আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই, আশা করছি ভাল আছেন। বরাবরের মত হাজির হলার নতুন একটি টিউন নিয়ে। আজকে আমি আলোচনা করব প্রেজেন্টেশন অ্যাপ নিয়ে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বড় বড় কোম্পানির বিভিন্ন কার্যক্রমে প্রেজেন্টেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। সঠিক ভাবে কোন পণ্য বা সার্ভিস অডিয়েন্সদের সামনে তুলে ধরতে আপনার প্রয়োজন একটি প্রফেশনাল মানের প্রেজেন্টেশন। তাছাড়া অনলাইনের বিভিন্ন মিটিং, বা ওয়েব-বিনারে নির্দিষ্ট তথ্য সুন্দর ভাবে উপস্থাপনে পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন এর গুরুত্ব অনেক।
আমরা প্রেজেন্টেশন তৈরি করার জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করি Microsoft PowerPoint অ্যাপটি। আপনি জেনে খুশি হবেন বর্তমানে প্রেজেন্টেশনের জন্য রয়েছে আরও দারুণ কিছু অ্যাপ, যেগুলোতে আরও সহজে প্রেজেন্টেশন তৈরি করা যায়৷ আর আজকের এই টিউনে সেরা ৮ টি প্রেজেন্টেশন অ্যাপ নিয়ে কথা বলব।
দারুণ বিষয় হচ্ছে বর্তমানে মডার্ন প্রেজেন্টেশন অ্যাপ গুলো গতানুগতিক প্রেজেন্টেশন অ্যাপ থেকে আরও সহজ এবং এডভান্সড। প্রেজেন্টেশন নিয়ে মোটামুটি জ্ঞান থাকা ব্যক্তিও সেই সমস্ত অ্যাপ ব্যবহার করে প্রফেশনাল মানের প্রেজেন্টেশন তৈরি করে ফেলতে পারবে। যেমন আপনি Google Slides ব্যবহারে পাবেন আরও অতিরিক্ত কিছু ফিচার যা সাধারণ Microsoft PowerPoint অ্যাপ নেই।
আধুনিক প্রেজেন্টেশন অ্যাপ গুলো এমন ভাবে ডিজাইন করা বা সেই সমস্ত অ্যাপে এমন AI দেয়া হয়েছে, যাতে অডিয়েন্স নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে আরও বেশি আগ্রহী হয়ে উঠবে।
তো চলুন এ পর্যায়ে আমাদের লিস্টে থাকা সেরা ৮ টি প্রেজেন্টেশন অ্যাপ দেখে নেয়া যাক,
ইন্টারনেটে প্রচুর প্রেজেন্টেশন অ্যাপ রয়েছে এবং অনেক মানুষ সেগুলো ব্যবহার করছে। তো আপনি কোন অ্যাপ গুলোকে সেরা বলবেন? সেরা বলতে হলে অবশ্যই কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে। সেরা প্রেজেন্টেশন অ্যাপে যে বৈশিষ্ট্য গুলো থাকবে,
প্রি-বিল্ড টেম্পলেটঃ একটি ভাল প্রেজেন্টেশন অ্যাপে অবশ্যই প্রি-বিল্ড টেম্পলেট এর ব্যবস্থা থাকবে। প্রি-বিল্ড টেম্পলেট গুলো, প্রেজেন্টেশন সম্পর্কে তুলনামূলক কম জ্ঞান থাকা ইউজারদেরও প্রফেশনাল মানের প্রেজেন্টেশন তৈরির সুযোগ করে দেবে।
Sharing এবং Collaboration অপশনঃ বর্তমানে অনেক লোক রিমোট ওয়ার্ক করে থাকে তো তাদের জন্য Collaboration একটি দারুণ সুবিধা। এর মাধ্যমে একাধিক ইউজার তাদের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারবে অথবা তাদের মধ্যে ফাইল শেয়ার করতে পারবে। রিয়েল টাইমে Collaboration সুবিধা একই সাথে বিভিন্ন পক্ষের পছন্দকেও গুরুত্ব দেয়, যাতে করে পরবর্তীতে এডিট করার প্রয়োজন হয় না।
কাস্টমাইজেশন অপশনঃ প্রেজেন্টেশন অ্যাপে প্রি-বিল্ড টেম্পলেট থাকলেই হবে না, থাকতে হবে পর্যাপ্ত কাস্টমাইজেশন ব্যবস্থা। যদি ইউজাররা নিজেদের মত টেম্পলেট পরিবর্তন না করতে পারে তাহলে অবশ্যই সেটা তাদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হবে।
সাশ্রয়ীঃ একটি প্রেজেন্টেশন অ্যাপ যতই সুবিধা দিক যদি সেটা ক্রয় ক্ষমতা বা খরচ বহন ক্ষমতা ইউজারের না থাকে তাহলে সেটা সেরা প্রেজেন্টেশন অ্যাপ হতে পারে না। সুতরাং সেরা প্রেজেন্টেশন অ্যাপ এর আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে সেটা অবশ্যই সাশ্রয়ী হবে।
তো চলুন, উপরে বৈশিষ্ট্য গুলোর আলোকে সেরা প্রেজেন্টেশন অ্যাপ গুলো দেখে নেয়া যাক,
গুগলের একটি দারুণ ফ্রি অ্যাপ হচ্ছে Google Slides। দেখতে ট্র্যাডিশনাল অ্যাপ এর মত হলেও ইউজাররা এখানে পাবে অতিরিক্ত Collaboration সুবিধা। Google Slides আপনাকে ব্রাউজারের মাধ্যমে ব্যবহার করতে হবে অতিরিক্ত কোন অ্যাপ ইন্সটল দিতে হবে না। প্রথমে একটি থিম সিলেক্ট করুন, একটি স্ট্যান্ডার্ড স্লাইড লেআউট এড করুন এবং প্রয়োজন মত টেক্সট, গ্রাফিক্স ইত্যাদি এলিমেন্ট যুক্ত করুন।
অডিয়েন্সরা যা দেখবে, Google Slides সেখানে একটি দারুণ Q&A টুল যুক্ত করেছে যাতে প্রেজেন্টেশনটি আরও ইন্টারেক্টিভ হয়। এটি অন করলে একটি ব্যানারে লিংক শো করবে এবং অডিয়েন্সরা সেখানে গিয়ে তাদের প্রশ্ন করতে পারবে। প্রেজেন্টার একই সাথে সব গুলো প্রশ্ন দেখতে পাবে।
Google Slides সবচেয়ে আকর্ষণীয় ফিচার হচ্ছে এর Collaboration ফিচার। আপনি প্রেজেন্টেশন লিংক করে দিলে যেকেউ সেখানে কোন কিছু এড করতে পারবে এবং নোট যুক্ত করতে পারবে। সেখানে রয়েছে টিউমেন্ট করারও ব্যবস্থা। তাছাড়া আপনি এ পর্যন্ত করা সকল পরিবর্তন গুলোও ট্র্যাক করতে পারবেন। যাতে করে আপনি কে কি পরিবর্তন করেছে সেটা জানতে পারবেন এবং সংশোধনও করতে পারবেন।
তাছাড়া Google Slides এর সাথে Zapier, ইন্টারেকশনে আপনার প্রেজেন্টেশন হতে পারে আরও প্রফেশনাল। আপনি এর মাধ্যমে প্রেজেন্টেশনে স্প্রেডশিট, চার্ট এড করতে পারবেন।
Google Slides
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Google Slides
ফ্রি প্ল্যানে অন্য যেকোনো অ্যাপ থেকে বেশি ফিচার দেবে Canva। আপনি Canva তে একটি একাউন্ট খুলেই প্রয়োজন মত প্রেজেন্টেশন বানিয়ে ফেলতে পারেন। আপনি ফ্রি প্ল্যানেই এখানে পাবেন অসংখ্য টেম্পলেট। আপনি ডিজাইন গুলো ব্যক্তিগত এবং প্রফেশনাল উভয় ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন।
Canva এর এডিটর ইন্টারফেসটিও চমৎকার যেখানে ইউজাররা কোন ধরনের ঝামেলা ছাড়া তাদের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবে। সেখানে রয়েছে প্রি-বিল্ড বিভিন্ন কন্টেন্ট তাছাড়া ইউজাররাও অডিও বিডিও, ইমেজ এড করতে পারবে।
Canva তে রয়েছে প্রেজেন্টেশন লাইভ প্রেজেন্ট করার সুযোগ, যেখানে অডিয়েন্সরা নিজেদের মত করে প্রশ্ন করার সুযোগ পাবে। যখন আপনি অডিয়েন্সদের ইনভাইটেশন লিংক পাঠিয়ে তাদের লাইভ প্রেজেন্টে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন।
সাবস্ক্রিপশন ফিঃ Canva তে রয়েছে ফ্রি এবং পেইড প্ল্যানের ব্যবস্থা। Pro প্ল্যান প্রতিমাসে ৯.৯৯ ডলার থেকে শুরু হবে যেখানে আপনি অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পাবেন।
Canva
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Canva
প্রেজেন্টেশন তৈরির জন্য একটি ক্রিয়েটিভ অ্যাপ হচ্ছে Ludus। যারা গতানুগতিক অ্যাপ গুলোতে তেমন সৃজনশীলতা খুঁজে পান না তারা এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারেন।
Ludus এ আরও রয়েছে বিভিন্ন থার্ডপার্টি ইন্টিগ্রেশন আপনি এখানে পাবেন, YouTube, GIPHY থেকে Google Fonts এবং Figma, এর ইন্টিগ্রেশন। সব মিলিয়ে যেগুলো আপনার প্রেজেন্টেশনকে দেবে আরও দুর্দান্ত লুক।
বিশেষ করে গ্রাফিক্স ডিজাইনাররা এই Ludus কে বেশি পছন্দ করে। আপনি চাইলেই এখানে SVG ফাইল এডিট করতে পারবেন, নিজের ফাইল আপলোড করতে পারবেন, এমনকি Sketch এবং Adobe Illustrator থেকেও ফাইল কপি পেস্ট করতে পারবেন। এখানে আরও আছে কিছু এডভান্সড ফিচার যেমন Gradients Code Blocks, এর মত সুবিধা যেগুলো সম্পর্কে ওয়েব-ডিজাইনাররা পরিচিত। Ludus কাজ শুরু করার আগে আপনাকে বিভিন্ন টিউটোরিয়ালের মাধ্যমে তাদের ফিচার গুলো তুলে ধরবে।
পেইড প্ল্যান ব্যবহার করলে ইউজার তাদের প্রেজেন্টেশন পাসওয়ার্ড প্রোটেক্ট করতে পারবে, রিমোট কন্ট্রোল, শেয়ার এবং পাবেন Collaborate এর ব্যবস্থা।
সাবস্ক্রিপশন ফিঃ আপনি Ludus এ পাবেন ৩০ দিনের ট্রায়েল পিরিয়ড। পেইড প্ল্যান ব্যবহার করতে প্রতিমাসে আপনার খরচ হবে ১৪.৯৯ ডলার, বিল বাৎসরিক ভাবে পরিশোধ করতে হবে। পেইড প্যাকেজে আপনি পাবেন আন-লিমিটেড প্রেজেন্টেশন, আন-লিমিটেড স্টোরেজ এবং সকল ফিচার ব্যবহারের সুযোগ।
Ludus
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Ludus
আমরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে প্রেজেন্টেশন তৈরিতে যে সমস্যাটির সম্মুখীন হই সেটা হচ্ছে এলিমেন্ট প্লেস করা নিয়ে। দেখা যায় এলিমেন্ট গুলোর মাপ সব সময় ঠিক থাকে না, আমাদেরই বারবার সেগুলো ঠিক করতে হয়। আপনাকে এই সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে Beautiful.ai। Beautiful.ai আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে আপনার এলিমেন্ট গুলো সঠিক ভাবে প্লেস করবে।
Beautiful.ai এর এডিটরটি একটু ভিন্ন হলেও আপনি কয়েকবার ব্যবহার করেই এতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। Beautiful.ai প্রেজেন্টেশন অ্যাপে আপনি পাবেন ১০ টি থিম, ৪০ টিরও বেশি টেম্পলেট, ২৩ ভিন্ন ভিন্ন কালার
Palette।
ফ্রি প্ল্যানে আপনি পাবেন Collaboration ফিচার এবং পেইড প্ল্যানে পেয়ে যাবেন একই সাথে Collaboration এবং Share ফিচার। ফ্রিতে আরও পাচ্ছেন আন-লিমিটেড স্লাইডের সাথে ৬০+ Smart Slide Templates।
সাবস্ক্রিপশন ফিঃ Beautiful.ai এর পেইড প্ল্যান শুরু হবে প্রতিমাসে ১২ ডলার থেকে, পাওয়া যাবে History, Secure Sharing, এবং White labeling এর মত ফিচার।
Beautiful.ai
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Beautiful.ai
অন্য প্রেজেন্টেশন অ্যাপ থেকে কিছুটা ভিন্ন সুবিধা দেবে Prezi। এডিটরে বিভিন্ন টপিক সাবটপিক ফোকাস করা হয়েছে যার মাধ্যমে আপনি প্রেজেন্টেশন আরও ভাল করে সাঁঝাতে পারবেন। তাছাড়া স্ট্র্যাকচারাল ফ্ল্যাক্সিবিলিটির সাথে আপনি অন্য অ্যাপ গুলোর মত পাবেন একই কাস্টমাইজেশন ফিচার।
Prezi এর রয়েছে আরও দুইটি অ্যাপ, Prezi Design এবং Prezi Video। Prezi Video এর মাধ্যমে আপনি তৈরি করতে পারবেন রিমোট প্রেজেন্টেশন। আপনি সেখানে ভিডিও রেকর্ড করে বা সেভ করা ভিডিও নিয়েও কাজ করতে পারেন। দারুণ ব্যাপার হচ্ছে আপনি চাইলে এখানে বিভিন্ন ভিডিও কনফারেন্সিং অ্যাপ যেমন, Zoom, Microsoft Teams, Google Meet, ইত্যাদি কানেক্ট করতে পারবেন।
সাবস্ক্রিপশন ফিঃ আপনি ফ্রিতে Prezi এর ১৪ দিনের ট্রায়েল পিরিয়ড ব্যবহার করতে পারেন এবং যাতে থাকতে পাঁচটি ভিজ্যুয়াল প্রজেক্ট। পেইড ভার্সন শুরু হবে প্রতিমাসে ৫ ডলার করে।
Prezi
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Prezi
অডিয়েন্সদের জন্য আকর্ষণীয় ভিডিও প্রেজেন্টেশন তৈরিতে সাহায্য করবে Powtoon অ্যাপটি। এই অ্যাপটিতে কাজ করার সময় মনে হবে আপনি প্রেজেন্টেশন বানাচ্ছেন কিন্তু কাজ শেষ হলে দেখবেন চমৎকার একটি প্রফেশনাল ভিডিও প্রেজেন্টেশন তৈরি হয়ে গিয়েছে।
আপনি চাইলে যেকোনো সময় আপনার স্লাইড এডিট করতে পারেন। প্রতিটি স্লাইডেই এনিমেশন থাকবে যা আপনার প্রেজেন্টেশনকে করে তুলবে আরও চমৎকার। প্রেজেন্টেশনে কোন স্লাইডটি কতক্ষণ স্থায়ী হবে এটাও নির্ধারণ করে দেয়া যাবে।
আপনি যদি তিন মিনিটের বেশি ভিডিও তৈরি করতে চান এবং সেগুলো MP4 ফাইলে সেভ করতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই পেইড ভার্সনে যেতে হবে। পেইড ভার্সনে আপনি আরও পাবেন অসংখ্য টেম্পলেট এবং সাউন্ড ট্র্যাক।
Powtoon এর সবচেয়ে ভাল একটি ফিচার হচ্ছে, এর মাধ্যমে ভিডিও Orientation ইচ্ছেমত পরিবর্তন করা যায়। কেউ চাইলে Horizontal, Verticle উভয় Orientation এ ভিডিও ক্রিয়েট করতে পারে। আপনার প্রেজেন্টেশন শেষ হয়ে গেলে সেটা সরাসরি YouTube, Wistia, Facebook Ads, এবং অন্য প্ল্যাটফর্ম গুলোতেও শেয়ার করতে পারেন।
সাবস্ক্রিপশন ফিঃ Powtoon এর পেইড শুরু হবে মাসিক ১৯ ডলার থেকে যেখানে আপনি পাবেন Whitelabeling, Priority Support, Additional storage, ইত্যাদি ফিচার।
Powtoon
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Powtoon
Genially এর এনিমেটেড টেম্পলেট এর মাধ্যমে আপনি তৈরি করতে পারবেন দারুণ প্রেজেন্টেশন। এটি অন্য অ্যাপ গুলো থেকে বেশ ইউজার ফ্রেন্ডলি যা আপনাকে সহজে চমৎকার প্রেজেন্টেশন তৈরি করার সুযোগ দেবে।
এই Genially অ্যাপে আপনি প্রয়োজন মত টেম্পলেট সার্চ করে নিতে পারবেন, রয়েছে ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহারের জন্য আলাদা টেম্পলেট, সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যবহারের জন্য আলাদা টেম্পলেট। এতে আরও রয়েছে স্মার্ট ব্লক সুবিধা যেখানে আপনি পাবেন Visualizations, Image Gallery এর মত এলিমেন্ট যোগ করার সুযোগ।
Genially এর প্রিমিয়াম ইউজাররা পাবে ব্র্যান্ডিং সংক্রান্ত গাইডলাইন যেখানে তারা লোগো, ইমেজ, ব্যাকগ্রাউন্ড কালার গত সুবিধা খুঁজে পাবে। আপনার তৈরি করা ব্র্যান্ড সেটিং ব্যবহার করতে, আপনার সহকর্মীরা। সেক্ষেত্রে তাদের এগুলো নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে না। ব্র্যান্ড প্রেজেন্টের জন্য Genially, ট্রেনিং ম্যাটারিয়াল, ইনফোগ্রাফিক্স, ইন্টারেক্টিভ ইমেজ, ইত্যাদি সাপোর্ট করে।
Genially এর ফ্রি প্ল্যানের মাধ্যমে আপনি ইচ্ছে মত প্রেজেন্টেশন তৈরি করতে পারবেন এবং আনলিমিটেড টেম্পলেট ব্যবহারের সুযোগ পাবেন।
সাবক্রিপশন ফিঃ Genially এর পেইড প্ল্যান শুরু হবে প্রতিমাসে ৭.৪৯ ডলার থেকে৷ পেইড প্ল্যানে পাওয়া যাবে Download, Offline viewing, Advanced Collaboration সহ আরও অনেক ফিচার।
Genially
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Genially
প্রেজেন্টেশন তৈরির বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ হচ্ছে Microsoft PowerPoint। এর একই সাথে রয়েছে ফ্রি এবং পেইড ভার্সন। বেসিক Microsoft PowerPoint এ প্রেজেন্টেশন তৈরি করা গেলেও, Microsoft 365 আপনাকে দেবে সকল এডভান্সড ফিচার। Microsoft 365 হচ্ছে মাইক্রোসফট এর একটি প্রিমিয়াম প্যাকেজ, যা একই সাথে Windows, iOS, এবং Android এ এভেইলেবল।
প্রিমিয়াম সাবস্ক্রিপশনে আপনি পাবেন আপডেট টেম্পলেট এবং দারুণ কিছু ফিচার। Office intelligent services এর মাধ্যমে আপনি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যমে ডিজাইন কনসেপ্ট পেতে পারেন।
Microsoft 365 সাবস্ক্রিপশনে আপনি অ্যাপটি ডেক্সটপ এবং ওয়েব, উভয় ভার্সনে ব্যবহার করতে পারেন। সুতরাং আপনি ডাউনলোড করা ছাড়াই যেকোনো জায়গা থেকে এক্সেস নিতে পারবেন Microsoft 365 সাবস্ক্রিপশনের মাধ্যমে।
সাবস্ক্রিপশন ফিঃ Microsoft 365 সাবস্ক্রিপশন শুরু হবে প্রতি ইউজারের জন্য মাসিক ৫ ডলার করে। তাছাড়া আপনি বাৎসরিক ৬৯.৯৯ ডলার দিয়ে একটি লাইসেন্স কিনে নিতে পারেন।
Microsoft 365
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Microsoft 365
ইন্টারনেটে প্রেজেন্টেশনের অসংখ্য অ্যাপ থাকলেও আমি আলোচনা করলাম সেরা ৮ টি অ্যাপ নিয়ে, যেগুলো আপনার প্রেজেন্টেশন তৈরিতে দারুণ ভাবে সাহায্য করবে।
আপনি দীর্ঘদিন প্রেজেন্টেশন এর জন্য নির্দিষ্ট অ্যাপ ব্যবহার করতেই পারেন তবে এখন সময় হয়েছে নতুন কিছু গ্রহণ করার। আমি যদি বলি আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট এর মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন বানাতে অভ্যস্ত, তার মানে এই নয় যে তারা নতুন অ্যাপ গুলো বুঝবে না। উল্লেখিত অ্যাপ গুলো অনেক ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট থেকে বেশি সহজ এবং এডভান্সড।
তো কেমন হল আজকের টিউন জানাতে অবশ্যই টিউমেন্ট করুন, আমাদের জানান আপনি প্রেজেন্টেশন তৈরিতে কোন অ্যাপটি ব্যবহার করেন।
আজকে এ পর্যন্তই শীঘ্রই দেখা হবে নতুন কোন টিউনের সাথে ততদিন ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 1 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 627 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।