ল্যাপটপের আবির্ভাব এবং ডেস্কটপের ক্রমবর্ধমান বিবর্তন – প্রযুক্তির শেষ কোথায়???

প্রযুক্তির উতকর্ষতায় আমরা আজ অনেক এগিয়ে । এ এগিয়ে চলা আরো এগিয়ে যাবে প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিবর্তন এবং নতুন নতুন আরো আবিষ্কারে ।  এক সময় কম্পিউটারের কথা ভাবলে অবাক হতে হতো । কিন্তু কম্পিউটার এখন মোবাইলের মত প্রয়োজনীয় ডিভাউস হয়ে পড়েছে ।  শুধু তাই নয় ক্রম বর্ধমান বিবর্তনে কম্পিউটারও মুঠোফোনের রূপ নিয়েছে ।   ডেস্কটপ এবং ল্যাপটপ কম্পিউটারের নতুন নতুন উতকর্ষতায় মানুষ আজ অভিভূত।

নতুন নতুন প্রজন্মরাও প্রযুক্তির উতকর্ষতায় অভিভূত হচ্ছে যা সত্যিই বিস্ময়কর ।   কিছুদিন আগেও এসব ছিলো ভাবনারও অতীত। ডেস্কটপের ক্রমবর্ধমান বিবর্তনে যে সমস্ত ডিভাউস এখন শুধুই স্মৃতি ।

আই এস এ স্লট এর সাউন্ড কার্ড কার্ড

আইএসএ স্লট

 

সেই মাদার বোর্ড যেখানে সিম রেম ব্যবহার হত


এজিপি কার্ড - যা একসময় খুব বেশী ব্যবহার হত

ফ্লপি ডিস্ক - যার মেমরি ছিল ১.৪৪ মেগাবাইট মাত্র

 

স্লট এ ব্যবহৃত প্রসেসর

 

দেখতে মনে হচ্ছে এজিপি কার্ড এর স্লট আসলে এটা প্রসেসর এর স্লট

 

 

এক সময়ের জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা কোয়ান্টাম ফায়ারেবল হার্ড ডিস্ক

 

এটি পাওয়ার সাপ্লাই - যেটি ছিল ১২ পিনের এবং সুইচ টিপে পাওয়ার অফ করা লাগত

এসডি রেম
 
 সকেট প্রসেসর
 
 স্লট প্রসেসর
 

সিম রেম এবং স্লট

এনালগ সিআরটি মনিটর

এছাড়াও যে সমস্ত ডিভাইস এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে...

 

সিডি রম - যা দিয়ে উইন্ডোজ ৯৫/৯৮/এক্সপি সেটাপ দেয়া হয়েছে অসংখ্য বার

সি ডি বা কম্পেক্ট ডিস্ক

আইডিই ডাটা কেবল

ফ্যাক্স মডেম

চলুন এবার ফিরে তাকাই আরো পিছনে...

চার্লজ ব্যাবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়ে থাকে ।   এক সময় কম্পিউটার বলতে কিছুই ছিলো না । এ্যাবাকাস নামক একটি যন্ত্রের মাধ্যমে গণনার কাজ করা হতো ।   তারপর এটি গণনা করতে পারে তাই এর আরেক নাম হলো কম্পিউট ।  আর লেটিন শব্দ কম্পিউট থেকেই আসলো কম্পিউটার ।  অর্থাত গণনাকারী, যে গণনা করতে পারে ।  কম্পিউটার শব্দের অর্থ গণনাকারী ।  কিন্তু প্রযুক্তির বিবর্তনে কম্পিউটার শুধুইকি গণনা করতে পারে, আর কি কি করতে পারে, সবারই জানা আছে ।  গণনার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে কম্পিউটারের পরিধি বেড়ে পাখা গজিয়েছে যুগ থেকে যুগান্তরে, দেশ থেকে দেশান্তরে এবং সর্বোপরি মিশে গেছে আমাদের জীবনের প্রতিটি স্তরে ।

এবাকাস : যে যন্ত্রটির মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে কম্পিউটার আবিস্কারের পরিকল্পনা তৈরী হয়েছিল...

প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারগুলো দেখতে যেমন ছিলো-

প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটার ছিলো একটি ১ তলা বাড়ীর সমান ।   এই কম্পিউটার ১ ঘন্টা চললেই প্রচুর তাপ উত্পন্ন হতো।  ভ্যাকিউয়াম টিউবের মাধ্যমে এ কম্পিউটার ডিজাইনকৃত ।   ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত এ কম্পিউটারের প্রচলন ছিলো ।

First Generation (১৯৪০-১৯৫৬) : Vacuum Tube

অতপর পরবর্তীতে আবির্ভাব ঘটলো দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের ।   যা ছিলো আকৃতিতে প্রথম প্রজন্মের কম্পিউটারের চেয়ে ছোট ।    ট্রানজিস্টর এর মাধ্যমে এ কম্পিউটার ডিজাইনকৃত ।   ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এ কম্পিউটারের প্রচলন ছিলো ।


Second Generation (১৯৫৬-১৯৬৩) : Transistor

তারপর পরবর্তীতে আবির্ভাব ঘটলো তৃতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারের ।  যা ছিলো আকৃতিতে দ্বিতীয় প্রজন্মের কম্পিউটারেরচেয়ে আরো ছোট ।  ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট এর সমন্বয়ে এ কম্পিউটার ডিজাইনকৃত।   ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৭১ সাল পর্যন্ত এ কম্পিউটারের প্রচলন ছিলো ।

Third Generation (১৯৬৪-১৯৭১) : Integrated Circuit

তারপর পরবর্তীতে আবির্ভাব ঘটলো চতুর্থ প্রজন্মের কম্পিউটারের ।  মাইকোপ্রসেসর এর সমন্বয়ে এ কম্পিউটার

ডিজাইনকৃত ।  ১৯৭১ সাল থেকে এ কম্পিউটারের প্রচলন ছিলো এবং অদ্যাবধি এ কম্পিউটারের ক্রমবর্ধমান আপডেট প্রচলন রয়েছে ।

Fourth Generation (১৯৭১-Present) : Microprocessor

সর্বশেষ আবির্ভাব ঘটলো পঞ্চম প্রজন্মের কম্পিউটারের ।   এটি মাইকোপ্রসেসর এর আপডেট সংষ্করণ এবং যাতে সন্নিবেশিত হয়েছে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা ।  বর্তমানে ২০১৩ সাল পর্যন্তও এটি এখনো চলমান রয়েছে ।  এ প্রজন্মে এসে কম্পিউটার নিজেই মানুষের মত আচরণ করতে শিখেছে, যার গবেষণা এখনো চলছে ।  সুপার কম্পিউটারই  তার উজ্জল দৃষ্টান্ত বহন করে...

Fifth Generation (বর্তমান)  :  কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা

Sixth Generation (ভবিষ্যত নিয়ে পরিকল্পনা) : কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার নতুন কোনো আবিষ্কার

আমরা অপেক্ষায় থাকব কি হয় ভবিষ্যতে???

অনেক জল্পনা কল্পনা এবং দীর্ঘ গবেষণা পেরিয়ে প্রযুক্তি  আজ আমাদের হাতের মুঠোয়, প্রযুক্তির ক্রমবর্ধমান বিবর্তন এবং নিত্য নতুন সংস্করণ এর কল্যানে আমরা এখন মোবাইলেও কম্পিউটার এর সুবিধা  পেয়ে যাচ্ছি ।  এ ক্ষেত্রে ট্যাব এর প্রচলনও অনেক জনপ্রিয়তা তৈরী করে নিয়েছে। সর্বশেষ অবস্থা কোথায় গিয়ে ঠেকে সেটাই এখন দেখার বিষয়।  এই প্রযুক্তি-ই যেন আমাদের কারো মৃত্যুর কারণ হয়ে না দাড়ায়... মন্দ পথে নয়, ভালো পথেই যেন আমরা প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারি, এ  শুভ কামনায় আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি ।

আমি আছি ফেসবুকে 

আছি আমার চিরাচরিত ব্লগে 

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ।

Level 2

আমি ওবায়েদ উল্লাহ আইমান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 107 টি টিউন ও 350 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 4 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Computer Science & Engineering www.facebook.com/aimanbd


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level 0

অনেক সুন্দর টিউন…ভালোইতো…চালিয়ে যান।

    @bdsharif: ভাই আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ…….

    @সাইফুল ইসলাম সোহেল: অনেক ধন্যবাদ…….

Level 0

subor tunes

    @Masud_Raj: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ…….

@Alone boy: ধন্যবাদ…….

nice post