
২০২৫ সাল। টেকনোলজির দুনিয়ায় ঝড় উঠেছে। স্মার্টফোন কোম্পানিগুলোর মধ্যে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। গ্রাহকদের একটাই প্রশ্ন – কোন ফোনটা সেরা? Apple, Samsung, Oneplus, Google -এর মত পুরোনো খেলোয়াড়দের সাথে পাল্লা দিয়ে Xiaomi ও এখন বেশ জনপ্রিয়। আর সেই জনপ্রিয়তাকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যেতে, Xiaomi নিয়ে এলো তাদের নতুন ফ্ল্যাগশিপ ফোন - Xiaomi 17 PRO Max!
স্মার্টফোনের বাজারে নতুন কিছু ঘটতে চলেছে। ডিজাইন, ক্যামেরা, স্পেসিফিকেশন - সবকিছু মিলিয়ে ফোনটা যেন এক কথায় অসাধারণ। Apple-এর iPhone 17 PRO Max সবেমাত্র এক মাস আগে বাজারে এসেছে। তারা হয়তো ভেবেছিল, এই মুহূর্তে তাদের কেউ টেক্কা দিতে পারবে না। কিন্তু Xiaomi প্রমাণ করলো, প্রতিযোগিতার বাজারে কেউই চিরস্থায়ী রাজা নয়।
Xiaomi 17 PRO Max - নামটা হয়তো Apple-এর iPhone থেকে অনুপ্রাণিত, কিন্তু ভেতরের শক্তি দেখলে আপনি নিশ্চিতভাবে মুগ্ধ হবেন। ফোনটা হাতে নিলে প্রিমিয়াম একটা ফিল আসে। বিল্ড কোয়ালিটি থেকে শুরু করে Materials এর ব্যবহার - সবকিছুতেই রুচির পরিচয় পাওয়া যায়। তবে শুধু ডিজাইন নয়, ফোনটার ভেতরেও রয়েছে অত্যাধুনিক সব ফিচার। চলুন, আর দেরি না করে দেখে নেওয়া যাক, কী কী চমক অপেক্ষা করছে Xiaomi 17 PRO Max-এ!

এখনকার দিনে অনেক ফোনেই আমরা দু'টো Screen দেখতে পাই। কিন্তু Xiaomi 17 PRO Max-এর পেছনের Screen টা শুধু একটা Display নয়, এটা একটা স্মার্ট আইডিয়া। সাধারণত, পেছনের Screen ব্যবহার করা হয় নোটিফিকেশন দেখার জন্য বা সামান্য কিছু Shortcuts ব্যবহারের জন্য। কিন্তু Xiaomi এই Screen-টাকে আরও বেশি Functional করেছে।
120 Hz LTPO OLED Panel -এর এই Screen-টা এতটাই স্মুথ যে, আপনি আঙুল দিয়ে Touch করে দারুণ একটা Experience পাবেন। 3, 500 Nits পিক ব্রাইটনেস থাকার কারণে দিনের আলোতে বা কড়া রোদেও Screen দেখতে কোনো সমস্যা হবে না। Pictures এবং Videos গুলো এতটাই Vibrant এবং Sharp লাগে যে, আপনি চোখ ফেরাতে পারবেন না।
এই Screen-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ Feature হল, এটা ক্যামেরার Viewfinder হিসেবে কাজ করে। আপনি যখন সেলফি তুলবেন, তখন পেছনের Screen-এ দেখতে পারবেন আপনি কেমন দেখাচ্ছেন। এর ফলে, ফ্রন্ট ক্যামেরার চেয়ে অনেক ভালো Quality-র ছবি তোলা সম্ভব হবে।

Software -এর দিক থেকে পেছনের Screen-টা এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। যদিও Xiaomi থার্ড-পার্টি App সাপোর্ট করার Promise দিয়েছে, কিন্তু বর্তমানে শুধু কিছু চাইনিজ App (যেমন Spotify) ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে। গ্লোবাল মার্কেটের কথা মাথায় রাখলে, এটা অবশ্যই একটা Limitation। কিন্তু আমরা আশা রাখছি, গ্লোবাল Version যখন রিলিজ হবে, তখন এই সমস্যা আর থাকবে না। Xiaomi নিশ্চয়ই চাইবে তাদের গ্রাহকরা পেছনের Screen-এর পুরো সুবিধা নিতে পারুক।
আরেকটা বিষয় হল, ফোনটা এখন শুধুমাত্র China-তেই Available। তাই চাইনিজ App-এর প্রাধান্য থাকাটা স্বাভাবিক। গ্লোবাল Version রিলিজ হতে এখনো কয়েক মাস বাকি। তাই আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে। তবে আমরা নিশ্চিত, Xiaomi এই সময়ের মধ্যে Software -টাকে আরও Optimize করবে এবং গ্লোবাল ইউজারদের জন্য আরও বেশি Features নিয়ে আসবে।

Xiaomi 17 PRO Max এর ক্যামেরাই হলো এর প্রধান আকর্ষণ। পেছনের স্ক্রিনটি Viewfinder হিসেবে ব্যবহার করে সেলফি তোলার অভিজ্ঞতাকে সম্পূর্ণ পরিবর্তন করে দিয়েছে। যারা Social Media তে নিয়মিত ছবি টিউন করেন, তাদের জন্য এটা একটা Dream Feature। এর মাধ্যমে আপনি মেইন Camera ব্যবহার করে সেলফি তুলতে পারবেন, যা ফ্রন্ট ক্যামেরার চেয়ে অনেক ভালো Quality দেবে। আলট্রাওয়াইড সেলফি তোলার অপশন তো থাকছেই, ফলে Group সেলফি তোলাও অনেক সহজ হবে।
Xiaomi এর আগের ফোনগুলোর (বিশেষ করে Xiaomi Mi 11 Ultra) ক্যামেরার Quality নিয়ে অনেকের মনে প্রশ্ন ছিল। কিন্তু Xiaomi 17 PRO Max সেই Image পুরোপুরি বদলে দেবে। Pictures এর Color Accuracy এবং Details এতটাই ভালো যে, আপনি বিশ্বাস করতে পারবেন না এটা একটা স্মার্টফোনের ক্যামেরা দিয়ে তোলা।

ডিজাইনের ক্ষেত্রে Xiaomi কোনো Compromise করেনি। iPhone এর মতো, Xiaomi 17 PRO Max-এ রয়েছে ফ্ল্যাট Glass Front এবং 6.9 ইঞ্চির 120 Hz Display। Film দেখা, গেম খেলা বা Video Editing - সব কিছুর জন্যই এই Display একদম পারফেক্ট। 120 Hz Refresh Rate থাকার কারণে Screen Touching এবং Scrolling খুবই Smooth হবে।
Face Scanning Hardware না থাকার কারণে এবং পিল-শেপড নচ থাকার সুবাদে Xiaomi-তে Screen এরিয়াটা একটু বেশি পাবেন। এর মানে হলো, আপনি যখন Multimedia Content উপভোগ করবেন, তখন Screen এর প্রতিটি Corner ভালোভাবে দেখতে পারবেন।
Xiaomi-র Display নিঃসন্দেহে চমৎকার, তবে এর উপরে অ্যান্টি-রিফ্লেক্টিভ Glass এর অভাব রয়েছে। এর মানে হলো, সরাসরি সূর্যের আলোতে Screen দেখতে সামান্য সমস্যা হতে পারে। তবে আমরা আশাকরি, ভবিষ্যতে Xiaomi তাদের Display Technology তে আরও Improvement আনবে।

Xiaomi 17 PRO Max এ ব্যবহার করা হয়েছে Hyperos 3, যা Android 16-এর উপর ভিত্তি করে তৈরি। Software -এর দিক থেকে Xiaomi এখানে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছে। ইউজার Interface টা খুবই Clean এবং Easy to Use। আপনি খুব সহজেই এক App থেকে অন্য App এ Switch করতে পারবেন।
Vivo-র মতো, Xiaomi এখানে নতুন একটি ডিজাইন ব্যবহার করেছে, যা iOS 26 থেকে অনুপ্রাণিত। আপনি এখানে বেশ রঙিন Interface পাবেন, যেখানে বড় বড় Ui Elements ট্রান্সপারেন্ট Effects-এর সাথে দেওয়া হয়েছে। যারা কাস্টমাইজেশন ভালোবাসেন, তাদের জন্য Hyperos 3 অনেক অপশন নিয়ে আসবে। আপনি আপনার পছন্দ অনুযায়ী Theme এবং Icon Pack ব্যবহার করতে পারবেন।

আমরা আমাদের Xiaomi 17 PRO Max ফোনটা China-র একটি Store থেকে সংগ্রহ করেছি। Box-এর ভেতরে আপনি পাবেন -
বর্তমানে অনেক স্মার্টফোন কোম্পানি Charger Box-এর সাথে দেয় না। কিন্তু Xiaomi এখনো সেই পথে হাঁটা শুরু করেনি, যা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।

Xiaomi 17 PRO Max ফোনটা Apple এবং Samsung এর মত Company গুলোকে কড়া টক্কর দিতে পারবে কিনা, সেটা সময়ই বলবে। তবে আমরা প্রথম কয়েকদিন ব্যবহারের পরেই বুঝতে পেরেছি - ফোনটাতে দম আছে। ডিজাইন, ক্যামেরা, Display এবং পারফরম্যান্স - সবকিছু মিলিয়ে Xiaomi 17 P.O.Max একটি Complete Package।
এখন শুধু অপেক্ষা গ্লোবাল Version রিলিজ হওয়ার। টেকটিউনসের সাথেই থাকুন! আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না!
-
টেকটিউনস টেকবুম
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1061 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।