লাল ফিতায় বাঁধা ফাইলের দিন শেষ

 

লাল,,

শেষ হচ্ছে সরকারি অফিসের টেবিলে লাল ফিতায় বাঁধা ফাইলের দিন। যাত্রা শুরু করেছে ই-ফাইলিং পদ্ধতি। ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এ পদ্ধতি চালু করলো। পর্যায়ক্রমে সরকারি সব অফিসেই চালু হবে ই-ফাইলিং পদ্ধতি।

মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত সচিব কামাল উদ্দিন সরকারি সব অফিসে  ই-ফাইলিং পদ্ধতি চালুর অনুমোদনের জন্য একটি ই-ফাইল আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের কাছে পাঠান। প্রতিমন্ত্রী ফাইলটি অনুমোদনের জন্য পাঠান ডাক ও টেলিযোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী লতিফ সিদ্দিকীর কাছে। মিনিটের মধ্যেই সম্পন্ন হয় ফাইল আদান-প্রদানের কাজ, প্রয়োজন হয়নি কোনো বার্তা বাহকের।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিসিসি ভবনে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপস্থিতিতে এভাবেই ই-ফাইল পদ্ধতির যাত্রা শুরু হয়।

এ প্রসঙ্গে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘সরকারি অফিসে গতি, স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান ও কাগজের ব্যবহার কমিয়ে পরিবেশবান্ধব অফিস সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভাগের ই-ফাইলিং সিস্টেমের যাত্রা শুরু হয়েছে। ই-ফাইলিং মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হবে সরকারি সকল অফিসেই।’

তিনি আরো বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য ছিল জনগণ সেবার পেছনে ছুটবে না বরং সেবাই পৌঁছে যাবে জনগণের কাছে। এ প্রত্যয়কে সামনে রেখে সরকারের বিরামহীন প্রয়াসের অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়। ইতোমধ্যে জেলা পর্যায়ের সমূহে ই-ফাইলিং কার্যক্রম বাস্তবায়ন হয়েছে।’

সুত্রঃ আইডিয়া বাজ

Level 0

আমি নাহিদ ইসলাম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 5 টি টিউন ও 255 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 4 টিউনারকে ফলো করি।

প্রযুক্তি ভালোবাসি। অনলাইনে থাকতে ভালো লাগে।ফেসবুকে আমি


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

খুবই প্রয়োজনীয় একটি অগ্রগতি। আমাদের আমলাতান্ত্রিক ব্রিটিশ আমলীয় পদ্ধতিগত ত্রুটির কারনে অনেক পিছিয়ে থাকতে হয়েছিল, সময়জ্ঞান হীনতার সাথে সাথে গচ্চা যেত কত শত ঘুষ, এবার সত্যি আমরা একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছি, ধন্যবাদ স্থানীয় সরকার প্রধানকে। আশা থাকলো সত্তর সাধারণ জনগণকেও উক্ত সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করার যাতে সহজেই তারা জন প্রতিনিধিদের কাছে পৌছাতে পারেন।

আসলেই এসব প্রয়োজনীয় অগ্রগতি আমাদের খুব দরকার। সাধুবাদ জানাই

    @রাহাতুল ইসলাম: আরো অনেক অগ্রগতি দরকার আমাদের।

agree with রা

সবাইকে ই ফাইলিং এর একটা উদাহরণ দিই। আমি যেখানে কাজ করি, সেখানে এধরণের ই-ফাইলিং সিস্টেম চালু আছে। ইউজার হিসেবে আমি একটা আবেদন বানিয়ে পাঠিয়ে দেই রিকোয়েস্ট Validator এর কাছে। সেই Validator আমার ফাইল রিভিউ করে পাঠিয়ে দেবে Approver এর কাছে। Approver যদি Approve করে দেয়, আমি নটিফিকেশন মেইল পেয়ে যাই। কোন কারণে যদি আমার ফাইলটা Reject হয়, তাহলেও আমাকে জানানো হবে কেন আমার আবেদনটা হলো না। সেই হিসেবে যদি বিনা কারণে আমার ফাইলটি বাতিল করা হয় তাহলে আমি সরাসরি ডিভিশন হেড এর সাথে যোগাযোগ করতে পারি।

আরো একটা জরুরী ব্যাপার হলো, সবার জন্যই সময় নির্ধারিত আছে। Validator যদি ৭ কর্মদিবসের মধ্যে Validate না করে তাহলে সরাসরি তা Approver এর কাছে চলে যাবে এবং এক্ষেত্রে তাকে যথাযথ কৈফিয়ত দিতে হবে। Approver এর ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য।

এমন দিন আর এমন সিস্টেম আমাদের জীবদ্দশায় আমরা মনে হয় দেখতে পারবো না। এতো স্বচ্ছতা দিলে আমাদের নেতারা মাছ ব্যবসা করে আর কোটিপতি হতে পারবে না।

দেশের সবচেয়ে দূর্ণীতিগ্রস্থ অফিস মনে হয় ভূমি অফিসগুলো। সেখানে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা। প্রতিটি ভূমি অফিসে লেখা আছে নামজারি বাবদ ২৪৫ টাকা শুধু জমা দিতে হবে এবং এর অতিরিক্ত কোন টাকা চাইলে তা সরাসরি কর্মকর্তাকে জানাতে। কিন্তু আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি। ২৪৫ টাকা দিয়ে নামজারি করার কথা যদি ভেবে থাকেন তাহলে এই ইহজনমে আমার কার্যসিদ্ধি হবে না। আমি নিজে ৩ শতাংশ জমির জন্য ৭,৫০০ টাকা খরচ করতে হয়েছে। যে কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে, ৪ দিন গিয়েও আমি তার কোন দেখা পাই নাই। দেশে জবাবদিহিতা নাই গো ভাই, এজন্য যার যা ইচ্ছা করে যায়।