ফেসবুকে এই সময়ের যত সোশাল মিডিয়া অ্যাপ আছে তার মধ্যে অন্যতম। আমরা আমাদের অনেকটা সময় বা অনেক সময়ে কাজের মাঝে ফেসবুক দেখে থাকি। আর এমন অনেক কিছুই না জেনে করে ফেলি যা করা উচিৎ না। যা একাধিক বিপদ ডেকে আনতে পারে। আর আজকে আমরা এখানে আপনাদের বলব যে কোন কোন জিনিস ফেসবুকে করা উচিৎ না।
আপনার ফেসবুক অ্যাকান্ট থেকে আপনার বাচ্চাদের দূরে রাখাই ভাল। আর যদি কখনও ফ্যামিলি ফটো টিউন করেন তবে সেখানে দেখতে হবে যে সেই ছবিতে বা কোথাউ জেন বেশি ডিটেল না থাকে। এর মধ্যে আপনার বাচ্ছা কি খাচ্ছে, তাদের স্কুলের বিষয়, সময় ইত্যাদি। হ্যাকার আর খারাপ ব্যক্তিরা সব সময়ে এই ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য জানার চেষ্টা করে।
সোশাল মিডিয়াতে খুব বেশি কিছু দিলে আপনার মনে হতে পারে যে আপনার প্রতিদিনের কাজ ফেসবুক না করলে সেখানে কোন টিউন না করলে অসম্পূর্ণ থাকে। যখন আপনি ফেসবুকে কিছু টিউন করছেন তখন আপনার বন্ধুদের টিউমেন্ট বা লাইক আশা করেন। এই টিউন করা আর টিউমেন্ট বা লাইক আপনার ভাল লাগলেও বাস্তবে তা নাও হতে পারে বিশেষত তখন যখন আপনি সঠিক জিনিস দিয়ে অ্যাট্রাক্ট করতে পারছেন না। এটি আপনাদের আনন্দ ইত্যাদি টিউন করার ব্যাপার হলেও এখানে অনেক সময়ে অনেক বন্ধু বা কাছের মানুষের ইগনোরেনআশ আর তাদের ইগনোর ও দেখা যায়। আর তা আপনি নিশ্চয়ই নিজের জন্য চাইবেন না। এই ধরনের একাধিক সিচুয়েশান এরানোর জন্য আপনার উচিৎ সব দেখে শুনে আর বুঝেই টিউন করা না হলে এও আপনারা এক ভুল হয়ে থেকে যাবে।
আপনি যখন ফেসবুকে কিছু টিউন করছেন তখন সেখানে ব্যক্তিগত তথ্য রিভিউ করা দরকার টিউন বটন ক্লিক করার আগে সেই পোস্টটি ভাল করে দেখে এডিট করা উচিৎ। আপনি বাড়ির লোক, কাছের মানুষ বা বন্ধুদের সঙ্গে ব্যক্তিগত যে সময় কাটাচ্ছেন বা কিছু তা কখনও ইন্টারনেটে টিউন করা উচিৎ না। কোন কিছু অন্ধের মতন টিউন করার আগে ভাবুন।
ড্রিঙ্ক করে যেমন গাড়ি চালানো উচিৎ না তেমনি, একই ভাবে ড্রিঙ্ক করে ফেসবুকে কিছু টিউন করা উচিৎ না। ড্রাঙ্ক হয়ে আপনি কিছু টিউন করলে বা কোন মেসেজ করলে আপনাকে সেই ব্যক্তি সোবার বলে মনে করবে না। আর ফেসবুক বা যে কোন সোশাল মিডিয়াতে ড্রিঙ্ক করে বা ড্রাঙ্ক হয়ে কিছু টিউন করা সেই ব্যক্তির জন্য নেগেটিভ জিনিসের বার্তা বহন করে।
আপনার বন্ধু তালিকায় 600 বা তার বেশি বন্ধু আছে বলে তার মানে এই নয় যে বাস্তবে আপনারা বন্ধু সংখ্যা তত। আর তাই ফেসবুকে যে কোন কাউকে অ্যাড করা বন্ধ করুন। এটি এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আপনারা আপনাদের ব্যক্তিগত তথ্য দেন আর তা যে কোন র্যান্ডাম লোকের কাছে যাওয়া মোটেও ঠিক ব্যাপার না।
আপনার প্রোফাইলের সব কিছু পাবলিক করে রাখা মোটেও কাজের কথা না। এর মধ্যে আপনারা স্কুল, কলে আর এমন কি আপনার হোম টাউনের বিষয়ে তথ্যও সবার জন্য নয়। আর এর সঙ্গে কোন টিউন তাদের জন্যই রাখা উচিৎ যারা সেই টিউনের সঙ্গে রিলেট করতে পারবেন। আপনার বন্ধু তালিকার সবার সব কিছু দেখার বা জানার দরকার নেই।
আপনার বাড়ির ঠিকানা, অফসের ঠিকানা আর টাইমিং এই সব ডিটেল ফেসবুকে দেওয়ার উচিৎ না। এমন কি কোন টিউনেও এই জিনিস করা উচিৎ না। এগুলি আপনাকে যে স্টক করছে তাদের জন্য খুব কাজের হলেও আপনার জন্য তা বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আপনি যদি নতুন গাড়ি কেনেন, বা কিছু জেতেন বা কোন ইভেন্টে কিছু পান সেই সব কিছু আর টাকা জাতীয় তথ্য প্রাইভেট রাখা উচিৎ। এই সব কিছু ফেসবুকে টিউন করা মোটে ও কাজের না।
ফেসবুকে কখনও কাউকে ভার্বালি অ্যাবিউস করবেন না বা খারাপ কিছু বলবেন না। তা করলে সবাই এর স্ক্রিনশট নিয়ে আপনার বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারবে।
আরও একটি বড় জিনিস হল এই যে ছবি বা পাসপোর্ট, সার্টিফিকেট, ডিগ্রি ইত্যাদির মতন পার্সোনাল ডকুমেন্ট সোশাল মিডিয়াতে টিউন করা উচিৎ না। আর আপনার ট্রেন বা ফ্লাইট টিকিট ফেসবুকে টিউন করাও খুব বাজে আইডিয়া। কারন এও আপনাকে কেউ স্টক করলে তার জন্য কাজের আর আপনার জন্য.
ফেসবুকে ছবি ট্যাগ আরও একটি ব্যাপার। সব সময়ে ফেসবুকে কাউকে ট্যাগ করার আগে তা রিভিউ করে নিন।
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল সময় নিয়ে চেক করুন আর দেখুন যে এর মধ্যে কি আর কোন বন্ধু সত্যি আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ড লিস্টে থাকা দরকার। আপনি যদি এখানে এমন কেউ থাকে যার সঙ্গে কথা বলেনই না বা তাদের কোন টিউন লাইক করেন না তবে তাদের বন্ধুতালিকায় রাখার কোন মানে হয় না। সব সময়ে এক্সট্রা জিনিস ক্লিয়ার করে দেওয়াই ভাল।
প্রযুক্তির সাম্প্রতিক খবর আর রিভিউস জানতে লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ অথবা ফলো করুন ইন্সটাগ্রাম একাউন্ট!
আমার এই লিখা যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে আমার ইউটিউব চ্যানেলে ঘুরে আসতে পারেন। ধন্যবাদ!
আমি শাহ্নাজ আক্তার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 26 টি টিউন ও 4 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।