ডিপফেক ভিডিও কি? এবং এটি কিভাবে কাজ করে?

টিউন বিভাগ প্রযুক্তি কথন
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 12
কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা

আসসালামু আলাইকুম, বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আপনারা সকলেই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন‌। বরাবরের মতো আজও এসেছি আপনাদের জন্য নতুন একটি টিউন নিয়ে। আশা করছি বরাবরের মতো আজকের টিউনটি ও আপনাদের কাছে অনেক ভালো লাগবে। এজন্য অবশ্যই আপনাদেরকে ধৈর্য ধরে সম্পূর্ণ টিউনটি মনোযোগ দিয়ে দেখতে হবে।

আপনাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো বা ডিপফেক ভিডিওর নাম শুনেছেন। কিন্তু আপনাদের এখনো হয়তোবা সেই বিষয় সর্ম্পকে বিস্তারিত জানা হয়ে ওঠেনি। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাতে চলেছি ডিপফেক ভিডিও কি, ডিপফেক ভিডিও কিভাবে বানানো হয়, কেন ডিপফেক ভিডিও বিপদজনক এবং ডিপফেক ভিডিও কে আপনি কিভাবে চিনবেন? এই টিউনটি সম্পূর্ণ দেখা মাধ্যমে আপনি ডিপফেক ভিডিও সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা লাভ করতে পারবেন। এজন্য টিউনটি সম্পূর্ণ অবশ্যই দেখুন।

ডিপফেক ভিডিও কি?

Deepfake video

এতদিন আপনি হয়তো বা দেখেছেন যে, কোন একটি ফটোতে একজনের ছবি কেটে নিয়ে অন্য একজনের ছবি লাগিয়ে দেওয়া যায়। যেখানে আপনিও হয়তো বা বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে এই বিষয়টি চেষ্টা করে দেখেছেন। আর এটি আমাদের কাছে একটি সাধারণ বিষয় হয়ে গিয়েছে এবং যে কেউ ইচ্ছা করলে যে কারো ছবি কেটে নিয়ে অন্য একজনের মাথায় নিয়ে লাগাতে পারে। যেখানে সেই ছবিটি কে একটি সত্য ছবি বলে মনে হয়। আর এভাবে করে একে অন্যের ছবি জোড়া লাগানোর মাধ্যমে নিজেরা আনন্দ লাভ করি।

কিন্তু বর্তমানে ছবির পাশাপাশি ভিডিও তেও একজনের মাথা অন্য একজনার মাথায় নিয়ে গিয়ে লাগানো সম্ভব। যেখানে একজনের শরীরের সঙ্গে আরেকজনের মুখমন্ডলকে লাগানো হয়। আর সেখানে দেখে মনে হয় সেই মানুষটিই কথা বলছে। আর এখানে আপনি সেই ভিডিওটি দেখে বলতে পারবেন না যে, এই ভিডিওটি নকল‌ বা ডিপফেক ভিডিও। যেমনভাবে আমরা কোন একটি ফটোতে এডিট করার মাধ্যমে একজনের মাথা কেটে নিয়ে অন্য একজনের মাথায় নিয়ে লাগালে কেউ বুঝতে পারে না।

এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তিটি যদি আপনাদের অপরিচিত হয় তবে তো কোন কথাই নেই। যেখানে একজনের ছবি অন্য একজনের মাথায় নিয়ে লাগালে এটি ধরা অসম্ভব যে সেই ছবিটি নকল। আর এভাবেই তৈরি ডিপফেক ভিডিও। যেখানে ছবির বদলে পুরো ভিডিওটি ই একটি নকল ভিডিও। এবার আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে ডিপফেক ভিডিও কি। ডিপফেক ভিডিও হল বাস্তব এর মতই একটি নকল ভিডিও।

ডিপফেক ভিডিও কে কিভাবে বানানো হয়?

ডিপফেক ভিডিও এমন একটি ভিডিও, যেটি খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি নকল; কিন্তু আসলে এটি একটি মিথ্যা ভিডিও। কারণ এখানে ঠোঁটের নড়াচড়া থেকে শুরু করে সকল অঙ্গ ভঙ্গি এবং মানুষের ছায়া এর ও নকল করা হয়। আর এগুলোর জন্য ব্যবহার করা হয় আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা ডিপ লার্নিং কে। তো, এই Deepfake শব্দটি Deep learning; যেটা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট এরই একটি অংশ, আর Face শব্দ থেকে এসেছে। যেখানে একটি ভিডিও নকল হওয়া সত্বেও সেটি দেখতে এবং শুনতে আসল মনে হয়।

যেখানে ডিপফেক ভিডিওকে বানানোর জন্য কাজে নেওয়া হয় অনেক জটিল অ্যালগরিদম কে। যেগুলো নিজেই নিজের ভুল থেকে শেখে; অর্থাৎ এই এআই গুলো কে যতই বেশি ব্যবহার করা হবে এগুলো ততই ভালো ফলাফল দিবে। যেখানে সেই প্রোগ্রামটি যত বেশি ব্যবহার করে মিথ্যা ভিডিও তৈরি করা হবে, সেখানে পরবর্তী ভিডিওগুলো ততবেশি নির্ভুল এবং সূক্ষ্মভাবে তৈরি করা হবে। অর্থাৎ, পরবর্তী ভিডিওগুলো ধরা আরো কঠিন হয়ে পড়বে এটি আসল নাকি নকল। আর এভাবে করে সময় যাবার সঙ্গে সঙ্গে সেই ডিপফেক প্রোগ্রামটি নিজের ভুলগুলোকে সংশোধন এবং পরবর্তীতে আরো বেশি বুদ্ধিমান হয়ে উঠবে।

আর আজকের দিনে যার কাছে একটি কম্পিউটার এবং ইন্টারনেট রয়েছে সেটি ফেক ভিডিও বানাতে পারবে। ‌আর এটির জন্য অনেক অ্যাপ্লিকেশন এবং ওয়েবসাইট ও রয়েছে। যেগুলোর প্রত্যেকটি ব্যবহার করার জন্য অর্থ গুনতে হয়। আর এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে যে কেউ যে কারো ভিডিও নকল করতে পারবে। যে কেউ কারো সম্বন্ধে কোন খারাপ প্রচারণা চালাতে পারবে। তবে এটি সম্পূর্ণ বেআইনি ও অবৈধ।

বেশিরভাগ ডিপফেক ভিডিও Generative Adversarial Network (GANs) এর মাধ্যমে বানানো হয়। যেটির মধ্যে দুটি Machine learning model কাজ করে। এদের একটি হচ্ছে, Generator এবং অন্যটি হচ্ছে Discriminator। আপনি যেই প্রোগ্রামটির মধ্যে দিয়ে কোনো ডিপফেক ভিডিও বানাবেন, সেখানে কোন ছবি কিংবা ভিডিও দেওয়ার পর Generator সে গুলোকে এনালাইসিস করে এবং সেগুলোর উপর ভিত্তি করে একটি নকল ভিডিও তৈরি করে।

আর অন্যদিকে আরও একটি ML model Discriminator সেই ভিডিওটি খুঁত ধরার চেষ্টা করে। যদি Discriminator সেই ভিডিওর মধ্যে কোন ধরনের খুঁত দেখতে পারে তবে সেটিকে আবার Generator এর কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং কোথায় ভুল রয়েছে সেটি ও শনাক্ত করে দেয়; যাতে সে এটা আবার সংশোধন করতে পারে। আর Generator যত বেশি নিখুঁত ভাবে ভিডিও তৈরি করবে, Discriminator তত ভালো করে ভুল ধরার চেষ্টা করবে। আর এই প্রসেস টি হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত না একটি পারফেক্ট ভিডিও তৈরি হচ্ছে। যেটির অনেকটাই নির্ভর করে আপনার ইমপোর্ট করা ডেটার উপর।

আপনি যত বেশি ডাটা সেই প্রোগ্রামটি কে দিবেন সে ততো বেশি এনালাইসিস করে আপনাকে ভালো ভিডিও উপহার দিবে। পিসির জন্য সবচাইতে জনপ্রিয় একটি ডিপফেক Faceapp এবং অ্যান্ড্রয়েড এর ক্ষেত্রে Zao অ্যাপ। যেগুলোর সাহায্যে আপনিও চাইলে ডিপফেক ভিডিও বানাতে পারেন। তবে এটি কিন্তু পূর্ণাঙ্গভাবে ডিপফেক ভিডিও বানানোর মত নয়। যেখানে কিছু ভিডিও টেমপ্লেট রয়েছে এবং এগুলোতে আপনি আপনার ছবিকে ব্যবহার করে কোন একটি ভিডিও তৈরি করতে পারবেন।

তবে যেসব ডিপফেক ভিডিওগুলো অনেক নিখুঁতভাবে তৈরি করা হয় সেসব প্রোগ্রামগুলো জনসাধারণের নাগালের বাইরে। যারা এসব প্রোগ্রাম গুলো ব্যবহার করে বিভিন্ন অবৈধ কার্যকালাপ এবং অপরাধমূলক কার্যক্রম করার জন্য। আপনিও উপরে বলা মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে আপনার ছবির সঙ্গে মিল রেখে একটি ডিপফেক ভিডিও তৈরি করতে পারবেন। এটি হবে মাত্র কয়েক সেকেন্ডের। তবে আপনি এখানে এটি চেষ্টা করে দেখতে পারেন যে, ডিপফেক ভিডিও কেমন হয়।

ডিপফেক ভিডিও কেন এত বিপদজনক?

আমরা এতদিন শুনে এসেছি বা দেখে এসেছি, কোন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার হলে সেটির কিছু ভালো দিক এবং খারাপ দিক থাকে। যেখানে কোনো একটি প্রযুক্তির হয়তোবা বেশি ভাল দিক থাকে এবং কম খারাপ দিক থাকে, আবার কোন কোনটির বেশি খারাপ দিক থাকে কিছুটা পরিমাণে খুব ভালো দিক থাকে। তবে ডিপফেক ভিডিওর উপকারিতা বা ভালো দিক বলতে কিছুই নেই। যেখানে ডিপফেক ভিডিও মানুষের উপকার বলতে কিছুই করে না, বরং এটি অনেক মানুষের জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। যেখানে এই প্রযুক্তি থেকে মানুষ তার ক্ষতি ছাড়া কোনো উপকার ই আশা করতে পারে না।

ডিপফেক ভিডিও এর বেশি সম্মুখীন হয়ে থাকে কোন সেলিব্রিটি, রাজনীতিবিদ কিংবা কোন শিল্পীরা। তবে বর্তমানে সেলিব্রিটি এবং রাজনীতিবিদ এরা ছাড়াও বহু মানুষের ভিডিওর শিকার হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ডিপফেক ভিডিওর ক্ষেত্রে এটিই সবচাইতে খারাপ দিক। যেখানে অনেকে এটিকে ডিজিটাল যুগের নিউক্লিয়ার বোমার সঙ্গেও তুলনা করেন। যেখানে এটি পারমাণবিক বোমার ক্ষতির মতোই মানুষের জীবনকে ক্ষতির মধ্যে ফেলে দেয়।

আমরা ছোটবেলা থেকেই যেই জিনিসটি দেখি সেটিই বিশ্বাস করে থাকি। আর সেটিই যদি নকল হয় তবে আপনাকে এটিও বিশ্বাস করানো যাবে যেটি আসলে সত্য নয়। তাই আপনাকে আগে সতর্ক হতে হবে। ইন্টারনেটে আপনি যেসব বিষয় ভেবে দেখবেন, সেগুলো চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না। ডিপফেক ভিডিওকে যাতে করে শনাক্ত করা যায় এজন্য ফেসবুক এবং মাইক্রোসফট এআই তৈরি করছে। তবে বর্তমানে আমাদের খালি চোখে দেখে এটা বুঝার উপায় নেই, কোনটা আসল ভিডিও আর কোনটা নকল ভিডিও।

ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে আপনাকে এটিও বিশ্বাস করানো সম্ভব যে ভিডিওটি সত্য নয়। যেখানে এটির সাহায্যে আপনাকে খুব সহজেই বোকা বানানো সম্ভব। যদিও বর্তমান সময়ে ডিপফেক ভিডিও পর্ণগ্রাফিতে বেশি ব্যবহার করা হয়। যেখানে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের ভিডিও বা মুখের আকৃতি পর্নোগ্রাফির ভিডিওতে লাগানো হয়। ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে যে শুধুমাত্র কোন ভিডিও তৈরি করা সম্ভব, তা নয়।

ডিপফেক এর মাধ্যমে কোন ছবি থেকে শুরু করে কারো ভয়েস পর্যন্ত নকল করা সম্ভব। যে কারণে ডিপফেক ভিডিও আরো বেশী বিপদজনক। ডিপফেক ভিডিও সবচাইতে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে। যেখানে কোনো একজন সেলিব্রিটি পর্ণগ্রাফিতে অভিনয় না করেও তাকে সেই খাতায় নাম লেখাতে হতে পারে। যেখানে কোন একজন ডিপফেক এর মাধ্যমে তার ছবি কে নকল করে সেই পর্নোগ্রাফি ভিডিওতে লাগিয়ে দিতে পারে।

ভাবুন তো, কোন একজন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফিতে অভিনয় না করেও সেই ব্যক্তি যদি একজন পর্নো অভিনেত্রী এর খেতাব পেয়ে যায় তবে ব্যাপারটি কেমন হয়। যেখানে তার জীবনটা একেবারে দুর্বিষহ হয়ে যাবে। বর্তমানের ডিপফেক ভিডিও সবচাইতে বেশি ব্যবহার হচ্ছে পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে। যেখানে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন অভিনেত্রী দিয়ে ভিডিও তৈরি করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেলিব্রিটিদের কে টার্গেট করা হচ্ছে। ‌ এখানে শুধুমাত্র কোন সেলিব্রিটিরা তাদের লক্ষ্য পরিণত হচ্ছে না।

বরং, ডিপফেক ভিডিওর সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ ও। যেখানে অনেকের ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহ করে সে গুলোকে সেসব পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমানে এরকম অনেক অভিযোগ রয়েছে, পর্নোগ্রাফি তৈরি করার ক্ষেত্রে কোন একজনের ছবি ব্যবহার করে ডিপফেক ভিডিও তৈরি করার। যেখানে সেই ব্যক্তি সমাজের কাছে একজন খারাপ মানুষ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। ‌আর এসবের সমস্তই হচ্ছে ডিপফেক প্রযুক্তির কারণে।

ডিপফেক ভিডিওর কারণে যে শুধুমাত্র কোন সেলিব্রিটি এবং কোন ব্যক্তি পর্নোগ্রাফি এর শিকার হচ্ছে তা নয়। বরং ডিপফেক ভিডিওর মাধ্যমে কোন একজন রাজনীতিবিদ ও অন্যদলের প্রতিহিংসার শিকার হতে পারে। যে কারণে কোন দেশের মধ্যে রাজনৈতিক অঙ্গনে এক ধরনের অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে। এছাড়া কোনো ব্যক্তির যদি মিথ্যা ভিডিও তৈরি করা হয় তবে সেটি কোনভাবেই কারো উপকারে আসবেনা। বরং এটি উপকারের বদলে মানুষের ক্ষতিই বেশি পরিমাণে করবে।

তবে ডিপফেক ভিডিও এর উপকারিতা বা ভাল দিক বলতে, কোন একজন মৃত ব্যক্তির ভিডিও নির্মাণ করার বিষয়টি কাজ করে। যেখানে কোন একজন শিল্পীর কিংবা কোনো একজন ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলে ও তার আদলে একটি নকল ভিডিও তৈরি করা যায়। যেখানে দেখে বোঝার উপায় নেই এটি আসলে একটি নকল ভিডিও কিংবা ছবি। এভাবে করে অন্য কোনো ব্যক্তির ও যদি ছবিকে নকল করা হয়, তবে সেখানেও সেটি দেখে কোন বোঝার উপায় নেই। কেননা ডিপফেক ভিডিওর ভয়েস সেই ব্যক্তির অনুযায়ীই হয়।

ডিপফেক ভিডিও তে কোন ব্যক্তির ভিডিও এবং ভয়েস একই ধরনের হবার কারণে এটিকে সনাক্ত করা অনেক কঠিন। যেখানে কোন বিশেষজ্ঞ ব্যতীত এ ধরনের ভিডিও আসল-নকল যাচাই করা কঠিন। এবার আপনি নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন যে, ডিপফেক ভিডিও মানুষের জীবনে কতটা প্রভাব ফেলতে পারে। যেখানে বর্তমানে আমরা যেকোন ভিডিও দেখলে সেদিকে বিশ্বাস করে ফেলি, সেখানে আমরা যদি এ ধরনের কোনো ভিডিও দেখি তবে সেটিকেও হয়তোবা বিশ্বাস করে ফেলব। যেখানে আমরা হব বিভ্রান্ত এবং সেই ব্যক্তি হবে প্রতারণার শিকার।

ডিপফেক ভিডিও কিভাবে চিনবেন?

বর্তমানে ডিপফেক ভিডিও অনেক সাধারন পর্যায়ে রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে ডিপফেক ভিডিও গুলো ধরা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। তবে বর্তমানের যেসব অভিজ্ঞরা ডিপফেক ভিডিও তৈরি করছে, তাদের ভিডিওগুলোর নকল ধরা অনেক কঠিন হয়ে পড়ছে। যেখানে বর্তমানে আমাদের খালি চোখে দেখে বোঝার উপায় নেই এই ভিডিওটি আসল নাকি নকল। তবে কোন ভিডিওর মাঝে কথার সঙ্গে মুখের নড়াচড়ার অমিল, ঘাড় এবং কপালের অংশে ব্লার থাকা এসব বিষয়গুলো আমরা লক্ষ্য করতে পারি।

যতই দিন যাবে ততই ডিপফেক ভিডিও এর মান উন্নত হতে থাকবে। যেখানে দিন দিন ডিপফেক ভিডিও শনাক্ত করা আরো বেশী কঠিন হয়ে পড়বে। কেননা ডিপফেক ভিডিওর সফটওয়্যারটি দিন দিন নিজে তার ভুলগুলো কে সংশোধন করে নেয় এবং সে অনুযায়ী পরবর্তীতে আউটপুট দেয়। যেখানে ডিপফেক ভিডিওতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কে ব্যবহার করা হয়।

শেষ কথা

প্রত্যেকটি প্রযুক্তির কোন ভালো দিক এবং খারাপ দিক রয়েছে। তবে আমরা যে সব প্রযুক্তি ব্যবহার করি, সেসব প্রযুক্তির ভালো দিক বেশি পরিমাণে রয়েছে। যেখানে বর্তমান প্রযুক্তিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্ট আমাদের জীবনকে অনেক সহজ এবং সুন্দর করে দিয়েছে। আর এই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মধ্যেই পরে ডিপফেক ভিডিও। যেখানে ডিপফেক ভিডিওটি সম্পূর্ণ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার এর মাধ্যমেই হয়। তবে ডিপফেক ভিডিওতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার আমাদের জীবনকে সহজ করার পরিবর্তে আরও দুর্বিষহ করে তোলে।

যাইহোক, ডিপফেক ভিডিও এর এই প্রযুক্তিটি বর্তমানে বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। তবে আমাদের সচেতনতা এবং নৈতিক মূল্যবোধ থাকা উচিত। আপনি যে সবকিছুই দেখুন না কেন, সে গুলোকে চোখ বুজে বিশ্বাস করবেন না। সেই ভিডিও সম্পর্কে নিজে রিসার্চ করুন এবং কোনটা সত্যি কোনটা মিথ্যা সেটা বিবেচনা করুন। আপনি কোন অবাস্তব কিছু দেখে নিজে বিচার-বিশ্লেষণ করে সেটিকে বিশ্বাস করুন।

সেইসঙ্গে ডিপফেক ভিডিও সম্পর্কিত আজকের টিউনটি ভাল লাগলে একটি জোসস করবেন। ডিপফেক ভিডিও নিয়ে আপনার কোনো মন্তব্য জানাতে টিউনমেন্ট করুন। তবে আমি যাচ্ছি, খুব শীঘ্রই দেখা হবে আরো নতুন কোন টিউন নিয়ে ইনশাআল্লাহ। সে সময় পর্যন্ত আমাকে ফলো করে টেকটিউনস এর সঙ্গেই থাকুন। আসসালামু আলাইকুম।

Level 12

আমি মো আতিকুর ইসলাম। কন্টেন্ট রাইটার, টেল টেক আইটি, গাইবান্ধা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 333 টি টিউন ও 93 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 60 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 2 টিউনারকে ফলো করি।

“আল্লাহর ভয়ে তুমি যা কিছু ছেড়ে দিবে, আল্লাহ্ তোমাকে তার চেয়ে উত্তম কিছু অবশ্যই দান করবেন।” —হযরত মোহাম্মদ (সঃ)


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

তথ্যবহুল ছিলো।

    ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য। আমাকে ফলো করে টেকটিউনস এর সঙ্গেই থাকুন।