
Semiconductor বা চিপগুলোই কিন্তু আমাদের স্মার্টফোন, কম্পিউটার, এমনকি আধুনিক গাড়িগুলোর ইঞ্জিন চালায়। তাই বুঝতেই পারছেন, এই Industry-টা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
এতদিন ধরে এই গ্লোবাল Market-এ Taiwan এর TSMC (Taiwan Semiconductor Manufacturing Company) আর South Korea এর Samsung রাজত্ব করে আসছে। কিন্তু এবার এই Power Game-এ যোগ দিয়েছে Japan তাদের নতুন আশা, Rapidus-কে নিয়ে। প্রশ্নটা হলো, Rapidus কি পারবে এই দুই টেক জায়ান্টকে টেক্কা দিতে? তারা কি পারবে সেমিকন্ডাক্টর যুদ্ধের ময়দানে নিজেদের জায়গা করে নিতে? চলুন, গভীরে গিয়ে খুঁটিনাটি জেনে নেই!

আমরা যখন স্মার্টফোন কিনি, তখন Processor, Ram, Storage-এর মতো বিষয়গুলো দেখি। এই সবকিছুই কিন্তু একটা ছোট Semiconductor চিপের মধ্যে থাকে। এই চিপগুলো যত শক্তিশালী হবে, আমাদের ডিভাইস তত দ্রুত কাজ করবে। এখন Market-এ 2nm (nanometer) চিপ তৈরির একটা Competition চলছে। এই 2nm মানে কী? এটা হলো চিপের Components-গুলোর Size। যত ছোট Size, তত বেশি Components একটা চিপের মধ্যে ধরানো যাবে। ফলে Performance বাড়বে, Power Consumption কমবে। আপনার ফোনের ব্যাটারি Life বাড়বে আর Gaming Experience হবে আরও মসৃণ। বুঝতেই পারছেন, কেন সবাই এই 2nm Technology-র পেছনে ছুটছে!

Rapidus হলো Japan-এর একটা নতুন Company, যারা একেবারে অত্যাধুনিক লিথোগ্রাফি (Lithography) Technology নিয়ে কাজ করছে। লিথোগ্রাফি হলো সেই Process, যার মাধ্যমে চিপের Components গুলো তৈরি করা হয়। Rapidus-এর মূল লক্ষ্য হলো 2nm চিপ তৈরি করা। এই Technology এতটাই Advanced যে, TSMC আর Samsung-ও এখন এর পেছনে দিন-রাত কাজ করছে।
Company-টা গত মাসে ঘোষণা করেছে যে তারা তাদের 2nm Process-এর Trial Production শুরু করেছে। এর মানে হলো, তারা ছোট Scale-এ চিপ তৈরি করে Testing করছে। একই সাথে তারা Production Line স্থাপন করার কাজও শুরু করে দিয়েছে। Production Line মানে হলো সেই Machinery আর Equipment, যা দিয়ে Mass Production করা হবে। সবকিছু প্ল্যান মতো চললে, খুব শীঘ্রই তারা Mass Production-এ যেতে পারবে।

আমরা জানি, কোনো নতুন Technology Develop করাটা কতটা কঠিন। পথটা মোটেও মসৃণ নয়। এর আগে Samsung যখন তাদের 3nm Gaa (gate-All-Around) Technology নিয়ে কাজ করছিল, তখন অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। Gaa হলো চিপের Design-এর একটা নতুন পদ্ধতি, যা Performance বাড়াতে সাহায্য করে। Rapidus-এর ক্ষেত্রেও তেমন কিছু Challenge আসতে পারে। একজন Researcher বলছেন, Rapidus-এর হাতে আর মাত্র দুই বছর সময় আছে Full-Scale Production শুরু করার জন্য। Full-Scale Production মানে হলো বড় আকারে, Market-এর চাহিদা অনুযায়ী চিপ তৈরি করা। যদি তারা এই সময়ের মধ্যে Production শুরু করতে না পারে, তাহলে Japan তার Competitors-দের থেকে Technology-তে অনেক পিছিয়ে পরবে। তখন Market-এ নিজেদের জায়গা করে নেওয়াটা আরও কঠিন হয়ে যাবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, Rapidus-কে ২০২৭ সালের মধ্যে 2nm Mass Production শুরু করতে হবে। এই ডেডলাইনটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ Technology-র Field-এ সবকিছু খুব দ্রুত Change হয়। যদি Rapidus পিছিয়ে পরে, তাহলে তাদের Competitors এগিয়ে যাবে।
যদি Rapidus এই সময়ের মধ্যে Production শুরু করতে না পারে, তাহলে Japan-এর Semiconductor Company গুলো তাদের Manufacturing-এর কাজ অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে যেতে পারে। এর মানে হলো, তারা China, South Korea বা Taiwan-এর মতো দেশে তাদের Factory স্থাপন করতে পারে। এর ফলে Japan তার Advantage হারাতে পারে, কারণ Semiconductor Industry-টা তখন অন্য Country-গুলোর হাতে চলে যাবে।

এই কঠিন Challenge মোকাবেলা করতে Japanese Government Rapidus-কে সব ধরনের Support দিচ্ছে। সরকার বুঝতে পারছে যে Semiconductor Industry-টা Japan-এর জন্য কতটা জরুরি। 2nm Production-কে আরও Fast করার জন্য তারা গত বছর December মাসে EUV (Extreme Ultraviolet) Machine স্থাপন করেছে।
EUV Machine হলো চিপ তৈরির জন্য সবচেয়ে Advanced Technology। এই Machine-টা দিয়ে খুব ছোট Size-এর Components তৈরি করা যায়। Mass Production-এর জন্য Euv Machine খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা Component।
শুধু তাই নয়, Japanese Government ১.৭ ট্রিলিয়ন Yen (প্রায় ১২ বিলিয়ন USD)-এর Investment করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মানে হলো, সরকার Rapidus-কে প্রচুর Financial Support দিচ্ছে, যাতে তারা Technology Develop করতে পারে এবং Factory স্থাপন করতে পারে। এছাড়াও, ২০২৫ সালের বাকি সময়ের জন্য তারা ১০০ বিলিয়ন Yen (প্রায় ৬৭৭.৬ মিলিয়ন USD) পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। এই টাকাটা তারা Research এবং Development-এর কাজে ব্যবহার করতে পারবে।

এত Resource পাওয়ার পরেও Rapidus-এর Failure-এর একটা Risk কিন্তু থেকেই যায়। Technology Industry-তে Failure নতুন কিছু নয়। অনেক Company ভালো শুরু করেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে না।
Kumamoto University-এর অধ্যাপক Hideki Wakabayashi বলেছেন, Rapidus যদি Failure হয়, তাহলে Japan-এর Semiconductor এবং Materials Company গুলো তাদের Goals পূরণের জন্য অন্য Country-গুলোতে চলে যেতে পারে। এর ফলে Japan-এর যে Advantage আছে, সেটা কমে যাবে।
অন্য Region-গুলোতে যদি Semiconductor Manufacturer-রা তাদের Factory স্থাপন করে, তাহলে সেই Region-এর Personnel-দের জন্য ভালো Company-গুলোতে কাজের সুযোগ তৈরি হবে। শুধু তাই নয়, সেই Country-এর Government-ও অত্যাধুনিক Technology সম্পর্কিত Sensitive Information-এ Access করতে পারবে। এর ফলে সেই Country-র Power বাড়বে।
এখন প্রশ্ন হলো, Rapidus কেন Japan-এর বাইরে তাদের Facilities স্থাপন করতে চাইবে? এর পিছনে অনেক Factor থাকতে পারে। যেমন, কম খরচে ভালো Skill সম্পন্ন People-দের নিয়োগ করার Opportunity। China বা India-র মতো দেশে Engineering গ্র্যাজুয়েটদের সংখ্যা অনেক বেশি এবং তাদের Salary তুলনামূলকভাবে কম।
এছাড়াও, অনেক Country Rapidus-এর মতো Company-কে তাদের দেশে আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন Policy-তেও পরিবর্তন আনতে পারে। তারা Tax-এ ছাড় দিতে পারে, Regulations সহজ করতে পারে, এবং অন্যান্য Financial Benefits দিতে পারে।
তবে Japanese Government যেহেতু Rapidus-কে সব ধরনের Help করছে, তাই Rapidus অন্য কোথাও চলে যাবে, এমনটা মনে করার কোনো কারণ নেই। সরকার চাইছে যে Japan সেমিকন্ডাক্টর Industry-তে একটা Strong Position তৈরি করুক।

Japan কি পারবে Rapidus-কে দিয়ে TSMC আর Samsung-কে টেক্কা দিতে? এটা একটা কঠিন Challenge, কিন্তু অসম্ভব নয়। Japan-এর Government এবং Industry যদি একসাথে কাজ করে, Innovation-এর ওপর জোর দেয় এবং সঠিক Strategy নেয়, তাহলে এই Mission সফল হতে পারে।
আপনাদের কী মনে হয়? Rapidus কি পারবে সেমিকন্ডাক্টর সাম্রাজ্যের নতুন রাজা হতে? টিউমেন্ট করে জানান। আর Technology-র দুনিয়ার এরকম আরও Analysis এবং Update পেতে টেকটিউনসের থাকুন। ধন্যবাদ!
-
টেকটিউনস টেকবুম
আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1061 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।