১০ টি গুরুত্বপূর্ণ অন পেজ এস ই ও ফ্যাক্টর সম্পর্কে জেনে নিন

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

এই টিউনের মাধ্যমে ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ অন পেজ এস ই ও ফ্যাক্টর সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। কোন একটি ওয়েব পেজকে র‍্যাংক করার জন্য গুগল প্রায় ২০০ টি ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। আমি আপনাদেরকে নিজের পেজের অপটিমাইজেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টরগুলো সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো। চলুন বিষয়গুলো জেনে নেই-

  1. ওয়েবসাইটের সুন্দর একটি url. অর্থাৎ, বিদঘুটে কোন ওয়েব এড্রেস ব্যবহার করা যাবে না যা খুঁজে পাওয়া যায় না। https সাইটগুলো খুব সামান্য হলেও http সাইটগুলোর চেয়ে বেশী গুরুত্ব পায়। ক্রোম ব্রাউজারে দেখবেন secure ওয়েবসাইট না হলেই মেসেজ দেখায়। অনেক সময় বাজে হোস্টিং এর কারণে সাইট অফলাইনে থাকে যা নেগেটিভ ইফেক্ট ফেলে।
  2. ওয়েবসাইটের স্পিড খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি ফ্যাক্টর যা অনেকেই আমলেই নেন না। সাইটের ডিজাইন সুন্দর করতে গিয়ে সাইটকে ভারী করে তোলেন যা ইউজারদের ব্রাউজ করার সময় বিরক্তির সৃষ্টি করে। অনেক সময় খারাপ মাণের ব্লগস্পট সাবডোমেইন সার্চ রেজাল্টে আগে দেখায়, কারণ ওয়েব পেজ হালকা হওয়ায় সেগুলোর স্পিড বেশী।
  3. মোবাইল ফ্রেন্ডলি সাইট অবশ্যই বেশী গুরুত্ব পাবে। গুগল ওয়েবমাস্টারে দেখবেন মোবাইলের জন্য আলাদা ইনডেক্স রিপোর্ট দেখায়। সার্চের রেজাল্টেও পার্থক্য থাকে। আর ২০২০ সালে বেশীরভাগ ভিজিটর যে মোবাইল থেকে আসবে সেটি যেকোন ব্লগের জন্যই স্বাভাবিক ব্যাপার। মোবাইলের জন্য সাইটের ডিজাইন যেন ভালো হয় আর লোডিং টাইম কম লাগে সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
  4. ডোমেইন অথরিটি যত বেশী হবে গুগলের কাছে সেই সাইটের গুরুত্ব তত বেশী হবে। যেমনঃ বাংলা টেকনোলজি ব্লগগুলোর মধ্যে টেকটিউনস বেশী গুরুত্ব পায়। ডোমেইনের বয়সের সাথে সাথেও একটা পজিটিভ ইফেক্ট পড়ে।
  5. সাইটের কন্টেন্ট হতে হবে কিওয়ার্ড নির্ভর এবং এস ই ও অপটিমাইজড। এজন্য হেডিং, টাইটেল এবং লেখার মাঝে কিওয়ার্ড ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
  6. টেকনিক্যাল এস ই ও করতে হবে যাতে করে সার্চে শুধু লেখাটা আসবেই না, লোকজন ভিজিট করতে আগ্রহী হবে। আকর্ষণীয় টাইটেল এবং মেটা ট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
  7.  ইউজারদের অভিজ্ঞতা যে একটা গুরুত্বপূর্ণ এস ই ও ফ্যাক্টর সেটি নতুন ব্লগারেরা কেউ কেউ ভুলেই যান। ইউজার কতক্ষণ একটি পেজ ভিজিট করলো, এরপর সে কি করলো সেটি র‍্যাংকিংকে প্রভাবিত করে।
  8. ইন্টারনাল এবং এক্সটার্নাল লিংক চিন্তাভাবনা করে তৈরি করতে হবে। বাইরের সাইটের লিংক দেয়াটাও অনেক সময় উপকারী হয়, কারণ এর মাধ্যমে ওয়েব পেজের ক্যাটাগরি সম্পর্কে গুগলের কাছে সিগনাল যায়। নিজের সাইটের পেজগুলো যত বেশী সম্ভব যুক্ত রাখা উচিত।
  9. সোস্যাল সিগনাল একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। এর মাধ্যমে গুগল বুঝতে পারে কোন বিষয়টি এখন ট্রেন্ডি, সাইটের জনপ্রিয়তা কেমন ইত্যাদি। নো ফলো লিংক পেলেও সোস্যাল সাইটকে অবহেলা করা যাবে না।
  10. সঠিক তথ্য দিন। যদি বিজনেস সম্পর্কে তথ্য না দেয়া থাকে তাহলে আপনি একটি ফ্যাক্টরের বিচারে পেছনে পড়ে গেলেন। তথ্য দেয়া থাকলে সার্চে সেটি দেখায় যা মানুষের মনে বিশ্বাস তৈরি করে।

এই ছিলো দশটি ফ্যাক্টর নিয়ে আলোচনা। আরো অনেক ফ্যাক্টর আছে, সেগুলো নিয়ে না হয় অন্য কোনদিন আলোচনা করা যাবে। আপনাদের মতামত বা, জিজ্ঞাসার কথা টিউমেন্ট করে জানান।

তথ্যসূত্রঃ এস ই ও টিপস

Level 0

আমি প্রচ্ছন্ন প্রকাশ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 11 টি টিউন ও 12 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 3 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 71 টিউনারকে ফলো করি।

ব্লগিং এবং এস ই ও শেখার চেষ্টা করছি, লেখার চেষ্টা করছি। আমার লেখাগুলো পড়লে অনেকেই উপকৃত হবেন। ঠিকানা- https://www.bloggingnseo.xyz


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস