
আমরা সবাই Internet ব্যবহার করি, Cloud Computing-এর সুবিধা উপভোগ করি, Artificial Intelligence (AI) আমাদের জীবনকে সহজ করে তুলেছে – কিন্তু এই Digital লাইফস্টাইলকে সচল রাখতে যে Data Center গুলো দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে, তার Environmental প্রভাব সম্পর্কে আমরা কতোটা ওয়াকিবহাল?
আসলে, Data Center গুলো শুধু Server আর Equipment-এর সমষ্টি নয়; এগুলো বিশাল Water এবং Energy-র কনজিউমার। যেটা হয়তো সরাসরি আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ধরা দেয় না, কিন্তু নীরবে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে। আজকের টিউনে আমরা আলোচনা করবো Data Center গুলো কিভাবে আমাদের মূল্যবান Water Resources-এর ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে, এবং এর থেকে মুক্তির উপায় কী হতে পারে।

আমরা যখন Smartphone-এ একটা Video Stream করি, Google-এ কোনো Information Search করি, অথবা Facebook-এ বন্ধুদের সাথে Connected থাকি, তখন এই সমস্ত Data প্রসেস করার জন্য প্রয়োজন হয় শক্তিশালী Server-এর। এই Server গুলো থাকে Data Center-এ, যা আসলে বিশাল আকারের ওয়্যারহাউসের মতো, যেখানে হাজার হাজার Computer একসাথে কাজ করে। এই Computer গুলো প্রচুর Heat উৎপন্ন করে, আর এই Heat কমানোর জন্য প্রয়োজন হয় অত্যাধিক Cooling System-এর। আর এখানেই আসে Water-এর ভূমিকা।
ভাবুন তো, একটা Data Center যদি একটা ছোট শহরের সমান Water ব্যবহার করে, তাহলে সারা বিশ্বে Data Center-গুলোর সম্মিলিত চাহিদা কতোটা হতে পারে? বিভিন্ন রিপোর্ট অনুযায়ী, Data Center-গুলোর Water Consumption আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এটি দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে যাবে। এর ফলস্বরূপ, Chile, Uruguay এবং United States-এর মতো Water Shortage থাকা অঞ্চলগুলোতে দেখা দিচ্ছে চরম Water Crisis, যা স্থানীয় Community এবং Agriculture-এর ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।

যখন কোনো Technology আমাদের Environment-এর ক্ষতি করে, তখন সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করতে বাধ্য হয়। সম্প্রতি Chile, Uruguay এবং United States-এ Tech Company-গুলোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখা গেছে। কারণ, যেখানে বিশুদ্ধ Water-এর জন্য হাহাকার, সেখানে Amazon, Microsoft আর Google-এর মতো কোম্পানিগুলো বিশাল Data Center তৈরি করছে, যা স্থানীয় Water Resources-এর ওপর আরও বেশি চাপ সৃষ্টি করছে।
Uruguay-এর উদাহরণ দেওয়া যাক। ২০২৩ সালে সেখানে গত ৭৫ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ খরা দেখা দেয়। ঠিক সেই সময় Google প্রতিদিন ৭.৬ মিলিয়ন লিটার Water ব্যবহারের প্রস্তাব দেয়, যা প্রায় ২২, ০০০ মানুষের দৈনিক Water ব্যবহারের সমান। Daniel Pina-র মতো Environmental অ্যাক্টিভিস্টরা Community Input-এর অভাব নিয়ে সরব হয়েছেন। তাদের অভিযোগ, এই Project গুলো শুরু করার আগে স্থানীয় জনসাধারণের মতামত নেওয়া হয়নি, কোনো Public Dialogue বা Hearing-এর আয়োজন করা হয়নি। এর ফলে, Community-র মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে, এবং Technology-র প্রতি একটা নেতিবাচক ধারণা তৈরি হচ্ছে।

Data Center-গুলোকে ঠান্ডা রাখার জন্য প্রধানত দুই ধরনের Cooling System ব্যবহার করা হয়: Water Cooling এবং Air Cooling। Water Cooling System বেশি কার্যকর হলেও, এতে প্রচুর Water খরচ হয়। এই System-এ Water কুলিং টাওয়ারের মাধ্যমে প্রবাহিত করা হয়, যা Server থেকে Heat শোষণ করে এবং বাষ্পীভূত হয়ে যায়। এর ফলে Water রিসাইকেল করার সুযোগ কমে যায়, এবং প্রচুর Water অপচয় হয়।
অন্যদিকে, Air Cooling System-এ Water ব্যবহার করা হয় না, কিন্তু এটি Water Cooling-এর চেয়ে কম কার্যকর। Air Cooling System-এ Energy বেশি লাগে, যা Carbon Emission বাড়ায় এবং Greenhouse Gas-এর পরিমাণ বৃদ্ধি করে। তাহলে, Environmental-এর ওপর কম প্রভাব ফেলে কিভাবে Data Center Cooling System তৈরি করা যায়?
Google এখন Water-এর পরিবর্তে Air দিয়ে Data Center ঠান্ডা করার কথা ভাবছে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এতে Energy Consumption বেড়ে যেতে পারে, যা Environmental-এর জন্য আরও খারাপ হতে পারে। তাই আমাদের এমন একটা টেকসই Solution খুঁজতে হবে, যা Environmental Balance বজায় রাখতে সাহায্য করে।

Data Center কোথায় তৈরি করা হচ্ছে, সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণত, শুষ্ক অঞ্চলে Data Center তৈরি করার একটা প্রবণতা দেখা যায়, কারণ সেখানে Humidity কম থাকে, যা Equipment-এর জন্য ভালো। কিন্তু এতে Water Crisis আরও তীব্র হয়। এছাড়া, Data Center নির্মাণের ফলে স্থানীয় Environment-এর ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।
Lorena Yamapalasi (লোরেনা ইয়ামাপালাসি)-র মতো গবেষকরা বলছেন, Data Center-এর Equipment-এ জং ধরা এড়ানোর জন্য Drinkable Water ব্যবহার করা হয়, যা পরে আর রিসাইকেল করা যায় না। এর ফলে, মূল্যবান Water Resources নষ্ট হয়, এবং স্থানীয় Water Supply-এর ওপর চাপ সৃষ্টি হয়। তাই এমন Location বেছে নেওয়া উচিত, যেখানে Water-এর প্রাচুর্য আছে, এবং Environmental Impact কম।
Sweden-এর ফ্যালানের Data Center এক্ষেত্রে একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হতে পারে। সেখানে স্থানীয় Lake থেকে Water সংগ্রহ করে ব্যবহার করা হয়, এবং ব্যবহৃত Heat স্থানীয় হিটিং প্ল্যান্টে সরবরাহ করা হয়। এর ফলে Water অপচয় কম হয়, এবং Energy-ও সাশ্রয় করা যায়।

সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, অনেক Tech Company তাদের Water এবং Energy Consumption নিয়ে Transparent নয়। তারা Data শেয়ার করতে দ্বিধা বোধ করে, যার ফলে গবেষকদের পক্ষে সঠিক তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন হয়ে যায়। Amazon, Microsoft, Google-এর মতো কোম্পানিগুলো যদি তাদের Water এবং Energy ব্যবহারের Data Publicলি শেয়ার করে, তাহলে Environmental Impact সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া যেতে পারে, এবং Sustainable Solution খুঁজে বের করা সহজ হয়।

আমরা হয়তো Data Center তৈরি করা বন্ধ করতে পারবো না, কিন্তু কিছু ছোট পদক্ষেপ নিতে পারি, যা Environmental-এর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে:
মনে রাখবেন, আমাদের গ্রহকে বাঁচানো আমাদের সকলের দায়িত্ব। Technology যেন Environmental-এর শত্রু না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখা আমাদের কর্তব্য।

Data Center আমাদের আধুনিক জীবনের একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ, কিন্তু এর Environmental Impact সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে। Technology যেন Water Shortage-এর কারণ না হয়, সেই জন্য Industry এবং সরকার উভয়েরই একসঙ্গে কাজ করা উচিত।
আপনার কি মনে হয়, আনলিমিটেড Progress নাকি রিসোর্সের ব্যবহার করে Sustainable থাকা – কোনটা বেশি জরুরি? টিউমেন্ট করে জানান আপনার মতামত। আর এই টিউন টি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না।
ধন্যবাদ!
আমি রায়হান ফেরদৌস। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 290 টি টিউন ও 131 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 74 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।