
হ্যালো বন্ধুরা! কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন। আজ আমরা এমন একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি, যা আমাদের আধুনিক জীবনের এক জটিল ধাঁধা। সেটা হলো Social Media! স্মার্টফোন হাতে পেলেই Facebook, Instagram, Youtube, Tiktok -এ ঘণ্টার পর ঘণ্টা কাটিয়ে দিচ্ছি, Like, Comment আর Share এর নেশায় বুঁদ হয়ে থাকছি। আমরা ভাবছি Social Media আমাদের Connected রাখছে, কিন্তু সত্যিটা হলো, এটা ধীরে ধীরে আমাদের আসক্ত করে তুলছে। যেন এক অদৃশ্য জালে আমরা আটকা পড়ে যাচ্ছি।
আজকের টিউনে আমরা Social Media-র এই আসক্তির পেছনের বিজ্ঞানসম্মত কারণগুলো খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। কিভাবে এই Platform গুলো আমাদের Brain-কে Manipulate করে, কিভাবে Dopamine-এর খেলা চলে, এবং কিভাবে আমরা নিজেদের অজান্তেই আসক্ত হয়ে পড়ি - সেই রহস্যগুলো উন্মোচন করব। শুধু তাই নয়, এই আসক্তি থেকে মুক্তির কিছু কার্যকরী এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায়ও আমরা জানবো। যাতে আপনারা সুস্থ, সুন্দর এবং Productive জীবন যাপন করতে পারেন।

জনি, আমাদের আশেপাশের আর পাঁচটা সাধারণ ছেলের মতোই। স্মার্ট, Friendly, এবং Life-এ কিছু করার স্বপ্ন দেখে। কিন্তু Social Media-র হাতছানিতে সে আজ পথভ্রষ্ট। ওর গল্পটা হয়তো আপনার, আমার বা আমাদের পরিচিত অনেকের জীবনের প্রতিচ্ছবি। জনি-কে দেখলে এখন মনে হয়, সে যেন কোনো এক গভীর সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছে, আর তার বাঁচার কোনো উপায় নেই। ভাবছেন তো, জনি-কে এমন দেখাচ্ছে কেন? কেন তার চোখেমুখে এত ক্লান্তি আর হতাশার ছাপ? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে আমাদের একটু Flashback-এ যেতে হবে, জনি-এর জীবনের শুরুতে।
জনি যখন Class 10-এ পড়তো, তখন তার Parents তাকে একটা ঝকঝকে নতুন Smartphone কিনে দিলেন। সেই সময় Social Media-র দুনিয়াটা ছিল অনেকটাই সরল এবং আকর্ষণীয়। নতুন Phone পেয়ে জনি খুব খুশি। সে ভাবলো, এবার বন্ধুদের সাথে আরও সহজে Connected থাকতে পারবে। জনি সোজা Facebook-এ একটা Account খুললো, তার School-এর Friends, Family Members, আর পরিচিতদের Add করলো। Like, Comment, Share - সবকিছু মিলিয়ে জনি-এর Facebook জীবনটা বেশ জমে উঠলো। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বন্ধুদের সাথে Chat করা, Meme Share করা, আর Video দেখা - জনি যেন এক নতুন জগতে প্রবেশ করলো। সত্যি বলতে, তখন Social Media-টা ছিল বন্ধুদের সাথে Connected থাকার একটা দারুণ মাধ্যম, Learning-এর একটা Source, আর Entertainment-এর একটা Platform।
কিন্তু জনি-এর জীবনে একটা বড় পরিবর্তন আসে, যখন একদিন সে একটা Notification পেলো। Diva নামের একটি মেয়ে তাকে একটা Photo-তে Tag করেছে, আর সেই Photo-তে অনেক Like আর Comment পড়েছে। জনি নিজেকে খুব Cool এবং Popular ভাবতে শুরু করলো। Diva যখন তাকে ঐ Photo-তে Tag করলো, জনি-এর Brain যেন Dopamine-এর বন্যায় ভেসে গেল! সেই Attention পাওয়ার অনুভূতি, সেই Popular হওয়ার আনন্দ তাকে যেন আরও বেশি করে আকৃষ্ট করলো। জনি-এর মনে একটা সুপ্ত বাসনা জেগে উঠলো - তাকে আরও বেশি Like পেতে হবে, আরও বেশি Comment পেতে হবে, আরও বেশি Attention পেতে হবে। এই চাওয়াটা ধীরে ধীরে একটা নেশায় পরিণত হলো, যা জনি-কে Social Media-র চোরাবালিতে আরও গভীরে টেনে নিয়ে যেতে লাগলো।
সময়টা তখন এমন ছিল যে Facebook এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, এটা ছিল Facebook-এর Second Largest Market, যেখানে প্রায় 10 কোটি Users ছিল। Facebook যেন ইন্টারেটের Market-টা Crack করে ফেললো, আর ঘরে ঘরে পৌঁছে গেল। এরপর এলো Instagram, আরও আকর্ষণীয় এবং Visually Appealing একটা Platform। আহা, কী শান্তি! চারিদিকে শুধু Pictures আর Pictures! যেন এক নতুন রঙের ছোঁয়া। Filter, Editing Tools, আর Visual Storytelling-এর মাধ্যমে নিজেকে Express করার এক দারুণ সুযোগ। ঐ Endless Scrolling-এর তো কোনো শেষ নেই! ঘণ্টার পর ঘণ্টা Scroll করে গেলেও ক্লান্তি লাগে না, কারণ প্রতিটা Post নতুন কিছু নিয়ে আসে, নতুন কিছু শেখায়, অথবা নতুন কোনো Entertainment দেয়। আর সবচেয়ে মজার ব্যাপার কী জানেন? জনি-এর Parents তখনো Instagram-এ আসেনি। তাই জনি ছিল একদম Free, কোনো Restriction ছাড়াই যা খুশি করার স্বাধীনতা।
এরপর Instagram-এ Reels এলো, আর সবকিছু যেন এক মুহূর্তে বদলে গেল। Short Video Content-এর এক নতুন Dimention। 15 Second, 30 Second, অথবা 60 Second-এর Video-র মাধ্যমে নিজেকে Express করার এক নতুন সুযোগ। জনি-ও Reels বানাতে শুরু করলো, Like আর Comment পাওয়ার জন্য নানা ধরনের Trending Content তৈরি করতে লাগলো। Dance Video, Comedy Skit, Lip Syncing, Challenge - জনি সবকিছু Try করলো, শুধু Popular হওয়ার জন্য, Attention পাওয়ার জন্য।
আসলে আমরা Human Being-রা হচ্ছি Pleasure Seeking Creature। আমরা সবসময় আনন্দ পেতে চাই, আরাম পেতে চাই, এবং সহজে Success পেতে চাই, তাই না? আমাদের সবার মনেই কিছু মৌলিক Desire থাকে, যেমন Attention পাওয়া, Popular হওয়া, Accepted হওয়া, এবং Important ফিল করা। আর Social Media এই Desire গুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাদের Brain-কে Manipulate করে।
কিন্তু সমস্যা হলো, আমাদের Brain এই Constant Stimulation-এর জন্য Design করা হয়নি। যখন আমরা Social Media ব্যবহার করি, তখন আমাদের Brain Dopamine নামের একটা Chemical Release করে, যা আমাদের আনন্দ এবং Reward-এর অনুভূতি দেয়। কিন্তু এই Dopamine-এর Level যখন খুব বেশি বেড়ে যায়, তখন আমাদের Brain আরও বেশি Dopamine চাইতে শুরু করে, আর আমরা ধীরে ধীরে Addict হয়ে পড়ি।
জনি-এর ক্ষেত্রেও ঠিক সেটাই হয়েছিল। সে Social Media-র মাধ্যমে খুব সহজে Popular হয়ে গিয়েছিল, অনেক Attention পাচ্ছিল, আর তাই সে ধীরে ধীরে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। সে বুঝতেও পারেনি, কখন যেন সে নিজের জীবনটা Social Media-র হাতে তুলে দিয়েছে।
Reals-এর সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো, এটা একটা Algorithm Driven Ecosystem তৈরি করে। জনি-এর কথাই ধরুন। যখন সে একটি Girl-কে Date করছিলো, তখন তার Social Feed-এ শুধু Relationship, Dating, আর Love কতো সুন্দর – এইসব Related Content আসতো। Instagram-এর Algorithm বুঝতে পেরেছিল জনি এই ধরনের Content পছন্দ করে, তাই তাকে সেটাই দেখাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ একদিন যখন তাদের Breakup হয়ে গেল, তখন তার Feed-এ আসতে শুরু করলো Toxic Relationship, Self-Help, কিভাবে Single থাকতে হয়, কিভাবে একা জীবন Enjoy করতে হয় – এইসব Content। যেন Instagram জনি-কে বলছে, "ভেঙে পড়ো না, তুমি একা ভালো আছো! Social Media-ই তোমার Friend!"
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন এমন হয়? কেন Instagram বা Facebook আমাদের পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী Content দেখায়? এর পেছনে কী বিজ্ঞান আছে? চলুন, সেই রহস্যটা ভেদ করা যাক।

আসলে Apps গুলো সবকিছু Track করে! আপনার প্রতিটি Click, প্রতিটি Search, প্রতিটি Like, প্রতিটি Share, প্রতিটি Comment - সবকিছু Apps-এর নজরে থাকে। আপনি কখন ঘুমাচ্ছেন, কখন খাচ্ছেন, কখন কাজ করছেন - সবকিছু Apps জানে। তারা যেন আপনার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তের খবর রাখে। বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে দেখুন, Apps গুলো কী কী Track করে:
ভাবুন তো, শুধু একটা SMS থেকে Apps গুলো আপনার সম্পর্কে কতো Information জানতে পারে! আপনার Purchase History, Location, আপনার পছন্দ, আপনার অপছন্দ, আপনার Friends, আপনার Family, আপনার Interests, আপনার Fears - সবকিছু মিলিয়ে তারা আপনার একটা Virtual Persona তৈরি করে ফেলে। সত্যি বলতে, Apps গুলো আপনার থেকে আপনাকেও বেশি চেনে! কারণ তারা আপনার প্রতিটি Activity Track করে, আপনার দুর্বলতাগুলো খুঁজে বের করে, এবং সেই অনুযায়ী Content দেখিয়ে আপনাকে আসক্ত করে তোলে।
এই Data গুলো ব্যবহার করে Apps গুলো আপনার জন্য একটা Personalized Experience তৈরি করে। তারা জানে, আপনি কোন ধরনের Content পছন্দ করেন, কোন সময়ে আপনি Social Media ব্যবহার করেন, এবং কোন বিষয়ে আপনার দুর্বলতা আছে। সেই অনুযায়ী তারা আপনাকে Targeted AD দেখায়, Trending Topics সাজেস্ট করে, এবং Engaging Content Recommend করে।
বিভিন্ন Research এবং Report থেকে জানা যায়, বড় বড় Technology Company-র Data Mining এবং Behavioral Advertising Business থেকে আসা Income বিলিয়ন বিলিয়ন Dollar। তারা আমাদের Data বিক্রি করে অন্য Company-র কাছে, যারা আমাদের Target করে Product বিক্রি করে।
তার মানে বুঝতেই পারছেন, Apps গুলো আমাদের Free Time টাকে কাজে লাগিয়ে কিভাবে টাকা কামাচ্ছে! আর এর জন্য তারা ব্যবহার করে Human Psychology-কে। তারা জানে, কিভাবে আমাদের Brain-কে Manipulate করতে হয়, কিভাবে Dopamine-এর খেলা চালাতে হয়, কিভাবে আমাদের আসক্ত করে তুলতে হয়। তারা জানে, আমরা Human Being-রা Attention, Validation, এবং Entertainment চাই, আর তারা সেটাই আমাদের Supply করে।
আসলে জনি ও এভাবেই এই Social Media-র জালে আটকে গেছে। কিন্তু তার Story এখানেই শেষ নয়। জনি কি পারবে এই আসক্তির জাল ছিঁড়ে বেরিয়ে আসতে? সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আচ্ছা, এতক্ষণ ধরে টিউন টা পড়ার সময় নিশ্চয়ই খেয়াল করেছেন, বারবার Notification এসেছে, কিন্তু আপনি হয়তো Notice করেননি। আর একবার হলেও Phone Check করার জন্য হাত নিশপিশ করেছে, তাই না? এটাই হলো Apps গুলোর একটা Common Trick - Notification।
Notification গুলো যেন এক ধরনের Digital Hook, যা আমাদের Attention কে আটকে রাখে। যখনই কোনো Notification আসে, আমাদের Brain-এ একটা Alert তৈরি হয়, আর আমরা সাথে সাথে Phone Check করতে যাই। এটা একটা Conditioned Response-এর মতো, যা Social Media Apps গুলো আমাদের মধ্যে তৈরি করে।
একটা App যদি সত্যিই আপনার Attention চায়, তাহলে তার একটা Custom Notification Sound থাকা উচিত, যা অন্য Notification থেকে আলাদা। কিন্তু Apps গুলো তা করে না, কারণ তারা চায় Notification টা যেন অন্য Important Notification-এর সাথে মিশে যায়। ধরুন, আপনার Bank থেকে একটা SMS এসেছে, অথবা আপনার Office থেকে একটা Email এসেছে - এই Notification গুলোর সাথে Social Media-র Notification টাও মিশে গেলে আপনি ভাববেন, হয়তো কোনো জরুরি Message এসেছে। আর এই ভেবেই আপনি Phone Check করতে বাধ্য হন।
কারণ তারা চায় Notification টা যেন অন্য Important Notification-এর সাথে মিশে যায়। ধরুন, আপনার Bank থেকে একটা SMS এসেছে, অথবা আপনার Office থেকে একটা Email এসেছে - এই Notification গুলোর সাথে Social Media-র Notification টাও মিশে গেলে আপনি ভাববেন, হয়তো কোনো জরুরি Message এসেছে। আর এই ভেবেই আপনি Phone Check করতে বাধ্য হন।
বিশ্বাস করুন, ঐ Social Media-র Notification টা হয়তো জরুরি ছিল না, কিন্তু SMS বা অন্য Notification-এর সাথে মিশে থাকার কারণে আপনি Check করতে বাধ্য হন। আর Check করার পরেই আপনি পান Variable Reward, যার কারণে আপনার Brain আবার ঐ Dopamine Hit পাওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায়।
যেহেতু Social Media Apps গুলো জানে কিভাবে Dopamine Hit Trigger করতে হয়, তাই তারা Random সময়ে Notification পাঠাতে থাকে। কখন আপনি Bore ফিল করছেন, কখন আপনি Lonely ফিল করছেন - Apps গুলো সব জানে, আর সেই অনুযায়ী Notification পাঠিয়ে আপনার Attention কেড়ে নেয়।

আরেকটা Hack-এর কথা বলি, সেটা হলো Red Danger Zone Hack। আমরা Human Being-রা Red Color-টাকে Danger বা বিপদের সংকেত হিসেবে দেখি। ট্র্যাফিক সিগনালে Red Light দেখলে আমরা গাড়ি থামিয়ে দিই, কারণ আমরা জানি Red মানেই বিপদ।
Social Media Apps-ও একই Strategy ফলো করে। দেখবেন, সব Notification-এর ওপর একটা Red Dot থাকে, যেটা দেখে মনে হয় এটা খুবই Important, এক্ষুনি Attention দিতে হবে। Red Color আমাদের Brain-কে Alert করে দেয়, আর আমরা সাথে সাথে Phone Check করতে যাই।
অন্যদিকে, আমাদের Family-তে যখন কোনো Wedding হয়, তখন Red Envelope-এ Shagun-এর Money দেওয়া হয়। এর মানে হলো, পরের Event-এ আপনাকেও এর প্রতিদান দিতে হবে। আমাদের Parents-রা কিন্তু এই হিসাবটা ভালো করে রাখে, তাই না? এটাকে বলে Social Reciprocity। মানে, আপনি কারো কাছ থেকে কিছু পেলে, তার প্রতিদান দেওয়াটা একটা Social নিয়ম।
Social Media Apps-ও একই Formula ব্যবহার করে। যখন আপনি দেখেন Whatsapp-এ 12টা Message Unread হয়ে আছে, তখন আপনি সাথে সাথে Reply করতে চান। কারণ আপনি জানেন, Reply না করলে হয়তো অন্যরা খারাপ ভাববে, বা Relationship-এ সমস্যা হতে পারে।

আরেকটা Hack হলো Loss Aversion। এটা Human Psychology-র একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, কোনো কিছু পাওয়ার আনন্দের থেকে, হারানোর ভয়টা আমাদের মনে বেশি কাজ করে। ধরুন, আপনার কাছে 100 টাকা আছে। কেউ যদি আপনাকে 100 টাকা দেয়, তাহলে আপনি যতটা খুশি হবেন, তার থেকে বেশি কষ্ট পাবেন যদি আপনার কাছ থেকে 100 টাকা কেড়ে নেওয়া হয়।
জনি Panic করলো, কারণ তার Friend তাকে Photo পাঠায়নি, আর তাই তার Streak টা Break হয়ে যাবে। জনি হয়তো জানেও না, কেন সে এই Streak টা Maintain করতে চাইছে। আসলে Snapchat তাকে Loss Aversion এর ফাঁদে ফেলেছে।
সত্যি বলতে, Snapchat Streak টা কী? এটা হলো একে অপরকে Photo পাঠানোর একটা Competition, যেটা Maintain করতে হয়। দিনের পর দিন Photo পাঠিয়ে যেতে হয়, নাহলে Streak Break হয়ে যাবে। আর Streak Break হয়ে যাওয়া মানেই যেন বিশাল কিছু একটা Loss হয়ে যাওয়া।
একটি Office-এ কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করা হলো তাদের Streak Count কতো। কারো 2000, কারো 1, 564!
তারপর তাদের জিজ্ঞেস করা হলো, এই Streak Maintain করে তারা কী পায়? কোনো Money, কোনো Badge নাকি অন্য কিছু? তাদের উত্তর ছিলো – “এটা Just Fun!” তার মানে বুঝতেই পারছেন, কোনো Goal ছাড়াই আমরা দিনের পর দিন Streak Maintain করে যাচ্ছি, শুধু হারানোর ভয়ে। Snapchat আমাদের Loss Aversion ব্যবহার করে আসক্ত করে রেখেছে।
আর এই Tactics গুলোর কারণে মানুষ Average প্রতিদিন 194 Minute (প্রায় ৩ ঘণ্টা) Social Media-তে কাটায়। ভাবুন তো, প্রতিদিন ৩ ঘণ্টা! এই সময়টা যদি আমরা কোনো Productive কাজে লাগাতাম, তাহলে আমাদের জীবনটা হয়তো অন্যরকম হতো।
আর সবচেয়ে Ironic ব্যাপার হলো, Social Media Apps-এর Owners-রা নিজের Children-দের এই App গুলো ব্যবহার করতে দেন না। তারা হয়তো জানেন এর Consequences কতোটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। তারা হয়তো চান না, তাদের Children-রা Social Media-র নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ুক।

আমি শুধু Bias-এর কথা বলছি না, এখানে আরও ভয়ংকর একটা বিষয় আছে। সেটা হলো আপনার Brain-এর Development। যারা Phone Addict, তারা ঘণ্টার পর ঘণ্টা Scrolling করতে থাকে, তাদের Brain-এর Prefrontal Cortex-এ Gray Matter-এর পরিমাণ কমে যায়। Prefrontal Cortex হলো Brain-এর সেই অংশ, যা আমাদের Decision নিতে, Problem Solve করতে, এবং Future Plan করতে সাহায্য করে।
আমাদের Cognitive Load, Thinking, Analytics – এগুলো Brain-এর ঐ অংশ থেকে আসে। তাই Prefrontal Cortex-কে যদি Muscle-এর মতো Exercise না করানো হয়, তাহলে সেটা Develop করে না। আর এটা প্রমাণিত। বিভিন্ন Research থেকে জানা গেছে, Social Media Addiction আমাদের Brain-এর জন্য খুবই ক্ষতিকর।
Mobile Addiction-এর Consequences ভয়াবহ। Psychological Distress, Emotional Instability, Self-Control কমে যাওয়া, Work Performance খারাপ হওয়া – এগুলো তো আছেই, কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর হলো Isolation। Social Media-র মাধ্যমে আমরা হয়তো অনেকের সাথে Connected থাকি, কিন্তু বাস্তবে আমরা একা হয়ে যাই। আমাদের Real Life Relationship গুলো দুর্বল হয়ে যায়, আর আমরা ধীরে ধীরে একটা Virtual জগতে বন্দী হয়ে যাই।
ধরুন, আপনার Brain Design করা হয়েছে একটা নির্দিষ্ট Level-এর Stimulation-এর জন্য। কিন্তু Social Media আপনাকে Overstimulate করছে। আপনি যখন একটা App-এ Bore হন, তখন Snapchat-এ Switch করেন। তারপর Instagram বা Linkedin – যেখানে Dopamine Rush পাওয়া যায়, সেখানেই ছুটে যান। আপনি সবসময় ঐ Overstimulated Stage-এ থাকতে চান, যেটা Normal নয়, কিন্তু আপনি সেটাকে Normal বানিয়ে ফেলেছেন।
Fact হলো, 70% Teenagers যখন Phone থেকে দূরে থাকে, তখন তারা Anxious ফিল করে। তাদের মনে একটা অস্থিরতা কাজ করে, তারা কিছু একটা Miss করছে বলে মনে হয়। Instagram Reels-এ একটা নতুন Feature এসেছে, যেখানে 30 Second-এর Reel ও Skip করে যাওয়ার Option আছে। তার মানে, মানুষ 30 Second ও Wait করতে পারছে না! আমাদের Attention Span এতটাই কমে গেছে যে, আমরা কোনো কিছুতে Focus করতে পারছি না।
কিন্তু যদি এই Addiction শেষ হয়ে যায়? যদি Social Media-টা আর কাজ না করে? সেটাই তো একজন Addict-এর জন্য সবচেয়ে ভয়ঙ্কর Nightmare!
জনি-এর সাথেও ঠিক সেটাই হয়েছিলো, যখন সে Home-এ Phone ফেলে এসেছিলো। সে যেন নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল, তার মনে হচ্ছিলো তার জীবনটা যেন থমকে গেছে।

তাহলে Social Media Addiction থেকে মুক্তির উপায় কী? কিভাবে আমরা এই আসক্তির জাল থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারি? হতাশ হওয়ার কিছু নেই। আপনি চাইলে অবশ্যই এই অবস্থা থেকে বের হতে পারেন। Social Media Addiction থেকে মুক্তির জন্য কিছু Practical টিপস নিচে দেওয়া হলো:
মনে রাখবেন, আপনি একা নন। আপনি চাইলে অবশ্যই Autopilot Mode থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন। শুধু একটু চেষ্টা আর ইচ্ছাশক্তি দরকার। Social Media-কে একটা Tool হিসেবে ব্যবহার করুন, Addiction হিসেবে নয়।
আজকের মতো এই পর্যন্তই। আশাকরি, টিউনটা আপনাদের ভালো লেগেছে। টিউমেন্ট করে জানান আপনার মতামত। আর অবশ্যই Share করতে ভুলবেন না, যাতে আপনার Friend ও Family-রা এই Information থেকে উপকৃত হতে পারে। সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, আর নিজের জীবনকে নিজের হাতে নিন। ধন্যবাদ!
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 675 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 123 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।