যদি থাকে ধৈর্য্য তাহলে বিটকয়েন আয় করা আপনার জন্য

বিটকয়েন নিয়ে বিস্তর লেখালেখি হয়েছে।সেসব লেখা থেকে আমার কী শেখা হলো তা শেয়ার করার জন্যই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। নতুন বোতলে পুরান মাল।মাল পুরান হলেও ১০০ভাগ ইউনিক।কথা না বাড়িয়ে মুল প্রসঙ্গে আসি।আমি বিটকয়েন সম্পর্কে কিঞ্চিত ধারনা দেয়ার দেয়ার চেষ্টা করেছি এখানে। ‘বিটকয়েন’ আয় থেকে শুরু করে প্যামেন্ট পাওয়া পর্যন্ত ইতিপূর্বে অনেক বিদগ্ধ জনের লেখা পাবলিশ হলেও তদুপরি আমার জানাটা শেয়ার করলাম মাত্র এখানে। এই জানার মধ্যে কোন গ্যাপ থাকলে কিংবা ভূল থাকলে অথবা- কোথাও দূর্বলতা থাকলে টিউমেন্ট করবেন।শিখে নেব।
বিটকয়েন কী
এটি একটি ভার্চুয়াল করেন্সি।এমনিতে ক্রিপ্টোকারেন্সী নামে সবাই চেনে।এ কারেন্সির বাস্তবিক জীবনে দৃশ্যমান কোন অস্তিত্ব নেই।যার অস্তিত্ব নেই সেটি আবার কারেন্সি হয় কিভাবে?আক্ষরিক অর্থে কথাটি ঠিক হলেও আদতে তা নয়।ভার্চুয়াল জগতে বা অনলাইন দুনিয়ায় এমন আরো অনেক কারেন্সি আছে যা বিটকয়েনের মতোই বিনিময় প্রথার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।বিটকয়েনের মতই বিনিময় হচ্ছে একে-অপরের কাছে।এসব কারেন্সি রিয়েল লাইফের কারেন্সির মত লেন-দেন হলেও কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে এর।
যেহেতু এটির বাস্তবিক দৃশ্যমান সাধারণ কারেন্সির মতো কোন অস্তিত্ব নেই,তাই এটির বিনিময় পদ্ধতির কারনেই এই মৌলিক পার্থক্য সৃষ্টি।এটি রিয়েল লাইফের দৃশ্যমান সাধারণ করেন্সির মত হ্যান্ড টু হ্যান্ড বিনিময় করা হয় না বা যায় না।এটি বিনিময় করার একমাত্র মাধ্যমই হচ্ছে অনলাইন। টাকা,ডলার, ইউরো, ইয়েন, দিনার সহ সকল কারেন্সি সারা দুনিয়ায় রাষ্ট্রিও ভাবে ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় নিয়ন্ত্রিত হয়।সাধারণ কারেন্সি ব্যাংক ব্যবস্থাপনার যে নিয়মে পরিচালিত হয়, বিটকয়েন (কারেন্সি হওয়া সত্ত্বেও) এটি ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত হয় না।এসব (ক্রিপ্টোকারেন্সী) পরিচালিত হয় নিজস্ব পদ্ধতিতে।নিজস্ব সফটওয়ারের মাধ্যমে।সাধারণ কারেন্সি প্রতিটি দেশের রাষ্ট্রিওভাবে ব্যাংক কর্তৃক সেন্ট্রালাইজড হলেও এটি রাষ্ট্রিওভাবে ব্যাংক কর্তৃক সেন্ট্রালাইজড নয়।এটি ডিসেন্ট্রালাইজড।অর্থাৎ প্রথাগত ব্যাংকিং নিয়ম-কানুনের আওতার বাইরে।আর এ কারণেই অনেকের কাছে এ কারেন্সির জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে।
এ কারেন্সি দিয়ে শপিং করা,সেবা পন্য ক্রয়-বিক্রয়সহ মানুষের নানা দৈনন্দিন চাহিদা পূরুনে এক অনন্য ভূমিকা রেখে চলছে।আমাদের দেশের নাগরিক সমাজে এখনো বিটকয়েনের সঙ্গে পরিচিত নয়,পরিচিত নয় এর ব্যবহার সম্পর্কে।বিটকয়েনের (ক্রিপ্টোকারেন্সী) জনপ্রিয়তার কারণে পৃথিবীর অনেক দেশের ব্যাংকিংখাতে আমুল পরিবর্তন এনেছে।যার কারনে বিটকয়েন শুধু ক্রিপ্টোকারেন্সী থাকছে না,রিয়েল লাইফের কারেন্সিতেও রুপান্তর ঘটছে।বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মাত্র ৩২টি দেশের ব্যাংক এগিয়ে এসেছে। তারা ইতিমধ্যে বিটকয়েনের লেন-দেন শুরু করে দিয়েছে।সেসব ব্যাংকের যে কোন গ্রাহক ক্রিপ্টোকারেন্সী থেকে যেমন রিয়েল কারেন্সিতে কনভার্ট করার সুবিধা পাচ্ছে,তেমনিভাবে সুবিধা পাচ্ছে রিয়েল কারেন্সি থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সীতে রুপান্তরেরও।বাংলাদেশ ব্যাংক রিয়েল কারেন্সির লেন-দেন বা কনভার্ট করার সুবিধা থাকলেও বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সী লেন-দেন অনুমোদিত নয়।শোনা যাচ্ছে(অনির্ভরশীল সূত্রে প্রাপ্ত) বাংলাদেশ ব্যাংক নাকি খুব শীঘ্রই বিটকয়েন লেন-দেনের অনুমোদন দেবে।অবস্থা যাই হোক না কেন,বিটকয়েনের অগ্রযাত্রা বিন্দু মাত্র থেমে নেই।বাংলাদেশে অনলাইনে যারা লেন-দেন করে থাকেন তারা বিটকয়েনতো দূরের ব্যাপার, ভার্চূয়াল ব্যাংক একাউন্ট (পেজা,পেওনিয়ার,স্ক্রিল,নেটেলার ইত্যাদি)-এ কোন টাকা জমা করার বিধানই নেই।মানিলন্ডারিং-আইন নীতিমালায় অন্তর্ভুক্তি থাকার কারণে দেশের একটি সম্ভাবনাময় শিল্পের (অনলাইন ইনকাম) অগ্রযাত্রা ভীষণরকম ব্যহত হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করেন।
বিটকয়েন যেহেতু বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রহণই করে না তাহলে বিটকয়েন আয় করে কী হবে?এমন প্রশ্ন মনে জাগতেই পারে। না, এমন ভাবনা না ভাবলেও চলবে। এখন অনেকেই (অনলাইনে যারা ইনকাম করার কাজে নিয়োজিত আছেন) বিটকয়েন ক্রয়-বিক্রয় করে থাকেন।রাষ্ট্টিওভাবে ক্রিপ্টোকারেন্সী স্বীকৃতি না পেলেও অনলাইন জগতে এর চাহিদা ব্যাপক।খুব সহজেই ক্রিপ্টোকারেন্সী অনলাইন অ্যাক্টিটিসদের কছে ক্রয়-বিক্রয় করা যায়।এছাড়া অনলাইনে অনেক পন্য কেনা যায় এই কারেন্সির মাধ্যমে।যেমন ডোমেইন-হোস্টিং(যেসব ডোমেইন-হোস্টিং ক্রয়ের প্যামেন্টম্যাথড বিটকয়েন সাপোর্ট করে),বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সফটওয়ার(বিটকয়েন সাপোর্টেড),বিভিন্ন ইনকাম সাইটের অ্যাডপ্যাক ক্রয়সহ নানা মুখী কাজে রিয়েল করেন্সীর মত লেন-দেন করা যায়।
কিভাবে ফ্রী বিটকয়েন আয় করবেন তা জানার আগে জেনে নিন বিটকয়েনের হিসাব।বিটকয়েনের একক হচ্ছে সাতোশি।টাকার একক পয়সা,ডলারের একক সেন্ট,পাউন্ডের একক পেনি।আমরা সবাই জানি ১০০ পয়সায় ১টাকা,১০০ সেন্ট-এ ১ ডলার।বিটকয়েনের হিসাবও তেমনি।তবে এখানে পরিমানের একটু ভিন্নতা রয়েছে।এখানে ১০০ সাতোশিতে ১ বিটকয়েনে পূর্ণতা পায়নি। ১ বিটকয়েন হতে সাতোশি লাগবে ১০ কোটি।অর্থাৎ ১ বিটকয়েন=১,০০০০০০০০।
কিভাবে বিটকয়েন আয় করবেন।আসলে বিটকয়েন আয় করার বদলে কিভাবে সাতোশি আয় করবেন বলাটাই শ্রেয়।এখানে দু’পদ্ধতিতে সাতেশি আয় করা যায়।প্রথম পদ্ধতি ফ্রী অন্য পদ্ধতি হচ্ছে ইনভেস্ট করে।অনলাইনে অসংখ্য সাইট রয়েছে,যেসব সাইটে ইনভেস্টের মাধ্যমে সাতোশি ট্রেডিং করে আয় করা যায়।যাদের সাতোশি আয় করা সম্পর্কে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে শুধুমাত্র তাদেরই ইনভেস্ট করার পদ্ধতি অনুসরন করা সমীচিন। নচেৎ পুঁজি হারানোর সম্ভবনা অনেক প্রবল।আমরা সবাই জানি অনলাইন ক্ষেত্রটি বিস্বয়কর উদ্ভাবনি হলেও এখানো অবকাঠামোগত কিছু দুর্বলতা রয়ে গেছে, যার কারনে চোর-বাটপার-ঠকবাজদের কর্মকান্ড ঠেকানো সম্ভব হয়নি এখনো পর্যন্ত। বিশেষ করে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ইনকাম ভিত্তিক সাইটগুলোর অবস্থা বেশ করুন।স্ক্যামার-স্ক্যামার-স্ক্যামার(বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাত করে উদাও হয়ে যাওয়া সাইটগুলোকে স্ক্যাম সাইট বলে)।যাই হোক সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ।আমরা জানবো কিভাবে ফ্রী সাতোশী আয় করা যায়।ফ্রী সাতোশি আয় করার আগে আমাদের যে কাজটি প্রথম করতে হবে তা হচ্ছে একটি বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাড্রেস তৈরী করতে হবে।ওয়ালেট অ্যাড্রেস ছাড়া সাতোশি ইনকাম করতে পারবেন না। এই ওয়ালেট অ্যাড্রেসটা হচ্ছে সাতোশি রাখার পকেট।যেখানেই সাতোশি দেখবেন সেখান থেকেই সাতোশি নিয়ে আপনার পকেটে (ওয়ালেট অ্যাড্রেস)রাখবেন, অনেকটা এমন।

যেভাবে ওয়ালেট অ্যাড্রেস তৈরী করবেন
ওয়ালেট অ্যাড্রেস তৈরী করা খুব সহজ।ওয়ালেট অ্যাড্রেস মূলত ৩৪টি বর্ণ নিয়ে গঠিত।ওয়ালেট অ্যাড্রেস অনেক সাইট থেকেই করা যায়।আমি একটি জনপ্রিয় সাইটের কথা বলবো যেটিতে আপনি অনাহাসেই ওয়ালেট অ্যাড্রেস খুলতে পারবেন।সাইটটির নাম কয়েনবেজ ওয়ালেট। এখানে ক্লিক করে কয়েনবেজ ওয়ালেট অ্যাড্রেস তৈরী করে নিন সাধারন নিয়মে। ৩৪টি বর্ণের সাংকেতিক ভাষা দিয়ে তৈরী এই ওয়ালেট অ্যাড্রেস হয়ে গেলে আপনাকে আরো কিছু বিষয় জানা জরুরী।প্রথমত ৩৪ বর্ণের ওয়ালেট অ্যাড্রেসটিকে নোট প্যাডে সেভ করে নিন যাতে সব সময় সহজেই ব্যবহার করা যায়।কয়েনবেজ ওয়ালেট থেকেই অ্যাড্রেস পাওয়া যাবে।সেখান থেকে কপি করে নোট প্যাডে সেভ করে নিতে হবে।
দু’পদ্ধতিতে ওয়ালেট অ্যাড্রেসে সাতোশী জমা হয়
অনলাইনে সাতোশি সাইটগুলো থেকে সাতোশি আয় করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আছে।যেসব সাইট ফ্রী সাতোশী দেয় সেসব সাইটে দুটি পদ্ধতিতে সাতোশি দেয়।এক.সরাসরি ওয়ালেটে ২.ভায়া হয়ে ওয়ালেটে।ভায়া ওয়ালেটে জমা হওয়া সাতোশী ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে মূল ওয়ালেটে জমা হয়।
সরাসরি ওয়ালেট : যে সব সাইট সরাসরি ওয়ালেটে পাঠায় তাদেরও নুন্যতম শর্ত আছে। প্রথম শর্ত হচ্ছে সাতোশীর পরিমান। এসব সাইট থেকে নুন্যতম পরিমান সাতোশী জমা হলেই গ্রাহকের বিটকয়েন ওয়ালেট অ্যাড্রেসে প্রতি সপ্তান্তে(শনি/রবি/সোম) পাঠিয়ে দেয়া হয়। এসব সাইটে ইমেইল এবং ওয়ালেট অ্যাড্রেস দিয়ে সাইন আপ করে নিতে হয়
ভায়া ওয়ালেট : যে সব সাইট সরাসরি গ্রাহকের মুল ওয়ালেটে সাতোশী পাঠায় না সেসব সাইট গুলোকে ভায়া ওয়ালেট বলে।যেমন ফুসেটহাব।সাতোশী দেয়া সাইট থেকে অর্জিত সাতোশী প্রথমে ‘ফুসেটহাব ওয়ালেটে’ পাঠানো হয়। এসব ভায়া ওয়ালেটে জমাকৃত সাতোশীর পরিমান যা নির্দিষ্টকরণ আছে তা পূরুণ হলে ১২-৪৮ ঘন্টা পর সাতোশী ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে গ্রাহকের মুল ওয়ালেটে জমা হয়। এসব ‘ভায়া ওয়ালেট’ সম্বলিত সাইটগুলোতে সাইন-আপ করতে হয়। ম্যানুয়ালি পদ্ধতিতে উইথড্র বাটন টিপে ফুসেটহাব(ভায়া ওয়ালেট) থেকে কয়েনবেজ ওয়ালেটে সাতোশী প্রেরণ করতে হয়।
ফ্রী সাতোশী আয় করা সহজ নয়
যদি থাকে ধৈর্য্য সাতোশী আয় করা তাদেরই জন্য। সাতোশী আয় করা সহজ কাজ নয়। পিটিসি সাইটগুলোর মতো এত সহজও নয়। তবে যারা নিয়মিত কয়েক ঘন্টা করে সময় দেন তাহলে মাসের ইনকামটাও হবে বাহারী।সাতোশী বেশী আয় করার একমাত্র পন্থা হচ্ছে রেফারের সংখ্যা বাড়ানো।যার যত রেফারের সংখ্যা বেশী তার ইনকামের পরিমানও বেশী।
কিভাবে কাজ করতে হয়

সব সাতোশী সাইটের কাজ একই ভাবে করা যায় না। আসলে কয়েকটি ধাপ অতিক্রম করেই ফ্রী সাতোশী উপার্জন করতে হয়। বিটকয়েন অ্যাড্রেসটি দেয়ার পর যেসব ধাপ অতিক্রম করতে হবে- যেমন A FaucetHub account is required to Claim লেখার নীচে “এন্টার ইয়োর বিটিসি অ্যাড্রেস” ঘরে আপনার বিটিসি অ্যাড্রেস পেস্ট করতে হবে। অথবা Slide to validate the captcha লেখাযুক্ত নীচে একটি পয়েন্ট রয়েছে। সেই পয়েন্টটি ধরে মাউসের লেফট বাটন চেপে ডান দিকে স্লাইড করতে হবে। তারপর ভেরিফাই ক্যাপচা বাটনে ক্লিক করে পরের ধাপে যেতে হবে .২ দ্বিতীয় ধাপে Please click on the AntiBot links in the following order লেখার নীচে ক্লিক করার জন্য ক্রমানুসারে হিন্ট দেয়া থাকে।এখানে তিনটি অথবা চারটি অ্যান্টিবট বিভিন্ন নামে অবস্থান করবে।সেগুলো ক্লিক করার জন্য ক্রমানুসারে হিন্ট অনুযায়ী অ্যান্টিবট-এর উপর ক্লিক করে দ্বিতীয় ধাপ সম্পূর্ণ করতে হবে। এরপর ক্লেইম সাতোশী বাটনে ক্লিক করে তৃতীয় ধাপে যেতে হবে। এই ধাপে এসে দেখা যাবে Please check the captcha box to proceed to the destination page এখানে আবার খ্যপচা পূরুণ করতে হবে। এখানে ক্যাপচা পূরুণ করার পর স্ক্রলিং করে নীচে এসে Click here to continue ক্লিক করে শেষ ধাপ সম্পূর্ণ করতে হবে। এই কাজ গুলো সম্পূর্ণ করার সময় যদি অন্য কোন পপআপ বা সাইট আসে তা বন্ধ করুন. এরপর YOUR LINK IS ALMOST READY লেখা এসবে। কাউন্ট ডাউন দেখা যাবে ১০ অথবা ৫ সেকেন্ডের। এরপর গেটলিংক বাটনে করলেই আপনার ফ্রী সাতোশী পেয়ে যাবেন।
অনেক সময় সব ঠিক-ঠাক পূরুন করার পরও সাতোশী পাওয়া যায় না।তবে এটা কোন সমস্যা নয়।কারণ ফ্রী সাতোশী দেয়ার সাইট রয়েছে অসংখ্য। ১০০টি সাইটের মধ্যে ১০টি সাইট সাতোশী পাওয়া না গেলে তেমন সমস্যা নয়। শুধু সেই সব সাইটগুলো মনে রাখলেই চলবে।
তিনটি কাজ করাটা কেন কঠিন
ফ্রী সাতোশী সাইট গুলোতে ওয়ালেট অ্যাড্রেসবারে গ্রাহকের ৩৪ বর্ণের অ্যাড্রেস দেয়া থেকে শুরু করে ক্লেইম বাটন ক্লিক করা পর্যন্তই কাজ।এসব সাইটে এই তিনটি কাজ সম্পূর্ণ করার জন্য একজন গ্রাহককে গোলক ধাঁধার চক্করে ফেলে দেয় যেন।সাইটগুলোতে প্রবেশ করলে দেখা যায় অসংখ্য বিজ্ঞাপন এলোমেলো ভাবে দেয়া। গ্রাহক যাতে ভুল করে বিজ্ঞাপনেই ক্লিক করে।ফেইক অ্যাড্রেসবার,ফেইক ক্যাপচা বাটন,ফেইক ক্লেইম বাটন। এখন এখান থেকে চিনে বের করতে হবে আসল বাটনগুলো কোনটি।ভয় পাওয়ার কোন কারণ নেই। দু’একদিন কাজ করলেই সবই আয়েত্তে এসে যাবে।অনেক সময় আসল ওয়ালেট অ্যাড্রেসবার এবং ক্যাপচা ঘর খুঁজে পাওয়া গেলেও ক্লেইমবাটন খুঁজে পাওয়া না।
আসলে একেক সাইট একেক রকম ভাবে ক্লেইম বাটনকে লুকিয়ে রাখে।অনেক সময় ক্যাপচা পূরুন করলেই (ভিন্ন ভিন্ন নামে) ক্লেইম বাটন দেখা যায়। রিওয়ার্ড,গেট রিওয়ার্ড,ক্লেইম ইত্যাদি।আবার এই ক্লেইম বাটন দেখার জন্য ৪টি/৬টি/৭টি ‘অ্যান্টি বট’ ভিন্ন ভিন্ন নামের টেক্সট আকারে ক্ষুদ্রাকৃতির বাক্য ছড়ানো থাকবে এলোমেলোভাবে। সেসব অস্পষ্ঠ অ্যান্টি বটগুলো খুঁজে বের করে একে একে ক্লিক করতে হবে।
মনে রাখতে হবে অ্যান্টিবটগুলোকে এমনভাবে ক্লিক করতে হবে যাতে বিজ্ঞাপনের গায়ে ক্লিক না পরে।উল্লেখিত নির্দিষ্ট সংখ্যক অ্যান্টিবট ক্লিক করার পর ক্লেইম বাটন দেখা যাবে।তবে ক্লেইম বাটনের আকার বা আকৃতি সব সাইট এক রকম হবে না। কোনটা ছোট আবার কোনটা বড় হবে।আকৃতি যেমনি হোক না কেন তাতে ক্লিক করে কাজ সম্পূর্ন করতে হবে।
নিয়মিত ফ্রী সাতোশী আয়ের সাইট
ফ্রী সাতোশী সাইটগুলো প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হয়।এই পরিবর্তন হওয়ার কারনে গ্রাহকরা বিনিয়োগ করে হিসেব করে।তবে এখানে কিছু সাইটের লিংক দেয়া হলো, তা শুধু ফ্রী সাতোশী আহোরণের জন্যেই।বিনিয়োগের জন্যে নয়। না বুঝে বিনিয়োগ করা উচিত নয়।এবার নীচের লিংকে ক্লিক করে ফ্রী সাতোশী আয় শুরু হোক। এখানে মাত্র গোটা বিশেক ফ্রী সাতোশীর লিংক দেয়া হলো।আরো অনেক সাইট আছে।এসব সাইটেই কাজ করতে যেয়ে অন্তত কয়েক’শ সাইটের স›দ্ধান পাওয়া যাবে।এসব সাইটে কোনটা প্রতি ঘন্টা,আবার কোনটা ২/৩/৬/৮/১০-২৪ ঘন্টা পরপর ফ্রী সাতোশী ক্লেইম করা যায়।
update
Adbtc
Freebitcoin
forumcoin win
claimbits
gobits
rektcoins
bitsforclicks
freesatoshisfh
silverbit
forumcoin btc
forumcoin bitcoin
bitcoin alekscoin
vivocoin
mafiacoins
rektz
chronox

সত্যিই কঠিন অনলাইনে ইনকাম
অনলাইনে ইনকাম করা সত্যিই কঠিন।এই কঠিন কাজে সাকসেস পেতে হলেও ধৈর্য্যর বিকল্প নেই।অনলাইনে আয় করার অসংখ্য পথ আছে। কিন্তু সবার পক্ষে তার নাগাল পাওয়া যেমন সহজ নয়,তেমন অসম্ভবও নয়।ধৈর্য্য ধরে লেগে থাকলে এর সুফল পাওয়া যায়।প্রতিদিন একটু একটু করে শিখতে হয়।অললাইনে সফলতা পাওয়ার মূল মন্ত্র হচ্ছে শিক্ষা নেয়া।যার যত জানার পরিধি বেশি তার সফলতার পাল্লাটাও ভারী। অনলাইনে বিটকয়েন বা পিটিসি সাইটের ইনকাম সত্যিকারের ইনকাম বোঝায় না।এরকম সাইটে ইনকাম করা এতটাই সহজ যে বাড়ীর গৃহকর্মী কিংবা নিরক্ষর যে কোন ব্যক্তিকে একটু মাউস ধরা এবং কি-বোর্ডের অক্ষর বাটনগুলো চিনিয়ে দিলেই হলো,ব্যাস তারাও একাজটি করতে পারবে।কিন্তু সম্মানজনক জীবন-যাপন করার জন্য যে পরিমান অর্থের প্রয়োজন সে পরিমান টাকা পিটিসি বা বিটকয়েন সাইট থেকে আয় করা দূরূহ ব্যাপার(তবে এর মধ্যে ব্যতিক্রমও আছে,যারা বিনিয়োগ করে এবং কিছু কৌশল অবলম্বন করে নিজেকে পুরোদমে নিয়োগ করেছে তাদের সফলতা অধিকাংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না)।তাহলে প্রশ্ন জাগতে পারে এ কাজটি কী করবো না কিংবা এ আর্টিকেল লেখার উদ্দেশ্য বা কী ? উত্তর অবশ্যই করতে হবে। অনলাইনে স্বীকৃত আয়ের কাজগুলো করতে হলে এসব কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে।এখানেও শেখার অনেক কিছু আছে।তবে লক্ষ্য থাকতে হবে ভালো কাজের স›দ্ধান করা।ভালো কাজ শেখান এমন অনেক ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠান আছে,সেসব ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ শিখে অনলাইনে কাজ করলে সফলতা আসে দ্রুত।এছাড়া আরেকটি মাধ্যম আছে কাজ শেখার।সেটা হচ্ছে গুগলের একটি প্রতিষ্ঠান ইউটিউব।এই ইউটিউব হচ্ছে বড় বস।এই ইউটিউব ঘেটে যা পাওয়া যাবে, তা বিস্ময়কর!যে কেউ এ মাধ্যম থেকে জেনে অনেক আইডিয়া জেনারেট করতে পারবে নিজ থেকেই।
পরিশেষ
লেখা শুরু করেছিলাম বিটকয়েন দিয়ে,শেষ করতে চাই বিটকয়েন দিয়েই।বিটকয়েন এমন একটা কারেন্সি যে কারেন্সি ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও এর প্রচলন শুরু হবে। শুধু কালক্ষেপন মাত্র।তাই এ কারেন্সি সম্পর্কে শুধু জানাই নয়,প্রত্যক্ষভাবে সক্রিয় থাকা একান্ত জরুরী।আজকের অল্প একটু জানা এবং ইনকাম ভবিষ্যতে তা সম্পদে পরিনত হবে। লেখাটি আমার একান্ত নিজস্ব মতামত।আমার ধারনা ভূল কিংবা লেখার কোথাও অসঙ্গতি রয়েছে এমন কিছু থাকলে টিউমেন্ট করতে ভুলবেন না।

Level 0

আমি মোস্তাফিজুর রহমান খান সুমন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 7 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

৭০+ সর্বোচ্চ পেমেন্ট করা বিটকয়েন সাইট। সর্বোচ্চ ৩৫০০ সাতোশি থেকে সর্বনিন্ম ১০০০ পর্যন্ত। প্রতিদিন 200000+ লক্ষ Sathoshi আয় করতে পারবেন।

http://bitcoinzone.wapka.me/index.xhtml

টিউনটা ভালোই লেগেছে……তথ্যবহুল ছিল- নতুনদের জন্য বিষয়টির সহজবোধ্যতাও অাছে……অারেকটু অাকর্ষক করতে পারতেন যদি কনটেন্ট হিসেবে কিছু প্রাসঙ্গিক ছবি যুক্ত করে দিতেন…..এ ধরনের টিউন বেশ কিছু হয়েছে- তবে মাঝে মধ্যেই সবার টিউনেই সামান্য হলেও নতুন তথ্য জানা যায়….

চালিয়ে যান…..অারও দারুন টিউনের প্রত্যাশায় অাছি 🙂