KYC মানে কি

হ্যালো ফ্রেন্ডস আশাকরি ভালো আছ। আজকে আমরা কথা বলবো কেওয়াইসি নিয়ে একে নিয়ে তিন চারদিন ধরে আমি ভাবছি কি লিখব কি লিখব ভেবে চলেছে। যখন ভাবতে বসি না কেন এই ডিডিএলজে দিলওয়ালে দুলহানি আর একটা ডায়লগ সবসময় মাথায় আছে রাহুল নাম তো সোনা হগা যেকোন লোক যাদের কেন ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে এছাড়া কোন ফিনান্সিয়াল ট্রানস্যাকশন এর সাথে যুক্ত আছে কি শুনেছে আমার মনে হয় যে খুব কম লোকই আছেন যারা কিনা নাম শোনেনি তার আলোচনা করব কেন আমাদেরকে ব্যাংকে জমা দিতে হয় কেন বারবার করে আমাদের কাছে কেওয়াইসি 4 ভিডিও লাগিয়ে কিন্তু আমরা আলোচনা করব.
এই ডিভাইসের নাম করে কি ধরনের জালিয়াতি চক্র কিছু অসাধু লোক শুরু করেছে এবং এর হাত থেকে আমরা কি করে বাঁচতে পারি তাহলে বন্ধুরা চলো শুরু করা যাক আজকের ভিডিও মানে নো ইওর কাস্টমার নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এখানে ব্যাংক বা অন্য কোনো ফিনান্সিয়াল অর্গানাইজেশন এর কাস্টমার এর সাথে একটা রিলেশনশিপ বিলিভ করতে অথবা কাস্টমার আরো ভালোভাবে জানতে কিন্তু আমরা অনেক সময় দেখি ব্যাংক অনেকবার করেই আমাদের কাছে কেওয়াইসি 41 বছর দেড় বছর অথবা দু বছর পরপর আমাদের কাছ থেকে কেউই চায় তার একটা বড় কারণ হল ব্যাংক কিন্তু আমাদের পার্সোনালি চেনেনা ব্যাংকের কোন স্টাফ যদি আমাদের প্রার্থনা দিয়েছেন তাতে ব্যাংকের কিছু যায় আসে না কিন্তু আমাদের ডকুমেন্ট যদি আমাদেরকে চেনে সেক্ষেত্রে আমাদের কাছ থেকে আমাদের ডকুমেন্ট আরো একবার নিয়ে আমাদেরকে আরো ভালোভাবে চিনতে চায়। এখন আমরা চলে আসে যে এর কারণ কি, ব্যাংক বারবার করে আমাদের কাছে কেউ আইসে কেন যায়।

এর বিভিন্ন ধরনের কারণ থাকতে পারে প্রথমত হলো ভারতবর্ষে যতগুলো ব্যাংক থাকুক না কেন প্রত্যেকে, কিন্তু আর বি আই এর গাইডলাইন মেনে চলতে হয়। এবং আরবিআই যখন তাদের নিয়ম চেঞ্জ করে এবং নতুন কোন নিয়ম নিয়ে আসে, তখন কিন্তু ব্যাংকে সেই নিয়ম অনুযায়ী চলতে হয়। তার জন্যই দেখা যায় যে ব্যাংক আমাদের কাছ থেকে বারবার করে কেউ নিতে চায় আর চায় না যে কোন ব্যাংকের কোন ধরনের কোন ক্ষতি হোক ব্যাংকে সেই ধরনের ক্ষতির হাত থেকে বাচানোর জন্যই কিন্তু আরবিয়া এই ধরনের রুলস এন্ড রেগুলেশন গুলো বানিয়ে থাকে। আমরা প্রত্যেকে কিন্তু নিরব মোদী অথবা বিজয় মালিয়ার কথা জানি বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে এই ধরনের অনেক লোক ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছে, লোন নেওয়ার পর দেশ ছেড়ে চলে গেছে এইসব ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ব্যাংকের একটা বিশাল ক্ষতি হয় এই ক্ষতি গুলো কতটা সম্ভব মিনিমাইজ করা যায়। এটাই কিন্তু আরবিআই সবসময় ইনসিওর করতে চায় অনেক সময় দেখা যায় যে কোন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে। ধরে নিলাম সে 14 বছর বয়সে তার একটা ব্যাংক একাউন্ট খুলে পাঁচ বছর যাওয়ার পর সে যখন অ্যাডাল্ট হয়ে গেল। তখন কিন্তু ব্যাংক চায় তার সাথে আরও একবার সাক্ষাৎ করতে, এবং তার সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য ব্যাংকের কাছে নিতে এর জন্য কিন্তু ব্যাংক কেওয়াইসি চেয়ে থাকে। এছাড়া দেখা যায় যে অনেক সময় অনেক সিনিয়ার সিটিজেন ব্যাংকে একাউন্ট করলে এবং তাদের আট-দশ বছর যাওয়ার পর ব্যাংক যদি দেখে যে সেই ব্যাংক ট্রানজেকশন খুব একটা বেশি হচ্ছে না অথবা সেই ব্যাংকে ট্রানজেকশন হলেও ব্যান্ড জানতে চায়।
তখন এই ধরনের ইনফরমেশন কিন্তু ব্যাংক যায় কেননা ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে, একটা মানুষ এত বছর অনেক সময় জীবিত থাকে না সে ক্ষেত্রে ব্যাংক সিওর হতে চায় যে সেই ব্যক্তি এই অ্যাকাউন্ট অপারেট করছে এছাড়া কোন ব্যাংক যদি দীর্ঘদিন ধরে কোনো ট্রানজাকশন ছাড়া পড়ে থাকে। তখন কিন্তু ব্যান্ড আউট করে সেই ব্যক্তি এই দেশে আছে কিনা কিংবা সেই ব্যক্তির জীবিত আছে কিনা কিংবা সেই ব্যক্তি কোন anti-social অরগানাইজ.
গানের সাথে যুক্ত কিনা, এই ধরনের বিভিন্ন জিনিস যাচাই করার জন্য কিন্তু এই ধরনের কেওয়াইসি আমাদের কাছ থেকে চেয়ে থাকে। এছাড়া এরকম হতে পারে ব্যাংকে কেউ একজন একাউন্ট খুলেছেন কিন্তু সে যখন একাউন্ট খুলেছেন তখন ভারতবর্ষে অনলাইনে প্রচলন কত হয়নি তার ফলে অনলাইনে তার ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করা ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি তার জন্য ব্যাংক এখন আবার ডকুমেন্টস এ ইন্সটল করতে চায়।
যে সেই ব্যক্তিটি ওই অ্যাকাউন্ট খুলেছে অথবা কোন ডকুমেন্টস এই অ্যাকাউন্টটি খোলা হয়নি সেই ব্যাপারে ব্যাংক 100% সিওর হতে চায় তার জন্য আমাদের কাছে কেউ ip4 এগুলো তো গেল কারো যদি ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট থাকে, অথবা কারেন্ট একাউন্ট থাকে সেক্ষেত্রে তাদেরকে বাড়িতে কেন যাওয়া হয় এ ছাড়া কেউ যদি কোন ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে ব্যাংক কিন্তু আরও সচেতন থাকে যে সেই ব্যক্তি এখনো কি দেশে আছেন নাকি দেশ থেকে চলে গেছে। সে জীবিত আছে কে জীবিত নেই এই ধরনের বিভিন্ন ইনফর্মেশন কিন্তু যাচাই করতে চায় যখন সেই ব্যাংক থেকে এই ব্যক্তি কোন লোন নিয়ে থাকে অনেক সময় দেখা যায় যে কোন ব্যক্তি কোন একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছে, এবং সে মারা যাওয়ার পর তার ফ্যামিলি মেম্বার কোন কারনে জানতেও পারেনি যে সেই ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। যার ফলে সেই একাউন্টটি অনেকদিন ধরে ডিএকটিভেট হয়ে পড়ে রয়েছে এবং সেই ব্যাংকে কিছু টাকা জমা করা রয়েছে। ব্যাংক তখন কেউ আইতেচে জানতে চায় যে সেই ব্যক্তির জীবিত আছে কিনা এবং জীবিত যদি না থাকে। তাহলে সেই সাথে ব্যাংকে যে পরিমাণ টাকা রয়েছে, সেটা তুলে দেওয়ার জন্য কিন্তু ব্যাংকের কেওয়াইসি চেয়ে থাকে তা ব্যাংক আমাদের বারবার ফোন করার জন্য এবং কেওয়াইসি চাওয়ার জন্য এসএমএস পাঠানোর জন্য আমরা অনেক সময় দেখা যায় যে,
বিরক্তিকর হয়ে যায় এবং আমরা ভাবতে থাকি ব্যাংক এতবার করে কেওয়াইসি আমাদের কাছে চায় কেন। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে এটা কিন্তু আমাদের সুরক্ষার জন্যই ব্যাংক করে থাকে। সুতরাং আমাদেরও কিন্তু এটা রেস্পন্সিবিলিটি ব্যাংকের সহায়তা করা এবং তাদের কাছে কেওয়াইসি সময়মতো জমা করা। এবার আমরা চলে আছিসে ব্যাংক কেওয়াইসি আমাদের কাছে যদি চায় সে ক্ষেত্রে আমাদের কি কি জিনিস জমা করতে হবে। মেইনলি আমাদের একটি পাসপোর্ট সাইজ ফটোকপি জমা করতে হয়। এছাড়া প্যান কার্ড আধার কার্ড আমাদের ব্যাংকের কাছে জমা করতে হয়। কিভাবে ফর্মালিটিস পূরণ করার জন্য তা আমরা তো বুঝলাম, যে কেওয়াইসি কেন আমাদের জন্য ইম্পরট্যান্ট এবং আমরা সচেতন হলাম যে কেওয়াইসি আমাদের আপডেট করতে হবে, কিন্তু সমস্যা হল এই আমাদের প্রয়োজনীয়তাটা কে কাজে লাগিয়ে কিছু লোক কিন্তু কিছু অসাধু কাজ করার জন্য এগিয়ে আসে এবং বিভিন্ন ধরনের জালিয়াতি শিকার করা।
কিন্তু মানুষ হয়ে থাকে তা আমাদের প্রত্যেককে কিন্তু সচেতন থাকতে হবে যাতে আমাদের সাথে এই ধরনের কোন জালিয়াতি না হয়। মনেকরি, আমার কাছে একটা এসএমএস এসেছিল দেখে মনে হচ্ছিল যে আমার যে ব্যাংকে একাউন্ট আছে সেই ব্যাংকের তরফ থেকে কোনো এসএমএস এসেছে এবং সেখানে বলা হচ্ছে যে আমার কেওয়াইসি আপডেট করার জন্য সে ক্ষেত্রে নিচে একটা লিঙ্ক দেওয়া রয়েছে যেখানে গিয়ে আমি আমার কেওয়াইসি আপডেট করতে পারি। কিন্তু আমরা প্রত্যেকেই জানি ব্যাংক আমাদেরকে বারবার করে সচেতন করে তারা কিন্তু কোন কেওয়াইসি আপডেট এর জন্য কোন ধরনের লিঙ্ক আমাদের কাছে
পাঠায় না

এছাড়াও ব্যাংক কোন সময় আমাদের কাছে কোন ওটিপি চায়না কেওয়াইসি আপডেট বা অন্য কোন কাজের জন্য আমাদের কিন্তু প্রত্যেকে সচেতন থাকতে হবে। এই ধরনের কেওয়াইসি আপডেট এর জন্য আমাদেরকে যদি কেউ ফোন করে তাহলে আমরা ব্যাংকে গিয়ে সরাসরি যোগাযোগ করব। কেননা ব্যাংক যদি আমাদেরকে ফোন করে কেওয়াইসি আপডেট এর জন্য আমাদের কাছে কোন ওটিপি চাইবে না অথবা কোন লিংক দেবে না। আমাদের একটা ইনফরমেশন দেবে সেটা এসএমএসের মাধ্যমে হোক অথবা ফোন করে হোক যে আপনার কি কাড জমা করতে হবে, তা আমরা কিন্তু সে ক্ষেত্রে সরাসরি ব্যাংকে গিয়ে দেখা করব তখন আমরা আমাদের ফটো আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড জমা করে আমাদেরকে ওয়াইফের ফর্মালিটিস পূরণ করতে পারে। বন্ধুরা এরকম বহু মানুষ আছে যারা কিনা এই ধরনের জালিয়াতি শিকার হচ্ছে এবং আমি প্রত্যেককে বলবো আটিকেল প্রত্যেকের সাথে শেয়ার করো। যাতে প্রত্যেকটা মানুষ সচেতন হতে পারে, এবং এই ধরনের জালিয়াতি যেন তাদের সাথে না ঘটে.

তাহলে বন্ধুরা আজকের জন্য এ পর্যন্ত দেখা হবে পরের কোন আর্টিকেলে। ধন্যবাদ, , , , , , , , , , , , , , ,

Level 2

আমি মো আতিক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 13 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 5 টিউনারকে ফলো করি।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিকে জানা এবং অন্যকে শেখানোর আগ্রহ থেকেই টেকটিউনসে আমার পথচলা। আর সেই সাথে, আপনাদের জন্য প্রযুক্তিগত বিষয় গুলো সহজভাবে উপস্থাপন করার জন্য এই সাইটে যুক্ত হয়েছি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস