স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

স্মার্টফোন এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটা Essential Part। সকালের অ্যালার্ম থেকে শুরু করে রাতে Netflix দেখা পর্যন্ত, সবকিছুতেই এর অবাধ বিচরণ। আর এই স্মার্টফোনের দুনিয়ায় Innovation-এর জোয়ার সবসময় লেগেই আছে। নিত্যনতুন Feature, চোখ ধাঁধানো ডিজাইন, আর অত্যাধুনিক Technology এসে আমাদের তাক লাগিয়ে দেয়।

ফোল্ডিং স্মার্টফোনের জগতে Samsung, Google কোমর বেঁধেই নেমেছে! গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে Apple-ও নাকি এই পথে পা বাড়াতে পারে! কিন্তু প্রশ্নটা হলো, ফোল্ডিং ফোনের প্রতি এই তীব্র আগ্রহের কারণ কী? এটা কি সত্যিই স্মার্টফোনের ভবিষ্যৎ, নাকি নিছকই একটা ক্ষণস্থায়ী ক্রেজ? আসুন, চুলচেরা বিশ্লেষণের মাধ্যমে এর গভীরে প্রবেশ করি।

ফোল্ডিং ফোনের আদি-কথা, ইতিহাসের পাতায় এক ঝলক

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

স্মার্টফোনের ইতিহাসে ফোল্ডিং ফোনের আবির্ভাব খুব বেশিদিনের নয়। ২০১৮ সালে চিনের এক কোম্পানি Royal তাদের FlexPai (ফ্লেক্সপাই) নামের একটি ফোল্ডিং ফোন introduce করে। ফোনটি তেমন জনপ্রিয়তা না পেলেও, ফোল্ডিং ফোনের সম্ভাবনার দরজা খুলে দেয়। এরপর ২০১৯ সালে Samsung তাদের প্রথম Galaxy Fold নিয়ে আসে। ফোনটি বাজারে সাড়া ফেলে দেয়, যদিও কিছু টেকনিক্যাল সমস্যা ছিল। Google-ও পিছিয়ে থাকেনি, তারাও Pixel Fold নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতায় নামে। শুধু বড় কোম্পানিগুলোই নয়, Motorola-র মতো পুরনো Brand-ও তাদের Razr ফোনটিকে ফোল্ডিং রূপে পুনর্জন্ম দেয়। এছাড়াও, Huawei, Xiaomi-র মতো Chinese Brand-গুলোও চেষ্টা চালাচ্ছে আরও স্লিম ও হালকা ফোল্ডিং ফোন create করতে। Nokia-ও Flip Phone Space-এ ফিরে এসে আধুনিক Apps-এর support যুক্ত করেছে।

এ থেকেই বোঝা যায়, ফোল্ডিং ফোন নিয়ে একটা Investment War শুরু হয়ে গেছে। কে কাকে টেক্কা দেয়, সেটাই দেখার বিষয়।

Apple-এর গোপন অভিসন্ধি, ২০২৬-এই কি ফোল্ডিং ফোনের আত্মপ্রকাশ?

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

ফোল্ডিং ফোনের বাজারে Apple-এর Entry নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। Tech Analyst-দের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে Apple ফোল্ডিং ফোনের বাজারে প্রবেশ করতে পারে। যদিও এটা নতুন কিছু নয়, এর আগেও অনেকবার এমন Rumor শোনা গেছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে Apple আগের চেয়ে অনেক বেশি সিরিয়াস। তাদের গতিবিধি দেখে মনে হচ্ছে, ২০২৬ সালের Fall-এ তারা এর যোগ্য জবাব দিতে পারে। তবে Apple সবসময় নিজস্ব স্ট্র্যাটেজি অনুসরণ করে। তারা তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না, সবকিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে, তারপর নিজেদের মতো করে বাজারে আত্মপ্রকাশ করে।

ফোল্ডিং ফোন কি সত্যিই Mainstream হওয়ার যোগ্যতা রাখে? কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

এত কোম্পানি, এত Investment, এত প্রচেষ্টা – তারপরও ফোল্ডিং ফোন এখনো পর্যন্ত Mainstream হতে পারেনি। এর পেছনে বেশ কিছু Reason রয়েছে। প্রথমত, দাম। ফোল্ডিং ফোনের দাম এখনো আকাশছোঁয়া, যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। দ্বিতীয়ত, Durability। প্রথম দিকের ফোল্ডিং ফোনগুলোর Screen খুব সহজেই নষ্ট হয়ে যেত। যদিও এখনকার Model-গুলো তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি Durable, তবুও Users-দের মনে একটা দ্বিধা থেকেই যায়। তৃতীয়ত, Usability। ফোল্ডিং ফোন ব্যবহারের Experience এখনো সব User-দের জন্য User-Friendly নয়।

সত্যি বলতে, বেশিরভাগ User-দের কাছে তাদের পুরনো ফোনটি পরিবর্তন করে ফোল্ডিং ফোন কেনার মতো যথেষ্ট শক্তিশালী Reason নেই। Upgrade করতে হলে এমন কিছু প্রয়োজন, যা এখনকার Pocket-এ থাকা ফোনের চেয়ে সম্পূর্ণ আলাদা Experience দিতে পারে। ফোল্ডিং ফোনগুলো End User-দের জন্য একটা লোভনীয় Proposition হতে পারে, যদি তারা এই চ্যালেঞ্জগুলো অতিক্রম করতে পারে।

কেন Tech Companyগুলো ফোল্ডিং ফোনে এত অর্থ ঢালছে? ভবিষ্যতের হাতছানি

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

তাহলে Tech Companyগুলো কেন ফোল্ডিং ফোনে এত Investment করছে, আর Apple-ই বা কেন এই মার্কেটে আসতে চাইছে? এর উত্তর পেতে হলে আমাদের একটু অতীতের দিকে ফিরে তাকাতে হবে। ২০০০ সালের দিকে Flip Phone ছিল Trend-এর শীর্ষে। তারপর এলো BlackBerry, যা কর্পোরেট জগতে ঝড় তুললো। আর ২০০৭ সালে iPhone এসে পুরো Smartphone Industry-র চেহারাটাই বদলে দিল। iPhone-এর বিশেষত্ব ছিল এর Touch Screen Display এবং বাটনবিহীন ডিজাইন। Google Android নিয়ে এলেও, iPhone-এর জনপ্রিয়তা ছুঁতে তাদের বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে।

Tech Industry-র Expert-রা মনে করেন, ফোল্ডিং ফোনের মধ্যে iPhone-এর মতো একটা Disruptive Change আনার ক্ষমতা রয়েছে। ফোল্ডিং ফোন একইসঙ্গে Phone এবং Tablet-এর Experience দিতে পারে। একজন User একটা Device দিয়েই মাল্টিপল কাজ করতে পারবে। Gaming, ভিডিও দেখা, মাল্টিটাস্কিং – সবকিছুতেই ফোল্ডিং ফোন একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।

Samsung ২০১৯ সালে প্রথম Galaxy Fold Launch করে। এটি ছিল একটি Breakthrough, কিন্তু Durability নিয়ে কিছু সমস্যা ছিল। Screen-টা এখনকার Model-গুলোর মতো ততটা Durable ছিল না। Hinge-এর ডিজাইনেও কিছু ত্রুটি ছিল, যার কারণে ধুলোবালি ঢুকে Screen-এর ক্ষতি করত। তবে প্রথম ফোল্ডিং ফোন হিসেবে এগুলো ছিল স্বাভাবিক সমস্যা।

Samsung সেই ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে ক্রমাগত Improvement করে চলেছে। তাদের নতুন Model-গুলো আগের চেয়ে অনেক Slim (৮.৯mm), যা প্রায় একটি Standard Flagship Phone-এর Thickness-এর সমান। আর খুললে পাওয়া যায় একটি Large Format Experience। Flip Device-গুলোর Battery Life-ও এখন Flagship Phone-গুলোর মতোই।

বর্তমানে US-এ Samsung, Motorola, Google, OnePlus মিলিয়ে প্রায় ৮-১০টি ফোল্ডিং ফোনের Model পাওয়া যাচ্ছে। Google তাদের নতুন Pixel Ten Pro Fold-এর Teaser ও প্রকাশ করেছে। কিন্তু একটি পরিসংখ্যানে চোখ রাখলে আপনি অবাক হবেন, ২০২৪ সালে Global Smartphone Shipment-এর ২%-ও ফোল্ডিং ফোনের দখলে নেই। তার মানে, এখনো অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হবে।

দাম, ফোল্ডিং ফোনের সাফল্যের পথে প্রধান অন্তরায়

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

ফোল্ডিং ফোনের দাম একটি বড় অন্তরায়, একথা অস্বীকার করার উপায় নেই। বেশিরভাগ Model-এর দাম ১৫০০ থেকে ২০০০ ডলারের মধ্যে। বোঝাই যাচ্ছে, Smartphone Market-এর High End-এ এর অবস্থান, যা Volume-এর দিক থেকে একটা Niche Market তৈরি করেছে। দাম যদি না কমে, তাহলে Mass Market-এ প্রবেশ করা প্রায় অসম্ভব।

তবে আশার আলো হলো, Samsung-এর মতো কোম্পানিগুলো দাম কমানোর চেষ্টা করছে। Samsung তাদের Flip Seven-এর মতো Model ১০০০ ডলারের নিচে Launch করেছে। তারা আশা করছে, Technology যত উন্নত হবে, দামও তত কমবে।

Apple-এর ফোল্ডিং ফোন, কেমন হতে পারে সেই স্বপ্নের ডিভাইস?

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

Apple-এর ফোল্ডিং ফোন নিয়ে Tech World-এ জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। শোনা যাচ্ছে, Apple এমন একটি Device তৈরি করতে চাইছে, যা একইসঙ্গে iPhone এবং iPad-এর Experience দেবে। Rumor অনুযায়ী, Apple একটি Book Style iPhone নিয়ে কাজ করছে, যার Screen হবে ৭.৮ ইঞ্চির। মজবুত Hinge আর Display-র ওপর তারা বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে, যাতে Durability আর Usability নিয়ে কোনো Problem না থাকে। TF International-এর Analyst মিং-চি কুও এমনটাই মনে করেন।

আসলে Apple সবসময় নিজস্ব পথে হাঁটে। তারা তাড়াহুড়ো করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয় না। তারা দেখে যে Technology কতটা পরিপক্ক হয়েছে, Adoption-এর পথে কোনো বাধা আছে কিনা, তারপর User Experience-এর ওপর জোর দিয়ে নিজেদের Device Launch করে।

ফোল্ডিং ফোনের ভবিষ্যৎ, AI-এর গুরুত্ব

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

Samsung এবং Google ফোল্ডিং ফোনগুলোকে AI First Device হিসেবে Promote করছে। তাদের মতে, Large Screen থাকার কারণে Multitasking, Immersive Tool ব্যবহার করা এবং Content Create করা আরও সহজ হবে। AI আমাদের Phone ব্যবহার করার Experience-কে আরও উন্নত করবে। Samsung Google-এর সঙ্গে Partnership করে Circle to Search-এর মতো Feature-গুলো Large Screen-এ নিয়ে এসেছে, যা User-দের Productivity বাড়াতে সাহায্য করবে।

তবে এখনো কিছু Challenge বিদ্যমান। Standard iPhone-এর চেয়ে বেশি Price, Complex Engineering, এবং সাধারণ User-দের মধ্যে ফোল্ডিং ফোন নিয়ে সন্দেহ তো আছেই। China এবং South Korea-র মতো দেশে ফোল্ডিং ফোনের চাহিদা বেশি থাকলেও, US-এ এখনো তেমন জনপ্রিয়তা নেই।

Market-এর বর্তমান Trend দেখলে বোঝা যায়, প্রতি বছর প্রায় ১৯-২০ Million Unit ফোল্ডিং ফোন বিক্রি হয়। কিন্তু এটি ১ Billion-এর Smartphone Market-এর একটি ক্ষুদ্র অংশ মাত্র। তাই এটি একটি Niche Market, যা ধীরে ধীরে স্থিতিশীল হচ্ছে।

ফোল্ডিং ফোন কি স্মার্টফোনের Next Big Thing?

স্যামসাং, গুগল, Apple কেন ফোল্ডিং স্মার্টফোনে ঝাঁপিয়ে পড়ছে?

ফোল্ডিং ফোন নিয়ে অনেক আলোচনা হলো। Expert-দের ধারণা, দাম যদি একটি Normal Phone-এর চেয়ে ১০-২০% বেশি হয়, তাহলে মানুষ এটিকে সাদরে গ্রহণ করবে। Samsung-ও সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। এখন দেখার বিষয়, ফোল্ডিং ফোন শেষ পর্যন্ত স্মার্টফোনের Next Big Thing হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে কিনা।

যদি Apple ফোল্ডিং ফোনকে Mass Market Product হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়, তাহলে পুরো Smartphone Industry-তে একটা বিপ্লব ঘটে যেতে পারে। কারণ, দুটি Device (Phone ও Tablet)-এর সুবিধা যদি একটি Device-এ পাওয়া যায়, তাহলে User-দের জন্য এটা অবশ্যই লাভজনক হবে।

আপনার কি মনে হয়, ফোল্ডিং ফোন সত্যিই স্মার্টফোনের ভবিষ্যৎ হতে পারবে? টিউমেন্টে আপনার মূল্যবান মতামত জানাতে ভুলবেন না। আর Tech জগতের Latest টিউন পেতে টেকটিউনস-এর সাথেই থাকুন। ধন্যবাদ!

-

টেকটিউনস টেকবুম

Level 9

আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1061 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস