এই পোষ্টটি পড়ার পর আপনি আর ভুলেও উইন্ডোজ সেট-আপের কথা মুখে আনবেন না- ট্রাস্ট মি!

আজকে টেকটিউনস এ আমার একটি বিশেষ দিন। গত দুই দিন ধরে সময় খুব একটা ভাল যাচ্ছেনা। যারা অন্তত গতকাল টিটি ভিজিট করেছেন তারা কিছুটা হলেও ব্যাপারটা আঁচ করতে পারছেন। কিন্তু ওই যে বললাম আজ বিশেষ দিন, তাই এই টিউনটি দিয়ে দিনটিকে সেলিব্রেট করতে চাই। হয়ত অনেকেরই কাছে এটি পুরনো, তবে টিটির অধিকাংশ ভিজিটরের কাছেই আজকের টপিকটা দরকারি মনে হতে পারে।

প্রথমেই বলছি কেন আজ বিশেষ দিন। এর তিনটি কারণ। প্রথমত এটি টিটিতে আমার “হ্যাট-ট্রিক” টিউন (পরপর তিনদিন টিউন--  যদিও প্রথম দিনের টিউন পেন্ডিং করে দেয়া হয়েছিল)। দ্বিতীয়ত, টিটিতে এটি আমার “দশম” টিউন (ডাবল ফিগারে চলে এলাম!) । .তৃতীয়ত, আজ আমার প্রোফাইলে দেখাচ্ছে প্রথম পোষ্ট থেকে আজ হচ্ছে ৫০০ তম দিন!

সুতরাং আজকের দিনটি আমার কাছে স্মরণীয়।

টিউনের শিরনাম দেখে কেউ কেউ হয়ত ভাবছেন আজ উইন্ডোজের হাজারটা সমস্যার কথা তুলে ধরে আপনাকে এই বস্তু থেকে সরিয়ে এক্কেবারে “সেট-আপ” পর্যন্ত ভুলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব আমি। সেই সাথে অন্য এক অপারেটিং সিস্টেমের ডিস্ক ধরিয়ে দিয়ে বলব, “এই নে বাবা! সকল রোগের মহৌষধ” ।

কিন্তু না। ঘটনা পুরা উলটা! অন্য ও.এস নিয়ে টিউন করার ইচ্ছাও আমার আছে, তবে অন্যদিন। কেননা আমার ডেস্কটপে এক উইন্ডোজ সেভেনের পাশাপাশি দুইটা লিনাক্স ও.এস (উবুন্তু এবং কুবুন্তু) ইনস্টল করা আছে। চলুন এবার মূল টিউনে চলে যাই।

উইন্ডোজ হচ্ছে বিশ্বের সর্বাধিক ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম। বৈধ হোক অবৈধ হোক অনেকেই তাদের পিসিতে উইন্ডোজ ব্যবহার করছেন। আর এই বিশাল ব্যবহারকারী সংখ্যা টার্গেট করে তৈরি হচ্ছে ভাইরাস- যার আক্রমণে প্রায়ই কম্পিউটার সেট-আপ অর্থাৎ নতুন করে অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করার দরকার হয়। কিন্তু একবার সেটআপ দেয়া মানেই নতুন করে আবার সফটওয়্যার দেয়া, ড্রাইভার দেয়া, কাস্টোমাইজ করা . . . . সহ অনেক ঝামেলা।

কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটিয়েই আমরা বারবার সেটআপ দেয়ার হাত থেকে মুক্তি পেতে পারি। এইখানে কেউ কেউ আবার “হিরেন বুট সিডি”র কথা মনে করতে পারেন। কিন্তু আমার কাছে আরো সহজ বুদ্ধি আছে। এই ২০১২ এর প্রাক্বালে এসেও যদি আপনি এক্স-পি’র একনিষ্ঠ ফ্যান না হয়ে থাকেন অর্থাৎ উইন্ডোজ ভিস্তা বা সেভেন চালান তবে হিরেন বুট সিডি ব্যবহার করার মত দুর্ভাগ্যবান আপনাকে হতে হবেনা।

উইন্ডোজ সেভেনের “সিস্টেম ইমেজ” ব্যাকাপ ট্রাই করেছেন কখোনো? আচ্ছা, এটি হচ্ছে আপনার সিস্টেম ড্রাইভের একটি হুবুহু কপি। অর্থাৎ আপনার সিস্টেম ড্রাইভ (সাধারণত “সি” ড্রাইভ) এর যাবতীয় ফাইলের ব্যাকাপ। একটি সিস্টেম ইমেজ ব্যাকাপ তৈরি করে তা যেকোন সময় রিস্টোর করলে আপনি ব্যাকাপ তৈরির তারিখে ফিরে যাবেন। এটি এক প্রকার “টাইম মেশিন”। .ধরুন ব্যাকাপ তৈরির সময় আপনার উইন্ডোজ জেনুইন ছিল। এরপর কোন এক সময় তা জেনুইনিটি হারায়। তখন সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করলে আপনি আবারো হারানো জেনুইনিটি ফিরে পাবেন।

সবচেয়ে নিরাপদ উপায় হচ্ছে সি ড্রাইভ ফর্ম্যাট দিয়ে ফ্রেশ উইন্ডোজ সেটআপ দিয়ে সকল “ব্যাসিক” সফটওয়্যার ইনস্টল করে একটি সিস্টেম ইমেজ তৈরি করে নেয়া। ব্যাকাপ ফোল্ডারটি আপনি যেকোন লোকেশনে সেভ করে রাখতে পারেন।

কিভাবে তৈরি করবেন সিস্টেম ইমেজ?

খুব সহজ। নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুনঃ

>Control panel

>System and Security

>Backup and Restore

বামপাশে উপরের দিক থেকে ক্লিক করুনঃ “Create a system Image”

এরপর আপনার পছন্দমত ব্যাকাপ লোকেশন বেছে নিন। ব্যাকাপ আইটেমে শুধু সিস্টেম সংশ্লিষ্ট ড্রাইভই সিলেক্ট করুন।

এভাবে সিস্টেম ইমেজ তৈরি হয়ে গেলে পরবর্তিতে তা রিস্টোর করার জন্য নিচের স্টেপগুলো অনুসরণ করুন।

>Control Panel

>System and Security

>Backup and Restore

সেখান থেকে “Recover System Settings or Your Computer” তে গিয়ে

>Advance Recovery Method

> Use a System Image You Created Earlier to Recover Your Computer

এখন আপনি সিস্টেম ড্রাইভের ডকুমেন্ট ব্যাকাপ করার অপশন পাবেন। তারপর কম্পিউটার রিস্টার্ট নিয়ে রিস্টোর প্রক্রিয়া শুরু হবে। এতে সব মিলিয়ে সাধারণত ৫-৬ মিনিট লাগে।

ভাইরাসের আক্রমণে যদি উইন্ডোজ বুটই না নেয়, তবে পাওয়ার বাটন চেপে উইন্ডোজ লোগো আসার আগেই F8 প্রেস করতে থাকুন। এরপর “এডভান্সড বুট অপশন” থেকে “রিপেয়ার ইওর কম্পিউটার” সিলেক্ট করে “সিস্টেম ইমেজ রিকভারি”তে ক্লিক করুন। সেখান থেকে আগের মত আপনার ব্যাকাপ ফাইলটি দেখিয়ে দিন। ব্যাস। এরপর শুরু হবে রিস্টোর প্রক্রিয়া।

আশা করি সিস্টেম ইমেজ তৈরি ও রিস্টোরের ক্ষেত্রে এই টিউনটিই আপনার কাছে যথেষ্ট তথ্য সরবরাহ করে। আরো জানতে এই ভিডিও দুটি দেখুন।

ভিডিও-১

ভিডিও-২

সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ আমাদের মঙ্গল করুন।

 

আপডেটঃ আমার সেই পেন্ডিং পোষ্টটি অবেশেষে এপ্রুভ করা হয়েছে। এই মুহুর্তে সেটি টিটির হোমপেজে আছে।

Level 0

আমি আরাফাত বিন সুলতান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 14 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 197 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অসংখ্য ধন্যবাদ তথ্যবহুল এবং উপকারী টিউনটির জন্য…….

Level 0

আমিও এই ভাবেই উইন্ডোজে সমস্যা হলে restore করি, খুব কাজের জিনিস, ৫/৬মিনিটে ২ ঘণ্টার কাজ হয়ে যায় 😀

জানতাম। ভাই পিসিতে কোন গেম চলছে না।Microsoft Visual c++ Runtime Error দেখায়। সমাধান দিলে খুব উপকার হতো।

    Level 0

    @মোঃ আরিফ: Microsoft Visual c++ Runtime লিখে গুগল করেন, Microsoft Visual c++ Runtime ডাউনলোড করে সেটআপ করেন, আশা করি কাজ হবে

Level 0

এভাবে ইমেজ restore করলে কি যেসব সফটওয়্যার আমার PC তে আগে install করা ছিল, সেগুলো সহ automatic restore হবে নাকি সব software আবার install করতে হবে । আর আমি যদি নতুন করে windows install করার সময় C Drive format করে তার space extend করি(say, 50GB ছিল, সেটা extend করে 70 GB করলাম কারন আমার C drive প্রায় full হয়ে গেছে), then যদি image restore করি তাহলে কি C drive এর space কমে আবার আগের মত (50 GB) হবে নাকি C drive এ নতুন যে space set করা হয়েছে (70 GB) সেটা থাকবে ??

    @ইমন: হ্যাঁ, আপনার ব্যাকাপ তৈরির সময় যেসব সফটওয়্যার ইনস্টল করা ছিল সেগুলো আবার ফিরে পাবেন। নতুন করে ইনস্টল করতে হবেনা।

    পূর্বে তৈরি করা সিস্টেম ইমেজ রিস্টোর করতে গেলে আপনার ইমেজক্রৃত ড্রাইভ প্রথমে ফর্ম্যাট নেবে। এরপর ইমেজ রিস্টোর হবে। এক্ষেত্রে পার্টিশন ভলিউম সর্বশেষ (নতুন করে এডিট করার পর) যা ছিল তাই থাকবে।

      Level 0

      @আরাফাত বিন সুলতান: image করার সময় (৫০ জিবি) ছিল, তাই restore করলে আবার আগের ৫০ জিবিই হবে, ৭০ জিবি হবে না। আমি নিজে পরিক্ষা করছি, অনেক ডাটাও হারাইছি 🙁

      Level 0

      Thank you.

      @আরাফাত বিন সুলতান: ডাটা হারাইলেন কিভাবে! সি ড্রাইভ ফরম্যাট নেবে এটা তো জানাই ছিল। সুতরাং আপনার ডাটা অন্য কোন ড্রাইভে রাখলে তো হারানোর ভয় থাকত না।

      নতুন সেট করা স্পেস রিস্টোর করার পর কি “আন এলোকেটেড” দেখাচ্ছিল নাকি আগের পার্টিশনে চলে গিয়েহিল?

      আপনার অভিজ্ঞতা কিন্তু সুখকর মনে হচ্ছেনা ভাই! আপনার ডাটা লসের কারণটা জানতে চাই 🙂

Level 0

valo laglo tulsan vai ami jantam na ki vabe image korte hoy apni janiye dilan

    @salakin: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই। যদিও আপনার মন্তব্যে আমার নামের বানানে একটু টাইপিং মিসটেক দেখা যাছে।

    ব্যাপার না………………….. 😉

অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর টউনের জন্য। কিন্তু এই ব্যাকআপ এর জন্য প্রায় ৩৫জিবি দরকার পরে।যা আমার জন্য একটু বড় বলা যায়।তবে পরে কাজে লাগবে।

    Level 0

    @অপূর্ব: portable harddisk এ ব্যাকআপ রাখতে পারেন, আমি portable হার্ডডিস্ক এ রাখি আমার টা 🙂

কাজে লাগবে 🙂

অনেক ভালো লাগলো সুলতান ভাই। কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।

Level 0

আমারও কাজে লাগবে, থাঙ্কু।

সুন্দর !

Level 0

ভাই xp এর জন্য কোন সমাধান আছে? থাকলে একটু বলবেন।

ওয়াও!!
আপনি তো দেখি নন-টেকি আর টেকি দুইটাতেই চ্রম।
পেন্ডিং টিউন রান করানোর জন্য মডুদের/অ্যাডমিনকে শুভেচ্ছা। 🙂 এমন একটি সচেতনতামূলক টিউন পেন্ডিং রাখলে অনেকেই অনেক কিছু উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হত।
প্রিয়তে নিলাম। ধন্যবাদ। 😀

Level 0

xpর জন্যে আছে। হিরেন বুট সিডি দিয়ে দুভাবে কাজটি করা যায়। যে ্রআভি আছে তার ইমেজ বানান Macrium reflect দিয়ে [সিডিতে থাকে]। তারপর সেটা দিয়েই আবার রিষ্টোর করা যায়।
আরেকটি করা যায় সদ্য সেটআপ হওয়া েফ্রশ xp কে সেশন আনলক করে সে অবস্থার ব্যাকআপ রাখা। আর Macrium reflect দিয়ে যেকোন হার্ডডিস্কের মধ্যে সেটা রিষ্টোর করে দেয়া। হাডৃডিস্কে যেকোন সাইজ হলেও হবে। এ পদ্ধতিতে যেকারও হার্ডডিস্কে একই ইমেজ রিস্টোর করে দেয়া যায়, একটা ইমেজ ১,২,৩ বা ইচ্ছামত পিসিতে রিস্টোর করে দেয়া যায়।
রিষ্টোর করে যার পিসিশুধুমাত্র তার পিসিতেই চালাতে হবে আর কিছু ঔ সময়ে করা যাবেনা। xp লোগো দেখাবার পরে মিনিট ২ কালো পর্দা দেখাবে, এ সময়ে xp নতুন হার্ডওয়ারের সাথে ম্যাচ করতে থাক, xp এরপর একদম রেডি্ ্ এ কায়দায় আপনার মাদারবোর্ডে বন্ধুদের ৪/৫ টি হার্ডডিস্কও একসাথে লাগিয়ে একই xp রিষ্টোর কার যায়।
আমি আমার bioster মাদারবোর্ডের পিসির xp ইমেজ এক সাইবার ক্যাফের ৩ টা পিসিতে রিষ্টোর করেছি, যার মধ্যে foxcon, esonic ও ছিল।
ফর্মাট সহ ৩ টা ডিস্কে একঘন্টার মাঝেই কাজ খতম, তবে কুইক ফমাটি দিলে বোধহয় আরও তাড়াতাড়িকরা যেত।
ফ্রেশ এক্সপি রেডী হলে অডিও ভিডিওগুলো কষ্ট করে সেটাপ দিয়ে নিবেন। কেননা, ইমেজটা ছিল কমন কররা জণ্যে, অডিও ভিডিও ড্রাইভ সেটাপ তাতেদেয়া ঠিক ছিলনা।

Level 0

এককথায়, একটা ফ্রেশ xp কে ম্যানুয়াল সেটাপ না দিয়ে রিষ্টোর করেও একাধিক পিসিতে ঢুকান যায়, আপনা রেডী xp ইমেজ হাজার হাজার পিসিতে ঢুকিয়ে দেয়া যায়, শুধুমাত্র c ড্রাইভটা ফর্মাটে যে সময়টা লাগে। ইমেজ ইনসার্ট করতে ৫/৬ মিনিট লাগে মাত্র। এরপর তার পিসিতে লাগাতে যে সময়, আর matching এ যে সময়টা [২/৩ মিনিট], ব্যস শেষ।
এ হ্যা , হরেন নাহলেও চলে, xp তে বসেও Macrium reflecট দিয়ে কাজটা করা যায়।
এ নিয়ে টিউন করা যায়, কিন্তু ধৈর্য্য নেই।
বিস্তারিত জানতে চাইলে মেইল দিতে পারেন, rana.m115 at gmail.com

বাহ ভাল টিউন!

Level 0

bhalo tune but apnar deoa option gulo khuje pelam na, tune ta aro details e screen shot diye somoy niye korle aro bhalo hoto

    @Jonty: ভাই, অপশন খুঁজে না পাওয়ার তো কিছু দেখছিনা! উইন্ডোজ সেভেন ব্যবহার করে থাকলে এগুলো পাবেনই। আবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। “বেষ্ট অফ লাক” 🙂

@উন্মাদ তন্ময়ঃ আপনার সিস্টেম ড্রাইভের ব্যবহৃত স্পেসের উপর ইমেজ ব্যাকাপের সাইজ নির্ভর করবে। যদি বেশি সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকে তবে সাইজ একটু বেশিই হবে।

আমি তো একটা স্পেশাল ড্রাইভই বানিয়ে নিয়েছি ব্যাকআপ ফোল্ডার রাখার জন্য। 🙂

Level 0

মনে করেন ইমেজ ফাইলটা বানায়া পোর্টাবল হার্ডিস্কে কপি কইরা রাখলাম পরে ব্যাকাপ নেয়ার টাইমে তো পোর্টাবল ড্রাইভ থেইকা ইমেজ ফাইলটা সিলেক্ট কইরা ব্যাকাপ নিতে পারুমতো নাকি কোন সমস্যা হইতে পারে এক্সটার্নাল ড্রাইভ এর কারনে

Level 0

kajer tune, joruri time e kaaje lagbe,priyo te rekhe dilam, thnx apnake

এ কাজ টি আমি এক্রোনিস দিয়ে করি। আমার কোন সমস্যা হয় না। আরাফাত বিন সুলতান ভাইয়ের কাছে আমার প্রশ্ন কোয়ালিটির দিক দিয়ে কোনটা ভাল আপনার দেখানো পদ্ধতি না এক্রোনিস ইমেজ এর ?

Thanks vai, what a tune!

@প্রচেষ্টাঃ ভাই আমার দেখানো পদ্ধতি স্বয়ং মাইক্রোসফটের দেয়া। এতে কোন আলাদা সফটওয়্যার বা সিডি রাইট করার দরকার হয়না। নেটে অনেক টিউটোরিয়াল দেখবেন “৫ মিনিটে উইন্ডোজ সেটআপ” দেয়ার। কিন্তু সেগুলোতে আপনাকে প্রথমে একটি সিডি ইমেজ ডাউনলোড করে তা সিডিতে রাইট করে নিতে হবে- যা অনেকের জন্য কঠিন।

2004 এ ক্লাস নাইনে বাংলা প্রথম পত্রে পড়েছিলাম “অল্প কথায় কাজ হইলে বেশি কথার দরকার কি?”

বিল্ট-ইন সুবিধা থাকতে শুধু শুধু কষ্ট করতে যাবেন কেন!

আর এখনও যদি কেউ এক্সপি চালান তবে সে অনেক কিছুই মিস করবেন।

সবশেষে বলতে চাই, অ্যাক্রোনিস বা হিরেন এর চেয়ে উইন্ডোজের ডিফল্ট যে পদ্ধতি আমি এখানে দেখাতে চেয়েছি সেটাই ভাল এবং সহজতর।

ধন্যবাদ আপনাকে। 🙂

Level 0

কাজের জিনিস।প্রিয়তে রাখলাম।

Level 0

Backup Store করতে তো বিশাল পরিমান জায়গা লাগে। আমার HDD তে এমনিতেই বেশি জায়গা নাই :/

    @tech_no: তো ভাই কিছু মুভি-টুভি ডিলিট করে স্পেস খালি করে নিন! ওই যে কথায় বলেনা, “উইন্ডোজ বাঁচলে “কালেকশানের” নাম ? 😉 😛

দারুন টিঊন্স, ধন্যবাদ আপনাকে।

প্রথমে আপনার একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে নেই। আপনি একটি প্রশ্ন করেছেন যে (উইন্ডোজ সেভেনের “সিস্টেম ইমেজ” ব্যাকাপ ট্রাই করেছেন কখোনো?) । উত্তরঃ আমি করেছি এবং করা আছে। আমার কিছু আপনার কাছে প্রশ্ন আছে। আপনি বলেছেন যে windows Setup এর কথা ভুলে জান। কিন্তু ভুলতে পারি না এবং আমার মনে হয় ভুলতে পারব না। তবে হ্যাঁ, সাময়িক সময়ের জন্য ভুলে যেতে পারবেন। প্রশ্ন হচ্ছে, আমি Image ফাইল D Dirve e ব্যাকআপ নেওয়ার পর যদি windows Crropted / Windows failed হয় তাহলে কিভাবে Image file Restore করব? আর যদি ভাল করে DVD তে ব্যাকআপ নেওয়ার পরও যদি restore না হয় তাহলে কি করব? একই Image file অনন্য কোন System Install করা যাবে কি? আশা করি উত্তর গুলো দিবেন। সর্বশেষে একটি কথা বলতে চায়, মাঙ্কা চিবাই পরলে Windows দিতে হবেই। ( Don’t mind) আরও জানার আগ্রহ ছিল।

    @মোঃ আল মামুন: ভাই মানুষের মস্তিষ্কে শিফট+ডিলিট অপশনটা নেই। সুতরাং আপনি যতই চেষ্টা করেন না কেন, চাইলেই আপনি একটি বিষয় “ভুলে যেতে” পারবেন না।

    আমি যেটা বোঝাতে চেয়েছি তা হল, উইন্ডোজ সেটআপ দেয়া একটি “ভীতিকর+সময়সাপেক্ষ” অভিজ্ঞতা। এটি যত এড়ানো যাবে ততই মঙ্গল।

    এইবার আপনার প্রশ্নের উত্তরে আসিঃ আপনি একই কনফিগারেশনের একাধিক পিসিতে একটি ইমেজ ঝামেলা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারেন। তবে ভিন্ন কনফিগারেশন (যেমন মাদারবোর্ড ইত্যাদি) হলে সমস্যা হতে পারে।

    উইন্ডোজ করাপ্টেড হলেও এফ-৮ বাটন চেপে তা এডভান্স বুট মেনুতে রান করা যায় যেটি টিউনে দেয়া আছে। এরপরও কাজ না হলে আপনি উইন্ডোজ ইন্সটালেশন মিডিয়া থেকে বুট করে “ইনস্টল নাউ” স্ক্রিনে “রিপেয়ার ইওর কম্পিউটার” অপেশন পাবেন। (স্ক্রিনের নিচের দিকে বাম কোনার ২য় অপশন)। সেখান থেকেই ইমেজ ফোল্ডার দেখিয়ে দিলে রিস্টোর করা যাবে।

    ডিভিডিতে ঠিকভাবে রাইট করলে কাজ না করার তো কোন কারণ নেই ভাই!

    সোজা কথা, আপনার কাছে একটি সিস্টেম ইমেজ ব্যাকআপ থাকলে আপনাকে ঠ্যাকানো মাইক্রোসফটের পক্ষেও সম্ভব না (একটু বেশি বলে ফেললাম নাকি? !!) 😉 😛 😀

হুম ভাই ! চমৎকার …।।
যদিও এইটা আমার ল্যাপি তে করতাম…।।
কিন্তু তারপর দেখি আমার হার্ড ডিস্ক কে সে বসুন্ধারার নিষ্কণ্টক জমির মতন ভোগ দখল করে নিচ্ছে…। 😉
তাই আপাতত বাদ রেখেছি…।

    Level 0

    @প্রফেসর শঙ্কু: হায় হায়… প্রফেসর শঙ্কু স্যারের কী দুর্গতি যে সুপার কম্পুটার ছাড়িয়া আপনার ল্যাপি ধরিতে হৈল? 😉
    আমি স্বকর্ণে শুনিতে প্রস্তুত! 😀

ধন্যবাদ আরাফাত ভাই সুন্দর একটি টিউন করার জন্য। আরও সুন্দর সুন্দর টিউন এর উপেক্ষায় রইলাম। সেই পর্যন্ত ভাল থাকবেন।

আপনার টিউনটি প্রিয়তে রাখলাম, সময় মতো কাজে লাগাবো…

ভাল হইছে…………।ধন্যাবাদ

Level 0

বস এইটা কি শুধু এক্সপি র জন্য নাকি উইন্ডোজ সাত কিংবা আট এ ও সম্ভব ?

    @Tj Imran: বস, এইটা তো ৭ এ আছে। এক্সপিতে এভাবে দেয়া নেই। আর উইন্ডোজ ৮ এ হয়তো এর চেয়েও ভাল কিছু আসছে। 🙂

Level 2

আপনার অপরিসীম ধৈর্য আরাফাত ভাই। অনেক অনেক ধন্যবাদ এই অসাধারণ টিউন টির জন্য। ভালো থাকবেন ভাই। ঈশ্বর আপনার মঙ্গল করুন।