হাইটেক-খাবারের দখলেই কি যাচ্ছে পৃথিবী?

কেমন আছেন সবাই? আমি ব্লগিং শিখেছি টেকটিউনস এবং ব্লগ৭১ এর থেকে। আমি এদেরকে জানাই অসখ্য ধন্যবাদ। আমি নিয়োমিত ব্লগিং করার চেষ্টা করছি। যদি আমার টিউনটিতে কোন ভুল থাকে তা জানিয়ে দিবেন। তাহলে চলুন শুরু করা যাক।

বিশ্বে প্রতিদিন ২ বিলিয়ন মানুষ পোকামাকড় খেয়ে জীবনযাপন করছে। বিভিন্ন পোকামাকড় পুষ্টিগুণে গবাদিপশুর চেয়ে উন্নত এবং স্বাদের দিক থেকে আপেল, পি নাট বাটার এবং মাছের কাছাকাছি অথবা তার চেয়েও মুখরোচক। এমনটাই বলেছেন খাদ্যবিজ্ঞানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। ভবিষ্যতবাদীরা জোরলোভাবে বলেন, আমাদেরকে আবারো পুনর্বিবেচনা করতে হবে আমরা প্রতিদিন কী খাচ্ছি।

ল্যাবে তৈরি মাংস

সঠিক সময়ে সঠিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ না করার কারণেই একটি সমস্যা হলো পুষ্টিহীনতা। বিভিন্ন সীমাবদ্ধতার জন্যই মূলত মানুষের উল্লেখযোগ্য একটি অংশ প্রয়োজনীয় পুষ্টি থেকে বঞ্চিত। মাংসের চাহিদা পূরণে গবেষণাগারে একধরনের মাংস তৈরির পথে অনেকখানি এগিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

‘মেম্ফিস মিট’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রাণীদেহ থেকে বিশেষ সেল সংগ্রহ করে এরই মধ্যে ল্যাবে মাংস তৈরি করেছে। রাথমিকভাবে এ মাংসের জন্য খরচ অনেক পড়লেও সময়ের সাথে তা কমে আসবে বলে ধারণা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ল্যাবে তৈরি মাছ

এমন একটা সময় আসবে যখন ল্যাবে মাছও তৈরি করা যাবে। সংশ্লিষ্টরা মনে করেন সেসময় খুব দূরে নয়। আমেরিকার নিউইয়র্কের টুরো কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গোল্ড ফিশের টুকরো ফেলে ছোট মাছের টুকরো প্রস্তুতে ইতিবাচক সাফল্য পান। গদা চিংড়ির মতো দেখতে অবিকল চিংড়ি তৈরি করতে সমর্থ হয়েছেন। লদা চিংড়ি এবং কাকড়া তৈরির প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

খেতে পারবেন পানিশুদ্ধ বোতল!

স্টার্ট-আপ প্রতিষ্ঠান প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে সমুদ্রতলের শ্যাওলা দিয়ে এমন একধরনের পানির বোতল তৈরির ধারণা দেন যা পরিবেশের ক্ষতি করবে না। এ বোতলটি এমনভাবে তৈরি করা হবে যাতে পুরো বোতলটিই পানি হিসেবে খাওয়া যাবে। এ বোতল প্লাস্টিকের চেয়ে অনেক কম দামে পাওয়া যাবে বলে জানায় সীউইড টেক কর্তৃপক্ষ।

 কফি খাবেন চিবিয়ে!

চিবিয়ে খাওয়ার যোগ্য এ কফি মনোযোগ বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করছে। কেউ চাইলে এ কফি পকেটে পুরে প্রয়োজনের সময় খেতে পারছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে মানুষ সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি মজাদার খাবার তৈরির দিকে বেশি ঝুঁকছে। গবেষণার সূত্র ধরেই উপর্যুক্ত বিভিন্ন ধরনের খাবারের ধারণা ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে মত দিচ্ছেন খাদ্যবিজ্ঞানীরা। আপাতদৃষ্টিতে এ খাবারের এ ধারণাগুলো অদ্ভূত মনে হলেও পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতির খাদ্য চাহিদা মেটাতে বিভিন্ন প্রকারের খাবার তৈরির ওপর জোর দিচ্ছেন খাদ্যবিজ্ঞানীরা। এতে করে খাবারের উদ্ভূত চাহিদা মিটবে এবং একইসসঙ্গে পুষ্টির প্রয়োজনীয়তাও মিটবে। আজকের যে বিষয়গুলো এখনো ধারণার পর্যায়ে রয়েছে তা বাস্তবতায় যেতে সময় নেবে না বলেও জানান বিজ্ঞানীরা। কারণ এ ধারণাগুলো নিয়ে তারা বেশ যত্নের সঙ্গে কাজ করছেন।

খাবার হবে ডিএনএ ভিত্তিক

যদিও ডিএনএ সিকোয়েন্স জানার বিষয়টি এখনো ততটা সহজলভ্য হয়নি। ডিএনএ সিকোয়েন্সের মাধ্যমে শরীরে জন্য প্রয়োজনীয় খাবার কী এবং কোন খাবার গ্রহণ করলে স্বাস্থ্যের জন্য আরো উপকার হবে সেটা জানা যায়। রত্যেক মানুষের জেনেটিক্সের দিকটা থেকে আলাদা। ফলশ্রুতিতে সবার জন্য একই ধরনের খাবার সুফল বয়ে আনতে না-ও পারে।

প্রাথমিক পর্যায়ে নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষের মধ্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই এ খাবারগুলো বাজারজাত করা হবে।

পরবর্তী টিউন নিয়ে আমি আবারও হাজির হব। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ্য থাকুন।

Level 1

আমি প্রত্যয় বিশ্বাস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 20 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস