আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। আজকে আবার হাজির হলাম নতুন টিউন নিয়ে। আজকে আমি আলোচনা করব মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার নিয়ে। চলুন শুরু করা যাক।
কিছু দিন আগেও মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ছিল শুধু মাত্র প্রফেশনাল অ্যাপ ডেভেলপারদের কাজ এবং বড় বড় কোম্পানির ব্যানারেই কেবল অ্যাপ রিলিজ হতো। আপনি জানলে খুশি হবেন, দিন বদলেছে আপনিও কোন ধরনের কোডিং জ্ঞান ছাড়াই ডেভেলপ করতে পারবেন মোবাইল অ্যাপ। আজকের এই টিউনে আমি কয়েকটি দুর্দান্ত মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করব।
মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ইন্টারনেটে অনেক সফটওয়্যার থাকলেও আমি আপনাদের সামনে সেরাটি তুলে ধরার চেষ্টা করব।
আপনি ভাবতে পারেন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট মানেই হল কোডিং নিয়ে বিস্তৃত জ্ঞান এবং রাতজাগা কষ্টের ফল। কিন্তু অবস্থার এখন পরিবর্তন হয়েছে, যেমন মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট এর সেরা একটি সফটওয়্যার Appy Pie এর মাধ্যমে আপনি কোন ধরনের কোডিং বা সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট জ্ঞান ছাড়াই সহজেই মোবাইল অ্যাপ তৈরি করে ফেলতে পারেন। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে দ্রুত সময়ের মধ্যে, অধিকাংশ কাজের অ্যাপ তৈরি করে ফেলা সম্ভব।
দারুণ Appy Pie সফটওয়্যার দিয়ে একই সাথে করা যাবে ওয়েবসাইট ক্রিয়েশন, এবং ডিজাইন। কাজের গতি বাড়াতে, এক অ্যাপের সাথে অন্য অ্যাপের ইন্টিগ্রেশনও করা যাবে। সবচেয়ে বড় কথা সফটওয়্যারটি ইউজারকে দেবে Beginners থেকে Advanced লেভেলের কর্মক্ষমতা।
সেরা কিছু মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার যে গুলো ব্যাসিক কোডিং জ্ঞান এবং শূন্য জ্ঞানেও ব্যবহার করতে পারেন,
বর্তমান সময়ে মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার সবার জন্যই জরুরি। এটি বর্তমানে হাজার হাজার শিল্প জুড়ে ব্যবহৃত হচ্ছে।
শিল্প ক্ষেত্রে মোবাইল অ্যাপের থাকতে পারে বিস্তৃত ব্যবহার। কিন্তু অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সহজ কাজ নয় বলে অধিকাংশ কোম্পানি এটি নিয়ে মাথা ঘামায় না। অথবা অ্যাপ ডেভেলপমেন্টের জন্য অনেক দাম দিয়ে ডেভেলপার নিয়োগ দেয়। সেই সমস্ত কোম্পানি আজকের টিউনের সফটওয়্যার গুলো বিবেচনা করতে পারে৷
কোম্পানি গুলো তাদের গ্রাহকদের মোবাইল অভিজ্ঞতা উন্নত করতে অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারে। বড় সংস্থাগুলি HR, রিমোট ওয়ার্ক কর্মী যোগাযোগ, এবং ব্যবসায়িক প্রক্রিয়া পরিচালনার মতো অভ্যন্তরীণ কাজের জন্যও অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে পারে।
এমনকি নতুন উদ্যোক্তা এবং একক ব্যবহারকারীরা যদি নতুন ধারণা থেকে ব্যবসায় শুরু করতে চায়, তাহলে তারাও এই সফটওয়্যার গুলোতে বিনিয়োগ করতে পারে। আপনিও যদি অ্যাপ ডেভেলপারদের কোন ধরনের অর্থ না দিয়ে নিজেই নিজের কোম্পানির মোবাইল অ্যাপ তৈরি করতে চান তাহলে, এই সমস্ত সফটওয়্যারে বিনিয়োগ করতে পারেন।
চলুন সেরা পাঁচটি মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যারের সাথে পরিচিত হওয়া যাক,
নো-কোডিং ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সেরা মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যারটি হল Appy Pie। কোন ধরনের আহামরি টেকনিক্যাল স্কিল ছাড়াই যেকোনো ব্যক্তি এটি ব্যবহার করে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে পারবে।
আপনি যদি অ্যান্ড্রয়েড বা অ্যাপলের জন্য সিম্পল কোন অ্যাপ তৈরি করতে চান তাহলে এই চমৎকার সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারেন। খুব সহজেই আপনি Template এর মাধ্যমে, নির্দিষ্ট ফিচার যোগ করে, অ্যাপ পাবলিশ করতে পারেন।
অ্যাপ তৈরি ছাড়াও এই সফটওয়্যার দিয়ে আপনি Website, Graphics, Task Automation এবং Chatbot, তৈরি করতে পারবেন।
চলুন দেখে নেয়া যাক Appy Pie এর মাধ্যমে আপনি আপনার অ্যাপে কি কি ফিচার এড করতে পারবেন,
একই সাথে আপনি পাবেন App Analytics, Multilingual Support, এবং Publishing Assistance এর মত সুবিধা।
বর্তমানে বিশ্বের ৭ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ কোন ধরনের কোডিং ঝামেলা ছাড়া মোবাইল অ্যাপ তৈরিতে Appy Pie ব্যবহার করছে।
Appy Pie ব্যবহার করতে আপনাকে প্রতিমাসে ১৮ ডলার (প্রায় ১৫২৬ টাকা) পে করতে হবে তাছাড়া আপনি পাচ্ছেন সাতদিনের ট্রায়েল পিরিয়ড।
Appy Pie
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Appy Pie
বর্তমান সময়ে BuildFire বাজারের সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং বহুমুখী মোবাইল অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়ার। এই শক্তিশালী সফটওয়্যারটি যেকোনো ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করতে ব্যবহার করা যেতে পারে এবং এতে কোন কোডিংয়ের প্রয়োজন নেই।
BuildFire প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ১০, ০০০ টিরও বেশি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। এটি PayPal, Cisco, Travelers, Pandora, এবং অন্যান্য বড় টেক কোম্পানি গুলো দ্বারা একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম।
BuildFire এর ইউজার ইন্টারফেস এতটাই সিম্পল যে কোডিং জানা ছাড়াই কোন ব্যক্তি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে পারবে৷ এটি এতটা শক্তিশালী একটি প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহার করে প্রায় সকল ধরনের অ্যাপ তৈরি করা সম্ভব।
আপনার অ্যাপে নতুন ফিচার যুক্ত করা এখন মাত্র একটি এক্সটেনশন ইন্সটল করার মত সহজ কাজ। এটি একই সাথে ডেভেলপার ফ্রেন্ডলি, যেকেউ চাইলে এটি ব্যবহার করে কাস্টম ফাংশনালিটিও যুক্ত করতে পারে।
চলুন দেখে নেয়া যাক BuildFire ব্যবহার করে কি ধরনের অ্যাপ তৈরি করা সম্ভব,
আপনি যদি নতুন উদ্যোক্তা বা বড় কোম্পানির মালিক হোন তাহলে সকল ক্ষেত্রে আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে এই অ্যাপটি৷
আপনি BuildFire Plus ব্যবহার করে কিছু অতিরিক্ত সুবিধাও পেতে পারেন। কাস্টমার সার্ভিস এবং প্ল্যানিং এর জন্য স্ট্রেটেজিক পার্টনার পেতে, আপনি BuildFire Plus ব্যবহার করতে পারেন৷ অ্যাপ ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্টে সাহায্য করার পাশাপাশি আপনাকে কম্পিটিশন রিসার্চ করতে সাহায্য করবে BuildFire টিম।
তো আপনিও যদি সিঙ্গেল লাইন কোড লিখা ছাড়া iOS, Android, PWA, অ্যাপ তৈরি করতে চান তাহলে ব্যবহার করতে চান BuildFire সফটওয়্যারটি।
এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করতে আপনাকে প্রতিমাসে ১৫৯ ডলার (প্রায় ১৩৪৮৪ টাকা) পে করতে। আপনি পাবেন ১৪ দিনের ফ্রি ট্রায়েল।
BuildFire
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ BuildFire
Appian একটি এন্টারপ্রাইজ লেভেলের লো-কোড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্ল্যাটফর্ম। এই প্ল্যাটফর্মটি মূলত তৈরি করা হয়েছে Business Process Management (BPM) এর জন্য।
Appian সফটওয়্যারটি অপারেট করতে ন্যুনতম কোডিং জ্ঞান থাকতে হবে, যেহেতু এটি এন্টারপ্রাইজ লেভেলের একটি সফটওয়্যার সুতরাং যেকোনো অর্গানাইজেশনের আইটি টিম সহজেই এটিকে পরিচালনা করতে পারবে।
Appian তাৎক্ষণিক গতিশীলতা সরবরাহ করে। সুতরাং আপনি যদি ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেন তাহলে অতিরিক্ত সময়, প্রচেষ্টা বা সংস্থান ছাড়াই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেগুলি মোবাইল ডিভাইসের জন্য এভেইলেবল হয়ে যাবে। যেকোনো ডিভাইসের জন্য অ্যাপ ডেভেলপ করা হলে এটি বিভিন্ন ডিভাইসেও সাপোর্ট করবে।
চলুন Appian এর কিছু সুবিধা দেখে নেয়া যাক,
যারা অভ্যন্তরীণ বিজনেস পরিচালনা করার জন্য ভাল মানের অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার খুঁজছেন তাদের জন্য সেরা হতে পারে Appian সফটওয়্যারটি।
Appian এর Standards প্যাকেজটি ব্যবহার করতে আপনাকে প্রতিমাসে ৬০ ডলার (প্রায় ৫০৮৮ টাকা) পে করতে হবে। তাছাড়া আপনি পাবেন ১৪ দিনের ফ্রি ট্রায়েল।
Appian
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Appian
ওয়েবঅ্যাপ, মোবাইল অ্যাপ, এবং PWA এর জন্য একটি All in One সমাধান হচ্ছে Appery.io। গত দশকেও এই লো-কোড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুলটি দিয়ে ১০০০০ এর বেশি অ্যাপ তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট প্রক্রিয়া দেখতে নিচের ছবিটি খেয়াল করুন।
অন্যান্য লো-কোড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যারের মত এই অ্যাপটি ব্যবহার করতে আপনার কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকতে হবে।
চলুন দেখে নেয়া যাক কি সুবিধা পাওয়া যাবে এই Appery.io এর মধ্যে,
Appery.io সফটওয়্যারে আছে দারুণ Collaboration ব্যবস্থা, যার মাধ্যমে একটি প্রজেক্টে রিয়েল-টাইমে ডিজাইনার, ডেভেলপার, বিজনেস ইউজাররা কাজ করতে পারে৷
আপনি চাইলে মাসিক ২৫ ডলারের (প্রায় ২১২০ টাকা) প্যাকেজে Appery.io সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে পারবেন। ইউজাররা পাবে ১৪ দিনের ট্রায়েল পিরিয়ড।
Appery.io
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ Appery.io
ছোট বিজনেস কোম্পানি গুলোর জন্য উপযুক্ত একটি অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার হচ্ছে BiznessApps।
ছোট বিজনেস মালিকরা কোডিং এবং ডেভেলপার ভাড়া করার চিন্তা বাদ দিয়ে, নিজেরাই ড্রাগ এন্ড ড্রপের মাধ্যমে নিজেদের অ্যাপ ডেভেলপ করতে পারবে।
iOS অ্যাপ, Android অ্যাপ, এবং PWA এর জন্য All-in-One সমাধান হচ্ছে BiznessApps সফটওয়্যারটি। এটি এখন পর্যন্ত বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, রিয়েল এসেস্ট বিজনেস, হেলদ বিজনেসের একটি ট্রাস্টেড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার।
চলুন দেখে নেয়া যাক কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে অ্যাপটিতে
BiznessApps এর রয়েছে প্রচুর বিল্ড-ইন ফিচার তাছাড়া রয়েছে প্রিমিয়াম এক্সটেনশন ব্যবহারের সুযোগ। সকল সুবিধা আপনাকে সহজেই, আপনার অ্যাপে বিভিন্ন ফিচার যোগ করার ক্ষমতা দেবে।
এই সফটওয়্যারটি ব্যবহার করতে আপনাকে প্রতিমাসে ৯৯ ডলার (প্রায় ৮৩৯৬ টাকা) পে করতে হবে।
BiznessApps
অফিসিয়াল ওয়েবসাইট @ BiznessApps
যেহেতু এই মুহূর্তে বাজারে হাজার হাজার অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার রয়েছে, সুতরাং আপনার কাছে সেরা এবং উপযুক্ত সফটওয়্যারটি বাছাই করা একটু কষ্টকর হতে পারে। আপনার সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সহজ করতে, আমি কিছু ফ্যাক্টর তুলে ধরার চেষ্টা করছি,
আপনার অ্যাপের জন্য কোন সফটওয়্যারটি বাছাই করবেন এটি নির্ধারণ করতে প্রথমে, আপনার টেকনিক্যাল স্কিল বিবেচনা করুন। যদি আপনার কোডিং স্কিল না থাকে তাহলে অসংখ্য সফটওয়্যার রয়েছে যেগুলো ব্যবহার করলে আপনি ড্রাগ এন্ড ড্রপের মাধ্যমে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করতে পারবেন।
যাদের মোটামুটি কোডিং সম্পর্কে ধারণা আছে তারা লো-কোডিং সফটওয়্যার গুলো ব্যবহার করতে পারেন। আপনার যদি আইটি টিম থাকে তাহলে সে সমস্ত সফটওয়্যার গুলো আপনার জন্য উপযুক্ত।
আমি উপরে উভয় ক্যাটাগরির সেরা সফটওয়্যার তুলে ধরেছি।
আপনি কোন ধরনের অ্যাপ তৈরি করবেন সেটার উপর নির্ভর করবে আপনার জন্য কোন অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট টুল প্রয়োজন। যেমন সকল কোম্পানির ই-কমার্স অ্যাপ, কমিউনেশন অ্যাপ বা গেমিং অ্যাপ নাও লাগতে পারে।
আপনার কোম্পানির জন্য কোন অ্যাপ উপযুক্ত সেটি আগে নির্ধারণ করুন এবং সেই সমস্ত অ্যাপ তৈরিতে কোন সফটওয়্যার গুলো ভাল হতে পারে তা বিবেচনা করুন। সফটওয়্যার গুলোর পোর্টফলিও বিবেচনা করুন।
আপনার অ্যাপটি কোথায় ব্যবহার করা হবে সেটির উপর নির্ভর করে আপনাকে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার বাছাই করতে হবে। আপনার অ্যাপ যদি শুধু মাত্র ইন্টারনাল কমিউনিকেশনে ব্যবহৃত হয় তাহলে একরকম এবং যদি End ইউজারের জন্য হয় তাহলে অন্যরকম সফটওয়্যার বাছাই করতে হবে।
আপনাকে মনে রাখতে হবে সব সফটওয়্যারের মাধ্যমে Android, iOS, PWA অ্যাপ তৈরি সম্ভব না। আবার বিভিন্ন অ্যাপ স্টোরে অ্যাপ পাবলিশিং এর ক্ষেত্রেও কিছু জটিলতা রয়েছে।
নির্দিষ্ট অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যার বাছাইয়ে বাজেট বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তাছাড়া অ্যাপের ফাংশনালিটির উপরেও বাজেট নির্ভর করে। যেমন আপনি যদি একটি ক্যালকুলেটর তৈরি করতে চান তাহলে যে খরচ হবে, Uber এর মত অ্যাপ তৈরি করতে অবশ্যই তেমন খরচ হবে না।
সবমিলিয়ে আপনি আপনার অ্যাপে যত বেশি ফিচার যুক্ত করতে চাইবেন, বাজেট তত বাড়াতে হবে। তবে একটি বিষয় মাথায় রাখবেন, বিভিন্ন সফটওয়্যারের হোমপেজে কম দাম দেখেই সেটি নিয়ে নেবেন না। বিস্তারিত ভাবে ফিচার জেনে তারপর আপনার জন্য সফটওয়্যার বাছাই করুন।
কোন ধরনের কোডিং ছাড়া অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট করা গেলেও, কিছু সফটওয়্যারে লিমিটেশন থাকতে পারে। নির্দিষ্ট ফিচার ব্যবহার করতে কখনো বেশি প্রাইজ চার্জ করতে পারে।
বিজ্ঞাপণে বিভিন্ন ফিচারের কথা জানান দিলেও কোন সফটওয়্যার কেনার পর বিভিন্ন লিমিটেশন থাকতে পারে। তাছাড়া কখনো সফটওয়্যার গুলো এমন ভাবে ডিজাইন করা থাকতে পারে, যে আপনি গুরুত্বপূর্ণ ফিচার এড করতে প্যাকেজ বাড়াতে বাধ্য থাকবেন।
প্রকৃত পক্ষে অ্যাপ ডেভেলপমেন্টে ডেভেলপারের বিকল্প নেই, তবে এই সমস্ত সফটওয়্যার তাদের জন্য যারা তুলনামূলক কম খরচে কাজ গুলো করতে চায়।
কাস্টমার সাপোর্ট, মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট সফ্টওয়্যার এর প্রায়শই অবহেলিত একটি দিক।
একটি অ্যাপ তৈরি করা সব সময় সহজ নয়। আপনি যদি এর আগে কখন এটি না করেন তবে আপনার বিভিন্ন প্রশ্ন থাকতে পারেন। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর কিভাবে পাবেন? তাই আগে বিবেচনা করুন নির্দিষ্ট সফটওয়্যার গুলোর কি কাস্টমার সাপোর্ট রয়েছে কিনা।
আমি উপরে এমন কিছু সফটওয়্যারের কথা উল্লেখ করেছি যেখানে আপনি কাস্টমার সাপোর্ট পেয়ে যাবেন।
আশা করছি উপরের আলোচনা থেকে আপনি নিজের কাজের জন্য সেরা সফটওয়্যারটি বাছাই করতে পারবেন। আপনার খেয়াল রাখতে হবে যে সফটওয়্যারটি আপনার চাহিদা মত অ্যাপ তৈরি করতে পারবে কিনা এবং সেটি বাজেট ফ্রেন্ডলি হবে কিনা। একই সাথে আপনার টেকনিক্যাল স্কিল কতটা সেটাও বিবেচনা করতে হবে।
তো কেমন হল আজকের টিউন তা জানাতে ভুলবেন না, আপনার কোন সফটওয়্যারটি ভাল লেগেছে সেটি টিউমেন্ট করে জানান।
আজ পর্যন্তই, পরবর্তী টিউন পর্যন্ত ভাল থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 607 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 118 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।
I’m trying