কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন !(2য় পর্ব)

স্বাগতম আপনাকে কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহারের কিছু নিয়ম কানুন !(2য় পর্বে)।আসলে আমরা যখন কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করি তখন না জেনে আমরা অনেক ভূল করে থাকি।আর এই ভূলের কারনে আপনার পি.সির অনেক ক্ষতি হয়।এমন কি আপনার পার্সোনাল  তথ্য হাতিয়ে নিতেও সক্ষম হয় হ্যাকাররা।আসুন কিছু নিয়ম মেনে চলি আর নিজের কম্পিউটার নিজেই রক্ষা করি।

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার

তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর কম্পিউটার-ইন্টারনেটের যুগে আমরা কমবেশি সবাই পাসওয়ার্ড নামক শব্দটির সাথে ব্যাপকভাবে পরিচিত। পাসওয়ার্ড শব্দটির সাথে কম্পিউটার ও অনলাইন নিরাপত্তার বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে সামনে চলে আসে। যেহেতু অনলাইন নিরাপত্তা অনেকখানি আপনার পাসওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে তাই পাসওয়ার্ড সুরক্ষার বিষয়ে আপনাকে অধিক মনোযোগী হতে হবে। আপনার অনলাইন অ্যাকাউন্ট এবং সিস্টেম ফাইলের জন্য শক্তিশালী পাসওয়ার্ডের ব্যবহার আপনার তথ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। পাসওয়ার্ড হিসেবে আপনি নিজের নাম কিংবা জন্মতারিখ ব্যবহার করবেন না। কারণ তা খুব সহজেই বুঝে যেতে পারে। এক্ষেত্রে নিরাপদ পাসওয়ার্ড ব্যবহারের খুঁটিনাটি বিষয়গুলো আপনার জানা থাকা আবশ্যক। আপনি এমন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন যা হবে আলফানিউমেরিক ক্যারেকটার সমৃদ্ধ এবং এটা নূন্যতম আাট ক্যারেক্টার বিশিষ্ট হতে পারে। অনেকে নিজের সিস্টেমের মধ্যে পাসওয়ার্ড স্টোর করে রাখে। যা নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে সাহায্য করে। তাই আপনার সিস্টেমের মধ্যে কখনো পাসওয়ার্ড স্টোর করবেন না। আপনাকে সবসময় জটিল পাসওয়ার্ড ব্যবহারের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। আপনার পাসওয়ার্ড অর্গানাইজ এবং ম্যানেজ করতে পাসওয়ার্ড ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন। একটি ভাল পাসওয়ার্ড ম্যানেজার প্রোগ্রাম আপনার সকল পাসওয়ার্ডগুলোকে অ্যানক্রেপট করবে। কেউ কেউ নিজের পাসওয়ার্ড অন্যের সাথে শেয়ার করে থাকেন। যা অনেক সময় আপনার অনলাইন নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিতে পারে। এই দিকটি বিবেচনা করে আপনার পাসওয়ার্ড অন্য কারো সঙ্গে কখনোই শেয়ার করবেন না।

 

ফায়ারওয়াল ইন্সটল এবং ব্যবহার

কম্পিউটার থেকে তথ্যের আদান-প্রদানজনিত কারণে কিছু সতর্কতার অভাবে আপনার কম্পিউটার নিরাপত্তা ঝুঁকির কবলে পড়তে পারে। এক্ষেত্রে কিছুটা বাড়তি সতকর্তা পূর্ণাঙ্গরূপে আপনার কম্পিউটারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। আপনার সিস্টেমে তথ্যের আদান-প্রদান নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে একটি ফায়ালওয়াল ব্যবহার করতে পারেন। আপনার সিস্টেমের অথোরাইজড অ্যাকসেস হিসেবে ফায়ারওয়াল প্রতিরোধ করতে সক্ষম। ফায়ারওয়াল আপনার ইনকামিং এবং আউটগোয়িং তথ্যের কার্যকরী সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

এন্টি-ভাইরাস এবং এন্টি-স্পাইওয়্যার টুল ইন্সটল করুন

কম্পিউটার ব্যবহারকারী হিসেবে ভাইরাসের সাথে আমরা যেমন সবাই পরিচিত। তেমনি ভাইরাস প্রতিরোধে এন্টি-ভাইরাসের সাথেও আমরা পরিচিত। বর্তমানে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য অনেক কম্পিউটার ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ভাইরাস, স্পাইওয়্যারজনিত আক্রমণে কম্পিউটার ব্যবহারে আমাদেরকে অনেক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বিভিন্ন ক্ষতিকারক কম্পিউটার প্রোগাম যেমন- ভাইরাস, ওয়ার্ম, অ্যাডওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার থেকে আপনার সিস্টেমকে সুরক্ষিত রাখতে আপনি এন্টি-ভাইরাস এবং এন্টি-স্পাইওয়্যার টুল ব্যবহার করতে পারেন। নিয়মিত আপনার কম্পিউটারের সম্পূর্ণ সিস্টেমের স্ক্যান সম্পাদন করতে এই টুলগুলো কনফিগার করতে পারেন। সর্বশেষ হুমকি থেকে আপনার সিস্টেমকে রক্ষা এবং বিভিন্ন রকম আক্রমণ সনাক্ত করতে এই টুলগুলো সক্ষম। এমনকি টুলগুলো সর্বশেষ ভাইরাসকে সংজ্ঞায়িত এবং নিরাপত্তা আপডেট করতেও সক্ষম। যদিও ইন্টারনেট ব্যবহারের ফলে আমাদের দৈনন্দিন জীবেনর নানা কার্যক্রম সহজ হয়েছে তবুও আপনার কম্পিউটারের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা গ্রহণ করতে সতকর্তা অবলম্বন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এন্টি-স্পাইওয়্যার টুলের ব্যবহার আপনার কম্পিউটারকে ভাইরাস এবং স্পাইওয়্যার মুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। আপনার কম্পিউটারকে স্পাইওয়্যার, মালওয়্যার, অ্যাডওয়ার, ভাইরাস এবং অন্যান্য কম্পিউটার আক্রমণ থেকে নিরাপদ রাখতে ভাইরাস এন্টি-স্পাইওয়্যার প্রোগ্রাম কার্যকরী ভূমিকা রাখবে। স্পাইওয়্যার প্রতিরোধ এবং রিমুভ করতে আপনি   www.sywarefixpro.com  এই ওয়েব সাইটটি থেকে বিস্তারিত তথ্য পেতে পারেন।

 

আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখার টিপস

সাইবার আক্রমণ থেকে আপনার নেটওয়ার্ককে সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ক নিরাপদ রাখতে অবশ্যই কিছু কলাকৌশল প্রয়োগ করতে হবে এবং এ বিষয়ে ধারণা থাকাও আবশ্যক। কোন ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ল্যাপটপ ব্যবহার করলে অনেক সময় আপনি মুক্ত অনিরাপদ ওয়্যারলেস অ্যাকসেস সনাক্ত করতে পারেন। ফ্রিলোডার, ক্ষতিকর কার্যক্রম যেমন এটা হতে পারে পাসওয়ার্ড স্নিফ করার জন্য খোলা অনিরাপদ ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কগুলো খুবই সংবেদনশীল। আচ্ছা ধরুন বাইরের কেউ একজন অবৈধভাবে কপিরাইট ম্যাটেরিয়াল ডাউনলোড করছিল এবং তদন্তে অবৈধ এই কার্যক্রমের সূত্র খুঁজতে গিয়ে দেখা গেল এই অপরাধ আপনার রাউটার থেকে হয়েছে। ভেবেছেন এরকম কোনো ঘটনার সম্মুখীন হলে কি ধরনের বিপদের মুখে আপনি পড়তে পারেন? এজন্যই ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ক সর্বদাই নিরাপদ রাখা প্রয়োজন। সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ককে রক্ষা করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। সৌভাগ্যবশত সম্প্রতি সহজলভ্য কনজ্যুমার গ্রেইড রাউটারগুলো এখন সর্বোচ্চ শক্তিশালী এবং সহজেই প্রদান করছে ওয়্যারলেস নিরাপত্তা সম্বলিত নানা ধরনের বৈশিষ্ট্য।

আপনার হোম ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সুরক্ষিত রাখতে বেশকিছু টিপস্‌ অনুসরণ করতে পারেন যা আপনার নেটওয়ার্কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে। আপনার রাউটারের এসএসআইডি (সার্ভিস সেট আইডেন্টি ফায়ার) দুবৃত্তদের ল্যাপটপ অথবা ওয়্যারসে এনাবল ডিভাইসের সনাক্তকরণ সহজেই প্রতিরোধ করতে পারে। সাধারণভাবে একটি নন-ব্রডকাস্টিং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ককে সংযুক্ত করতে এই অপশনটি ওয়্যারলেস ডিভাইসের উপর চাপ প্রয়োগ করে থাকে। সম্পূর্ণভাবে এসএমআইডি সংযুক্ত করার নিয়ম-কানুন ওয়্যারলেস ডিভাইস ব্যবহারকারীদের জানা উচিত।

আপনার এসএসআইডি ব্রডকাস্ট করতে আপনি যদি অধিকর শ্রেয় মনে করেন তবে যেকোনোভাবে আপনি অস্পষ্ট নাম ব্যবহার করবেন যেন কেউ চিহ্নিত করতে না পারে যে আপনি কে।

ম্যাক আড্রেস ফিল্টারিং করতে সক্ষম। একটি ম্যাক অ্যাড্রেস হচ্ছে ইউনিক আইডেন্টিফায়ার বিভিন্ন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের দ্বারা নেটওয়ার্ক ডিভাইস সম্পাদন করে। একমাত্র অনুমোদিত ম্যাকঅ্যাড্রেস গ্রহণ করতে ওয়্যারলেস রাউটার কনফিগার করতে পারে। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক কার্ডের ডিভাইস প্রোপাটিজ দেখার দ্বারা সহজেই কম্পিউটারের ম্যাক অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।

ওয়াই-ফাই প্রোটেক্টড অ্যাকসেস (ডব্লিউপিএ) অথবা ডব্লিউপিএ২ (ভার্সন২) এর সাথে টেমপোরাল কী ইন্টিগ্রিটি প্রোটকল (টিকেআইপি) অথবা অ্যাডভান্সড এনক্রেপশন স্ট্যান্ডার্ড (এইএস) বাস্তবায়নের দ্বারা এনক্রেপশন করা সম্ভব। যদি আপনার ওয়্যারলেস ডিভাইস ইহা সাপোর্ট করে, তবে ডব্লিউপিএ২-এর সাথে এইএস হবে অধিকতর শ্রেয় এনক্রেপশন মেথড। আরেকটি অন্যতম সেরা বিকল্প হচ্ছে ডব্লিউপিএ যা টিকেআইপি’র সমন্বয়ে। যা বেশ পুরনো দিনের ওয়্যারলেস ডিভাইসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ, যা ডব্লিউপিএ২ এইএস সাপোর্ট নাও করতে পারে। দীর্ঘদিন নির্ভরযোগ্যভাবে নিরাপদ বিবেচনা হিসেবে ডব্লিউইপি বর্জন করা ভাল। এনক্রেপশন মেথড এর উপর অবিচল থাকার পর পাশ ফ্রেইজ হচ্ছে সর্বশেষ পদক্ষেপ। শক্তিশালী পাশ ফ্রেইজের সাথে ছয় অথবা তার চেয়ে বেশি আপার এবং লোয়ারকেস লেটার এবং নম্বারের নূন্যতম ব্যবহার। যদিও দুর্বল প্রযুক্তিগত সমস্যার জন্য রাউটারের নিরপত্তা অপশনগুলো সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত হতে পারে। বেশিরভাগ রাউটার উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো যে কাউকে সহজেই সেটআপ, কনফিগার এবং ওয়্যারলেস অ্যাকসেসের নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে সহজে সাহায্য করে থাকে বিস্ময়কর ক্ষমতাসম্পন্ন নিরাপত্তা প্রোসেস প্রদান করে। আপনার ওয়্যারলেস হোম নেটওয়ার্ককে রক্ষা করে নিরাপদ রাখার বিষয়টি গুরুত্বের বিবেচনায় উপেক্ষা না করে প্রোঅ্যাকটিভ হবেন।

টিউনটি প্রথমে এখানে প্রকাশিত।

বন্ধুরা আমি VFX এর কাজ শিখছি।আর তাই আমার এডিটিং করা একটি VFX লিংক দিলাম যদি ভাল লাগে একটু ঘুরে আসবেন

যারা আমার আগের টিউন দেখেন নাই এখানে দেখতে পারেন।
আমাকে ফেইসবুকে ফ্যান পেজে এখানে ক্লিক করুন।
আমার ইউটিউব চ্যানেল দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

 

আমার  Fb Page,youtube Channel,techtunes  ভাইয়ারা দয়া করে কেউ বাজে টিউমেন্ট করবেন না  ।আর এমন টিউমেন্ট করবেন  না  যে টিউমেন্টের জন্য  মনটা খারাপ  হয়ে যায়। মনে রাখবেন আমার বা অন্য কারো টিউন  আপনার উপকারে আসবে।কারন এই  কথা গুলো  বলার  পেছনে একটা কারন আছে।কারন  আমার কাছে থাক।

আজ এ পর্যন্তই।দেখা হবে আগামী পর্বে।সে পর্যন্ত ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করে আজকের মত বিদায়।

 

 

 

Level New

আমি রবিউল ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 8 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 52 টি টিউন ও 70 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Thanks bro……