গুগল যে কারণে ফেসবুকের কাছে হেরে, সোশ্যাল মিডিয়া তৈরিতে ব্যর্থ!

টিউন বিভাগ প্রযুক্তি কথন
প্রকাশিত
জোসস করেছেন
Level 34
সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা

আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন টেকটিউনস কমিউনিটি? আশা করছি সবাই ভাল আছেন। বরাবরের মত আজকেও চলে এসেছি নতুন এক বিশ্লেষণ মূলক  টিউন নিয়ে। আজকে আমরা দেখব গুগল কেন কোন সফল সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে নি বা করতে পারে নি। তো চলুন শুরু করা যাক।

সফল সোশ্যাল মিডিয়া তৈরিতে গুগলের যে সুযোগ গুলো ছিল

সোশ্যাল মিডিয়াতে যদি কোন কোম্পানি সফলতা লাভ করার কথা থাকে এবং সেটা যদি মেসেজিং এ হয় তবে সেটা হতে পারতো একমাত্র গুগল। আমরা যদি একটু ভাল করে চিন্তা করি তাহলে দেখতে পাব গুগলের এটা করার সব ধরনের সুযোগ সুবিধাই কিন্তু ছিল।

যারা অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করে তাদের সবারই একটা গুগল আইডি আছে এবং নির্দিষ্ট সময় পর পর তা Sync হয়, তো এটা দারুণ এক সুবিধা যার মাধ্যমে গুগল ইচ্ছে করলেই একজন ইউজারের কল লিস্ট, কন্টাক্ট লিস্ট, মেসেজ দেখতে পারে। আর এই সবগুলো একই জায়গায় নিয়ে আসা তাদের জন্য খুবই সহজ ছিল এবং তারা চাইলে ইউজারকে ডেফল্ট হিসাবে তাদের অ্যাপ ব্যবহার করাতে পারতো। যেমন, Gmail কে ডেফল্ড মেইল হিসাবে এবং Google Suite কে Business অ্যাপ হিসাবে।

গুগল একমাত্র কোম্পানি যারা জানে কিভাবে ইন্টারনেট সার্ভিসকে Large Scale এ ব্যবহার করা যায়। যেমন তারা নিজেকে ইতিমধ্যে বড় একটি বিজ্ঞাপণী কোম্পানি হিসাবে গড়ে তুলেছে। তাদের এটাও জানার কথা কিভাবে বড় ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি হিসাবে তৈরি করা যায় যদিও এই ক্যাটাগরিতে তারা বারবার ব্যর্থ হচ্ছিল। আসলে আমাদের নিত্য দিনের ব্যবহৃত বিভিন্ন অ্যাপ হিসাবে গুগলের অনন্য ভুমিকা থাকলেও তাদের বলার মত তেমন কোন সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না। তারা এজন্য প্রতিবছর নতুন নতুন অ্যাপ নিয়ে আসে কিন্তু সফলতার মুখ না দেখতে পেরে বারবার ব্যর্থ হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া তৈরিতে গুগলের পদক্ষেপ

গুগল বারবার ব্যর্থ হবার পরেও নতুন নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে এই ক্যাটাগরিতে ভাল করার জন্য, চলুন তাদের কিছু পদক্ষেপ দেখা নেয়া যাক।

এখানে আমরা গুগলে মেসেজিং অ্যাপ প্রতিষ্ঠা করার পদক্ষেপ গুলা দেখতে পাচ্ছি এবং সাথে সোশ্যাল মিডিয়াও। আমরা এই ছবিটি থেকে দুইটি বিষয় বুঝতে পারি প্রথমত, গুগলের ব্যর্থতার কারণ এটা ছিল না যে তারা চেষ্টা করে নি, তারা বারবার চেষ্টা করে গেছে তারপরেও ব্যর্থ হয়েছে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে এটা পরিষ্কার যে গুগল সব সময়ই সোশ্যাল ট্রেন্ড গুলো দেরিতে ফলো করেছিল।

গুগলের সোশ্যাল অ্যাপ এবং সমসাময়িক অন্য অ্যাপ

২০১১ সালে গুগল তাদের নতুন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম Google+ দিয়ে Facebook এর সাথে কম্পিটিশনে আসে। তারা যখন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে শুরু করে তখন ফেসবুকের ৭ বছর এবং টুইটারের ৫ বছর। ফেসবুক আর টুইটার যখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে তখন ইউজাররা নতুন কোন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করবে এটা একটু কঠিন। চলুন আরেকটা সোশ্যাল অ্যাপ এর  সাথে বিশ্লেষণ করা যাক। গুগল প্লাস বাজারে এসেছিল ২০১১ সালে এবং একই বছর Snapchat  ও আসে। তারা নতুন প্রজন্মের থেকে জনপ্রিয়তা পায় কারণ তারা নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসে, যেমন লাইভ ছবির সাথে বিভিন্ন স্টিকার, ভিডিওতে মজার মজার ইফেক্ট। এই যখন ছিল অবস্থা তখনও গুগল প্লাস চেষ্টা চালিয়ে যায় কিভাবে ফেসবুক কে বিট করা যায় সেটা আবার কোন ধরনের নতুন ফিচার এড করা ছাড়া।

গুগলের নতুন চ্যাট অ্যাপ Google Hangout

দেরিতে হলেও ২০১৩ সালে গুগল মেসেজিং অ্যাপ এর বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে স্মার্ট-ফোনের জন্য প্রথম ইন্সট্যান্ট ম্যাসেন্জিং অ্যাপ নিয়ে আসে এবং নাম দেয় Hangouts।  এবার বলুন তো এই এপের প্রতিদ্বন্দ্বী কারা?  হ্যাঁ ঠিকই ধরেছেন Whatsapp, Viber, iMessage, Wechat এর মত ডেডিকেটেড অ্যাপ গুলো।  যারা আগে থেকেই ইউজারদের সেবা দিয়ে আসছিল এবং যথেষ্ট জনপ্রিয়ও ছিল। এই লিস্টে আরও একজন আছে, হ্যাঁ সেটা হচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার। ফেসবুক আগে ধরতে পেরেছিল তাদের এমন আলাদা মেসেজিং অ্যাপ লাগবে এবং তারা ২০১১ সালের এটি তৈরি করে ফেলেছিল।

গুগল তাদের নতুন এই মেসেজিং অ্যাপে কিছু কিছু ফিচার দিতে দেরিই করে ফেলেছিল যেমন, জনপ্রিয় স্পিকারগুলো এড করা, টাকা ট্রান্সফারের সুবিধা দেয়া যেমনটি weChat দিতে পারতো। তারা চাইলে মেসেজ এনক্রিশনের মত সমসাময়িক সব থেকে টেন্ডিং ফিচারটিও এড করতে পারতো। কিন্তু করে নি। এবং ফলাফল কি? আমরা সবাই জানি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও Youtube

তবে সামাজিক যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুগলকে অর্ধেক সফল বলা যায় এবং সেটা শুধু মাত্র Youtube এর জন্য। Youtube একটি ভিডিও প্ল্যাটফর্ম এবং বর্তমানে একে বিট করার মত কোন মাধ্যম এখনো তৈরি হয় নি বা ভবিষ্যতে হবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। Youtube কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ধরা হলেও এখানে কতটা কমিউনিটি বিল্ড হয় বা পারস্পারিক যোগাযোগ হয়ে থাকে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কারণ আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার যেভাবে ব্যবহার করতে অভ্যস্ত সেটা Youtube এর ক্ষেত্রে নই।  Youtube কে আমরা ভিডিও দেখার মাধ্যম হিসেবেই ব্যবহার করছি এবং এই জায়গাতেই আমরা যথেষ্ট সন্তুষ্টও আছি। কিন্তু সেটা সোশ্যাল মিডিয়া হিসাবে আমাদের কতটা কমিউনিটি বিল্ডআপ করতে সাহায্য করছে সেই প্রশ্ন আপনাদের উপর ছেড়ে দিলাম।

ব্যবসায় যোগাযোগেও ছিল গুগল পিছিয়ে

শুধু সাধারণ ব্যবহারকারীদের দিক থেকে নয় গুগল ব্যবসায়ী যোগাযোগেও পিছিয়ে ছিল। তখন ২০১৩ সালের দিকে ব্যবসায়ী যোগাযোগে সবার থেকে এগিয়ে ছিল Slack।  এবং তাদের বিট করতে ২০১৬ সালে মাইক্রোসফট নিয়ে আসে Microsoft Team।  এই যখন হয় অবস্থা তখন গুগল নিজেও বুঝতে পেরেছিল তারা আসলেই অনেক পিছিয়ে। এতক্ষণের আলোচনা থেকে এটা পরিষ্কার হয় যে আসলে গুগলের সোশ্যাল অ্যাপের ভিশন এতটা শক্ত ছিল না।

আমরা সবাই জানি গুগল তাদের কর্পোরেট দুনিয়ায় কতটা সফল। তাদের মূল সেবা অথবা আরেকটু ভাল করে যদি বলি DNA Of Google যেমন, Google Search, Gmail, Maps, Docs, Drive, Chrome, ChromeOS, Google Assistant এর ক্ষেত্রে তারা তাদের অভাবনীয় কর্তৃত্ব দেখিয়েছে এবং আমরা প্রায় প্রতিদিন এগুলোর উপর নির্ভরশীল। এগুলো আপনার প্রতিদিনেv কাজ খুব ভাল ভাবেই করতে পারলেও কমিউনিটি বিল্ড করে না আর এজন্য দরকার কোন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্ম এর।

গুগলের আসলে কি করা উচিৎ  ছিল?

গুগল, সোশ্যাল মিডিয়াতে জায়গা করতে অবশ্যই তাদের লক্ষ্য দৃঢ় করার দরকার ছিল।  তাদের উচিৎ ছিল আসছে সোশ্যাল ট্রেন্ড বা সামনে কি আসতে পারে এগুলোতে ফোকাস করা এবং সেই চাহিদা মত বাজারে নতুন কিছু নিয়ে আসা। কিন্তু তারা যা করেছে সেটা হচ্ছে অন্যরা যে ট্রেন্ড নিয়ে এসেছে সেটার পেছনে ছুটেছে এবং তারা যখন ধরতে যাবে সেই মার্কেট তখন শেষ হয়ে গেছে।  এবং বারবার ব্যর্থ হয়েছে।

স্ট্রেটেজিগত সমস্যা

আসলে গুগলের এই স্ট্রেটেজিতেই সমস্যা ছিল, যেমন তারা বারবার নতুন নতুন অ্যাপ নিয়ে এসেছে এবং এতে করে যা হয়েছে সেটা হল তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ইমেজে দাগ পড়েছে। বিষয়টি যদি পরিষ্কার করে বলি তাহলে বলতে হবে, ধরুন গুগল এখন পর্যন্ত কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ বাজারে এনেছে Google plus, Google Hangout ইত্যাদি এখন আপনি যখন গুগল প্লাসে আপনার ফ্রেন্ড সার্কেল বাড়ালেন এবং একটা কমিউনিটি তৈরি হল তখন তখন গুগল বলল এবার অন্য অ্যাপ ব্যবহার কর। এতে করে যেটা হল নতুন অ্যাপ ব্যবহার করতে গিয়ে আপনার আগের সার্কেল বা কমিউনিটি হারিয়ে গেল। আগের অ্যাপ বাদ দিয়ে নতুন অ্যাপ নিয়ে আসা গুগলের বাকি প্রোডাক্ট এর ক্ষেত্রে ঠিক হলেও তা সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষেত্রে একদম উচিত ছিল না।

গুগলের বর্তমান অবস্থান

এতক্ষণ আমরা আলোচনা করলাম গুগলের পূর্বের অবস্থা নিয়ে। তো চলুন বর্তমানে ফিরে আসি। অতি সম্প্রতি গুগল তাদের Google Plus বন্ধ করে দিয়েছে সেটা আবার কোন রি-প্লেসমেন্ট ছাড়া। তাদের মেসেজিং সার্ভিসকে ৪ ভাবে ভাগ করেছে যেমন সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য একটি চ্যাট এবং ভিডিও কল আর ব্যবসায়ী ব্যবহারকারীদের জন্য একটি চ্যাট আর ভিডিও কল। যদিও তারা বলে নি কতদিন এই সার্ভিস থাকবে তবুও বলা যায় তাদের অবস্থান এখন মোটামুটি শক্ত।

RCS কি এবং কেন?

সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য ব্যবহৃত চ্যাটের নাম হচ্ছে RCS। RCS একটি মেসেজিং অ্যাপই না এটি হচ্ছে একটি কমিউনিকেশন প্রোটোকল যা তৈরি করা হয়েছে SMS এ রিপ্লেস করার জন্য। আমি মনে করছি এটি একটি দারুণ উদ্ভাবন। মেসেজ সেন্ড করলে এটি গুগলের প্রোটোকল বা সার্ভার দিয়ে না গিয়ে মোবাইল ক্যারিয়ার দিয়ে যাবে যদি অন্য পক্ষের ফোনে এই প্রোটোকলটি থাকে তাহলে সেখানে ইন্টারনেট চ্যাট এর মতই মেসেজ যাবে আর যদি না থাকে তাহলে স্বাভাবিক মেসেজ আকারে যাবে। এখানে কোন ক্যারেক্টার লিমিট নেই এবং স্টিকার, ছবি পাঠানো যাবে অতিরিক্ত খরচ ছাড়া।

এবার যদি এটির ব্যবহারকারীদের দিকে আলোকপাত করি তাহলে দেখা যায় বিশ্বের কিছু কিছু দেশ যেমন US তে এখনো মানুষ টেক্সট এর উপর দারুণ ভাবে নির্ভরশীল। অন্য দিকে Europe  এবং Asia এর ব্যবহার কম এমনকি ৫০ বছরের ঊর্ধ্বের কেউ এসএমএস ব্যবহার করেই না। এই দিক বিবেচনায় RCS এর ভবিষ্যৎ কি আপনারাই বুঝতে পারছেন।

আমি মনে করি এনক্রিপশন ফিচারের যেমন weChat আরও ভাল ফিচার দিচ্ছে এই RCS থেকে। এবং বাকি সোশ্যাল মিডিয়া গুলো যে হাড়ে প্রযুক্তি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সেই তুলনায় এটা কত দিন টিকে থাকতে পারবে সেটাও দেখার বিষয়। তারপরেও এটি গুগলের সোশ্যাল যোগাযোগের মাধ্যম হিসাবে যথেষ্ট ভাল।

গুগলের বিজনেস ভিডিও চ্যাট বা কলিং অ্যাপ মাধ্যমে আশাকরি গুগল এই সুযোগটি ধরে রাখতে পারবে এবং এর যথাযথ ব্যবহার করে দেখাতে পারবে।

গুগলের G Suite

মাইক্রোসফট অফিসের মতই গুগলের দারুণ এক প্রোডাক্ট আছে যার নাম G Suite এবং এটাকে অনেক ক্ষেত্রে মাইক্রোসফট অফিসের প্রতিদ্বন্দ্বীও বলা হয়। ছোট এবং মাঝারি ধরনের কোম্পানিরা এই প্রোডাক্টি ব্যবহার করে থাকে। তো তারা তাদের ব্যবসায়ী যোগাযোগের জন্য একই সাথে ডেডিকেটেড অ্যাপ Slack এবং গুগলের চ্যাটও ব্যবহার করে। এখন গুগল যদি ভাল সার্ভিস দিতে পারে তাহলে ধারনা করা যায় এই কোম্পানি গুলোর বড় একটা অংশ Slack থেকে গুগলের নিজস্ব চ্যাটে চলে আসবে যা গুগলের জন্য দারুণ কিছু। এবং আমরা যদি একটু পেছনে তাকাই তাহলে দেখতে পারব মাইক্রোসফট একই ট্রিক্স ব্যবহার করেছিল। তারা তাদের কাস্টমারদের Slack থেকে তাদের নিজস্ব অ্যাপ Microsoft Team এ নিয়ে এসেছিল।

শেষ কথাঃ

গুগল যদি তাদের সোশ্যাল মিডিয়ার দিকে ভাল করে নজর দিতো তাহলে অবশ্যই এখানে সফল হতে পারতো। এখন দেখার বিষয় হচ্ছে তদের বর্তমান সোশ্যাল অ্যাপ গুলোর প্রমোট করার ক্ষেত্রে গুগল কতটুকু শ্রম দেয়। যেমন Google Hangout এর রেটিং তাদের নিজেদের প্লে স্টোরেই ভয়াবহ। অন্যদিকে আমরা যদি Slack এবং Microsoft Team এর দিকে তাকাই তাহলে দেখতে পারব তাদের রেটিং যথেষ্ট ভাল। তাদের উচিৎ অ্যাপ গুলো আগে ভালভাবে প্রমোট করা এবং ইউজার বাড়ানো।

Level 34

আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 6 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 568 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 112 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস