বাংলাদেশের টেলিকম লাইসেন্সিং-এ আসছে এক যুগান্তকারী Change! লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের ফিউচার কি সত্যিই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে?

টিউন বিভাগ টেকটিউনস টেকবুম
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর (Telecom Sector)-এ এক বিশাল, যুগান্তকারী চেঞ্জ আসতে চলেছে। এই পরিবর্তনটি শুধু বাংলাদেশের কমিউনিকেশন সার্ভিস (Communication Service)-এর ক্ষেত্রেই নয়, বরং দেশের টেকনোলজি ল্যান্ডস্কেপ (Technology Landscape), এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন (Employment Generation) এবং এমনকি ন্যাশনাল সিকিউরিটি (National Security)-র উপরেও সুদূরপ্রসারী ইমপ্যাক্ট (Impact) ফেলবে।

যদি আপনি একজন এন্টারপ্রেনার (Entrepreneur) হন, টেকনোলজি (Technology)-র খুঁটিনাটি নিয়ে আগ্রহী থাকেন, কিংবা শুধু দেশের ডিজিটাল অগ্রযাত্রার একজন অংশীদার হিসেবে নিজেদের ফিউচার (Future) নিয়ে ভাবেন, তাহলে আজকের এই টিউন আপনার জন্য অপরিহার্য।

টেলিকম লাইসেন্সিং ব্যবস্থায় গভর্নমেন্ট (Government) এক আমূল রিফর্ম (Reform) আনার পরিকল্পনা করছে, কিন্তু এই রিফর্ম কে ঘিরে ইতিমধ্যেই জন্ম নিয়েছে হাজারো প্রশ্ন, শঙ্কা এবং তীব্র বিরোধিতা। চলুন, এই গভীর এবং জটিল বিষয়টি ইন-ডেপথ (In-Depth) বিশ্লেষণ করি, এর প্রতিটি স্তর উন্মোচন করি, এবং বোঝার চেষ্টা করি, এই পরিবর্তনের পেছনে প্রকৃত উদ্দেশ্য কী এবং এর পরিণতিই বা কী হতে পারে?

কি আসছে এই নতুন পলিসি (Policy)-তে? এক নতুন সিস্টেম, কিন্তু কেন এত বিতর্ক আর শঙ্কা?

বাংলাদেশের টেলিকম লাইসেন্সিং-এ আসছে এক যুগান্তকারী Change! লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের ফিউচার কি সত্যিই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে?

টেলিকম সেক্টর (Telecom Sector)-এর এই মোমেন্টাস চেঞ্জ (Momentous Change)-এর কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট (Bangladesh Government)-এর সাম্প্রতিক প্রোপোজড (Proposed) ‘টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং সিস্টেম রিফর্ম পলিসি ২০২৫’ (‘Telecommunication Network ও Licensing System Reform Policy 2025’)-এর খসড়া প্রোপোজাল (Proposal)।

এই ড্রাফট পলিসি (Draft Policy)-তে মূল এবং সবচেয়ে বড় অ্যানাউন্সমেন্ট (Announcement) করা হয়েছে, তা হলো প্রায় দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে চলে আসা ‘মাল্টি-লেয়ার্ড লাইসেন্সিং স্ট্রাকচার’ (‘Multi-Layered Licensing Structure’)-কে সম্পূর্ণরূপে অ্যাবোলিশ (Abolish) করা হবে।

একটু সহজ করে বলি, আগে আমাদের দেশে টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস (Telecommunication Service) অফার করার জন্য বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন স্তরের লাইসেন্স (License) নিতে হতো – যেমন, কেউ হয়তো ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (Internet Service Provider (ISP)) হিসেবে কাজ করছে, আরেকজন ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (International Gateway (IGW) Service) সার্ভিস দিচ্ছে, অন্য একজন মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেশন (Mobile Network Operation)-এর জন্য লাইসেন্স নিয়েছে, আবার কেউ হয়তো প্রাইভেট নেটওয়ার্ক সার্ভিস (Private Network Service)-এর জন্য লাইসেন্স নিয়ে কাজ করছে।

এই ছিল মাল্টি-লেয়ার্ড সিস্টেম (Multi-Layered System)। কিন্তু নতুন প্রোপোজাল (Proposal) অনুযায়ী, গভর্নমেন্ট এখন ‘ইউনিফাইড লাইসেন্স স্কিম’ (‘Unified License Scheme’)-এর দিকে যাচ্ছে। এর সরল অর্থ হলো, ফিউচার (Future)-এর জন্য হয়তো একটি মাত্র মাস্টার লাইসেন্স (Master License)-এর আওতায় বিভিন্ন ধরনের টেলিকমিউনিকেশন সার্ভিস (Telecommunication Service) অফার (Offer) করা যাবে, যা কাগজে-কলমে অনেকটা সিম্পল (Simple) এবং এফিশিয়েন্ট (Efficient) হতে পারে। ‘One License, One Window’ – এমন একটি ধারণা।

শুনতে হয়তো বেশ আধুনিক এবং প্রগ্রেসিভ (Progressive) মনে হচ্ছে, তাই না? কিন্তু, এখানেই একটি বিশাল এবং গুরুত্বপূর্ণ টুইস্ট (Twist) রয়েছে।  তবে এই সিম্প্লিফিকেশন (Simplification) আছে লোকাল এন্টারপ্রেনার (Local Entrepreneur)-দের জন্য এক বিশাল চ্যালেঞ্জ এবং দেশীয় টেলিকম ইন্ডাস্ট্রি-র ফিউচার (Future) নিয়ে গভীর শঙ্কা। প্রশ্ন উঠছে: এই সরলীকরণ কি সত্যিই সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করবে, নাকি এটি নির্দিষ্ট কিছু বিগ প্লেয়ার (Big Player)-এর জন্য খেলার মাঠকে আরও বড় করে দেবে?

লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের জন্য কি সত্যিই একটি অন্ধকার ফিউচার অপেক্ষা করছে?

বাংলাদেশের টেলিকম লাইসেন্সিং-এ আসছে এক যুগান্তকারী Change! লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের ফিউচার কি সত্যিই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে?

এই প্রোপোজড রিফর্ম (Proposed Reform) নিয়ে দেশের লোকাল এন্টারপ্রেনার)-দের এবং টেকনোলজি এক্সপার্ট-দের মধ্যে প্রবল আপত্তি এবং উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের ওপিনিয়ন (Opinion) হলো, যদি এই প্রোপোজাল (Proposal) বাস্তবে ইমপ্লিমেন্টেশন (Implementation) করা হয়, তাহলে দেশের হাজার হাজার লোকাল এন্টারপ্রেনার (Local Entrepreneur)-এর টিকে থাকা প্রায় ইম্পসিবল (Impossible) হয়ে পড়বে, এবং একটি নির্দিষ্ট টাইম (Time)-এর পর তারা হয়তো সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে যাবে! তাদের আশঙ্কা, খসড়া পলিসি-তে এমন কিছু নির্দিষ্ট ‘ওয়ার্ডিং’ (‘Wording’) বা ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা যদি বাস্তবে অ্যাপ্লিকেশন (Application) করা হয়, তাহলে দেশীয় এন্টারপ্রেনার-রা হয়তো আগামী ছয় মাস থেকে ওয়ান ইয়ার (One Year)-এর বেশি কারেন্ট মার্কেট (Current Market)-এ টিকে থাকতে পারবে না। এটি তাদের বিজনেস (Business)-এর উপর সরাসরি ইমপ্যাক্ট (Impact) ফেলবে।

কিন্তু কেন এই ভয়াবহ আশঙ্কা? কেন এমন নাটকীয় পরিণতি আসতে পারে? এক্সপার্টস-রা বলছেন, এই ইউনিফাইড লাইসেন্সিং সিস্টেম (Unified Licensing System)-এর সবচেয়ে বড় এবং প্রায় এক্সক্লুসিভ অ্যাডভান্টেজ (Exclusive Advantage) পাবে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি (Multinational Company)-গুলি, বিশেষ করে যারা বর্তমানে দেশের টেলিকম সেক্টর (Telecom Sector)-এ বড় মোবাইল অপারেটর হিসেবে কাজ করছে (যেমন গ্রামীণফোন (Grameenphone), রবি (Robi), বাংলালিংক (Banglalink) ইত্যাদি)।

তাদের কাছে রয়েছে বিশাল ফিনান্সিয়াল রিসোর্স (Financial Resources), অত্যাধুনিক এবং সুবিস্তৃত নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (Network Infrastructure) এবং মার্কেট-এ নতুন সার্ভিস খুব দ্রুত ‘রোল আউট’ (‘Roll Out’) করার মতো অভূতপূর্ব ক্যাপাবিলিটি (Capability)। এই পলিসি-র মাধ্যমে তারা বাংলাদেশের টেলিকম সেক্টর (Telecom Sector)-এ একচ্ছত্র ‘ডমিনেন্স’ (‘Dominance’) বা একক আধিপত্য বিস্তার করবে। ই

ছোট ছোট লোকাল এন্টারপ্রেনার (Local Entrepreneur)-রা, যারা হয়তো নতুন আইডিয়াস (Ideas) আর ইনোভেশন (Innovation) নিয়ে কাজ করে নিজেদের তিল তিল করে গড়ে তুলেছেন, তারা কীভাবে এই বিশাল জায়ান্ট (Giant)-দের সাথে কম্পিটিশন (Competition) করবে? অসম একটি ওয়ার (War)-এর মতো পরিস্থিতি তৈরি হবে।

টেকনোলজি এক্সপার্ট-রা স্পষ্টভাবে বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ নতুন এমপ্লয়মেন্ট জেনারেশন (Employment Generation)-এর পাথ (Path)-কে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করবে এবং বন্ধ করে দেবে। পাশাপশি, স্থানীয় নতুন এন্টারপ্রেনার-দের জন্য তৈরি করবে ‘নিউ চ্যালেঞ্জ’ (‘New Challenge’)-এর পাহাড়, যা অতিক্রম করা তাদের পক্ষে প্রায় ইম্পসিবল (Impossible) হবে। তাদের অনেকেই মনে করছেন, এটি আসলে লোকাল এন্টারপ্রেনার (Local Entrepreneur)-দের কস্টার্জিত ‘বিজনেস’ সরাসরি মোবাইল অপারেটর (Mobile Operator)-দের হাতে তুলে দেওয়ার একটি সুচিন্তিত ‘কনস্পিরেসি’ (‘Conspiracy’) বা ‘পায়তারা’।

আসুন, একটি বাস্তব এক্সাম্পল (Example) দিয়ে ব্যাপারটা আরও গভীরভাবে উপলব্ধি করি।

যখন একটি বিগ প্লেয়ার (Big Player), যেমন গ্রামীণফোন (Grameenphone) বা অন্য কোনো মাল্টিন্যাশনাল টেলিকম কোম্পানি (Multinational Telecom Company), একটি নতুন সার্ভিস নিয়ে মার্কেট-এ আসে, তখন তাদের কাছে প্রয়োজনীয় ক্যাপিটাল (Capital), হিউম্যান রিসোর্স (Human Resources) এবং রেগুলেটরি এক্সপেরিয়েন্স (Regulatory Experience) থাকে, যার ফলে তাদের পক্ষে দ্রুতগতিতে এবং বিশাল আকারে তা ‘রোল আউট’ (‘Roll Out’) করা সম্ভব হয়।

কিন্তু আমাদের দেশের এক তরুণ ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি (Engineering University)-র স্টুডেন্ট বা ইউনিভার্সিটি (University)-র স্টুডেন্ট, যার হয়তো একটি যুগান্তকারী ইনোভেশন (Innovation) বা টেকনোলজি-র জন্য দারুণ একটি আইডিয়া আছে, সে কীভাবে গ্রামীণফোন (Grameenphone)-এর মতো একটি মেগা কোম্পানি (Mega Company)-র সাথে ‘ওয়ার’ (‘War’) করে একটি নতুন সার্ভিস নিয়ে আসবে, যখন তার কাছে পর্যাপ্ত ক্যাপিটাল (Capital), মার্কেটিং বাজেট (Marketing Budget) বা পলিসি সাপোর্ট (Policy Support) নেই?

এক্সপার্টস (Experts)-দের মতে, এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশীয় কোনো ‘ইন্ডাস্ট্রি’ (‘Industry’)-ই আসলে ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি সেক্টর’ (‘Information Technology Sector’)-এ ঠিকভাবে ‘ডেভেলপ’ হতে পারবে না। এটি সত্যিই একটি দুঃখজনক এবং দেশের ফিউচার -এর জন্য অ্যালার্মিং পরিস্থিতি হতে পারে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি (National Security) কি সত্যিই থ্রেট (Threat)-এর মুখে পড়বে? এক গভীর পর্যালোচনা।

বাংলাদেশের টেলিকম লাইসেন্সিং-এ আসছে এক যুগান্তকারী Change! লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের ফিউচার কি সত্যিই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে?

এই প্রোপোজড রিফর্ম (Proposed Reform) শুধুমাত্র ‘বিজনেস’ (‘Business’) এবং ‘এমপ্লয়মেন্ট’ (‘Employment’)-এর ব্যাপারেই উদ্বেগ তৈরি করেনি, এটি দেশের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ (‘National Security’)-কেও সরাসরি ‘থ্রেট’ (‘Threat’)-এর মুখে ফেলবে বলে সেক্টর স্টেকহোল্ডারস (Sector Stakeholders)-রা জোরালোভাবে মনে করছেন। তাদের ওপিনিয়ন (Opinion) হলো, বিশ্বের অন্যান্য অ্যাডভান্সড কান্ট্রি (Advanced Country)-গুলির মতো আমাদেরও সব ধরনের ‘নেটওয়ার্ক স্ট্রাকচার’ (‘Network Structure’) এবং এর কন্ট্রোল (Control) লোকাল এন্টারপ্রেনার (Local Entrepreneur)-দের হাতে-এই রাখা উচিত।

কিন্তু কেন এমন কথা বলছেন তারা? কেন দেশের ‘নেটওয়ার্ক কন্ট্রোল’ এত ক্রিটিক্যাল (Critical)? এক্সপার্টস-রা মনে করিয়ে দিচ্ছেন, আধুনিক বিশ্বের পরবর্তী ‘ওয়ার’ (‘War’) হবে ‘ইনফরমেশন টেকনোলজি’ (‘Information Technology’)-র ‘ওয়ার’ (‘War’) এবং ‘ডেটা’ (‘Data’)-র ‘ওয়ার’ (‘War’)।

এই কনটেক্সট (Context)-এ, আপনার, আমার ব্যক্তিগত ‘ডেটা’ (‘Data’), দেশের স্ট্র্যাটেজিক ডেটা (Strategic Data) এবং পুরো কমিউনিকেশন সিস্টেম-এর কন্ট্রোল যদি বিদেশী বা বহুজাতিক কোম্পানি-র হাতে চলে যায়, তাহলে তা দেশের ‘ন্যাশনাল সিকিউরিটি’ (‘National Security’)-র জন্য মারাত্মক ‘থ্রেট’ (‘Threat’) সৃষ্টি করতে পারে।

একটি দেশের সমস্ত সংবেদনশীল কমিউনিকেশন ডেটা (Communication Data), ফিনান্সিয়াল ট্রানজ্যাকশন (Financial Transaction) এবং ন্যাশনাল সিকিউরিটি (National Security)-র গুরুত্বপূর্ণ ইনফরমেশন -এর কন্ট্রোল যদি ফরেন এন্টেকটিউনস (Foreign Entity)-র হাতে থাকে, তাহলে তা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে! তাই, ‘লোকাল নেটওয়ার্ক’ (‘Local Network’), ‘ডোমেস্টিক নেটওয়ার্ক’ (‘Domestic Network’), এবং ‘ইন্টারন্যাশনাল নেটওয়ার্ক’ (‘International Network’)-এর কন্ট্রোল দেশীয় এন্টারপ্রেনার-দের হাতে-ই থাকাটা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য একটি ক্রিটিক্যাল অ্যাসপেক্ট (Critical Aspect)। এই বিষয়টি কোনোভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়।

গভর্নমেন্ট-এর রেভিনিউ -তে কি বড় ধরনের সেটব্যাক (Setback) আসবে?

বাংলাদেশের টেলিকম লাইসেন্সিং-এ আসছে এক যুগান্তকারী Change! লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের ফিউচার কি সত্যিই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে?

এই প্রোপোজড রিফর্ম (Proposed Reform)-এর আরেকটি পোটেনশিয়াল নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট (Potential Negative Impact) হলো গভর্নমেন্ট-এর ‘রেভিনিউ কালেকশন’ (‘Revenue Collection’)-এর উপর। টেকনোলজি এক্সপার্ট-দের আশঙ্কা, যদি এই খসড়া প্রোপোজাল বাস্তবায়িত হয়, তাহলে গভর্নমেন্ট-এর ‘রেভিনিউ’-তে একটি বড় ‘সেটব্যাক’ (‘Setback’) বা ধাক্কা লাগবে।

তাদের আর্গুমেন্টস (Arguments) বেশ শক্তিশালী। তারা বলছেন, গভর্নমেন্ট এখনো এই নতুন সিস্টেম-এর জন্য পুরোপুরি Ready নয়। যখন ‘লেয়ার্ড সিস্টেম’ (‘Layered System’) বা স্তরভিত্তিক ব্যবস্থা ছাড়া ‘ইউনিফাইড লাইসেন্সিং’ (‘Unified Licensing’)-এ যাওয়া হবে, তখন এই নতুন ইকোসিস্টেম (Ecosystem)-এ কোনো ‘ইকোনমিক ম্যালপ্র্যাকটিস’ (‘Economic Malpractice’) বা আর্থিক অনিয়ম হলে তা কিভাবে ‘ডিটেক্ট’ (‘Detect’) করা হবে বা আটকানো হবে, সেই প্রয়োজনীয় ‘ম্যানপাওয়ার’ (‘Manpower’) বা টেকনোলজি আমাদের এখনো ‘ডেভেলপ’ (‘Develop’) হয়নি।

দেশের এই সক্ষমতা এবং প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ডেভেলপ হওয়ার আগেই যদি হঠাৎ করে গভর্নমেন্ট এই ‘ইউনিফাইড লাইসেন্সিং’ (‘Unified Licensing’)-এর দিকে চলে যায়, তাহলে তা রাজস্ব আদায়ে বড় ধরনের নেতিবাচক ইমপ্যাক্ট (Impact) ফেলবে, কারণ নিয়ন্ত্রণহীনতা ইকোনমিক ক্রাইম (Economic Crime) বাড়াতে পারে এবং রেভিনিউ লিকেজ (Revenue leakage) হতে পারে। এটি দেশের অর্থনীতির জন্য একটি বড় ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বিটিআরসি (BTRC)-এর পক্ষে যুক্তি, কেন এই রিফর্ম দরকার এবং কোথায় অপরচুনিটি (Opportunity)?

বাংলাদেশের টেলিকম লাইসেন্সিং-এ আসছে এক যুগান্তকারী Change! লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের ফিউচার কি সত্যিই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে?

অন্যদিকে, দেশের টেলিকম সেক্টর (Telecom Sector)-এর নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘বিটিআরসি’ (‘BTRC’) বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশন এই রিফর্ম (Reform)-এর পক্ষে ভিন্ন যুক্তি দেখাচ্ছে। তারা বলছেন, এই ‘চেঞ্জ’-এর মূল উদ্দেশ্য হলো টেলিকম সার্ভিসের ‘কোয়ালিটি অফ সার্ভিস’ (‘Quality of Service’) বা সেবার মান বৃদ্ধি করা এবং টেলিকম সেক্টর (Telecom Sector)-এ আরও বেশি ‘ফরেন ইনভেস্টমেন্ট’ (‘Foreign Investment’)-এর ‘অপরচুনিটি’ (‘Opportunity’) বা সুযোগ তৈরি করা।

বিটিআরসি (BTRC)-এর মতে, টেলিকমিউনিকেশন ইন্ডাস্ট্রি (Telecommunication Industry) একটি ‘হেভি ইনভেস্টমেন্ট’ (‘Heavy Investment’)-এর ‘প্লেস’ (‘Place’) এবং এখানে প্রচুর ‘ক্যাপেক্স’ (‘CapEx’) (ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার) অর্থাৎ, মূলধনী ব্যয় প্রয়োজন হয়। সহজভাবে বললে, এই সেক্টর-এ নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার (Network Infrastructure) যেমন টাওয়ার (Tower), ফাইবার অপটিক ক্যাবল (Fiber Optic Cable), সুইচিং স্টেশন (Switching Station) ইত্যাদি) ডেভেলপমেন্ট (Development) এবং টেকনোলজি আপগ্রেড (Technology Upgrade)-এর জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই, ‘বিটিআরসি’ (‘BTRC’) মনে করে, যে কেউ চাইলেই এসে এখানে বিজনেস করতে পারবে না, কারণ এর জন্য বিশাল ইনভেস্টমেন্ট (Investment)-এর প্রয়োজন।

তবে, ‘বিটিআরসি’ (‘BTRC’) আরও উল্লেখ করেছে যে, তারা এখনো দুটি স্পেসিফিক (Specific) ‘এরিয়া’ (‘Area’)-তে ‘এসএমই/এমএসএমই’ (‘SME/MSME’) (স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম/মাইক্রো, স্মল, অ্যান্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেস) এন্টারপ্রেনার (Entrepreneur)-দের জন্য ‘অপরচুনিটি’ (‘Opportunity’) দেখছেন। এই দুটি ‘এরিয়া’ (‘Area’) হলো:

  1. যারা ‘সফটওয়্যার বেসড ডিজিটাল সার্ভিস প্ল্যাটফর্ম’ (‘Software Based Digital Service Platform’) তৈরি করেন।
  2. ‘আইএসপি’ (‘ISP’) (ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার) বিজনেস।

এর মানে, ‘বিটিআরসি’ (‘BTRC’) হয়তো মনে করছে যে, এই দুটি ‘নিশ এরিয়া’ (‘Niche Area’)-তে নির্দিষ্ট ছোট ক্ষেত্র লোকাল এন্টারপ্রেনার (Local Entrepreneur)-দের জন্য এখনও পথ খোলা থাকবে, যদিও মূল ‘নেটওয়ার্ক ইনফ্রাস্ট্রাকচার’ (‘Network Infrastructure’) এবং দেশের বেশিরভাগ টেলিকম সার্ভিস (Telecom Service)-এর কন্ট্রোল হয়তো বিগ প্লেয়ার (Big Player)-দের হাতে চলে যাবে। এটি ছোট এন্টারপ্রেনার (Entrepreneur)-দের জন্য একটি সীমাবদ্ধতার ইঙ্গিত দিচ্ছে।

আরও গভীর রিসার্চ (Research) এবং আলোচনার আর্জ (Urge)

বাংলাদেশের টেলিকম লাইসেন্সিং-এ আসছে এক যুগান্তকারী Change! লোকাল এন্টারপ্রেনার-দের ফিউচার কি সত্যিই অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে?

এই সম্পূর্ণ পরিস্থিতিতে, দেশের লোকাল এন্টারপ্রেনার-রা, টেকনোলজি এক্সপার্ট-রা এবং সেক্টর স্টেকহোল্ডারস (Sector Stakeholders)-রা সকলেই একবাক্যে একটিই ‘আর্জ’ (‘Urge’) বা তাগিদ জানিয়েছেন:

এই রিফর্ম প্রোপোজাল (Reform Proposal) বাস্তবায়নের আগে বিদ্যমান লাইসেন্সিং সিস্টেম (Licensing System)-এর ‘এরর’ (‘Error’) (ত্রুটি) এবং ‘ফ্ল’ (‘Flaw’) (বিচ্যুতি)-গুলো নিয়ে আরও ইন-ডেপথ রিসার্চ (In-Depth Research) বা গবেষণা করা হোক। তাদের মতে, পর্যাপ্ত গবেষণা এবং পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়া এত বড় একটি পলিসি চেঞ্জ ইমপ্লিমেন্টেশন (Policy Change Implementation) করা উচিত নয়। কারণ, এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক ইমপ্যাক্ট হতে পারে দেশের টেকনোলজি সেক্টর (Technology Sector), ওভারঅল ইকোনমি (Overall Economy) এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ন্যাশনাল সিকিউরিটি (National Security)-র উপর। আমাদের বুঝতে হবে, যেকোনো বড় পরিবর্তনের আগে তার সমস্ত দিক নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং বিশ্লেষণ অপরিহার্য।

এই ছিল টেলিকম লাইসেন্সিং-এর এই বিশাল ‘চেঞ্জ’ নিয়ে বিস্তারিত এবং ইন-ডেপথ (In-Depth) আলোচনা। আপনার কি মনে হয় এই রিফর্ম (Reform) নিয়ে? আপনার মূল্যবান মতামত, আশঙ্কা এবং সাজেশন অবশ্যই টিউমেন্ট-এ জানান!

-

টেকটিউনস টেকবুম

Level 2

আমি টেকটিউনস টেকবুম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 868 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস