আধুনিক টেলিস্কোপের গঠন

টেলিস্কোপ আবিষ্কারের ইতিহাস।
মহাকাশ সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হচ্ছে টেলিস্কোপ। সময়ের সাথে সাথে টেলিস্কোপ এর প্রযুক্তিগত উন্নতি হয়েছে সেই সাথে আকারে ও বড় হয়েছে যেকোনো টেলিস্কোপ এর ক্ষেত্রে টেলিস্কোপে থাকা আয়নার আকার খুবই গুরুত্বপূর্ণ আয়নার। আকাশ যত বড় হবে টেলিস্কোপ তত বেশি আলোক্যাপচার করতে পারবে ফলে বেশি দূরবর্তী অবজেক্টের শার্ট ইমেজ তৈরি হবে। ১৮৩৯ সালে আইরি সেসকন ভার্শনস এক রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে বিশাল টেলিস্কোপ এর ডিজাইন করেন এবং সেই রহস্য টি ছিল আকাশে থাকা স্বাভাবিকের চেয়ে উজ্জ্বল কিছু স্পট যেগুলো কে বর্তমানে আমরা গ্যালাক্সির কেন্দ্র হিসেবে জানি সে সময়টাই অবতল দর্পণ তৈরি করা হতো হাতের মাধ্যমে যার ফলে বড় আকারের অবতল দর্পণ তৈরি করা ছিল খুবই চ্যালেঞ্জিং বিষয়টির একটি সমাধান বের করে ছিলেন এবং এর মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছিল ৬ ফিট ব্যাসের একটি অবতল আয়না যার ওজন ছিল প্রায় ৩ টন এই হচ্ছে সেই ঐতিহাসিক টেলিস্কোপ ১৮৪৫ সালে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে অবশ্য বিশালাকৃতির অবতল দর্পণ তৈরিকরা উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় নির্মাণাধীন কিছু বিশাল কিছু টেলিস্কোপঃ
বর্তমানে যে সকল গ্রাউন্ডস টেলিস্কোপ রয়েছে এদের মধ্যে থাকা আয়নার ব্যাস মোটামুটি তিন থেকে দশ মিটার যেমন লার্জবাইনোকুলার টেলিস্কোপে থাকা দুইটি মিররের প্রত্যেকটির ৮.৪ মিটার একটি দোতলা বিল্ডিং এর চেয়ে বড়। আবার ভেরিলার্জটেলিস্কোপে রয়েছে ১.২ মিটার এর চারটি মিরর এবং এই চারটি টেলিস্কোপ এর মত কাজ করে ফলে চারটি মিরর সম্মিলিতভাবে ১৩০ মিটার সাইজের মিলনের মত কাজ করে যেই পদ্ধতিতে এই চারটি মিলে সংযুক্ত করা হয় তাকে বলা হয় ইন্টারফেয়ার মেট্রিক। এ পদ্ধতিতে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রে থাকা ব্ল্যাকহোলের ছবি তোলা হয়েছিল।
যাই হোক বর্তমানে এমন কিছু টেলিস্কোপ নির্মাণ হচ্ছে যাদের মধ্যে থাকা আয়না আকার হবে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বড় এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ। এদের প্রথমে রয়েছে জায়েন্টমজালন টেলিস্কোপ সংক্ষেপে জিএমটি। পৃথিবীর মতো গ্রহ অন্য কোন সোলার সিস্টেমে আছে কিনা তা খোঁজার ক্ষেত্রে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ হতে যাচ্ছে এই জায়ান্টমজালন টেলিস্কোপ এর মরুভূমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে যেন দক্ষিণ গোলার্ধের আকাশ পর্যবেক্ষণ করা যায়।

আধুনিক বড় টেলিস্কোপ কিভাবে তৈরি করা হয়
১.৫ মিটার ব্যাসের মোটর ব্যবহার করা হবে যাদের সম্মিলিত ভাবে প্রায় ২৫ মিটার একটি সাত তলাবিল্ডিং এর সমান তবে শুধুমাত্র বিশাল গ্লাস যথেষ্ট নয়। অনেক দূরের বস্তু থেকে আসা হালকা আলো ক্যাপচার করার জন্য আয়নাকে হতে হবে একদম নিখুঁত। যার ফলে বর্তমানে সকল টেলিস্কোপ একটি বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় এক্ষেত্রে প্রথমে একটি বিশাল ঘূর্ণায়মান কাঠামো তৈরি করা হয়। তারপরে এর উপর রাখা হয় গ্লাস, গ্লাস রাখার পর এটিকে বারোশো ডিগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রায় উত্তপ্ত করা হয় ফলে গলে গিয়ে তরলে পরিণত হয়। তখন সম্পূর্ণ কাঠামোটিকে ঘোরানো হয় যেন গ্লাসে প্যারা বোলিকসেপ অর্থাৎ অবতল দর্পণের আকার পায়। আপনি যদি খেয়াল করেন তবে দেখবেন পানির পাত্র কে যদি ঘোরানো হয় তবে পাশে থাকা পানির প্যারাবোলিকধারণ করে এমনটা ঘটে মূলত কেন্দ্র বিমুখী বল এর কারণে যাই হোক গলিত লাশ পোড়ানোর সাথে সাথে ধীরেধীরে ঠান্ডা করা হয় প্রতিদিন তিন ডিগ্রী সেলসিয়াস করে তিন মাসে সম্পূর্ণ ঠান্ডা করা হয়। এভাবে একটি বিশাল আকৃতির প্যারাবোলিক গ্লাস পাওয়া যায় এর পরেই গ্লাসকে খুবই সতর্কতার সাথে পুলিশ করা হয়। এ সকল কাজ সম্পন্ন করার পর অ্যালুমিনিয়ামের খুবই পাতলা প্রলেপ দেয়া হয় যেন গ্লাসটি আয়নার মতো আচরণ করে অ্যালুমিনিয়ামের আস্তরন দেওয়ার জন্য প্রথমে ক্লাস্টিক অ্যাক্টিভ বায়ুশূন্য চেম্বার এ নেয়া হয় তারপর অ্যালুমিনিয়াম কে উত্তপ্ত করে বাষ্পে পরিণত করে সেই বাষ্পকে বায়ুশূন্য চেম্বারে পাঠানো হয় যার ফলে ক্লাসও পরিণাম খুবই পাতলা আস্তরণ তৈরি হয় এভাবেই মূলত টেলিস্কোপ এর জন্য বর্তমানে মিরর তৈরি করা হয় এই আয়নাগুলো এতটাই নিখুঁত হবে যে একটি আয়না কে যদি আমরা সম্পূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার সমান মনে করি তবে এদের মধ্যে ইনফেকশন হবে মাত্র হাফেজজি এমটি এর প্রত্যেকটি আয়না তৈরি করতে সময় লাগবে প্রায় চার বছর যেকোনো টেলিস্কোপ এর ক্ষেত্রেই প্রাইমারি মিররকে ঠান্ডা রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কেন টেলিস্কোপ মিরর ঠান্ডা রাখতে হয়
গ্রাউন্ডটেলিস্কোপ এর প্রাইমারি মিররকে ঠান্ডা রাখার জন্য মিরেরর পেছনে কিছুক্ষণ পরপর গর্তরাখা হয় এবং যখন টেলিস্কোপ চালু করা হয় তখনই গর্ত গুলোতে ঠান্ডা বাতাসে এ প্লাই করা হয় যার ফলে প্রাইমারি মিরর ঠান্ডা থাকে। তবে যেকোনো টেলিস্কোপ এর ক্ষেত্রে প্রাইমারি মিরেরর সাথে সাথে সেকেন্ডারি মিরব খুবই গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে গ্রাউন্ড পেজটি টেলিস্কোপ রয়েছে সেগুলোর ক্ষেত্রে। গ্রাউন্ড টেলিস্কোপ এর ক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডল একটি বড় প্রতিবন্ধক যার ফলে গ্রাউন্ড টেলিস্কোপ কে কোথায় স্থাপন করা হচ্ছে এটি খুবই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা হয়। গ্রাউন্ড টেলিস্কোপ কে মূলত সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে যতটা সম্ভব দূরে স্থাপন করা হয় সেই সাথে শহর থেকে দূরবর্তী স্থানে যেন লাইট সলিউশন না থাকে এর সাথে এটাও খেয়াল রাখা হয় যেখানে টেলিস্কোপস্থাপন করা হচ্ছে সেখানের আবহাওয়া যেন শুষ্ক থাকে কারন শুষ্ক আবহাওয়ায় পরিষ্কার আকাশ দেখাযায় এইসব গুলো বিষয় মেইনটেইন করার পরেও কিন্তু বায়ুমণ্ডলের প্রভাব শেষ হয়না, এবং তখন সামনে আসে টেলিস্কোপ এর সেকেন্ডারি মিরর অনেক দূরের বস্তু থেকে আসার সময় আলোক তরঙ্গ বায়ুমণ্ডলের কারণে আর সমান্তরালে থাকেনা ফলে গ্রাউন্ড পেরিস্কপেব্লার ইমেজ তৈরি হয় এই সমস্যা সমাধানের জন্য সেকেন্ডারি মিররে খুব সেনসিটিভ স্টোন বসানো হই সেকেন্ডারি মিরর মিলিমিটার স্কেলে বাঁচাতে পারে ফলে দূরবর্তী বস্তু থেকে আসার সময় আলোকতরঙ্গ বায়ুমণ্ডলের প্রভাবে অসমান্তরাল হয়ে গেলেও সেই আলো প্রাইমারি মিলে প্রতিফলিত হয়েছে সেকেন্ডারি মিররে যাবার পর মটরস পিস্টন সেকেন্ডারি মিরর প্রয়োজন অনুযায়ী বাঁকিয়ে আলোরতরঙ্গ ক্যারিয়ের সকরে যার ফলে ফাইনাল ইয়ার ইমেজ পাওয়া যায় এই টেকনোলজি কে বলা হয় অ্যাডাপটিভ অপটিকস।

অ্যাডাপটিভ অপটিকস টেকনোলজি

বর্তমানে এই টেকনোলজির খুবই অ্যাডভান্স মনে করুন এটি একটি সাধারণ টেলিস্কোপ দিয়ে নেয়া নেয়ারইনফারেট ইমেজ এক্ষেত্রে ছবিটি খুব আলোকি মনে হচ্ছে কিন্তু এই একই ইমেজ হাবলের মাত্র ২.৫ মিটার এমন পাওয়া যাবে কারণ হাবলের ক্ষেত্রে বায়ুমণ্ডলের সমস্যা নেই জেমসওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ ১.৫ মিটার মিলিয়ে দেখা যাবে এমন কিন্তু জিএমটি থাকার কারণে এমন ইমেজ আসবে তাহলে বুঝতেই পারছেন বর্তমানের অ্যাডাপটিভ অপটিকস প্রযুক্তি কতটা অ্যাডভান্স জিএমটি এতটাই শক্তিশালী টেলিস্কোপ হবে যে এটি এমন গ্রহ শনাক্ত করতে পারবে যে তার হৎস্টার এর তুলনায় ১০ লক্ষ কোন অঞ্চল জিএমটি ঐ সকল গ্রহের রোটেশন ম্যাচ এবংঅ্যাটমোস্ফিয়ার পর্যবেক্ষণ করবে। সে-সাথে এটি ব্ল্যাকহোল নিয়ে কাজ করবে ব্ল্যাকহোল একটি স্টার্টেড গ্রাস করার ক্ষেত্রে আসলে কি ঘটে বা প্রচেষ্টা কেমন তা পর্যবেক্ষণ করবে তাছাড়া কিভাবে স্টার তৈরি হয়তা ও পর্যবেক্ষণ করবে আশা করা হচ্ছে জিএমপি ২০২৯ সালের মধ্যে কার্যক্রম শুরু করতে পারবে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে থার্টি মিটার টেলিস্কোপ সংক্ষেপে টিএমটি ধারা টিমিটার টেলিস্কোপ নাম শুনে বুঝতে পেরেছেন এই টেলিস্কোপে থাকা মিররের ব্যাস হবে থার্মোমিটার অর্থাৎ৯৮-৪ একটি বিল্ডিং এর প্রত্যেকটি ফ্লোর কে যদি আমরা ১২ ফুট বিবেচনা করি তা হলে টিএনটি এর মিররের ব্যাস হবে 8 তলা বিল্ডিং এর সমান তবে ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে না টিএমসিতে ৪৯২ ষড়ভুজ আকৃতির মিররকে একসাথে যুক্ত করা হবে যা একটি সিঙ্গেল মিররের মত কাজ করবে অনেকটা জেমসওয়েব স্পেসটেলিস্কোপ এর মত হবে খুবই পাতলা।
মাত্র 15 মিলিমিটার অর্থাৎ সবরকম ফল গুলো সহজেই তৈরি করা যাবে পরিবহন করা যাবে সেই সাথে সহজেই রিপ্লেস করা যাবে এর ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি মিরর থেকে প্রতিফলিত আলোকে ইচ্ছে অনুযায়ী বিভিন্ন দিকে নেয়া যাবে ফলে যেকোনো স্থানে নিয়ে বিশ্লেষণ করা যাবে সেই সাথে আরেক টি অপটিকস অবশ্যই থাকবে টিএমটি এর মাধ্যমে উত্তর গোলার্ধের আকাশ দেখার পরিকল্পনা করা হয় ফলে স্থান হিসেবে নির্বাচন করা হয় কেয়াপাহাড়। পাহাড়ের চুরাকে অবস্থিত তবে ঐস্থানের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয় যখন উভয়ের স্থানীয় কিছু মানুষ প্রজেক্ট এর বিরুদ্ধে প্রচার শুরু করেন এঘটনা ঘটে ২০০৯ সালে যদিও ঘটনার সূত্রপাত অনেক আগে থেকে ই মোনাজাতের আগে ইতি মধ্যে কিছু টেলিস্কোপ স্থাপন করা হয়েছিল কিন্তু সেখানকার পরিবেশ বাদী কিছু সংগঠনের দাবী ছিল টেলিস্কোপ কর্তৃপক্ষ পরিবেশ শিক্ষার ক্ষেত্রে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল রক্ষা করে নিতা ছাড়া সেখানকার স্থানীয় কিছু মানুষের জন্য অনেকে পাহাড় ছিল একটি পবিত্র স্থান তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী সেই পাহাড়ে তাদের কিছু গট অবস্থান করেন যার ফলে এই বিষয়টি কোর্ট পর্যন্ত গড়ায় অবশেষে ৯ বছর পর ২০১৮ সালে ওয়াল মেট সুপ্রিম কোর্টটি এনটিকে এলাউ করে আসলে মনে কেয়াপাহাড় হচ্ছে উত্তর গোলার্ধকে দেখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে আদর্শস্থান আশা করা হচ্ছে ধারাটি মিটার টেলিস্কোপ থেকে হাবল টেলিস্কোপ এর তুলনায় ১০ গুণ শার্ট ইমেজ পাওয়া যাবে যা অ্যাস্ট্রোনমি স্টাডিকে আরও সমৃদ্ধ করবে লিস্টের তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে এক্সট্রিমলি লার্জ টেলিস্কোপ সংক্ষেপেই এলটি নাম শুনে বুঝতে পেরেছেন এটি হতে যাচ্ছে সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ ২০০০ সালের দিকে এসহান ডেটমিটার টেলিস্কোপে প্রস্তাব করেছিল যার বাজেট ধরা হয়েছিল মিলিয়ন ইউরো তবে এত বড় টেলিস্কোপ ঠিকঠাক কাজ করতে পারার সম্ভাবনা ছিল ৭৫ থেকে ৯২ শতাংশ যার ফলে প্রজেক্টে এলাও করা হয়নি পরবর্তীতে ২০১১ সালে টেলিস্কোপ এর সাইজ কমিয়ে ১৯.৩ মিটার করা হয় যার ফলে বাগ ধারায় ১.১ বিলিয়ন ইউরো এক্ষেত্রে সকল অংশীজন সম্মতি জানায় বর্তমানে চীনের মরুভূমিতে টেলিস্কোপ এর নির্মাণ কাজ চলছে এএল টিই এর প্রাইমারি মিররের ৭৯৮ টি ষড়ভুজাকৃতির আয়না থাকবে যে গুলো একসাথে ১২৯ ফুটের বিশাল আয়নায় সেকেন্ডারি মিররে ৪.২ মিটারের এবং এর ওজন হবে প্রায় ২.৫ টন যা হতে যাচ্ছে। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেকেন্ডারি মিরর এটিও থাকবে অ্যাডভান্স অ্যাডাপটিভ অপটিক সিস্টেম যাতে থাকবে ৮০০০ প্রিস্টন এবং একটি স্থানগুলো মেডিকেল রিলেটেড করবে এবং এই ৮০০০ প্রিস ফোনের মাধ্যমে সেকেন্ডারি মিরর কে সেকেন্ডে এক হাজার বার রিয়াদ জাস্ট করা যাবে সেই সাথে এই টেলিস্কোপে থাকবে আটটি পাওয়ার ফুল লেজার আর্টিফিশিয়াল গাইড হিসেবে কাজ করবে ধারণা করা হচ্ছে ইএলটি হাবলের তুলনায় ১৬৫৯ ইমেজক্যাপচার করতে পারবে সেই সাথে এটাও আশা করা হচ্ছে এটেলিস্কোপ ২০২৭ সালের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে যা মহাবিশ্বে প্রথম গ্যালাক্সি সুপার নোভা মহাবিশ্বের প্রসারণ মেসিব্ল্যাকহোল এক্সোপলানেট ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টেলিস্কোপ যার সম্পূর্ণ কাঠামো টি উচ্চতা হবে যা গ্রামীণ ব্যাংক বিল্ডিং টির উচ্চতার সমান চার নম্বরে রয়েছে লজিস্টিক সার্ভিসেস এলএসএসসি লার্জসিনাপটিক সার্ভেটেলিস্কোপটি অন্যান্য টেলিস্কোপ এর মত এত বড় হবে না এই টেলিস্কোপ এর মিনারের ব্যাস সবে মাত্র ৮.৪ মিটার তবে টেলিস্কোপ এর কাজ অন্যান্য টেলিস্কোপ এর কাজের দিক থেকে ভিন্ন হবে এই টেলিস্কোপটি মূলত সম্পূর্ণ আকাশকে সার্ভে করবে আমাদের মহাবিশ্ব প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ লক্ষ সুপার্ণভা সংঘটিত হয় সেই সাথে বিভিন্ন এসিডের মোমেন্ট রয়েছে মহাবিশ্ব প্রসারিত হচ্ছে এসব কারণে মহাবিশ্ব প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে এনএসএসডি মূলত এই সকল পরিবর্তন গুলো পর্যবেক্ষণ করবে এই টেলিস্কোপে স্থাপন করা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সেই সাথে সবচেয়ে শক্তিশালী ক্যামেরা যার লেন্স হবে ১.৫ মিটার যার ফলে এটি পৃথিবীর সবচেয়ে হাই রেজুলেশনের ছবি তোলার ক্যামেরা হতে যাচ্ছে এই ক্যামেরার একটি সিঙ্গেল ছবির রেজুলেশন হচ্ছে ৩.২ মেগাপিক্সেল এলএসএস টি প্রতিরাতে আকাশের ৮০০ ছবি তুলবে যার প্রত্যেকটি ছবির সাইজ হবে ৩.২ মেগাপিক্সেল অর্থাৎ প্রতিরাতেই টেলিস্কোপ জেনারেট করবে এভাবে যদি ১০ বছর সার্ভিস দেয় তবে এটি মোট ৫০ বিলিয়ন মেগা বাইট ডাটা জেনারেট করবে যা খুবই খুবই বিশাল পরিমাণ ডাটা। স্পিড করার পর পরই এগুলোকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানে পাঠিয়ে দেওয়া হবে এনালাইসিস করার জন্য ফলে আকাশের ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্র তর মানুষের নজরে চলে আসবে সেই সাথে এলএসএস পিয়ার ডাটা এনালাইসিস করার ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর ব্যবহার করা হবে যেন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর নরনারায়ন চিলিতে স্থাপন করা হচ্ছে এবং এর নির্মাণ কাজ অনেক টুকু এগিয়ে গিয়েছে এখন পর্যন্ত যত গুলো টেলিস্কোপ এর কথা উল্লেখ করে ছি প্রত্যেকটি টেলিস্কোপ এর পিছনে কিন্তু রয়েছে জটিল সব ইঞ্জিনিয়ারিং যেমন বায়ু প্রবাহ মেইনটেইন করার জন্য একধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং আবার সম্পূর্ণ কাঠামোটিকে মুভমেন্ট করার জন্য রয়েছে অন্য ধরনের ইঞ্জিনিয়ারিং এইভাবে বহু মানুষের সমন্বয়ে গড়ে উঠছে এই সকল আধুনিক টেলিস্কোপগুলো

Level 0

আমি রায়হান বাদশাহ। Asst. Manager, Palmal Group, Dhaka। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 5 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস