। কিন্তু আপনাকে একটি কথা মাথায় রাখতে হবে।

তা হলো আপনি ব্লগিং করে ইনকাম করা যতটা সহজ ভাবছেন ততটাও কিন্তু সহজ নয়। তাই আজকে আমি যে বিষয়গুলো সম্পর্কে জানাবো। আশাকরি এগুলো মেনে চললে আপনি একজন সফল ব্লগার হতে পারবেন।

ব্লগিং করতে হলে আপনাকে যেসব নিয়ম মেনে চলতে হবে:-

একটি ব্লগসাইট তৈরি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম সাইটের বিষয়বস্তুর সিলেক্ট করতে হবে। আপনি যে বিষয়ে ভালো লিখতে পারেন। সেই বিষয়ের ওপর ব্লগসাইট তৈরি করুন। কারণ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ের ওপর ব্লগসাইট তৈরি করলে দ্রুত সফল হওয়া যায় না।

আপনি যে বিষয়ের ওপর আর্টিকেল লিখবেন। সেই বিষয়ে আপনাকে গুগলে রিসার্চ করতে হবে। কিন্তু তাই বলে গুগল থেকে কোনো আর্টিকেল সরাসরি কপি করে টিউন করা যাবে না। এখান থেকে আপনি শুধু আর্টিকেল সম্পর্কে কিছু ধারণা নিতে পারেন।

কিন্তু আপনার ব্লগে আর্টিকেল লিখে টিউন করার সময়। আপনাকে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি নিজের মেধায়‌ লিখতে হবে। নাহলে আপনি যে আর্টিকেল কপি করবেন গুগল সেটি বুঝতে পারবে।

একটি আর্টিকেল সর্বনিম্ন ৮০০ থেকে ১০০০ শব্দের হলে ভালো হয়। কারণ আপনার আর্টিকেলটি যত বড় হবে। সেটি গুগলের সার্চ লিস্টে তত সামনের দিকে আসে এবং আপনার সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধি পাওয়ায় সুযোগ বেড়ে যায়।

এছাড়া সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য আপনাকে সাইটটির এসইও করতে হবে। অর্থাৎ আপনার সাইটে একটি ভালো ডেস্ক্রিপশন দিতে হবে। যেখানে আপনার সাইটের ক্যাটাগরি সম্পর্কে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কিওয়ার্ড দিতে হবে।

ব্লগ সাইটে ভিজিটর বৃদ্ধির জন্য যে দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেগুলো হলো সাইটে একটি কাস্টম ডোমেইন এবং থীম যোগ করা। ব্লগসাইট তৈরি করার সময় ব্লগার থেকে একটি ডোমেইন এবং একটি থীম ডিফল্ট ভাবে দেওয়া থাকে।

১. কাস্টম ডোমেইন:-

ব্লগিংয়ে নিয়ে ভালো কিছু করতে হলে এখানে একটি কাস্টম ডোমেইন যোগ করতে হবে। অনলাইনে এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে। যেখান থেকে আপনি একটি ডোমেইন কিনতে পারেন।

বর্তমানে একটি ভালো ডোমেইন কিনতে তেমন বেশি টাকা লাগে না। একটি ভালো ডোমেইন কিনতে প্রায় ১০ ডলারের মতো লাগতে পারে। কিন্তু কোনো ডোমেইন কেনার আগে আপনাকে সেই ডোমেইনের কার্যকারিতা পরীক্ষা করতে হবে।

সেই সাথে এর স্পিড পরীক্ষা করতে হবে। আপনি.com, .net, .org এগুলোর মধ্যে একটি কিনতে পারেন। কারণ এই ডোমেইন গুলো বর্তমানে খুব জনপ্রিয় এবং এদের কার্যকারিতাও খুব ভালো।

২. কাস্টম থিম:-

একটি ব্লগে কাস্টম থীম যোগ করা খুবই জরুরি। কারণ আপনার ব্লগে একটি সুন্দর থিম থাকে। এক্ষেত্রে কোনো ভিজিটর এসে যদি আপনার ব্লগ ভিউ করে। আর সে যদি দেখে আপনার ব্লগটি দেখতে খুব ভালো এবং ব্লগের থীম ও সুন্দর। তাহলে সে আপনার ব্লগটি সম্পূর্ণ দেখবে।

এজন্য আপনারা একটি সুন্দর এবং আকর্ষণীয় থীম কিনে নিতে পারেন। আবার চাইলে ফ্রি থীমও ব্যবহার করতে পারেন। আপনারা গুগলে সার্চ করলে এমন অনেক ফ্রি থীম পেয়ে যাবেন যেগুলো আপনার ব্লগে ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধির করতে হলে আপনাকে নিয়মিত আর্টিকেল লিখে পাবলিশ করতে হবে। কারণ নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করলে সেটি গুগলে বেশি সার্চ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যার ফলে আর্টিকেলে ভিউজ হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

আপনার ব্লগের প্রতিটি আর্টিকেল গুগল সার্চ কনসোল এর অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গুগল সার্চ কনসোল এর অন্তর্ভুক্ত করলে আপনার আর্টিকেলটিকে গুগল সঠিক দর্শকের সামনে নিয়ে যাবে। যার ফলে আপনার ব্লগে সঠিক দর্শক আসবে।

শেষ কথা:-

যারা নতুন ব্লগসাইট তৈরি করেছেন বা করতে চান। আশাকরি তারা এই টিউনটি পড়ে ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধির সম্পর্কে কিছু জানতে পেরেছেন। টিউনে একটি জোসস করুন এবং কেমন লাগলো টিউনমেন্ট করবেন। সকলেই সুস্থ থাকুন। ধন্যবাদ।

Level 2

আমি সৌরভ হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 2 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 2 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস