স্মৃতি গুলো হারিয়ে গেল(সাইন্সফিকসন)

হাতে কাজ ছিল না ।বাসায় বসে রজনীর সাথে গল্প করছিলাম।আমার মনটা খারাপ দেখে রজনী আমাকে জিজ্ঞাস করল তোমার মন খারাপ কেন।আমি বললাম আমার আক প্রিয় বড় ভাই নাকি এবনরমাল হয়ে গেছে ।রজনী জিজ্ঞাস করল কোন ভাই।আমি বললাম কেন তোমার মনে নাই,আমাদের বিয়েতে জিনি লাল গাড়ি টা উপহার দিয়েছিলেন জুরা ভাই।রজনী বলল ও হা মনে পরেছে কেন কি সমস্যা।আমি বললাম জুরা ভাই ছুট বেলা থেকে মিলিনা নামের একজঙ্কে পছন্দ করত কিন্তু মিলিনা ও করত কিন্তু মাঝখানে একটা বিশেষ কারনে দু জনের মধ্যে ভুলবুঝাবঝির স্মৃষ্টি হয়, মিলিনা বিয়ে করেছে অন্য এক জনকে ।তার দু দিন পর থেকে সমস্যা দেখা দিয়েছে ।কাউকে ঠিক চিনতে পারছে না।চিনলেয় হাসছে আর বলছে মিলিনার বিয়ে হয়ে গেছে।আমার কথা শুনে রজনী বেশ হাসল।আমি বললাম হাসছ ।ও বলল যাও গিয়ে দেখ কি করা যায়।

রজনী রুমে চলে গেল।কিছুক্ষন পর আমার বন্ধু রোবট রেঞ্জার বাসায় আসল।আমাকে দেখেই রোবটিয় কায়দায় হাসি দিল।আমাকে বলল তোমাকে বেশ উদিগ্ন লাগছে ।আমি তাকে জুরা ভায়ের কথা জানালাম।রেজ্ঞার বলল চল যাই তোমার ভায়ের ওখানে।আমি বললাম চল।
দুজন হাওয়াই চালিত উড়ন্ত গাড়িতে চেপে কিছক্ষনের মধ্যে জুরা ভায়ের বাসায় চলে গেলাম।দেখলাম জুরা ভায়ের মা ভীষন কাদছে।

আমি তাকে সান্তনা দিলাম।রেজ্ঞার জুরা ভায়ের মাথায় হাত দিল ওর বকের লাইভ মনিটরে ভয়ানক সব ছবি দেখলাম।
অবশেষে আমার বন্ধু ডঃ আহাম্মেদ সোহাগের কথা মনে পরে গেল।ও একাধারে নিউরোলজিষ্ট সার্জন।আমি ওকে বাস্য়ায় আসতে বললাম ।ওবলল আমি ভীষন ব্যস্ত তার তার চেয়ে তোরা মিঃ জুরাকে নিয়ে আমার হাস্পাতালে চলে আয়।আমি আমার বন্ধু রেজ্ঞার জুরা ভায়ের মা মিলে জুরা ভাইকে নিয়ে হাপাতালে গেলাম।সোহাগ জুরা ভায়ের বিষয়ে জেনে নিল।ভালোভাবে পরীক্ষা করল। পরীক্ষা করে বলল আমাকে এক দিন ভাবতে হবে তোরা যা।আমি কাল জানাব।
বাসায় এসে দিনটা কনো মতে পার করলাম।পরদিন সোহাগ আমাকে ফোন করে ওখানে যেতে বলল।আমি গেলাম সোহাগ বলল যে অবস্থা দেখলাম মস্তৃষ্ক থেকে মিলিনা শব্দ টা মুছে দিতে হবে।

আমি ওকে জিঞ্জাস করলাম এটা কিভাবে করবি।ওবলল মস্তৃষ্ক স্ক্যান অপারেশন করতে হবে।এবং মিলিনা সমৃদ্ধ নিউরোন গুলো নষ্ট করে দিতে হবে।তবে সময় লাগবে|
ও বলল একবারে তো আর সব নিউরন নষ্ট করা সম্ভব না করলে ব্রেনে চাপ পরবে|নষ্ট করতে হবে মোট তিন দিনে|আমি ওকে বললাম এটা রিস্কি না।ও বলল তেমন না।
আমি আন্টিকে বাপার টা বললাম উনি রাজি হয়ে গেলেন।
তিন দিন খুব রুদ্ধশাসে কাটল।জ্ঞান ফিরে জুরা ভাই আমাদের সাথে কথা বলছিল।এসময় মিলীনা ওনাকে দেখতে এলেন।কিন্তু জুরা ভাই মিলিনা কে চিনলনা।আমি অবাক হলাম।সোহাগ আমাকে বলল মিঃ জুরার ব্রেনের সকল নিউরন থেকে মিলিনার অস্তৃত্ত নষ্ট করা হয়েছে।ওনি আর কখনোই মিলিনার কথা ভাবতেও পারবে না চিনতেও পারবে না।
ও যখন কথা গলো বলছিল আমি মিলিনার অশ্রু ভরা মুখের দিকে চেয়ে ছিলাম।

Level 0

আমি zahidcse। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর 11 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 6 টি টিউন ও 6 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আরে জাহিদ ভাইযে… ভেবেছিলাম প্রতি সপ্তাহে একটা করে ফিকশান পাবো আপনার কাছ থেকে, আপনি তো দেখছি আগেই দিয়ে দিলেন… 😆

    Level 0

    পরের টা একটু লেট হবে তো তাই ।

nice হইছে
তবে
বানানের প্রতি নজর দিলে আরোও ভাল হত।

Level 0

হা হা এটা তো একটা ইংলিশ মুভি থেকে নকল করছেন বলে মনে হচ্ছে। ইটারনাল সানশাইন অভ দ্য স্পটলেস মাইন্ড। জিম ক্যরি এবং কেট উইনস্লেট 😀

    Level 0

    আমি ইংলিশ মুভি দেখি না ভাই । মিলে গেলে জেতে পারে।

Level 0

Good, chaliye jan

ঝাক্কাসস !!
চালিয়ে যান। 🙂

দার র র রুন !তবে বড্ড ছোট ।

Level 0

Khub valo hoese………………..

onek sundor. khub valo laglo

ভালো হয়েছে। চালিয়ে যান। 🙂