টাকা নয় দক্ষ হয়ে আসুন-ডিফেন্স গাইড

আসসালামু আলাইকুম

আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমি মো : হৃদয় হোসেন।আমি একজন শিক্ষার্থী। আমার আরো একটি পরিচয় আছে যেটা আমি আপনাদের কাছে প্রকাশ করতে চাইনা। পূর্বে  কিছু কথা বলে নেই। ডিফেন্স এ ভর্তি নিয়ে আমাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আছে টাকা ছাড়া ডিফেন্সে ভর্তি সম্ভব নয়। কারণ অনেক সময় দেখা যায় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অনেকে ডিফেন্সে ভর্তি হতে পারে না। মানুষ হতাশ হয়ে বিভিন্ন দালালের খপ্পরে পড়ে টাকা পয়সা লেনদেনের সিদ্ধান্ত নেন। সাবধান এই ভুলটি কখনো করবেন না। কারণ দালালরা কখনো আপনাকে সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে না। তারা দেখে প্রার্থী যোগ্য কিনা তার পর তারা রিস্ক নেয় যদি হয়ে যায় তাহলে তো টাকা গুলো তার পকেটে ঢুকবে।আপনাকে বোঝানোর জন্য তারা আপণাকে সাথে নিয়ে রিক্রুট অফিসারের কাছে গিয়ে আপনাকে দূরে দার করিয়ে অফিসারের কাছে গিয়ে সালাম দিয়ে ভাল মন্দ জিজ্ঞাসা করে আসবে আর আপনাকে বলবে চিন্তা নাই আমি সব ঠিক করে এসেছি তুমি লাইনে দাড়ালে তোমাকে সিলেক্ট করবে। মিথ্যা-মিথ্যা সবই মিথ্যা।

আপনাদের অবগতির জন্য জানিয়ে রাখি টাকা দিয়ে কখনো কোনো অযোগ্য প্রার্থী ডিফেন্সে ভর্তি হতে পারবে না। সারকুলারে যদি 10 টি কোঠা থাকে আর প্রার্থী যদি 10,000 হাজার হয় আর তাদের মধ্যে যদি 5 জন প্রার্থী যোগ্য হয় তাহলে 5 জন কেই সিলেক্ট করা হবে। 10 কোঠা পূরণের জন্য কখনোই আরো 5 জন অযোগ্য প্রার্থী ভর্তি করা হবে না। বরং 5 টি কোঠা ফাঁকা থাকবে পরে আবার সারকুলার দিবে বাঁকি লোক নিয়োগের জন্য। তাহলে প্রশ্ন অনেক প্রার্থী যোগ্য তারা কিভাবে বাদ পড়ে। হ্যাঁ অনেক সময় যোগ্য প্রার্থী ও বাদ পড়ে তার কারণ ডিফেন্সে ভর্তি যোগ্যতা আমরা সবাই জানি সারকুলারে প্রার্থীর শারীরিক যোগ্যতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সবই দেয়া থাকে। কিন্তু প্রার্থী বাছাই বেশ কিছু পর্বে বিভক্ত। যেমন প্রাথমিক মেডিকেল, লিখিত পরীক্ষা ভাইভা, চূড়ান্ত মেডিকেল ইত্যাদি। এখন আমরা সাধারণ মানুষ ডিফেন্সে ভর্তি সম্পর্কে খুবই কম জানি আর যেটুকু জানি তাও আবার মানুষের মুখে শুনে। অনেক সময় অণেক প্রার্থী দুই তিনটা পর্ব  পার হবার পর বাদ পড়ে তাদের মুখে অনেক কিছু শোনা যায় যেমন, প্রাথমিক মেডিকেলে কি কি বিষয় দেখে, লিখিত পরীক্ষায় কোন কোন বিষয়ে পরীক্ষা নেয়, ভাইভা-তে কি প্রশ্ন করেছিল ইত্যাদি।

কিন্তু এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়না। কারণ শুধু মাত্র ক্যাডেট কলেজ ও বিএনসিসি ক্যাডেট ব্যতিতএসব বিষয়ে কারওই জানা সম্ভব হয় না। তারাই শুধু এসব বিষয়ে পূর্বে থেকে বিভিন্ন সামরিক প্রশিক্ষক দ্বারা প্রশিক্ষন পেয়ে থাকে। সুতরাং তাদের জন্য ডিফেন্সে ভর্তি অনেকটা সহজ হয়ে থাকে। তাছাড়া আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন বাংলাদেশের সামরিক অফিসারগণের অধিকাংশেই বিভিন্ন ক্যাডেট কলেজের স্টুডেন্ট এবং বিএনসিসি ক্যাডেট ছিল। 

যাই হোক যেহেতু সবার পক্ষে ক্যাডেট কলেজে ভর্তি সম্ভব নয় আবার সবার পক্ষে বিএনসিসিতে ভর্তি সম্ভব নয় তাই এই বিষয় গুলো বরাবরই সবার অজানা থেকে যায়। পরিপূর্ণ নির্দেশনার অভাবে যোগ্য প্রার্থী ও তাদের কাঙ্খিত পদে ভর্তি হতে ব্যর্থ হন। তাই আপনাদের মাঝে আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে কিছু শেয়ার করতে চাই আশা করি আপনাদের অনেক কাজে লাগবে। আমার টিউন গুলো নিয়মিত পড়তে থাকুন আপনিও হতে পারবেন একজন দেশসেবক। আপনাদের পরবর্তী টিউন পড়ার আমন্ত্রন জানিয়ে আজ এখানেই শেষ করছি। আমি একজন নতুন টিউনার তাই টিউনে ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আপনাদের কোন বিষয়ে জানার থাকলে জানাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

ফৈইসবুকে আমি

 

 

Level 0

আমি মো হৃদয় হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 9 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস