Rahul Ligma – মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

বন্ধুরা, মনে আছে সেই মুখটা? চোখেমুখে হতাশার ছাপ, হাতে Cardboard-এর বাক্স, আর পরিচয় - "Rahul Ligma", সদ্য চাকরিচ্যুত Twitter Engineer! Elon Musk-এর Twitter (বর্তমানে X) কেনার পর এই ছবিটা Social Mediaতে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল।

Rahul Ligma - মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

কিন্তু সেই মজার চরিত্রটির আড়ালে যে একজন সত্যিকারের উদ্ভাবক, একজন স্বপ্নদ্রষ্টা লুকিয়ে ছিলেন, তা কজনই বা জানতে পেরেছিল? আজ আমরা সেই গল্প জানবো - কিভাবে একজন মিম Star Rahul Sonwalkar হয়ে উঠলেন মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI স্টার্টআপের মালিক!

"Rahul Ligma"র জন্ম, এক অপ্রত্যাশিত কমেডি

মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

সময়টা ২০২২ সাল। Tech দুনিয়া তখন টালমাটাল। Elon Musk-এর Twitter অধিগ্রহণ নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। ঠিক তখনই Rahul Sonwalkar একটি মজার Prank করার সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি Twitter-এর অফিসের সামনে গিয়ে চাকরি হারানো একজন Engineer সেজে দাঁড়ালেন, আর নিজের Name দিলেন "Rahul Ligma"। যদিও তাঁর আসল নাম "Rahul Sonwalkar"। এই অপ্রত্যাশিত কমেডি মুহূর্তের মধ্যে Viral হয়ে গেল। Rahul রাতারাতি Internet সেনসেশন বনে গেলেন।

মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

তবে গল্পের এখানেই শেষ নয়। যখন Cryptocurrency Exchange FTX মুখ থুবড়ে পড়লো, তখনও Rahul একইরকম Prank করেন। তিনি Bahamas-এর সৈকতে গিয়ে Lay Off হওয়া একজন FTX Worker-এর বেশে ছবি তোলেন, আর সেই ছবিও Internet দুনিয়ায় ঝড় তোলে। মানুষ হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরিয়ে ফেলেছিল!

কিন্তু এই হাসির আড়ালে লুকিয়ে ছিল এক সিরিয়াস গল্প।

টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড, সাফল্যের ভিত্তিপ্রস্তর

মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

আসলে Rahul কখনোই X বা FTX-এর কর্মচারী ছিলেন না। কিন্তু তিনি একজন সিরিয়াস Tech প্রফেশনাল। তার একটি শক্তিশালী এবং পরীক্ষিত টেকনিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড রয়েছে। তিনি স্বনামধন্য Uber-এর মতো কোম্পানিতে একজন Software Engineer হিসেবে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ করেছেন। Uber-এর জটিল System এবং Challenging প্রোজেক্টগুলোতে কাজ করার অভিজ্ঞতা তাকে প্রবলেম সলভিং এবং Technology সম্পর্কে গভীর জ্ঞান অর্জন করতে সাহায্য করেছে।

শুধু তাই নয়, Rahul অত্যন্ত সম্মানজনক Y Combinator Accelerator Program-এর একজন Alumni। এই প্রোগ্রামটি নতুন Startup-দের জন্য একটি ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করে, যেখানে তারা তাদের আইডিয়াগুলোকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য মেন্টরশিপ, Funding এবং নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ পায়। Rahul Y Combinator-এ একটি Logistics Startup নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন, কিন্তু পরবর্তীতে বাজারের চাহিদা এবং নিজের ভেতরের প্যাশনকে উপলব্ধি করে তিনি সেই আইডিয়াটি পরিবর্তন করেন (Pivot)।

এই সমস্ত অভিজ্ঞতা Rahul-কে একজন সফল Entrepreneur হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা এবং আত্মবিশ্বাস জুগিয়েছে।

Julius, AI ডেটা অ্যানালিটিক্স-এর নতুন দিগন্ত

মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

বর্তমানে ২৭ বছর বয়সী Rahul তার সমস্ত এনার্জি এবং Focus ঢেলে দিয়েছেন তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রোজেক্ট Julius-এর ওপর। Julius একটি অত্যাধুনিক AI data analyst startup, যা তিনি প্রায় দুই বছর আগে প্রতিষ্ঠা করেন। এই Platform-টির মূল উদ্দেশ্য হলো Data Science-কে Democratize করা, অর্থাৎ সকলের জন্য সহজলভ্য করে তোলা এবং ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী করা।

Julius একটি Powerful Tool, যা Natural Language Prompt ব্যবহার করে বিশাল আকারের Datasets (যেমন স্প্রেডশিট, ডাটাবেস, CRM ডেটা ইত্যাদি) খুব সহজে বিশ্লেষণ করতে পারে এবং সেই ডেটার ওপর ভিত্তি করে Predictive Modeling করতেও সক্ষম। এর মাধ্যমে যে কেউ, এমনকি যাদের Data Science-এর ওপর কোনো পূর্ব অভিজ্ঞতা নেই, তারাও খুব সহজেই ডেটা থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য বের করে আনতে পারবে, যা আগে শুধুমাত্র ডেটা সাইন্টিস্টদের পক্ষেই সম্ভব ছিল।

এই পর্যন্ত শুনে হয়তো মনে হতে পারে, Julius আর পাঁচটা সাধারণ AI Tool-এর মতোই। কিন্তু এর বিশেষত্ব এখানেই শেষ নয়! Julius-এর সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এর ইউজার-ফ্রেন্ডলি Interface এবং শক্তিশালী Analytics ইঞ্জিন। এই Platform-টি ইতিমধ্যেই ২ মিলিয়নেরও বেশি Registered Users-এর মন জয় করেছে। ছোট ব্যবসা থেকে শুরু করে বড় কর্পোরেশন পর্যন্ত, বিভিন্ন ক্ষেত্রে Julius ব্যবসায়িক সাফল্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

Rahul-এর ভাষায়, "I wanted to build something that would make Data Science very accessible to everyone." অর্থাৎ, তিনি এমন একটি Tool তৈরি করতে চেয়েছিলেন, যা Data Science-কে সকলের জন্য সহজলভ্য করে তুলবে। এবং তার এই Vision যে বাস্তবে রূপ নিয়েছে, তা Julius-এর ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা দেখলেই বোঝা যায়।

Harvard Business School-এর আস্থা, Julius-এর স্বীকৃতি

মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

এবার আসা যাক গল্পের সবচেয়ে চমকপ্রদ অংশে। Julius-এর কিছু Functionality হয়তো ChatGPT, Anthropic-এর Claude, অথবা Google-এর Gemini-তেও পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু Harvard Business School (HBS)-এর Assistant Professor Iavor Bojinov এই Tool-টির এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তিনি Rahul-কে বিশেষভাবে অনুরোধ করেন HBS-এর নতুন এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ Course "Data Science and AI for Leaders"-এর জন্য Julius-কে Modify করতে। একটু ভেবে দেখুন, Harvard Business School-এর মতো একটি বিশ্বখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান Rahul-এর Startup-এর ওপর ভরসা রাখছে! এটা নিঃসন্দেহে একটি বিশাল বড় স্বীকৃতি।

Bojinov বলেন, "We Had Done a Head-to-Head Comparison Across a Number of Platforms, Including ChatGPT, and Julius Ended Up Performing the Best." অর্থাৎ, অন্যান্য Platform-এর সঙ্গে কঠোর Comparison করার পর Julius-কেই সেরা হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছে।

HBS-এর মতো প্রতিষ্ঠানে, যেখানে প্রতি বছর প্রায় ১, ০০০ ভবিষ্যৎ Business Leaders তৈরি হন, সেখানে Julius-এর Adoption একটি বিশাল বড় জয়। এটি প্রমাণ করে যে Rahul শুধুমাত্র একজন মজার Prankster নন, বরং একজন Visionary Entrepreneur, যিনি Technology এবং ডেটার শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিশ্বকে পরিবর্তন করতে চান। বর্তমানে Julius-এর Team-এ ১২ জন নিবেদিতপ্রাণ Employees কাজ করছেন, যারা দিনরাত Platform-টিকে আরও উন্নত এবং শক্তিশালী করার জন্য নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

বিনিয়োগ এবং উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ, রূপকথার সমাপ্তি

মিম জগতের ভাইরাল টেক প্র্যাঙ্কস্টার থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI সাম্রাজ্য!

খুব শীঘ্রই Rahul একটি Seed Round-এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ Secured করতে যাচ্ছেন। এই বিনিয়োগ Round-টি নেতৃত্ব দেবে স্বনামধন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল ফার্ম Bessemer Venture Partners, যাদের Partner Talia Goldberg এই Deal-টি তত্ত্বাবধান করছেন। যদিও Rahul এই বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করতে রাজি হননি, তবে খুব শীঘ্রই আমরা এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারব বলে আশা করা যায়।

তাহলে, শেষ প্রশ্ন: "Rahul Ligma" Prank কি Julius তৈরি করার প্রথম দিকে কোনো সাহায্য করেছিল? উত্তরে Rahul বলেন, "প্রথম দিকে হয়তো কিছু মানুষের কৌতূহল জন্মেছিল, কিন্তু এখন Julius তার নিজের যোগ্যতা এবং উদ্ভাবনী ক্ষমতার মাধ্যমেই সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছে। "

সব মিলিয়ে Rahul Sonwalkar-এর এই জার্নি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক। একজন Viral Prankster থেকে মাল্টি-মিলিয়ন Dollar AI Startup-এর Founder হয়ে ওঠার গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, কঠোর পরিশ্রম, একাগ্রতা এবং নিজের ওপর বিশ্বাস থাকলে যে কেউ অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে।

সুতরাং, বন্ধুরা, নিজের স্বপ্নকে তাড়া করুন, ভয়কে জয় করুন, এবং "Rahul Ligma"-র মতো রূপকথা তৈরি করুন! কে জানে, আপনার ভেতরের সৃজনশীলতা হয়তো একদিন গোটা বিশ্বকে আলোকিত করবে!

-

টেকটিউনস টেকবুম

Level 2

আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 855 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস