“আপনি কি অনলাইনে অনিরাপদ?”জেনে নিন নিরাপদ থাকার ১৪টি উপায়

 

বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ ইন্টারনেট ঘিরে। কাজ, শিক্ষা, বিনোদন থেকে শুরু করে ব্যাংকিং—সবই এখন অনলাইনে হচ্ছে। কিন্তু যত বেশি আমরা অনলাইন

বর্তমান সময়ে আমাদের জীবনের একটি বড় অংশ ইন্টারনেট ঘিরে। কাজ, শিক্ষা, বিনোদন, থেকে শুরু করে ব্যাংকিং - সবই এখন অনলাইনে হচ্ছে। কিন্তু যত বেশি আমরা অনলাইনে নির্ভরশীল হচ্ছি, তত বেশি বেড়ে যাচ্ছে সাইবার ঝুঁকিও। হ্যাকার, ভাইরাস, ফিশিং প্রতারণা, এসব থেকে বাঁচতে হলে আমাদের সচেতন হতে হবে এবং কিছু মৌলিক নিরাপত্তার টিপস মেনে চলতে হবে। আজকের লেখায় আমি অনলাইনে নিরাপদ থাকার কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরেছি। আপনিও যদি অনলাইনে নিরাপদ থাকতে চান  তাহলে জেনে নিন অনলাইনে নিরাপদ  থাকার এই ১৪টি টিপস।

  • ১.শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন :-অনেকেই একই পাসওয়ার্ড সব ওয়েবসাইটে ব্যবহার করেন, যা সবচেয়ে বড় ভুল।
  • পাসওয়ার্ড অবশ্যই দীর্ঘ (৮-১২) হতে হবে।
  • তাতে বড় হাতের অক্ষর (A-Z), ছোট হাতের অক্ষর(a-z) সংখ্যা (0-9) এবং বিশেষ চিহ্ন(@, #, !ইত্যাদি)বিশেষ
  • একই পাসওয়ার্ড একাধিক অ্যাকাউন্টে ব্যবহার করবেন না। প্রয়োজনে "পাসওয়ার্ড ম্যানেজার" ব্যবহার করতে পারেন, যেমন LastPass, Bitwarden বা 1Password।
  • ২.টু - ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু করুন :-পাসওয়ার্ড চুরি হয়ে গেলেও "2FA"থাকলে হ্যাকার সহজে প্রবেশ করতে পারবে না
  •  গুগল, ফেসবুক, ইমেইল, ফ্রিল্যান্সিং সাইটে অবশ্যই 2FA চালু করুন।
  • এজন্য Google Authenticator বা Authy ব্যবহার করতে পারেন।
  • ৩.ইমেইল ও লিংকে সতর্ক থাকুন :-ফিশিং ইমেইল অনেক সময় আসল কোম্পানির মতো মনে  হয়।
  • অচেনা ইমেইল এর লিঙ্কে কখনো ক্লিক করবেন না।
  • সন্দেহজনক attachment ডাউনলোড করবেন না।
  • ব্যাঙ বা অন্য কোন প্রতিষ্ঠান কখনো ইমেইলে আপনার পাসওয়ার্ড চাইবে না।
  • ৪.অ্যান্টিভাইরাস ও ফায়ারওয়াল ব্যবহার করুন :-
  • কম্পিউটার ও মোবাইলে আপডেটেড এন্টিভাইরাস রাখুন।
  • Avast, Kaspersky বা উইন্ডোজ ডিফেন্ডার  ব্যবহার করতে পারেন।
  • ফায়ারওয়াল  অন রাখলে হ্যাকারদের অনেকটাই ঠেকানো যায়।
  • ৫.পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার এড়িয়ে চলুন :-
  • ফ্রি ওয়াইফাই ব্যবহার করলে হ্যাকার আপনার ডাটা চুরি করতে পারে।
  • প্রয়োজনের ব্যবহার করতে হলে ভি পি এন ব্যবহার করুন।
  • ৬.সফটওয়্যার ও অ্যাপ  নিয়মিত আপডেট করুন :-
  • পুরনো সফটওয়্যার অনেক সময় সিকিউরিটি দুর্বলতা থাকে।
  • সব সময় অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা প্লে স্টোর অথবা অ্যাপ স্টোর থেকে সফটওয়্যার ইন্সটল করুন।
  • ৭.সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না :-
  • নিজের ঠিকানা, ফোন নম্বর বা ভ্রমণের সময়সূচী প্রকাশ করবেন না।
  • গোপনীয় তথ্য শেয়ার করার আগে অন্তত দুবার ভাবুন।
  • ৮.অনলাইন শপিং ও ব্যাংকিং এ সতর্ক থাকুন :-
  • শুধু https:// ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করুন।
  • পেমেন্টের সময় পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন না।
  • ব্যাংক লেনদেনের জন্য আলাদা ইমেইল ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
  • ৯.নিজের একাউন্টগুলো  নিয়মিত চেক করুন :-
  • ইমেইল ব্যাংক ফ্রিল্যান্সিং একাউন্ট নিয়মিত মনিটর করুন।
  • অচেনা লগ ইন বা কার্যকলাপ দেখলে পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করুন।
  • ১০.অনলাইন ব্যাংকিং সুরক্ষা নিশ্চিত করুন:-অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে। ব্যাংকের অফিসিয়াল অ্যাপ বা ওয়েবসাইট ছাড়া অন্য কোথাও আপনার ইউজার আইডি পাসওয়ার্ড বা পিন ব্যবহার করা যাবে না। কখনোই ব্যাংকের তথ্য এসএমএস ইমেইল বা মেসেঞ্জারে শেয়ার করবেন না।
  • ১১.শিশুদের অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে সচেতন করুন:-বর্তমান শিশু কিশোররা অনেক সময় ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাদের অনলাইন নিরাপত্তা নিয়ে বাবা-মাকে সচেতন থাকতে হবে। শিশুদেরকে অনলাইনে অচেনা লোকের সাথে কথা না বলা সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক না করা কিংবা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার না করা শিক্ষা দিতে হবে।
  • ১২.ব্যাকআপ রাখা অভ্যাস করুন:-যেকোনো সময় ডিভাইস হ্যাক হতে পারে বা গুরুত্বপূর্ণ ডাটা মুছে যেতে পার। এজন্য নিয়মিত ডাটার ব্যাকআপ রাখা খুবই দরকার। গুগল ড্রাইভ টপ বক্স অথবা এক্সটারনালকরে নিজের ফাইলগুলো সুরক্ষিতভাবে সংরক্ষণ করা উচিত।

১৩.সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্য কম শেয়ার করুন:-অনেকে ফেসবুক বা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের মোবাইল নম্বর ঠিকানা বা ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করে ফেলেন। হ্যাকাররা এগুলো ব্যবহার করে প্রতারণা করতে পারে। তাই অপ্রয়োজনীয় তথ্য প্রকাশ না করাই সবচেয়ে ভালো উপায়।

  • ১৪.ইমেইল নিরাপত্তা বজায় রাখুন :-ইমেইল অনেক সময় হ্যাকারদের প্রধান লক্ষ্য। সন্দেহজনক ইমেইলের অ্যাটাচমেন্ট কখনোই খুলবেন না। অচেনা প্রয়োগের পাঠানো লিংকে ক্লিক করবেন না। অফিসিয়াল বা ব্যক্তিগত গুরুত্বপূর্ণ কাজে সব সময় আলাদা ও শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা উচিত
  • ইন্টারনেট আমাদের জীবনকে অনেক সহজ  করে তুলেছে। তবে এর সাথে নিরাপত্তা ঝুঁকিও  রয়েছে। কিন্তু আমরা যদি, সচেতন হই  তাহলে অনলাইন প্রতারণা বা হ্যাকিং এর শিকার হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যাবে। মনে রাখবেন -সাইবার নিরাপত্তা শুরু হয় আপনার থেকেই।
  • উপরোক্ত টিপসের একটিও কি আপনি করতে শুরু করেছেন?যদি অনলাইনে নিরাপদ থাকতে চান এখনোই  এখনই শুরু করুন।



 


 

Level 0

আমি Laiba। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 3 মাস 1 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 1 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস