
Qualcomm তাদের Second Gen X Series Laptop Processors, Snapdragon X2 Elite এবং X2 Elite Extreme ঘোষণা করেছে! এই Chips গুলো Microsoft Windows On ARM Initiative এর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখানে Naming Scheme নিয়ে একটু Confusion আছে। X2 Elite Extreme টি Vanilla X2 Elite এর মতোই, শুধু কিছু Higher Clocks (বেশি গতি) আছে। তবে এটি অন্য X2 Elite এর থেকে ছয়টি Core কম থাকার কারণে উল্লেখযোগ্যভাবে আলাদা। এই Naming Scheme টা নিয়ে ইউজাররা কিছুটা বিভ্রান্ত!
আমার তো মনে হয় Qualcomm নিজেই এই ব্যাপারে খুব স্পষ্ট নয়! তাদের উচিত ছিল আরও সহজ এবং স্পষ্ট Naming Convention ব্যবহার করা। আপনার উচিত Twitter এ গিয়ে Qualcomm কে Tag করে এই বিষয়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাওয়া।

Snapdragon First Gen X Series এর জন্য তাদের অতিরিক্ত Hype Marketing এর পূর্বের পর্ব থেকে কোনো শিক্ষা না নিয়েই, যা অন্যথায় বেশ Cool ছিল, Qualcomm আবারও দাবি করছে এই Unreleased Chips গুলো Windows PCs এর জন্য Fastest এবং Most Efficient Processors।
তারা "Fastest." এই শব্দগুলো ব্যবহার করে তাদের দাবিকে আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমরা টেক-উইজরা জানি, Benchmark Result ছাড়া শুধু দাবি করাটা স্রেফ Marketing Strategy। এই Chips গুলো কেমন Performance দেবে, Efficiency কেমন হবে, এবং Overall User Experience কেমন হবে, তা জানতে আমাদের অবশ্যই আরও অপেক্ষা করতে হবে। Performance, Efficiency এবং Overall User Experience এর বিচারে এগুলো Intel এবং AMD এর Latest Processors কে কতটা টক্কর দিতে পারে, সেটাই দেখার বিষয়।
এখন পর্যন্ত ARM Based Windows Laptops Performance এ x86 Based Laptops এর চেয়ে পিছিয়ে আছে, তাই Qualcomm এর এই দাবি প্রমাণ করাটা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমি আপাতত এই দাবি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, বরং Real-World Tests এর জন্য অপেক্ষা করব।

আসুন, কোয়ালকমের এই নামকরণ রহস্যটি আরেকটু ভেঙে দেখি। সাধারণত ‘Extreme’ বা ‘Ultra’ বা ‘Max’ এর মতো শব্দগুলো শুনলে আমরা বুঝি যে এটি ওই সিরিজের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সবচেয়ে বেশি কোর সমৃদ্ধ চিপ। কিন্তু এখানে কোয়ালকম পুরো সমীকরণটাই উল্টে দিয়েছে। তাদের ‘X2 Elite Extreme’ চিপটিতে নাকি ‘X2 Elite’ এর একটি সংস্করণের চেয়েও কম কোর থাকছে! যদিও ক্লক স্পিড কিছুটা বেশি। তাহলে প্রশ্ন হলো, কোনটিকে গ্রাহকরা সেরা হিসেবে ধরবে? বেশি কোর, নাকি বেশি ক্লক স্পিড? এই বিভ্রান্তি সাধারণ ক্রেতাদের জন্য পণ্য বাছাই করাকে আরও কঠিন করে তুলবে। এটি অনেকটা এমন যে, একটি গাড়ির ‘স্পোর্টস’ মডেলে সাধারণ মডেলের চেয়ে ছোট ইঞ্জিন দেওয়া হলো, কিন্তু বলা হলো এর টপ স্পিড সামান্য বেশি! এই ধরনের মার্কেটিং কৌশল পণ্যের স্বচ্ছতাকে নষ্ট করে এবং ব্র্যান্ডের প্রতি আস্থাও কমিয়ে দেয়।

ইতিহাস সাক্ষী, কোয়ালকম এর আগেও এমন বড় বড় দাবি করেছে। প্রথম প্রজন্মের Snapdragon X Elite চিপ বাজারে আনার সময় তারা Apple-এর M-সিরিজ চিপকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল। বলা হয়েছিল, এটি পারফরম্যান্স এবং এফিসিয়েন্সিতে অ্যাপলকে ছাড়িয়ে যাবে। কাগজে-কলমে তাদের দেখানো বেঞ্চমার্কগুলো সত্যিই প্রশংসনীয় ছিল। কিন্তু যখন ডিভাইসগুলো সাধারণ ব্যবহারকারী এবং রিভিউয়ারদের হাতে পৌঁছাল, তখন মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেল। যদিও নেটিভ ARM অ্যাপগুলোতে পারফরম্যান্স বেশ ভালো ছিল, কিন্তু x86 অ্যাপগুলো এমুলেশনের মাধ্যমে চালানোর সময় পারফরম্যান্স ড্রপ এবং ব্যাটারি লাইফে তারতম্য লক্ষ্য করা গেছে। অর্থাৎ, তাদের ‘বিপ্লবী’ পারফরম্যান্সের দাবিটি ছিল শর্তসাপেক্ষ। তাই এবার যখন তারা "Fastest." এর মতো চূড়ান্ত শব্দ ব্যবহার করছে, তখন আমাদের মতো পুরনো পাপীদের কপালে ভাঁজ পড়াটাই স্বাভাবিক। একবারের ভুলকে দুর্ঘটনা বলা যেতে পারে, কিন্তু বারবার একই ধরনের হাইপ তৈরি করাটা সন্দেহের উদ্রেক করে।
কোয়ালকমের সবচেয়ে বড় যুদ্ধটা কিন্তু ইন্টেল বা এএমডির র’ পারফরম্যান্সের বিরুদ্ধে নয়, বরং উইন্ডোজের বিশাল x86 অ্যাপ ইকোসিস্টেমের সাথে। অ্যাপল তাদের M-সিরিজ চিপের সাফল্যের পেছনে একটি বড় কারণ হলো ‘Rosetta 2’ নামের অসাধারণ একটি ট্রান্সলেশন লেয়ার, যা ইন্টেল-ভিত্তিক অ্যাপগুলোকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ARM-আর্কিটেকচারে চালায়। মাইক্রোসফটও তাদের ‘Prism’ এমুলেটর দিয়ে একই চেষ্টা করছে, কিন্তু এটি এখনও অ্যাপলের মতো মসৃণ এবং পারফরম্যান্ট হয়ে ওঠেনি। একজন ব্যবহারকারী যখন তার ল্যাপটপে Adobe Photoshop বা কোনো জনপ্রিয় গেম চালাতে গিয়ে ল্যাগ বা ক্র্যাশের শিকার হন, তখন তার কাছে "Fastest Processor" এর দাবিটি ফাঁপা শোনায়। কোয়ালকমের চিপ যতই শক্তিশালী হোক না কেন, সফটওয়্যার এবং এমুলেশনের অভিজ্ঞতা যদি ভালো না হয়, তবে এই উদ্যোগ ব্যর্থ হতে বাধ্য।
সুতরাং, আসল পরীক্ষা হবে বেঞ্চমার্কের স্কোরশিটে নয়, বরং দৈনন্দিন ব্যবহারে লিগ্যাসি অ্যাপগুলো কতটা সাবলীলভাবে চলে, তার উপর।
-
টেকটিউনস টেকবুম
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1061 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।