আপনার হৃদয় অজান্তে বলে উঠবে যে, এই কিতাব…এই কুরআন… কোন মানুষের বাণী নয় বরং ইহা রহমান, রহিম, এই দুনিয়ার মালিকের বাণী। চ্যালেঞ্জ…

 মূল বর্ণনায় যাওয়ার আগে কিছু কথা বলে নেই, আমি বাংলা, আরবি ভাল ভাবে টাইপ করেতে পারি না তারপরও অনেক কষ্ট করে টাইপ করেছি। হয় তো আমার অনেক কষ্টে করা এই পোস্টি অনেকেই সম্পূর্ণ পড়বেন না, এতে আমার কোন দুঃখ নেই কিন্তু অনুগ্রহ করে like, comment, প্রিয়তে এবং আপনার বন্ধু কে জানাতে ভুল করবেন না। কারণ এই পোস্টি ১-২ দিনের মধ্যেই হারিয়ে যাবে। আর আপনি যদি like, comment, প্রিয়তে এবং বন্ধু কে জানান তাহলে এই পোস্টি আবার পুনরায় হট টিউনে ফিরে আসবে, আবার অনেক পাঠকের পড়ার সুযোগ হবে। আর সত্যি যদি আপনি কষ্ট করে সম্পূর্ণ পোস্টি পড়েন, আর যদি ভাল লাগে অবশ্যই আমাকে জানাবেন my Facebook ID here. কোথাও কোন ভুল থাকলেও আমাকে জানাবেন। আল্লাহ সবাই কে বুঝার তাওফিক দান করুক আমীন।

আল কুরআন এবং ১৯ এর প্রকৌশল

বিজ্ঞান, গণিত, কম্পিউটার এর সাক্ষ্য দ্বারা আল কুরআন আল্লাহর বাণী হওয়ার প্রমান দেয়া হয়েছে।এছাড়াও আল কুরআনের সাথে ১৯ এর প্রকৌশল বড়ই সৌন্দর্যের সাথে উপস্থাপন করা হয়েছে।

  আল-কুরআন : ইতিহাস সাক্ষী যে, যখন কোন পয়গম্বর এসে আল্লাহ পাকের বাণী দুনিয়াবাসীকে দেন তখন তারা সর্বদাই তাঁদের নিকট এ বাণীর সত্যতার জন্য প্রমান দাবী করেছে। এরূপে যখন আখেরী পয়গাম্বর হযরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সাঃ) এলেন এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর একত্ববাদ এবং স্বীয় রিসালাত এর ঘোষণা দেন তখন লোকেরা ঐ ভাবে প্রমান চাওয়া আরম্ভ করল যেমন ভাবে আগেকার লোকেরা করেছিল। তাদের দাবি আল-কুরআনে এভাবে বর্ণনা করা হয়েছে-

    `এবং কফেররা বলল -  কেন তাঁর ওপর তাঁর রবের পক্ষ থেকে নিদর্শন নাযিল হয় না ?' (আনকাবুত:৫০)

     এসকল লোকেরা রাসূল (সাঃ)- এর নিকট বলল যে,, আপনি আসমান পর্যন্ত সিঁড়ি লাগান এবং আমাদের সামনে এর উপরে আরোহন করে আল্লাহ তায়ালার নিদর্শন নিয়ে আসুন তখন আমরা ঈমান আনব। এ সময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রাসূল (সাঃ)-কে নির্দেশ দিলেন-

     `আপনি বলে দিন যে, নিদর্শন তো আল্লাহর কাছেই, আমি তো শুধুমাত্র একজন ভয় প্রদর্শনকারী মাত্র।' (আনকাবুত:৫০)

     আল কুরআন কাফিরদের প্রকৃতির বাইরে নিদর্শন দাবির প্রেক্ষিতে জবাব দিয়েছেন।"

     `ঐ লোকদের জন্য এই নিদর্শন কি যথেষ্ঠ নয় যে, আমরা আপনার ওপর কিতাব নাযিল করি যা তাদের সামনে পাঠ করা হয়, নিশ্চয়ই এর মধ্যে রহমত, উপদেশ রয়েছে ঈমানদার সম্প্রদায়ের জন্য।' (আনকাবুত:৫১)

      আল্লাহর বাণী: পবিত্র আল কুরআন স্বয়ং আল্লাহর বাণী হওয়ার ব্যাপারে দুটি প্রমান উপস্থাপন করা হল :-

    ১. রাসূল (সাঃ) প্রচলিত নিয়মানুযায়ী নিরক্ষর ছিলেন। রাসূল (সাঃ) পৃথিবীর কারো কাছে থেকে পড়া শিখেন নি। কোথাও কোন বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণ করেন নি। ( এটা ঐতিহাসিক সত্য ) এজন্য এ মহান কিতাব রাসূল (সাঃ)-এর তৈরী করা সম্ভবই নয়। এভাবে আল কুরআন সাক্ষ্য প্রদান করে।

     `আপনি তো  এর পূর্বে কিতাব পড়েন নি, আর আপনি আপনার ডান হাত দ্বারা লিখেনও নি, অথচ বাতিলপন্থীরা সন্দেহ পোষণ করে।' (আনকাবুত:৪৮)

      যদি রাসূল (সাঃ) প্রচলিত ধারায় লেখা-পড়া জানতেন, তা হলে এ রকম সন্দেহের কোন অবকাশ থাকত যে, নবী পাক (সাঃ) ইহুদী খৃষ্টানদের কিতাব পড়ে সুন্দর করে মিষ্টি ভাষায় কুরআন রচনা করেছেন। অথচ আল কুরআন এবং ইতিহাস এ ধরনের সন্দেহের কোন অবকাশ রাখে নি।

     ২. আল কুরআন স্বয়ং এ কথার প্রমান যে, ইহা আল্লাহর কালাম। ইহা কাফিরদের চ্যালেঞ্জ করে যে, তোমরা পূর্ণ কুরআন মাজীদ, কিংবা কমপক্ষে এর একটি সূরা তৈরী করে নিয়ে আস। যদি একটি সূরা না পার তাহলে আল কুরআনের অনুরূপ একটি আয়াত বানিয়ে নিয়ে আস। কিন্তু তোমরা সারা পৃথিবীর লোক মিলেও আল কুরআনের মত করে একটি আয়াতও বানাতে পারবে না। কেননা ইহা আল্লাহর কালাম এবং তোমার স্রষ্টার মত কালাম আনতে পারবে না। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা করেছেন-

      `এবং যদি তোমরা ( হে কাফিরগণ ) সন্দেহের মধ্যে নিপতিত থাক, আমি আমার বান্দার ওপর যা নাযিল করেছি সে ব্যাপারে, তাহলে তোমরা অনুরূপ একটি সূরা নিয়ে আস এবং তোমাদের সাহায্যকারীদের ডাক, আল্লাহকে ছাড়া, যদি তোমরা সত্যবাদী হও। যদি তোমরা না পার এবং তোমরা অবশ্যই তা পারবে না, তাহলে তোমরা ভয় কর সে আগুন কে যার লাকড়ি হবে মানুষ এবং পাথর, তা তৈরী করা হয়েছে কাফিরদের ( কুরআন  অস্বীকারকারীদের ) জন্য।' (বাকারা:২৩-২৮)


      আধুনিক বিজ্ঞানের সাক্ষ্য : বর্তমান দুনিয়ায় প্রায় ১৫০ কোটিরও বেশি মুসলমান আছে এবং প্রত্যেক মুসলমানের

বিশ্বাস এই যে, আল কুরআন, ফুরকানে হামীদ ঐশী কিতাব এবং এক স্থায়ী মুজিযা। পন্ডিত দুনিয়ার কয়েকজন বড় বড় অমুসলিম পন্ডিত ব্যক্তিও এর এর মুজিযার স্বীকৃতি দিয়েছেন।

    পাদ্রী বাসভার্থ স্মীথ বলেন: `নিঃসন্দেহে পবিত্র আল কুরআনে হাকীম বর্ণনা, বীরত্ব ও সত্যবাদীতার এক মুজিযা।'

     অন্য এইকজন ইংরেজ এ, জে, বেরী লিখেন: আল `কুরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আমার স্বর মাধুর্যের আনন্দ এবং হৃদয়ের কম্পন শ্রবণ করিয়ে দেয়।

     কিন্তু সাধারণ শিক্ষিত অমুসলিম অথবা নাস্তিক বৈজ্ঞানিকগণ একথা বলে যে, আমি আরবি ভাষা সম্পর্কে কিছুই জানি না। এ জন্য আমি আল কুরআন ভাষার বড়ত্ব এবং শিক্ষার আন্দাজ করতে পারি না। যেহেতু আমরা এগুলো বুঝি না তাহলে আমরা কিভাবে বুঝব যে, আল কুরআন  হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর ওপর নাযিল হয়েছে এবং তা একটি মুজিযা ? এ ধরনের পন্ডিত বিজ্ঞানীদের নিকট পৃথিবী সৃষ্টির ব্যাপারে যদি প্রশ্ন করি তাহলে উত্তর পাওয়া যাবে যে, বিলিয়ন বিলিয়ন বছর আগে এ সৃষ্টিকুল বস্তুর একটি বিশাল পিন্ড ছিল এবং বস্তুর একটি প্রকান্ড টুকরা ছিল , অত: পর এই বিশাল খন্ডের মধ্যে মহা বিস্ফোরণ ঘটলো তখন বস্তুর বড় বড় অংশ চুটে খালি স্থানের সকল কক্ষ পথে ছুটাছুটি লাগল। এই বিস্ফোরণের ফলে আমাদের শৃঙ্খলায় সূর্য এবং গ্রহ ও নক্ষত্রগুলোও অস্তিত্বে আসে এবং সকল  গ্রহ-নক্ষত্র আপনাপন পথে ঘুরতে থাকে।

     অত: পর আমরা এ সকল বৈজ্ঞানিকদের নিকট জানতে চাই আপনাদের এ বিষয়ে জ্ঞান কবে হলো? তখন তারা উত্তর দেয় যে, পঞ্চাশ বছর আগে এ কথার আবিস্কার হয়েছে। এরপর আরো প্রশ্ন জিজ্ঞেস করি যে, সাড়ে চৌদ্দশত বছর আগে বালুময় আরবের এক ব্যক্তি এ জ্ঞান ছিল। তাহলে জবাব আসবে কখনো নয়। তখন আমি তাকে বললাম আরবের এই নবী যিনি চৌদ্দশত ত্রিশ বছর আগে এ ব্যাপারে আল কুরআন এই আয়াত পাঠ করে শুনিয়েছিলেন:

     `কাফেররা কি দেখে নাই যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল, অত: পর আমিই তাদের আলাদা করেছি।' (আম্বিয়া:৩০)

       এবং এ আয়াত ও কুরআন মাজীদে  রয়েছে,  যাকে এই নবী তিলাওয়াত করেছিলেন-

     `তিনিই সেই সত্তা যিনি রাত-দিন ও চন্দ্র-সূর্য সৃষ্টি করেছেন পপ্রত্যেকে ( নিজ নিজ ) কক্ষপথে ঘুরছে।' (আম্বিয়া:৩৩)

     অত: পর কিছু জীববিজ্ঞানী (Biologist) এর নিকট প্রশ্ন করি এ পৃথিবীতে জীবন সর্বপ্রথম কোন স্থান থেকে অস্তিত্বে আসে? জবাব আসবে কোটি কোটি বছর আগে সামুদ্রিক বস্তুর মধ্যে জীবনের অস্তিত্ব আরম্ব হয় যা থেকে অ্যামিবা (Zoologist) সৃষ্টি হয় এবং পানি থেকে সকল অ্যামিবা থেকে সকল প্রাণীর সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ জীবনের শুরু পানি থেকে, ব্যাখ্যা দানের পর জীববিদ্যার অভিজ্ঞরা এও বলবে যে, এই সত্যের জ্ঞান আধুনিক যুগে হয়েছে এবং আমি এর থেকে যদি জিজ্ঞেস করি যে, যদি এ কথার জ্ঞান আরবের মরুভূমি অধিবাসী ব্যক্তি যদি আজ থেকে চৌদ্দশত ত্রিশ বছর পূর্বে পেয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই সে না বোধক উত্তর দেবে। আবার বলা হলো  আল্লাহ  তায়ালা এককথায় প্রকাশ তো আজ থেকে চৌদ্দশত বছর পূর্বে  করেছিলেন। যদি সে না মানে তাহলে তাকে আল কুরআনে এ আয়াত শুনাও `এবং আমি পানি থেকে সকল জীবিত জিনিস সৃষ্টি করেছি, সে কি বিশ্বাস করে না?' (আম্বিয়া:৩০)

     এভাবে উদ্ভিদ বিদ্যার (Biologist প্রাণী বিদ্যার (Zoologist) প্রকৃতি বিদ্যার (Physicists) বিজ্ঞানীদের প্রশ্ন করুন যে, প্রাণী বস্তুর সৃষ্টি প্রাকৃতিক পদ্ধতি কি? সকলে এই জবাবই প্রদান করবে যে আধুনিক যুগে প্রমানিত হয়েছে যে মানুষ এবং পানির সৃষ্টি পদ্ধতি এমনকি গাছপালা সৃষ্টিও  জোড়ায় জোড়ায় হয়েছে অর্থাৎ নারী-পুরুষ থেকে হয়ে থাকে।অথচ এ সত্যের প্রকাশ আমাদের নবী রাসূল (সাঃ) বহু বছর আগে করিছিলেন যার জ্ঞান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অহীর মাধ্যমে নবী রাসূল (সাঃ) কে দিয়েছিলেন। চিন্তা করুন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আল কুরআনে ইরশাদ করেন-

     `পবিত্র সেই সত্তা যিনি সকলকে জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছেন, যা ভূমি উৎপন্ন করে। আর যা তোমাদের মধ্যে থেকে, আর যা সম্পর্কে তোমরা কিছু জান না।  (ইয়াসীন:৩৬)

     উল্লিখিত দৃষ্টান্তগুলো থেকে বুঝা গেল যে, বিজ্ঞানের প্রত্যেকটি আবিষ্কার থেকে আল কুরআনে মুজিযাগুলোর প্রমান মিলে যায়, এ হলো ঐ  সকল নিদর্শন যা মহান আল্লাহ জ্ঞানবানদের জন্য স্থায়ী কিতাব আল কুরআনে ঘোষণা করেছেন।৩০ নং সূরার ২২ নং আয়াতে-

     `নিশ্চয়ই এর মধ্যে পৃথিবীবাসীর জন্য নিদর্শন রয়েছে।'

     গণিত এক কম্পিউটারের সাক্ষ্য

     কম্পিউটার বলে যে, ৬২৬০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০০ জন মানুষ মিলেও আল কুরআনের মত  বড় কিতাব লিখতে সক্ষম  হবে না।

     পিছনে বর্ণিত আল কুরআন, মুজিযাগুলো বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধের লোকদের জন্য ছিল অথচ আজ যখন কম্পিউটার উদ্ভাবন করা হয়েছে এবং বিজ্ঞান ও গণিতে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। আমাদের দেখতে হবে যে কম্পিউটার আধুনিক যুগের জন্যও কি আল কুরআনে মুজিযা আছে?

     `মুজিযা' শব্দের শাব্দিক অর্থ  `ঐ কাজ যা মানুষের ক্ষমতা ও আওতার বাইরে।।' আশার কথা হলো এই যে, এই যুগের বিজ্ঞানী, নাস্তিক এবং সর্বদা এক রকম এবং অপরবর্তনীয় এবং কম্পিউটার ধারাবাহিক নিয়মে সত্যগুলো বর্ণনা করে। এ যুগে আল কুরআন কে সম্পূর্ণরূপে কম্পিউরাইজড করা হয়েছে।

     গণিতের দৃষ্টিভঙ্গিতে আল কুরআনের মুজিযা বুঝার জন্য আরবি ভাষা জানা জরুরী নয়। শুধু এতটুকুই যথেষ্ট যে, মানুষ এ মজিযাকে দেখার জন্য চোখ রাখবে এবং এক থাকে ঊনিশ পর্যন্ত গণনা করতে জানবে।আল কুরআনে ধারা অহী নাযিলের ধারাবাহিকবতায় নয় বরং বর্ণনা অনুযায়ী করা হয়েছে। রাসূল (সাঃ) স্বয়ং হায়াতে তাইয়েবায় এ ধারা বর্ণনা করেছেন। আল কুরআনের আয়াত প্রয়োজন অনুসারে নাজিল হতে থাকে।প্রথম ওহী হেরা গুহায় রমজানের ২৬ তারিখ (দিবাগত রাতে) আসে যখন হজরত জিব্রাইল (আ) সূরা আলাক এর প্রথম ৫ আয়াত নিয়ে অগমন  করেছিলেন। আল কুরআনে ইহা ৯৭ নম্বর সূরা। রাসূল (সাঃ)-এ অস্বাভাবিক ঘটনার পরে পেরেশান হয়ে ঘরে আসেন এবং উমম্মুল মুমিনীন হজরত খাদিজাতুল কুবরা (রা)-কে সব খুলে বললেন। তিনি রাসূল (সাঃ) কে সান্ত্বনা প্রদান করলেন।

      অত: পর হজরত রাসূল (সাঃ) আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের একত্ববাদ, তার রিসালাত এবং পরকালের উপর ঈমান আনার জন্য দাওয়াত শুরু করেন, যা মক্কার কাফিরদের নিকট গৃহীত হলো না। প্রতুত্তরে মক্কার কাফিরগন প্রচার করতে লাগল যে মুহাম্মাদ (সা:) দিওয়ানা ও পাগল (নাউজুবিল্লাহ), মক্কার কাফিরদের এ প্রপাগান্ডার মধ্যে সূরা "আল কলম" নাজিল হয়। আল কুরআনে ইহা ৬৮নং সূরা। এতে একথার জবাব দেয়া হয়েছে যে, তিনি পাগল এবং সাথে সাথে রাসূল (সাঃ)-কে উসওয়াতুন হাসানা (উত্তম আদর্শ) এবং মর্যাদাশালী বলে উল্লেখ করা হয়েছে ।

    তৃতীয় ওহী সূরা মুজামমিল এর কয়েকটি প্রাথমিক আয়াতের আকারে এসেছে। ইহা ৭৩ নং সূরা যার আখেরী আয়াত হলো-৭৩ নং সূরা- ৫ নং আয়াত।

    আমি শীঘ্রই আপনার উপর ভারী কালাম নাজিল করব ।

    রাসূল (সাঃ) ইসলামের দাওয়াত বিধি মোতাবেক জারি রাখেন। মানুষেরা ধীরে ধীরে ঐ দাওয়াতের দিকে ঝুকতে থাকে এবং বুঝতে থাকে যে, আল কুরআন কোনো পাগলের প্রলাপ হতে পারেনা এবং এত সুমহান রবের মহান বাণী। কেননা এরূপ স্পষ্ট ও বাগ্মী বাণী কোনো পাগলের হতে পারেনা । যখন মানুষেরা রাসূল (সাঃ)  এবং কুরআনের সত্যতা স্বীকার করে নিতে শুরু করল এরপর এরপর মক্কার কাফিরগন ইহা বলাবলি করতে লাগলো যে, মুহাম্মাদ জাদুকর এবং আল কুরআন মুহাম্মদের কালাম, আল্লাহর বাণী নয়। এ সময় চতুর্থ ওহী  আসে যা আল কুরআন মজীদের ৭৪নং সূরা  মুদ্দাছির এর প্রাথমিক ৩০ আয়াত হিসেবে নাজিল হয়।

     হজরত জিব্রাইল (আ ) হুজুর  (সাঃ)-কে এই সূরার প্রাথমিক ২৯ আয়াত দিয়ে ৩০ তম আয়াতের দিকে মনোযোগ দেন যা হলো ৭৪ নং সূরা মুদ্দাছির, ৩০ নং আয়াত- তাঁর উপরে রয়েছে উনিশ ।২০তম এবং ২৫তম আয়াতে মক্কার কাফিরদের যে মিথ্যা প্রচারণা উল্লেখ করা হয়েছে যাতে বলা হয়েছে যে, রাসূল (সাঃ) যে বর্ণনা করেন তা জাদু এবং এই যে, আল কুরআন নবী করীম (সাঃ)-এর নিজের বাণী- .....এবং ২৬তম আয়াতে মক্কার কাফিরদের এর কর্মের উপর আল্লাহ তায়ালা নিজের রাগ ও গোসস্বার প্রকাশ ঘটিয়েছেন এবং বলেছেন যে, আপনার উপর এরূপ অভিযোগ কারীদের অতি সত্ত্বর জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে ।

     ২৮নং এবং ২৯ নং আয়াতে জাহান্নামের অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে যে, এর মধ্যে মানুষের রং হবে কালো ..... এবং এরপরে ৩০নং আয়াতে বর্ণনা করা হয়েছে। ৭৪ নং সূরা  ৩০ নং আয়াত "এরপর ঊনিশ " ।

     জিব্রাইল (আ ) যেখানে সূরা  মুদ্দাছির এর ৩০তম আয়াত পর্যন্ত থেমে গেলেন এবং এরপর তৎক্ষণাৎ সূরা ইকরা (আলাক ) এর বাকি ১৪ আয়াত রাসূল (সাঃ)- কে প্রদান করলেন।

     এ প্রশ্ন উঠেছে যে, এমন কেন হলো? পবিত্র আল কুরআনে এ আয়াত "এরপর ১৯" এর উদ্দেশ্য কি? এবং এ বিষয়টাই কি? মুফাস্সিরিনগন এ আয়াতের বিভিন্ন অর্থ উল্লেখ করেছেন। কেউ কেউ বলেছেন জাহান্নামের উল্লেখের পর এর আয়াত এসেছে। এজন্য এর উদ্দেশ্য ঐ ১৯ ফেরেশতা যারা জাহান্নামের পাহারাদার। কেউ বলেন, ইহা ইসলামের ১৯টি মৌলিক ভিত্তি, কিন্তু সবাই লিখেছেন যে মূল বিষয়টি আল্লাহই জানেন। এরূপ মনে হয় যে, আল্লাহ পাকের ইচ্ছা এ সমস্যার সমাধান বিংশ শতাব্দীর কম্পিউটারের যুগের জন্য অবশিষ্ট রাখা হয়েছে। যেমন উপরে বর্ণনা করা হয়েছে যে, জিব্রাইল (আ ) প্রাথমিক ওহী সূরা আলাক (ইকরা) এর (যার প্রথম ৫ আয়াত প্রথম ওহীতে নাজিল হয়েছিল) বাকী ১৪ আয়াত নবী করীম  (সা:) কে প্রদান করেন। এভাবে সূরা আলাক (ইকরা) এর ১৯ আয়াত পূর্ণ হয়ে গেল। অর্থাৎ সূরা মুদ্দাছির-এর "এরপর  ঊনিশ" বলার পর তৎক্ষণাৎ ঊনিশ আয়াতের সূরা আলাক সম্পুর্ন হয়ে গেল ।

(১৯ সংখ্যা বর্ণনার আগে কিছু কথা বলে নেই, আমি বলছি না যে ১৯ তাই বলে বিশেষ একটা সংখ্যা। এই ১৯ সংখ্যার  উপর কুরআন নির্ভরশীল নয়। কিন্তু ১৯ প্রকৌশল কুরআনে আছে তবে এটার কারণ মহান আল্লাহ তালাই ভালো জানেন )

     ১৯ এর প্রকৌশল: মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা : "এরপর ঊনিশ" ৭৪ নং সূরা মুদ্দাছির এর ৩০ নং আয়াত।

     এই ১৯ এর প্রকৌশল এর কিছু ব্যাখ্যার দিকে নজর দিলে হতভম্ব হয়ে যাবার  মত কথাবার্তা সামনে আসবে।যার দরুণ মানব মস্তিষ্ক কিংকর্তব্যবিমুড়তার মধ্যে ডুবে যায় এবং হৃদয় অজান্তে বলে উঠে যে, এই কিতাব...এই কুরআন কোন মানুষের বাণী নয় বরং ইহা রহমান, রহিম, এই দুনিয়ার মালিকের বাণী। কিছু ব্যাখ্যা পেশ করা হলো -

     ১. সূরা আলাক এর ১ম ৫ আয়াতে ১৯টি শব্দ এবং ঐ ঊনিশ  শব্দের মধ্যে ৭৬টি অক্ষর যা ১৯ দ্বারা পুরোপুরি ভাগ হয়ে যায়। ৭৬÷১৯ = ৪

      গুনের উদাহরণ ১৯ × ৪ = ৭৬ ।


      ২.আল-কুরআন মাজীদ-এ ১১৪টি সূরা আছে, এ সংখ্যা ১৯ দ্বারা পূর্ণভাবে ভাগ করা যায় ।

     ভাগের উদাহরণ ১১৪ ÷ ১৯ = ৬

     গুনের উদাহরণ ১৯ × ৬ = ১১৪


     ৩. আল কুরআনে  সূরাগুলো উল্টোদিক থেকে অর্থাৎ ১১৪ নং সূরা  নাস, ১১৩ নং সূরা  ফালাক, ১১২ নং সূরা  ইখলাস, এভাবে গুনে আসলে ১৯ নং সূরা  অর্থাৎ  ৯৬নং সুরাটি পড়ে  সূরা আলাক ।

      ৪. একথা কি পরিমাণ গুরত্ব রাখে যে, পবিত্র আল কুরআনে শুরু দ্বারা, যার মধ্যে ১৯টি অক্ষর রয়েছে । এর মধ্যে ৪টি শব্দ:

    এ আয়াতের প্রতিটি শব্দ যতবার আল কুরআনে এসেছে তা ১৯ দ্বারা বিভক্ত ।

    প্রথম শব্দ আল কুরআনে ১৯ বার এসেছে। দ্বিতীয় আল কুরআনে ২৬৯৮ বার এসেছে। যা ১৯ দ্বারা পুরোপুরি বিভাজ্য:

     ভাগের উদাহরণ ২৬৯৮ ÷ ১৯ = ১৪২

     গুনের উদাহরণ ১৯ × ১৪২ = ২৬৯৮

তৃতীয় শব্দ الر حمن ৫৭ বার এসেছে যা ১৯ দ্বারা পূর্ণভাবে বিভাজ্য। ভাগের উদাহরণ ৫৭ ÷ ১৯ = ৩ গুনের উদাহরণ  ১৯ ×৩=৫৭ চতুর্থ শব্দ الر حمن একশত চৌদ্দ বার এসেছে, যা ১৯ দ্বারা পুরোপুরি বিভাজ্য ।

ভাগের উদাহরণ ১১৪ ÷ ১৯ = ৬

গুনের উদাহরণ ১৯ × ৬ = ১১৪

চিন্তা করুন চার শব্দের সংখ্যাই ১৯ দ্বারা পুরোপুরি বিভাজ্য। এ ধরনের হওয়া কোনো সাধারণ বিষয় নয় ।

     ৫. আয়াত সূরা এসেছে। একবার শুরুতে এবং দিতীয়বার ভিতরে । .... এ জন্য সূরা  তাওবার শুরুতে নেই, অন্যথায় এর সংখ্যা ১১৫ হয়ে যেত এবং ১১৫ সংখ্যা ১৯ দ্বারা নি: শেষে বিভাজ্য হত না (আল কুরআনে সমগ্র সূরার সংখ্যা ১১৪ এবং সূরা তাওবাহ ছাড়া সকল সূরার প্রথমে আছে ।

     ৬. আল কুরআনে ২৯টি সূরার  শুরু হরফ দ্বারা হয়েছে অর্থাৎ হরুফে মুকাত্তায়াত দ্বারা হয়েছে। আরবি ভাষার ২৮ হরফের ১৪টি বর্ণ বিভিন্ন জোড়ের   মাধ্যমে এ সূরা গুলোর শুরুতে অবস্থান নিয়েছে। এ হরফগুলো নিম্নে দেয়া হলো : ১.الف  ২.ح    ৩.ر  ৪.س  ৫.ص  ৬.ط  ৭. ع  ৮. ق  ৯. ك  ১০. ل  ১১. م  ১২. ن  ১৩. ه  ১৪. ى 

এ ১৪ হরফ দ্বারা যে ১৪ সেট হরুফে মুকাত্তায়াত তৈরী হয় তা নিম্নরুফ :

১.  এক অক্ষর বিশিষ্ট : ১.ص  ২. ق  কাফ  ৩. ن  সেট

২. দুই অক্ষর বিশিষ্ট : ১. طٰهٰ  ২.تٰس  ৩.ও طس  ৪. حم  ৪ সেট

৩.  তিন অক্ষর বিশিষ্ট : ১.الم  ২. الر  ৩. طسم  ৪. عسق ৪  সেট

৪.  চার  অক্ষর বিশিষ্ট : ১.المر  ২.المص  ২ সেট

৫.  পাঁচ  অক্ষর বিশিষ্ট : ১.كهيعص  ১ সেট

উল্লিখিত চিত্রের উপর এবার চিন্তা করুন, বুঝা যায় যে, হরুফে মুকাত্তায়াত যা ২৯ সূরার প্রথমে ব্যবহৃত হয়েছে, এগুলোর সংখ্যা ১৪টি এবং তাদের সেট সংখ্যা   ১৪টি, এখন ১৪ হরফ + ১৪ সেট + ২৯ সূরা = ৫৭ সর্বমোট সংখ্যা ৫৭ ও ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য ।

ভাগের উদাহরণ : ৫৭ ÷ ১৯ = ৩

গুনের উদাহরণ : ১৯ × ৩ = ৫৭

যোগের উদাহরণ : ১৯ + ১৯ + ১৯ = ৫৭

    ৭. হরফে মুকাত্তায়াত এর মধ্যে ق নিন। এই হরফ ق দুই সূরার প্রথমে এসেছে, অর্থাৎ সূরা `কাফ' এবং সূরা শুরা حمعسق এর আকারে। এগুলোর প্রতিটি সূরায় ق হরফটি ৫৭ বার এসেছে, যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য ।

ভাগের উদাহরণ : ৫৭ ÷ ১৯ = ৩

গুনের উদাহরণ :  ১৯ × ৩ = ৫৭

সূরা `কাফ'  ق হরফটি ৫৭বার এসেছে এবং حم عصق সূরার মধ্যেও হরফটি ৫৭ বার এসেছে, যদিও শেষোক্ত সুরাটি অনেক দীর্ঘ । 

     উভয় সূরার মধ্যে ق এর সমষ্টি ১১৪ এবং আল কুরআন সূরা সংখ্যাও ১১৪টি। অর্থাৎ আল কুরআনে ১১৪টি সূরা রয়েছে এবং ق হরফ যা কুরআন মাজীদের প্রথম অক্ষর এবং তার নামের প্রতিনিধিত্ব করে উহাও ১১৪বার এসেছে । এভাবে এ কথা বলা বৈধ হবে যে, পবিত্র আল কুরআনের ঐশী আকারের হিসাবের ব্যবস্থা ১১৪ সূরার উপর হয়েছে ।

     ৮. আল কুরআন মাজীদে অতীতকালের গোত্রগুলোকে قوم শব্দ দ্বারা বর্ণনা করা হয়েছে। যেমন : অথচ সূরা `কাফ` এর ১৩নং আয়াতে আল কুরআনে বর্ণনা করেন وعاد وفرعون واخوان لوط এখনে اخوان لوط বলার কারণ, হজরত লূত (আ) এর কওম এর উল্লেখ আল কুরআনে قوم শব্দ দাড়ায় সাধারনত উল্লেখ করা হয়েছে । অথচ শুধুমাত্র এ আয়াতে قوم শব্দের পরিবর্তে اخوان বিশেষভাবে কেন ব্যবহার হলো?

    এর কারণ এই যে, যদি এখানে قوم শব্দটি ব্যবহার করা হত তাহলে একটি ق বেড়ে যেত এবং এই সূরায় ق হরফের ব্যবহার ৫৭ এর পরিবর্তে ৫৮ হয়ে যেত  তাহলে ১৯ দ্বারা নিঃশেষে  ভাগ করা যেত না। এভাবে পবিত্র আল কুরআনের হিসাবের নিয়মের ব্যতিক্রম হয়ে যেত ।

     ৯. সূরা  আল কলম এর শুরুতে ن হরফ এসেছে এ সূরায় ن হরফটি ১৩৩ বার এসেছে। যা ১৯ দিয়ে নিঃশেষে  বিভাজ্য।

     ভাগের উদাহরণ : ১৩৩ ÷ ১৯ = ৭

      গুনের উদাহরণ : ১৯ × ৭ = ১৩৩

     ১০. অক্ষর ص টি আল কুরআনে তিন সূরার  প্রথমে এসেছে। সূরা  আল আরাফে  المص ? এর আকৃতিতে, 

     সূরা মারিয়ামে كهيعص ? এর আকৃতিতে,

     সূরা  হূদে ص ? এর আকৃতিতে এই সূরার মধ্যে ব্যবহৃত ص এর সংখ্যা ১৫২ যাকে ১৯ দ্বারা নিঃশেষে  ভাগ করা যায় ।

     ভাগের উদাহরণ : ১৫২ ÷ ১৯ = ৮

     গুনের উদাহরণ : ১৯ × ৮ = ১৫২

     ১১ . সূরা আল আরাফের ৬৯তম আয়াতে একটি শব্দ بسطة এসেছে। আরবি এ শব্দ س দিয়ে লেখা  যায় কিন্তু যখন এ আয়াত নাজিল হয় তখন এ নির্দেশও ছিল যে শব্দকে ص দিয়ে লেখা যাবে । এর কারণ কি ছিল? 

     কারণ এই ছিল যে, যদি এই শব্দ س দ্বারা লেখা হয় এ অবস্থায় একটি ص কম হয়ে যায় এবং উল্লিখিত সূরাগুলোতে ص হরফের পুরনো সংখ্যা ১৫২ এর পরিবর্তে ১৫১ হয়ে যায় যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে  বিভাজ্য হবে না এবং কুরআনে কারীমের হিসাবি নিয়ম সঠিক হবে না ।

     ১২ . যে সকল সূরার প্রারম্ভে এক হরফের  হরফে মুকাত্তায়াত দ্বারা হয়। এ সূরা গুলোর মধ্যে প্রতিটি হরফ পৃথক পৃথক জমা করা যায়, তাহলে এর সমষ্টি ১৯ দ্বারা নিঃশেষে ভাগ হবে। শুধু তাই নয় বরং এ হরফগুলোর স্ব স্ব সংখ্যা যদি একত্র করা হয় তাহলেও সামগ্রিক সংখ্যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে  ভাগ হবে।

     (ক) সূরা طه ? এর মধ্যে দু হরফ  ط  এবং ه আছে। এ সূরায়  ط  অক্ষরটি ২৮বার এবং ه ৩১৪ বার এসেছে এবং উভয়ের সমষ্টি ৩৪২ যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য ।

     ভাগের উদাহরণ : ৩৪২  ÷ ১৯ = ১৮

     গুনের উদাহরণ : ১৯ × ১৮ = ৩৪২

     (খ) সূরা ইয়াসিনে ي আছে ২৩৭ বার এবং س আছে ৪৮ বার এবং উভয়ের সমষ্টি ২৮৫ যা ১৯ দ্বারা বিভাজ্য ।

     ভাগের উদাহরণ : ২৮৫ ÷ ১৯ = ১৫

     গুনের উদাহরন : ১৯ × ১৫ = ২৮৫

    আরো একটি বিস্ময়কর হাকীকত 


    ১.আল কুরআনে ২৯ সূরার শুরুতে যে হুরুফে মুকাত্তায়াত আছে এবং এ সূরাগুলো যতবার এ সূরাগুলোতে এসেছে এদের যোগফল ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য। বিস্তারিত নিম্নে উল্লেখা করা হলো :

 সূরা 

          হরফ 

      সংখ্যা 

 বাকারা 

           الم      

১৯৯১বার  

 আলে ইমরান 

           الم

    ৫৭১৪ বার

 আন কাবুত 

          الم

  ১৬৮৫ বার

 রূম 

          الم

    ১২৫৯ বার

 লুকমান 

         الم

    ৮২৩ বার

 রা' 

       المر (এখানে ر বাদ দিয়ে) 

   ১৩৬৪ বার

 আরাফ 

  المص (এখানে ص বাদ দিয়ে) 

   ৫২৬০ বার


যোগফল : ২৬৬৭৬ বার 


এ সমগ্র সংখ্যাটি ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য ।

ভাগের উদাহরণ : ২৬৬৭৬ ÷ ১৯ = ১৪০৪

গুনের উদাহরণ : ১৯ × ১৪০৪ = ২৬৬৭৬


২ . হরুফে মুকাত্তায়াত  الم নিম্নোক্ত সূরাসমূহের এসেছে। এ সূরাগুলোর মধ্যে এ অক্ষরগুলোর সংখ্যার যোগফল নিম্নে দেয়া হলো এবং সুরা رعد  এর ر এর হিসাব এর টোপালের সঙ্গে যোগ করা হলো -

 সূরা 

          হরফ 

      সংখ্যা 

 ইউনুস 

           الر      

  ২৫২২ বার 

 হুদ  

           الر

    ২৫১৪ বার

 ইউসুফ 

          الر

    ২৪০৫ বার

 ইবরাহীম 

          الر

    ১২০৬ বার

 হিজর 

          الر

    ৯২৫ বার

 রা' 

          المر (শুধু  ر ) 

    ১৩৫ বার


যোগফল : ৯৭০৯


এই  ৯৭০৯ সংখ্যা দ্বারা নিঃশেষে  বিভাজ্য ।

ভাগের উদাহরণ :   ৯৭০৯  ÷ ১৯ = ৫১১

গুনের উদাহরণ : ১৯ × ৫৫১ =  ৯৭০৯

৩ . নিম্নলিখিত সূরাগুলোতে حم  হরফ প্রথমে এসেছে । এদের সংখ্যা = ০৭ বিশ্লেষণ করা হলো :


 সূরা 

          হরফ 

      সংখ্যা 

 বাকারা 

          حم       

 ১৯৯১ বার 

 আলে ইমরান 

           حم

    ৫৭১৪ বার

 আন কাবুত 

          حم

  ১৬৮৫ বার

 রূম 

          حم

    ১২৫৯ বার

 লুকমান 

          حم

    ৮২৩ বার

 রা' 

           حم  

   ১৩৬৪ বার

 আরাফ 

   حم عسق শুধু ح ও م 

   ৫২৬০ বার

মোট সংখ্যা =২১৬৬


২১৬৬ সংখ্যাটি ১৯ দ্বারা নিঃশেষে  বিভাজ্য ।


ভাগের উদাহরণ : ২১৬৬ ÷ ১৯ = ১১৪

গুনের উদাহরণ : ১৯ × ১১৪ = ২১৬৬


৪. সূরা `শূনার ' মধ্যে পাঁচ হরূফ حم عسق  রয়েছে।

এ পাঁচ হরফ ق ، س ، ع ، م ، ح এ সূরার মধ্যে সর্বমোট ৫৭০ বার রয়েছে।

যা ১৯ দ্বারা নিঃশেষে বিভাজ্য


ভাগের উদাহরণ : ৫৭০ ÷ ১৯ = ৩০

গুনের উদাহরণ : ১৯ × ৩০ = ৫৭০


৫. নিম্নলিখিত সূরাগুলোর মধ্যে ط  এর س হরফ এসেছে। এর মোট সংখ্যার ওপরে চিন্তা করি 

 সূরা 

          হরফ 

      সংখ্যা 

 নামল  

      طس 

    ১২০ বার 

 শুয়ারা 

           طسم (বাদ দিয়ে م)

    ১২৬ বার

 কাসাস 

          طسم (বাদ দিয়ে م)

    ১১৯ বার

 ত্বহা 

           طه (বাদ দিয়ে ه)

   ২৭ বার

 হিজর 

          يس (বাদ দিয়ে ى)

    ৪৮ বার

 শূরা

          حم عسق (বাদ দিয়ে س)

    ৫৩ বার

মোট সংখ্যা =৪৯৪


৪৯৪ সংখ্যাট ১৯ দ্বারা নিঃশেষে  বিভাজ্য ।

ভাগের উদাহরণ :  ৪৯৪ ÷ ১৯ = ২৬

গুনের উদাহরণ : ১৯ × ২৬ = ৪৯৪

আল কুরআনে এত এত নিদর্শন থাকার পরেও কেন আমরা আল কুরআন থেকে দূরে  চলে যাচ্ছি?

যদি ভাল লাগে অবশ্যই আমাকে জানাবেন my Facebook ID here. কোথাও কোন ভুল থাকলেও  আমাকে জানাবেন। আল্লাহ সবাই কে বুঝার তাওফিক দান করুক আমীন।

ধন্যবাদ আইমান ভাইকে আমাকে সহযোগিতা করার জন্য ।

Level 0

আমি নিবিড় সিকদার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 18 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

নিশ্চয়ই , আল্লাহ সবচেয়ে ভাল জানেন। ধন্যবাদ আপনাকে।

Level 0

খুবই সুন্দর টিউন, ধন্যবাদ। বর্তমানে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সব চেয়ে সহজ উপায় হল ইসলামের বিরুদ্ধে কথা বলা। তাই বিচার মানি কিন্তু তালগাছটা আমার

Level 0

veryyyyyyyyyyyyyyyyyyyyy good…………………………

আলহামদুলিল্লাহ অনেক গুছিয়ে লিখেছেন কিছু কিছু জানা ছিলো অনেক কিছুই জানতাম না শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

Best tune in techtunes………

Best tune of techtunes………

সুবহানআল্লাহ ।।

কিছুই বলার নেই, শুধু এতটুকুই বলতে পারি মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা যেন আপনার জ্ঞানকে আরও বাড়িয়ে দেন, অনেক কষ্ট করে অনেক ধৈর্যের সাথে টিউনটি করেছেন, সামনে আরও সুন্দর সুন্দর টিউন চাই

Level 2

oshadharon

আলহামদুলিল্লাহ

গোছান টিউন। ভাল লেগেছে।

আলহামদুলিল্লাহ
গোছান টিউন। ভাল লেগেছে।

Duiti alada motobad ekshathe kore tune kore pura gojamil.

Ordhek niyechen Dr, Zakir Nyek er lecture theke r ganitik byakkha niyechen ek american gyanitik bisheshoggor lekha theke.

ei bisheshoggo Quraner Gyanitik byakkha kore 2012 shale World Dhongsho hobar o Proman korechilo. (Please search on google)

Quran r Sohih Hadiser shathe Gyanitik Byakkhar kono Shomporko nai. Jodi Thakto tahole Allah Subhana tawala Ohir maddhome obosshoi Noki Karim Sallallahu Alaihi Wa Sallam ke Janiye diten.

“Nishchoi Allah kono kichu Vule Jan NA, Kono Vul O Koren Na”

Quran Hadiser Baire Qoran Hadiser Byakkha “BEDAT”.

eta amar kotha na, Onek Boro Boro Bisheshoggo Soho apni Jar Lecture apnar ordhek post porjonto share korechen “Dr. Zakir Nayek” tar o kotha j “Quran Hadise ei dhoroner Gyanitik Byakkha bole Kono Byakkha Nai”

Asha Kori Manush ke Vul Pothe niye jabenna.

Kaoke Shothik Pothe niye gele tar sowab o apni paben abar kaoke pothvostro kore dile tar Apni to Gunahgar hoben e borong Tar somoporiman Gunahr Bojhao apnakei pohate hobe.

Sutoran Islamer kono Motobad Daowar age SABDHAN!

    @সজীব: Ekmot. Al quran 19 kinba 29 er upor nirvorshil noi. Ar all ref 19 dye vag kora jai bole 19 ekti bises sonkha noi. Allah pak ear quran pore jodi karo iman na ase tahole amar monehoi na 19 er bvajjota dekhe karo iman asbe. So 19, 29 kore lav nai. Allah er upopor iman anun quran pore 19 er khela dekhe na. Dhonnobad

      @রাব্বি: ভাই আমার উদ্দেশ্য কি ছিল আর আপনি কি মতামত দিলেন। আমার এই পোস্টি শুধু মুসলিম ভাইদের জন্য নয় সকল বাংলা ভাষা বাসীর অমুসলিম ভাইদের জন্যও। হ্যাঁ ভাই আমিও বলছি না যে ১৯ তাই বলে বিশেষ একটা সংখ্যা। এই ১৯ সংখ্যার উপর কুরআন নির্ভরশীল নয় আমিও একমত। কিন্তু ১৯ প্রকৌশল কুরআনে আছে তবে এটার কারণ মহান আল্লাহ তালাই ভালো জানেন। ভাই আপনি আমকে Suggest করেছেন আমি যেন কুরআন পরে ঈমান আনি। ( suggestion জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ) আপনি আরো বলেছেন কুরআন নাকি শুধু পরলেই ঈমান হবে। তারমানে আপনি বলতে চান কুরআন এর এত কিছু বোঝার দরকার নেই শুধু পড়লেই হবে। ভাই শয়তান আপনাকে নেক ছুরুতে ধোকা দিচ্ছে। আর আমি আপনাকে বলছি কুরআন শুধু পড়বেন না বুঝে পড়বেন (আর হেদায়াত, ঈমান দৃঢ় করা তো মহান আল্লাহ তলার কাছেই ) এই আধুনিক যুগে মানুষ যুক্তিতে, প্রমানে বিশ্বাসী। অমুসলিম ভাইরা শুধু কুরআন দেখে কিংবা কুরআন তেলওয়াত শুনে ইসলামের দিকে মনোযোগ দেবেনা তারা প্রমান চাইবে। আর আপনার কথা মতে যদি বলি কুরআনের এত নিদর্শন জানার দরকার নেই তাহলে মহান আল্লাহ তালা কেন কুরআনে এত নিদর্শন দিলেন ???

        @Alim Sikder Nibir: আমি কখন বললাম যে কুরআন না বুঝে পরতে???? একটু বলবেন কি??? আপনি কি বিশেষ যুক্তি দিয়েছেন সেটাও বলবেন প্লিজ। আর আমি কখন বললাম বা আমার কোন কথায় আপনার মনে হল যে আমি বুঝাতে চেয়েছি কুরআনের নির্দেশন জানার দরকার নেই???
        আমি শুধু বলতে চেয়েছি আল্লাহর উপর ঈমান আনুন আল্লাহর কিতাব পরে ১৯ এত খেলা দেখে না।
        আর কেউ যদি আপনার কাছে কুরআন সত্য এই বিষয়ে প্রমান চায় তাহলে আপনি কি ১৯ দিয়ে ভাগ করে তাদের বুঝাবেন???? আল্লহ পাক কুরআনে বলেছেন “মানুষ কে আল্লাহর পথে ডাক হিকমা দ্বারা, এটাই সবচেয়ে সহজ ও গ্রহন যোগ্য পন্থা”
        এখন যদি কোন অমুসলিম কে ১৯ এর খেলা দেখান তাহলে সে কি ইসলাম গ্রহন করবে???
        অবশ্যই করবে না। তাকে প্রমান দিতে হবে। সেই প্রমান কোথায় দিলেন আপনি??? ১৯ এর বিভাজ্যতা দেখিয়ে???

@সজীব ভাই, গুরু সালাম! এক্কেরে সঠিক কইসেন
😀

    @poth-hara pOtHiK: `পথ-হারা প্রথিক` ভাই আপনার নামের সাথে দেখি আপনার কথারও মিল আছে। ঠিক আছে, আপনার সজীব ভাই আর আপনিই ঠিক আর আমি ভুল। এখন খুশি তো ? …

Level 0

allahu akbar

আশা করি টিউনটি আগামীতে নির্বাচিত হবে।

আল্লাহ আপনার মঙ্গল করুন। আল্লাহ আপনার আরও জ্ঞান দান করুন।

আল্লাহর উপর বিশ্বাস স্থাপন করতে এতো কিছুর দরকার হয় না। প্রতিদিন সূর্য একই নিয়মে পূর্ব দিকে উঠে পশ্চিম দিকে অস্ত যায়। মাথার উপরে বিশাল আকাশ কোনো খুটি ছাড়াই রয়েছে। কিভাবে? এগুলোকে কে পরিচালনা করে। সৃষ্টি জগতের সব কিছু কোনো দিন নিয়মের কোনো ব্যতীক্রম হয়না। নিশ্চই এগুলো কোনো একক সত্তা পরিচালনা করে। কোনো অধিক কেউ যদি এগুলো পরিচালনা করত, তাহলে এগুলোর চলার পথ একেক সময় একেক রকম হতো। আর কেউ যদি এগুলো দেখা শোনা না করত তাহলে এক সময় এগুলো ধ্বংস হয়ে যেত।

Level 0

খুব ভাল গোছানো লেখা। আল্লাহ আপনার উপর রহমত বর্ষণ করুক।

Level 0

পবিত্র কোরআন হচ্ছে, মানবজাতির প্রতি সুস্পষ্ট উপদেশ বানী।
মানুষ ঈমানের সাথে সহজ-সরল পথে চললে বেহেশত, আর অন্যায় পথে চললে জাহান্নাম।
সুতরাং এটি কোন বিজ্ঞান,গণিত বা ভবিষ্যত বানীর গ্রন্থ নয়।

মহান আল্লাহতায়ালা আমাদেরকে কতগুলো উপদেশ দিয়েছেন এবং মানবজাতির আদর্শ কি রকম হবে তা নির্ধারণ করে দিয়েছেন এই কোরআনের মাধ্যমে।

Level 0

দুঃখের বিষয় হচ্ছে আমরা কোরআনের বাংলা অনুবাদ ভালভাবে একবারও পরি না, অথচ বিভিন্ন মানুষের মতামত নিয়ে টানা হেচরা করি। এতে কি হচ্ছে? আমরা নিজেদের ক্ষতির সাথে সাথে অপরেরও ক্ষতি করতেছি নিজেদের অজান্তে।
কথাটা আমি এজন্য বলেতেছি যে, আমি পবিত্র কোরআনের বাংলা অনুবাদ প্রায়ই একবার শেষ করেছি এবং এতে আমি বারবার একটা উপদেশ পেয়েছি তা হচ্ছে, সহজ-সরল পথে চল, নামাজ কায়েম কর, যাকাত আদায় কর……।

    @CA: absolutely right, ভাই আপনার সাথে আমি একমত. (খুব ভালো লাগলো আপনার কথা শুনে )

Level New

khob sondor tun gosiye lekhar jonno dhonnobad

Khub Sundor Tune Ami Aro Aidoroner tune apnar kase theke asa korbo

good attempt. may Allah help u

Level 2

এমন একটি সুন্দর পোষ্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। facebook.com/deenusuc

সুন্দর একটি টিউন। অনেক কিছু জানতে পারলাম। কিন্তু টেকটিউন আসলে বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক একটি সাইট। ধর্মীয় আলোচনা এখানে না করে অন্য কোন সামাজিক/ধর্মীয় ব্লগে করা যেতে পারে। এতে টেকটিউনসের মৌলিকতা/ বিশেষত্ব অক্ষুন্ন থাকবে। তাই এখানে ধর্ম-বিষয়ক ব্লগ, ই-বুক, অডিও, ভিডিও -এর লিঙ্ক দেন ঠিক আছে। তবে ধর্মীয় আলোচনা যথাযোগ্য জায়গায় করুন এবং এখানে বিষয় ভিত্তিক টিউন করুন।

* এই কমেন্ট কারো ধর্মীয় অনুভুতিতে আঘাত দেওয়ার উদ্দেশ্যে নয়, তাই কমেন্ট কে ভিন্ন দৃষ্টিকোন থেকে দেখবেন না।

Level 0

@ সুদীপ্ত, আমি আপনার সাথে একমত। Alim Sikder Nibir তিনি যে টিউনটি করেছেন যদি এটিকে ধর্মীয় দিক থেকে না দেখে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির দিক থেকে দেখেন তাহলে বোধ হয় ঠিক আছে। আমার মনে হয় ধর্ম এবং বিজ্ঞান একই সুতায় গাথা বিজ্ঞান আজও যা আবিষ্কার করতে পারিনি ধর্ম গ্রন্থে তা পাওয়া যায় শুধু আমরা জানিনা বা জানার চেষ্টাও করিনা সেটা যেই ধর্ম গ্রন্থ হোকনা কেন তাই যে কোন ধর্ম গ্রন্থের উদ্দিতী যদি এখনকার বিজ্ঞান বিষয়ক হয় তাহলে মন্দ কি বলুন (যেমন The big bang theory)। আমার মত যারা টিটি ছাড়া অন্য সাইটের নাম জানেনা তাদের জন্য হয়ত তার এ প্রয়াস। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Level 0

আলহামদুলিল্লাহ…….
নিবির ভাই ধন্যবাদ দারুণ একটা পোস্ট এর জন্য।

অনেক ভালো টিউন। অসংখ্য ধন্যবাদ চমৎকার টিউন উপহার দেওয়ার জন্য।

lol
moja pelam apnar comment e
:))
@ Nibir vaiya