
আচ্ছা, একটা ছোট্ট গল্প দিয়ে শুরু করা যাক। ধরুন, আপনি নতুন একটা Music System কিনতে গেছেন। দোকানে নানা রকম অপশন দেখছেন, দরদাম করছেন। হঠাৎ আপনার একটা খুব পছন্দ হলো। আপনি ভাবছেন, যাক্, এতদিনে একটা ভালো জিনিস কেনা যাবে। কিন্তু, তখনই যদি শোনেন যে ওটা “Made in China”? Price টা কি একটু হলেও আপনার মনে কমে যায়? একটু দ্বিধা কাজ করে, তাই না? সত্যি করে বলুন তো!
আসলে, বহু বছর ধরে, এই তিনটা Word - “Made in China” মানেই ছিল - সস্তা! হয়তো খারাপ Quality নয়, কিন্তু নিশ্চিতভাবে Premium কিছু তো নয়-ই। আমরা অনেকেই ভাবতাম, “Chinese Products” মানে বন্ধুদের সামনে খুব একটা দেখানোর মতো কিছু না। কিন্তু, বিশ্বাস করুন, এখন একটা দারুণ Interesting ব্যাপার ঘটছে, যেটা নিয়ে আমরা তেমন মাথা ঘামাচ্ছি না। গত এক দশকে, China পুরো দৃশ্যপটটাই যেন জাদুবলে পাল্টে দিয়েছে! তারা এমন একটা অবিশ্বাস্য Brand Transformation ঘটিয়েছে, যা Business History তে খুব কমই দেখা যায়। এটা যেন রূপকথার মতো!

আসুন, কিছু Data দেখে বিষয়টাকে একটু ভালোভাবে বুঝি। এই Chart টার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিন। ২০১০ সালে, বিশ্বের সেরা ৫০০ Company (“Fortune 500”) এর List এ Chinese Company ছিল ৫০টারও কম। আর এখন? ২০২৪ সালে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩০টা! ভাবা যায়? এখন “Chinese Brands” এমন Premium Price এ বিক্রি হচ্ছে, যা একসময় শুধু Western আর Japanese Brands এর জন্য ভাবা যেত।
তাহলে মূল প্রশ্নটা হলো, একটা দেশ, যেটা একসময় পরিচিত ছিল “পৃথিবীর সস্তার Factory” হিসেবে, তারা কিভাবে নিজেদের Brand তৈরি করলো, যা এখন Global Consumers রা কিনতে চায়, ব্যবহার করতে চায়, আর গর্ব করে Show Off করতেও দ্বিধা বোধ করে না? আর আমরা, যারা বাংলাদেশে বসে এই টিউন পড়ছি, তারা China র এই সাফল্যের Playbook থেকে ঠিক কী কী Strategy নিতে পারি? আজকের টিউনে এ আমরা সেটাই খুঁটিয়ে দেখবো।

আসলে, বহু দশক ধরে একটা অলিখিত নিয়ম চলে আসছিল। Global Level এ একটা Division অফ Labour ছিল। America, Europe আর Japan - এরা Design আর Branding এর মতো কাজগুলো করত। আর China? তারা নীরবে সেই Design অনুযায়ী জিনিসপত্র Assemble করত আর Ship করত। বিনিময়ে তারা তেমন কোনো Credit বা Visibility পেত না। এর পেছনের কারণটা ছিল China তে Labour এর Cost ছিল খুবই কম। একটা Example দিলে বিষয়টা পরিষ্কার হবে। আমেরিকাতে যেখানে প্রতি Hour Labour এর জন্য ৫ Dollar খরচ হতো, সেখানে China তে একই কাজের জন্য খরচ হতো মাত্র ০.৫ Dollar! মানে, আমেরিকা এর তুলনায় ১০ ভাগের ১ ভাগ খরচ। স্বাভাবিকভাবেই, এত কম দাম এ কাজ করিয়ে নেওয়ার সুযোগ কেউ হাতছাড়া করতে চায়নি।
এই পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে China খুব দ্রুত বিশ্বের “Manufacturing Hub” এ পরিণত হলো। বর্তমান Data অনুযায়ী, সারা বিশ্বে যত জিনিস তৈরি হয়, তার প্রায় ৩০% এখন China তে তৈরি হয়। এই পরিমাণটা পরের চারটি দেশের মিলিত উৎপাদনের চেয়েও বেশি! কিন্তু, এই Approach টার একটা বড় ধরনের Limitation ছিল। একটা অদৃশ্য Ceiling যেন বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
বিষয়টা বুঝিয়ে বলার জন্য Economics এর একটা Concept এর সাহায্য নেব - “Smile Curve”। এই Curve টা দেখতে অনেকটা হাসির মতো। Curve এর উপরের দিকে থাকে Design, R&d (Research and Development), Marketing আর Branding এর মতো কাজগুলো। এই কাজগুলোতেই সবচেয়ে বেশি Value তৈরি হয় এবং Profit এর সিংহভাগ এই কাজগুলোর মাধ্যমেই আসে। আর Curve এর Bottom এ থাকে Manufacturing। China আটকে ছিল ঐ Bottom টাতেই। তারা Value Chain এর একদম নিচের স্তরে ছিল।
বিষয়টা আরও পরিষ্কার করার জন্য একটা বাস্তব Example দেওয়া যাক। ধরুন, Apple একটা iPhone বিক্রি করে প্রায় ৬০০ Dollar Profit করে। অথচ, যে Chinese Factory ঐ iPhone টা Assemble করে, তারা পায় মাত্র ৮ Dollar! আবার, Nike র একটা Sneaker যদি ১০০ Dollar এ বিক্রি হয়, তাহলে Factory পায় ২৫ Dollar। আপনি যে Industry র কথাই ধরেন না কেন, Picture টা প্রায় একই রকম।
তাহলে দেখা যাচ্ছে, এই Bargain টা ততক্ষণই টিকে থাকে, যতক্ষণ Labour এর Cost সস্তা থাকে। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে China র সেই সস্তা Labour এর সুবিধাটা কমতে শুরু করলো। ২০১০ সাল নাগাদ, প্রায় ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি Middle-Class Chinese দের হাতে যথেষ্ট Money এলো, যেটা তারা খরচ করতে পারত। তারা নিজেদের Backyard এ তৈরি হওয়া Western Brand গুলো কিনতে আর আগ্রহী ছিল না। একদিকে যেমন Labour Cost বাড়ছে, অন্যদিকে তেমনি লোকাল Market এ Demand ও বাড়ছে। সব মিলিয়ে Margins কমতে শুরু করলো, Economic Growth এ একটা স্থবিরতা দেখা গেল। China বুঝতে পারলো, Status Quo বজায় রাখলে আর চলবে না, নতুন কিছু একটা করতেই হবে।
ঠিক সেই মুহূর্তেই, ২০১০ সাল নাগাদ, China একটা যুগান্তকারী Decision নিলো। তারা শুধু “পৃথিবীর Factory” হিসেবে পরিচিত থাকতে আর রাজি না। তারা নিজেদের “পৃথিবীর Brand” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়লো। আর এই Mission কে Official রূপ দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে তারা লঞ্চ করলো “Made in China 2025” নামে একটা অভাবনীয় Program।

“Made in China 2025” Plan এর মূল Idea টা ছিল খুবই Simple, কিন্তু এর Impact ছিল সুদূরপ্রসারী। China কে “পৃথিবীর Factory” এর তকমা ঝেড়ে ফেলে “পৃথিবীর Brand” হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল এই Program টির মূল লক্ষ্য। আর এই Mission কে সফল করার জন্য তারা একটা Smart Strategy গ্রহণ করে, যার মূল ভিত্তি ছিল চারটি স্তম্ভ:

প্রথম Strategy টা ছিল বেশ বাস্তববাদী। China বুঝতে পারলো, রাতারাতি Brand এর Credibility তৈরি করা সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে, সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হলো Existing, Trusted Brand গুলোকে Acquire করা, অর্থাৎ কিনে নেওয়া।
বিষয়টা বুঝিয়ে বলি। ২০০৫ সালের দিকে Lenovo নামে একটা Chinese Company ছিল, যাদের নাম খুব কম লোকেই শুনেছিল। সেই Company টাই হঠাৎ করে Announcement করলো যে তারা Ibm এর পুরো Personal Computer Business টা কিনে নিচ্ছে! যার মধ্যে ছিল IBM এর আইকনিক Thinkpad Brand টাও। এই Acquisition এর Dam ছিল ১.৭৫ বিলিয়ন Us Dollar।
তখন Western Business Analysts রা এই Decision টাকে Stupid বলে আখ্যা দিয়েছিল। তাদের যুক্তি ছিল, একটা Chinese Manufacturer কিভাবে একটা Premium American Brand চালাবে? তারা Ibm এর মতো একটা Iconic Brand এর Heritage কিভাবে ধরে রাখবে? কিন্তু, সমালোচকরা যেটা Miss করে গেছিলেন, সেটা হলো Lenovo র উদ্দেশ্য ছিল শুধু Brand এর মালিকানা কেনা নয়। তারা আসলে Thinkpad Brand এর পেছনের Brain গুলোকে Acquire করতে চেয়েছিল।
Acquisition এর পর Lenovo ধীরে ধীরে IBM এর পুরো R&D Team টাকে নিজেদের দেশে সরিয়ে নিয়ে আসে। তারা খুব কাছ থেকে Thinkpad এর Design Principle, Manufacturing Process, Marketing Strategy সবকিছু Study করে। তারা বোঝার চেষ্টা করে ঠিক কোন কারণে Thinkpad একটা Legendary Brand।
অবশ্যই, Initially Lenovo কে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। IBM এর সাথে Integration করতে বেশ কয়েক বছর সময় লেগেছিল। কিন্তু, Lenovo হাল ছাড়েনি। অবশেষে, ২০১৫ সাল নাগাদ Lenovo বিশ্বের এক নম্বর Pc Seller এর Title দখল করে নেয়। আর এখন? এখনকার দিনের নতুন Thinkpad Model গুলো China তেই Design করা হয়!
এই একই Pattern আমরা আরও অনেক Chinese Company র ক্ষেত্রে দেখেছি। Geely, Volvo কে কিনে নিয়েছে, Haier কিনে নিয়েছে General Electric Appliances এর Business। ২০১০ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে Chinese Companies গুলো Overseas Acquisitions এ কয়েকশো বিলিয়ন Dollar খরচ করেছে।
সুতরাং, China র Acquisition Strategy র মূল উদ্দেশ্য ছিল শুধু Market Share বাড়ানো নয়। এর পেছনের মূল উদ্দেশ্য ছিল Technology, Supply Chain, Safety Standards আর Brand Management এর মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর Expertise সরাসরি Download করে নেওয়া।

দ্বিতীয় Phase টা ছিল আরও বেশি সাহসী আর Visionary। China বুঝতে পারলো, পুরনো Established Market এ Western Giant দের সাথে Competition করে টিকে থাকাটা বেশ কঠিন। তাই তারা ঠিক করলো তারা এমন কিছু Emerging Category র দিকে Focus করবে, যেখানে এখনো Market পুরোপুরি Define হয়নি, যেখানে Rules গুলো এখনো লেখা হয়নি। আর এখানেই China তাদের Brilliant Strategy টা কাজে লাগালো।
তারা Apple এর Smartphone বা Mercedes এর Combustion Engine এর সাথে সরাসরি Competition এ না গিয়ে (যেখানে তাদের Probably হারার সম্ভাবনাই বেশি ছিল), তাদের মূল্যবান Resources ঢাললো Emerging Technologies এর ওপর। Electric Vehicles (EV), Drone Technology, Digital Payments, 5 G আর Renewable Energy র মতো Field গুলো তাদের Top Priority তে ছিল।
আর এই Vision কে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য Chinese Government ও তাদের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। তারা EV Subsidies এর জন্য প্রায় ৬০ বিলিয়ন Dollar আর 5 G Infrastructure তৈরির জন্য ১৮০ বিলিয়ন Dollar Investment করে। শুধু তাই নয়, তারা দেশের মধ্যে Dedicated Drone Testing Zone ও তৈরি করে।
BYD (Build Your Dreams) Company র Example টা এখানে খুবই Relevant। ১৯৯৫ সালে BYD ছিল একটা Battery Company। তারা Motor Vehicles এর Business এ Directly জড়িত ছিল না। কিন্তু তারা Battery Technology তে এত বেশি Innovation করলো যে যখন Automotive Industry Electric Vehicles এর দিকে ঝুঁকতে শুরু করলো, তখন BYD Market এর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল। BYD র Success Story এতটাই Inspiring যে তাদের সবচেয়ে বড় Competitor, Elon Musk ও Publicly তাদের প্রশংসা করেছেন। আর আজ BYD, Tesla এর চেয়েও বেশি Electric Vehicles বিক্রি করে!
এই ধরনের দূরদর্শী Investment এর কারণেই China এখন বিশ্বের ৬০% এর বেশি Electric Cars আর ৮০% EV Batteries তৈরি করে। Drone Industry তে DJI এখন Global Leader। Digital Payment Platform গুলোতেও Chinese Companies গুলো Market Share এর দিক থেকে অনেক এগিয়ে আছে।
China র এই Strategy টার মূল Point হলো, যখন আপনি কোনো নতুন Category তৈরি করেন, তখন আপনিই ঠিক করেন সেই Category তে Premiumness এর Standard টা কেমন হবে। China ঠিক এই কাজটাই করছে।
বর্তমান যুগে Small Businesses আর Entrepreneurs দের জন্য এটা একটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ Lesson। নিজের Brand তৈরি করুন, Direct Consumer এর সাথে Connect করুন, আর Industry তে নিজের Position তৈরি করুন।

তৃতীয় Phase টা ছিল Adaptation এর Phase। China বুঝতে পারলো, Global Market এ Success পেতে গেলে Local Market এর Needs আর Preferences গুলোকে খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে। শুধু একটা Global Product তৈরি করে সেটাকে সব Market এ Forcefully Sell করার চেষ্টা করলে Success পাওয়া যাবে না।
Xiaomi র India তে Entry র Story টা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। ২০১৪ সালে Xiaomi যখন দক্ষিণ এশিয়াতে (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান) প্রথম আসে, তখন তারা তাদের Chinese Playbook টা হুবহু Copy করেনি। তারা Indian Market এর Needs অনুযায়ী নিজেদের Product আর Strategy তে অনেক পরিবর্তন এনেছিল।
তারা দক্ষিণ এশিয়া এর Consumers দের Pain Points গুলো Identify করার চেষ্টা করে। যেমন, দক্ষিণ এশিয়া-র রাস্তায় প্রচুর ধুলো, এখানকার Lighting Condition ও আলাদা, Power Cut একটা Common Problem। Xiaomi এই Problem গুলো মাথায় রেখে তাদের Hardware Design এ পরিবর্তন আনে। তারা Power Cut এর Problem Solve করার জন্য বড় Battery র Mobile Phone Introduce করে। এছাড়া, তারা Dual Sim Card এর Feature টাকে Standard করে তোলে, যখন অন্য Company গুলো এই Feature টিকে তেমন গুরুত্ব দিত না। ধীরে ধীরে তারা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে ৬০০০ এর বেশি Service Center খোলে, কারণ দক্ষিণ এশিয়ার Consumers রা ভালো After-Sales Service এর ব্যাপারে খুব আগ্রহী।
এইসব Efforts এর ফলস্বরূপ, মাত্র ৫ বছরের মধ্যে Xiaomi, Samsung কে ছাড়িয়ে দক্ষিণ এশিয়ার এক নম্বর Smartphone Brand হয়ে ওঠে। এখানে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে, Xiaomi শুধু সস্তা Product বিক্রি করে Success পায়নি। তারা দক্ষিণ এশিয়ার Consumers দের Needs আর Expectations গুলোকে খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল, এবং সেই অনুযায়ী তাদের Product গুলোকে Adapt করেছিল।
China র Company গুলো Contract Manufacturing এর মাধ্যমে Customization এর Importance টা খুব ভালোভাবে বুঝতে পেরেছিল। তাই তারা Local Market এর Needs অনুযায়ী নিজেদের Product গুলোকে Adapt করার জন্য সব সময় প্রস্তুত ছিল।

চতুর্থ এবং সম্ভবত সবচেয়ে Powerful Phase টা হলো নিজের National Identity কে Embrace করা। একসময় Chinese Companies গুলো নিজেদের Origin লুকানোর চেষ্টা করত। তারা এমন সব Brand Name ব্যবহার করত, যেগুলো Western বা Japanese Culture এর সাথে বেশি Relate করতো। Oppo, Vivo, Oneplus, Sheen - এই Brand Name গুলো শুনলে কি মনে হয় এগুলো Chinese Brand?
কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে এই Trend টা পাল্টাতে শুরু করে। Chinese Brands বুঝতে পারে যে Global Market এ Success পেতে গেলে নিজের Heritage আর Culture কে Embrace করাটা খুব জরুরি। এই Change এর পেছনের মূল কারণ ছিল Chinese Consumers দের মধ্যে Nationalism এর জাগরণ। তারা নিজেদের দেশের Products এর প্রতি আকৃষ্ট হতে শুরু করে।
এই Trend টাকে একটা Name ও দেওয়া হয় - “Guochao”, যার Chinese মানে হলো “National Tide”। Li-Ning নামে একটা Chinese Sportswear Brand, যারা একজন Indian ব্যাডমিন্টন Star কে Sponsor করে, তারা New York Fashion Week এ Chinese Characters এর Design করা Jacket পরে Models দের Ramps এ হাঁটিয়েছিল। এটা একটা National Movement এ পরিণত হয়েছিল। Chinese Youth রা এখন Domestic Brand গুলোকে Support করতে শুরু করে, কারণ তারা মনে করে এই Brand গুলো তাদের Culture এর সাথে বেশি Connected।
এইসব ছোট ছোট Efforts এর মাধ্যমে ধীরে ধীরে “Chinese” শব্দটা আর Negative কিছু রইলো না। বরং এটা Quality আর Innovation এর Symbol হয়ে উঠলো। আজ কোন স্টারের হাতে “Li-Ning” এর Racket দেখলে বা London এর রাস্তায় একটা BYD র Bus দেখলে, সেটা দুর্বলতা নয়, বরং শক্তির প্রতীক।

এতক্ষণ আমরা China র Brand Transformation এর Journey টা Details এ আলোচনা করলাম। নিঃসন্দেহে এটা একটা Inspiring Story। কিন্তু, আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে যে China র এই Journey টা এখনো শেষ হয়নি। এখনো অনেক Challenges রয়েছে। অনেক Chinese Brands এর Overseas Market এ তেমন Strong Presence নেই। Western Consumers রা এখনো “Made in China” Products এর ওপর পুরোপুরি ভরসা করতে পারে না। এমনকি বাংলাদেশেও অনেকে মনে করে “China মানেই সস্তা”।
তবে এই Challenges গুলো China র Achievement কে এতটুকুও কমাতে পারবে না। China Branding এর ক্ষেত্রে যে Innovative Approach গুলো নিয়েছে, সেটা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। বাংলাদেশ-ও China র এই Journey থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। নিচে কয়েকটা গুরুত্বপূর্ণ Lessons আলোচনা করা হলো:
আমার বিশ্বাস, যদি বাংলাদেশ এই Lessons গুলোকে কাজে লাগাতে পারে, তাহলে ২০৩০ সালের মধ্যে “Made in Bangladesh” Brand ও Global Market এ একটা Strong Position তৈরি করতে পারবে।
আপনার কি মনে হয়, কোন বাংলাদেশী Company বাংলাদেশ কে এই Brand Transformation এর Journey তে Lead করতে পারবে? টিউমেন্ট এ আপনার মতামত জানান।
আমি সোহানুর রহমান। সুপ্রিম টিউনার, টেকটিউনস, ঢাকা। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 2 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 675 টি টিউন ও 200 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 123 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।
কখনো কখনো প্রজাপতির ডানা ঝাপটানোর মত ঘটনা পুরো পৃথিবী বদলে দিতে পারে।