আচ্ছা, কেমন হয় যদি আপনার হাতের মুঠোয় থাকা Phone টাই হয়ে ওঠে আপনার Bank? যখন খুশি, যেখানে খুশি লেনদেন করার স্বাধীনতা, কোনো লুকানো চার্জ নেই, আর Payment হবে চোখের পলকে! অনেকটা সিনেমার মতো শোনালেও, Crypto টোকেনের হাত ধরে এই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে। আর সেই কারণেই JP Morgan, Visa-র মতো আর্থিক খাতের বাঘা বাঘা Company গুলো ঝাঁপিয়ে পড়ছে এই নতুন দুনিয়ায়। আসুন, আজকের টিউনে আমরা এই পরিবর্তনের গভীরে ডুব দেই, খুঁটিনাটি বিষয়গুলো সহজ ভাষায় জেনে নেই!
Circle Company-র কথা নিশ্চয়-ই জানেন? এই Company-টা Stablecoin USDC Issue করে এবং Market-এ দারুণ একটা Entry নিয়েছিলো। তাদের বিলিয়ন Dollar-এর Public Debut এবং Senate কর্তৃক প্রণীত Genius Act (Stablecoin বিষয়ক আইন)-এর হাত ধরে Crypto Market এখন সরগরম। Senate-এ বিলটি ৬৮-৩০ ভোটে পাশ হওয়ার পরেই Big Finance Players-দের নজর কাড়ে এই Sector। বুঝতেই পারছেন, হাওয়া কোন দিকে বইছে!
কেন এত হুড়োহুড়ি? আসল রহস্যটা কী?

এত বড় বড় Company কেন Crypto Token তৈরিতে এত আগ্রহী হচ্ছে, এই Questionটা হয়তো আপনার মনেও উঁকি দিচ্ছে, তাই না? চলুন, কারণগুলো একটু বিস্তারিতভাবে বিশ্লেষণ করি:
- বিদ্যুৎ-গতিতে লেনদেন: Stablecoin ব্যবহারের সবচেয়ে বড় Advantage হলো লেনদেন হবে বিদ্যুতের গতিতে। Blockchain Technology-র কল্যাণে দিন-রাত যেকোনো সময় Instant Payment Settlement করা যায়। আগে যেখানে Traditional System-এ Transaction Complete হতে কয়েক দিন পর্যন্ত লেগে যেত, এখন চোখের পলকেই কাজ হয়ে যাচ্ছে। একবার ভাবুন, Business-এর জন্য এটা কতটা সুবিধার! Supplier-দের Payment করা, Salary দেওয়া, Stock কেনা - সবকিছু কত সহজে হয়ে যাচ্ছে!
- খরচ বাঁচানোর সুযোগ: Company গুলোর Cost কমানোর একটা দারুণ উপায় হলো Payment Processing Fees বাঁচানো। Visa, Mastercard এবং American Express-এর মতো Card Network গুলো Payment Process করার জন্য যে Fees নেয়, তা Business-এর জন্য একটা বড় বোঝা। Company গুলো চাইছে নিজস্ব Token তৈরি করে এই Fees কমিয়ে আনতে, যাতে Customer-দের আরও কম খরচে Service দেওয়া যায়। এতে Company-র Profit Margin-ও বাড়ে, আবার Customer-রাও উপকৃত হয়।
- আয়ের নতুন দিগন্ত উন্মোচন: Stablecoin Issue এবং Manage করার মাধ্যমে আয়ের নতুন নতুন পথ খুলে যাচ্ছে। Circle-এর IPO এবং তার Stock-এর দাম ৭০০% বেড়ে যাওয়া প্রমাণ করে যে এই Sector-এ Potential অনেক। আরও অনেক Company এই সুযোগ কাজে লাগাতে চাইছে এবং নতুন Business Model তৈরি করতে চাইছে।
- Settlement Infrastructure-এর আধুনিকীকরণ: Company গুলো Stablecoin ব্যবহার করে তাদের Settlement Infrastructure-কে আরও Modern এবং Efficient করতে চাইছে। পুরোনো System-এর জটিলতা এবং সময় নষ্ট হওয়া কমিয়ে আনার জন্য Technology-র ব্যবহার এখন সময়ের দাবি। এতে Transaction আরও Secure এবং Transparent হয়।
- কৌশলগত চাল: Company গুলো Stablecoin-কে Future Technology হিসেবে দেখছে এবং এই আর্থিক Revolution-এ অংশ নিতে চাইছে। তারা মনে করছে, এই Sector-এ Investment করাটা Strategic-ভাবে খুবই Important। কেউ-ই Market থেকে পিছিয়ে থাকতে চাইছে না। টিকে থাকার লড়াইয়ে Innovation-এর বিকল্প নেই!
কারা আছে এই Race-এ? Market-এর খেলোয়াড়দের চিনে নিন!

Market-এর বড় Company গুলোর মধ্যে কারা Crypto Token নিয়ে কাজ করছে, সেটা জানাটাও খুব দরকারি। আসুন, দেখে নেওয়া যাক:
- JPMorgan: আর্থিক খাতের এই জায়ান্ট JPMD নামে একটি Deposit Token চালু করেছে, যা Institutional Clients-দের জন্য 24/7 Settlement-এর সুবিধা দেবে। এর মানে, Bank Holiday-র ঝামেলা ছাড়াই যখন খুশি Transaction করা যাবে! Corporate World-এর জন্য এটা বিশাল একটা Advantage।
- Visa: Visa Stablecoin-এর ওপর ভিত্তি করে Visa Credentials Issue করার সুযোগ দিচ্ছে এবং তাদের Settlement Infrastructure Modern করছে। Visa চাইছে Crypto Payment-এর দুনিয়ায় নিজেদের Position আরও Strong করতে এবং Future-এর জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে।
- Mastercard: পিছিয়ে নেই Mastercard-ও! তারা Stablecoin Issuer Paxos-এর সাথে হাত মিলিয়ে তাদের Token Network-এ Multiple Stablecoin Transaction Enable করছে। Visa-র সাথে পাল্লা দিয়ে Mastercard-ও Market-এ টিকে থাকতে চাইছে এবং গ্রাহকদের জন্য নতুন Service নিয়ে আসতে চাইছে।
- Coinbase: জনপ্রিয় Crypto Exchange Coinbase, Payment Platform Stripe এবং E-commerce Giant Shopify-এর সাথে Partnership করেছে, যাতে সারা বিশ্বের Merchants-দের জন্য USDC Payment আরও সহজলভ্য হয়। ছোট Business থেকে শুরু করে বড় Shop, সবাই যেন Crypto Payment নিতে পারে, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ।
- Fiserv: Payment Company Fiserv তাদের প্রতি বছর Process করা ৯০ বিলিয়ন Transaction-এর সাথে যুক্ত করার জন্য একটি Stablecoin ঘোষণা করেছে। বুঝতেই পারছেন, Market-টা কোন দিকে যাচ্ছে!
- Walmart ও Amazon: এই দুটি E-commerce জগতের দুই মহারথী Walmart এবং Amazon-ও নাকি নিজস্ব Stablecoin তৈরি করার কথা ভাবছে, যাতে Fees কমিয়ে Customer-দের জন্য Shopping আরও সাশ্রয়ী করা যায়। Amazon Coin-এর কথা মনে আছে তো? অনেকটা সেই রকমই কিছু করার পরিকল্পনা চলছে।
Market-এর ভবিষ্যৎ কী? সম্ভাবনা আর চ্যালেঞ্জের এক জটিল সমীকরণ!

Treasury Secretary Scott Bessent-এর মতে, Stablecoin ২ Trillion Dollar-এর Market তৈরি করতে পারে। Visa এবং Mastercard-এর মতো Company গুলো Competition-এ টিকে থাকার জন্য নিজেরাই নিজেদের Disrupt করার চেষ্টা করছে। তারা হয়তো Interchange Revenue কমে যাওয়ার আশঙ্কা করছে, কিন্তু Credit Card-এর Rewards Program এবং Points-এর প্রতি People-দের ভালোবাসা এখনো অটুট। তবে আধুনিক Technology-কে Embrace না করলে যে Future-এ টিকে থাকা কঠিন, সেটা তারা ভালো করেই জানে।
এখন সবচেয়ে বড় Question হলো, Stablecoin কি সত্যিই Credit Card-এর জায়গা দখল করতে পারবে? হয়তো পুরোপুরি নয়, তবে Payment System-এ একটা বড় ধরনের পরিবর্তন যে আসন্ন, তা বলাই বাহুল্য। আগামী কয়েক বছরে আমরা হয়তো Card-এর ব্যবহার অনেক কমে যেতে দেখব। Mobile Payment এবং Crypto Payment-এর দিকেই ঝুঁকবে সবাই, এমনটা আশা করাই যায়।
সবকিছু কি ঠিকঠাক চলছে? কিছু Concerns তো আছেই!

এত কিছু ভালো দিকের পরেও Stablecoin নিয়ে কিছু Concerns থেকেই যায়। সবকিছু কি এতটাই মসৃণ? চলুন, দেখে নিই:
- Financial System Stability-র Risk: Stablecoin-এর কারণে Financial System-এ অস্থিরতা দেখা দিতে পারে, এমন আশঙ্কা করছেন অনেক Expert। যদি কোনো Stablecoin Company হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে Market-এ একটা বড় ধাক্কা লাগতে পারে। তাই Regulation-এর ওপর জোর দেওয়া উচিত।
- Genius Act অনুযায়ী Interest Payment নিষিদ্ধ: Genius Act-এর কারণে Stablecoin Holders-রা তাদের Balance-এর ওপর কোনো Interest পাবেন না। Bank Account-এ টাকা রাখলে যেমন কিছু Interest পাওয়া যায়, Stablecoin-এর ক্ষেত্রে সেই সুযোগটা থাকবে না। এটা অনেক Investors-দের জন্য একটা Disadvantage।
- Money Laundering-এর Risk: Stablecoin ব্যবহার করে Money Laundering করা তুলনামূলকভাবে সহজ হতে পারে, যা Law Enforcement Agency-গুলোর জন্য একটা বড় Challenge। Criminal-রা খুব সহজেই এক দেশ থেকে অন্য দেশে Money Transfer করতে পারবে এবং ধরা পড়ার সম্ভাবনাও কম থাকবে।
- TerraUSD Stablecoin-এর Collapse এবং USDC-র D-pegging-এর ঘটনা: এই ঘটনাগুলো Stablecoin-এর Stability নিয়ে বড় Question তৈরি করেছে। Investors-দের মনে Fear সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা Investment করতে দ্বিধা বোধ করছেন। Security-র দিকটা আরও Strong করা উচিত।
- Elizabeth Warren-এর Conflicts Of Interest নিয়ে Warning: Senator Elizabeth Warren Stablecoin Industry-তে Conflicts Of Interest নিয়ে Warning দিয়েছেন, যা Policy Maker-দের ভাবিয়ে তুলেছে। Politician-দের ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে যদি কোনো ভুল Policy তৈরি হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই Transparency-র ওপর জোর দেওয়া উচিত।
Treasury Market-এর ওপর কেমন প্রভাব ফেলবে?

Stablecoin US Treasury Market-এর জন্য Boon হতে পারে এবং United States-এর Money Borrow করার Cost কমাতে সাহায্য করতে পারে। China এবং Japan US Treasury-এর Top Foreign Holders হলেও, Stablecoin Issuers-ও এখন Top Ten Buyers-এর মধ্যে রয়েছে।
ভবিষ্যতের পথ কি Stablecoin-এর হাতে?

সবমিলিয়ে বলা যায়, Crypto Token তৈরিতে Company গুলোর এই আগ্রহ Future-এর কথা ভেবেই। তারা Technology-র Potential-কে কাজে লাগিয়ে Payment System-কে আরও উন্নত করতে চায়। তবে Market-এর Risksগুলো মাথায় রেখেই Investment করা উচিত। নিজের Research এবং Expert-দের পরামর্শ নিয়ে বুঝে শুনে পা বাড়ানোই বুদ্ধিমানের কাজ।
Stablecoin নিয়ে আপনার কী ভাবনা, টিউমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না! এই Industry নিয়ে আপনার কোনো Question থাকলে, জিজ্ঞাসা করতে পারেন। দেখা হবে পরের টিউনে!
-
টেকটিউনস টেকবুম