প্রোডাক্ট ব্রান্ডিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার সঠিক ব্যবহার করে নিজের ব্রান্ড গড়ে তুলুন ( প্রথম পর্ব )

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

যারা অনলাইন মার্কেটিংয়ের কাজ করেন কিংবা ভবিষ্যতে করার স্বপ্ন দেখেন তাঁরা বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ার দিক এ গুরুত্ব দেন সর্ব সময় । বর্তমানে মার্কেট প্লেসে কাজ করতেও সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সোশ্যাল মিডিয়ার প্রয়োগ । আপনার মধ্যে থাকতে হবে চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মানসিকতা । আপনি সোশ্যাল  মিডিয়া যথাযত ব্যাবহার করে জানলে পারবেন টপ লেভেলর একজন ওয়ার্কার । আমি নিজেই সকল কাজেই সোশ্যাল মিডিয়ার দিক বেশি নজর দেই । অনলাইনে অন্য কাজের চেয়ে যেকোন প্রোডাক্টকে ব্রান্ডিংয়ের জন্য সবচাইতে বেশি জোর দিয়ে থাকি আমি । যখন ব্রান্ডিং করার স্বপ্ন দেখবেন, তখন আপনাকে হতে হবে অনেক দু:সাহসী, অনেক ক্রিয়েটিভ, অনেক বিচক্ষণ। আর এজন্যই এজন্যই মূলত ব্রান্ডিং করাতেই বেশি মজা পাই । কারণ এ ক্ষেত্রে কোন সফলতা পেলে সেখানে পৈশাচিক আনন্দ পাওয়া যায় । বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যাবহার করে অনলাইন মার্কেটিংয়ের রানী হবার স্বপ্ন আমার ।
সময় এখন সামাজিক মিডিয়া বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ! আপনি যদি এই সম্পর্ক ঘনীভূত সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার করতে জানেন কিভাবে কি করতে হবে তা পারেন একদিন আপনার দ্বারাই তৈরি হবে এক একটি বড় বড় ব্র্যান্ড ।

টিউটোরিয়ালটি কি কি নিয়ে সাজানো হয়েছে তা এক নজরে দেখে নিন

1.    প্রোডাক্ট ব্রান্ডিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই কেন ব্যাবহার করবেন -
2.    প্রচলিত মার্কেটিং বা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু মৌলিক পার্থক্য -
3.     প্রোডাক্ট ব্রান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কি সোশ্যাল মিডিয়া সত্যিই বিশেষ ফলাফল এনে দিতে পারবে -
4.    প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং কে বিবেচনা করে ঠিক করুন কোথায় করবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং -

Branding for social media (9)
প্রোডাক্ট ব্রান্ডিংয়ের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকেই কেন ব্যাবহার করবেন –

কথায় আছে ঢেকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে । উদ্যোক্তারা অনেকটা ঢেকির মত। তারা সবসময় ব্যাবসা এবং এর প্রসার নিয়ে ভাবে । একজন সফল উদ্যোক্তার সবচাইতে বড় গুন হচ্ছে সে থেমে থাকে না, যখন কোন সমস্যা আসে তখন ব্যাস্ত থাকে সমস্যা সমাধানের জন্য। আর যখন কোন সমস্যা না আসে তখন ব্যাস্ত থাকে নতুন নতুন এক্সপেরিমেন্টের জন্য। আর এই স্বভাবের জন্যই পৃথিবীতে ছোট ছোট অনেক স্টার্ট আপ আজ অনেক বড় হয়েছে। নতুন নতুন আইডিয়া জেনারেট হয়েছে।
ফেসবুক সহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়াগুলো এরকম আইডিয়ারই ফসল। আজ সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়া আমারা আমাদের জীবন চিন্তাই করতে পারি না । বাংলাদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষ ফেসবুক ব্যাবহারকারি রয়েছে এবং এই সংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে । তাই আপনার যদি সোশ্যাল মিডিয়া ছাড়াই পর্যাপ্ত ক্রেতা থাকে, তবুও  সোশ্যাল  মিডিয়া মার্কেটিং এর দিকে আপনার নজর  দেয়া উচিত। এটা আপনার ব্যাবসার প্রসার কয়েকগুন বাড়িয়ে দিতে পারে। আর যদি আপনার পর্যাপ্ত ক্রেতা না থাকে তাহলে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হতে পারে কম খরচে পর্যাপ্ত ক্রেতা পাওয়ার উপযুক্ত মাধ্যম।

Branding for social media (2)

প্রচলিত মার্কেটিং বা ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এর সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার কিছু মৌলিক পার্থক্য –

বহু আগে থেকেই আমরা নিজ প্রোডাক্ট এর জন্য সরাসরি যে মার্কেটিং করি তাই হল ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং ।  কেউ মনে করতে পারেন শপিং মলে গিয়ে কোন উৎসবের জন্য গার্লফ্রেন্ড মানে প্রেমিকার জন্য জামা কাপড় কিনাকেই তাকে মার্কেটিং বলা হয় । আসলে তা সঠিক নয় । কোন প্রোডাক্ট কে জনসাধারনের কাছে প্রচার- প্রচারণা করাই মার্কেটিং । অনেকে ভাবতে পারেন সোশ্যাল মিডিয়ার কথা বলছিলাম এখন আবার ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ আসলাম কেন? অনেকের ধারণা সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্রান্ডিং করার কোন লাভ নেই । কিন্তু বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং রাজ্যত করছে । ভবিষ্যৎ এ সবকিছুই অনলাইন ভিওিক হচ্ছে ।

>>>ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং অপেক্ষাকৃত স্থির। বিলবোর্ড কিংবা প্রিন্ট এডে যা থাকে তা পরিবর্তন করা যায় না। অপরদিকে সোশ্যাল মার্কেটিং Dynamic অর্থাৎ গতিশীল। প্রতি মুহূর্তে পরিবর্তন হতে পারে, সেটা নির্ভর করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া পলিসি কিংবা লক্ষ্যর উপর।

>>> ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ আপনি সাথে একশন নিতে পারবেন না, সোশ্যাল মার্কেটিং এ সুযোগ রয়েছে। যেমন আপনি চাইলেই একটি প্রিন্ট/সংবাদপত্র বিজ্ঞাপনের ম্যাসেজ এডিট করে নিতে পারবেন না, সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্তু এই সুযোগটা রয়েছে।

>>> ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ ফিডব্যাক পাবার সুযোগ নেই। টিভি তে এড দেখে নিশ্চয়ই গ্রাহকরা আপনাকে ফোন কল কিংবা SMS দিয়ে রিপ্লাই জানাবে না। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ কিন্তু এটা সবচেয়ে বড় প্লাস পয়েন্ট।

>>> কোন নির্দিষ্ট গ্রুপ কিংবা বিশেষ টার্গেটকে ফোকাস করে আগানো ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং এ প্রায় অসম্ভব, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ আপনি যে কাউকে টার্গেট করে আগাতে পারবেন।
Branding for social media (1)
>>> ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং সর্বত্র বিরাজমান, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং সেখানেই ভোক্তাদের খুজে নেয় যেখানে ভোক্তাদের দরকার। যেমনঃ কোথায় ঘুরতে যাবেন কিংবা এই ইদে কি পোশাক পড়বেন সেটা জানার জন্য গুগল/ ফেসবুকে সার্চ দিলে কিন্তু এর সাথে সম্পর্কিত অনেক সাজেশন কিংবা বিজ্ঞাপন দেখায়।

>>> কারা আমার বিজ্ঞাপনটি দেখেছে কিংবা কাদের কাছে আমার বিজ্ঞাপনের ম্যাসেজ যাচ্ছে তা নির্ণয় করা প্রচলিত মার্কেটিং ব্যাবস্থায় প্রায় অসম্ভব। কিন্তু আপনি চাইলে খোজ রাখতে পারেন আপনার সাইট কিংবা Facebook পেইজের Track History চেক করলেই।

>>> ট্র্যাডিশনাল মার্কেটিং সারা পৃথিবীজুড়েই বিসৃত, কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া/ইন্টারনেট ব্যাবহারকারী পর্যন্ত বিসৃত।

প্রোডাক্ট ব্রান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে কি সোশ্যাল মিডিয়া সত্যিই বিশেষ ফলাফল এনে দিতে পারবে –

আজ থেকে প্রায় ৮/৯ মাস আগে যখন আমি এই সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে গবেষণা করেছিলাম, তখন আমি Facebook-ইন্টারনেট থেকেই অনেক ইনফরমেশন, স্ক্রিনশট কালেকশন শুরু করে দিয়েছিলাম। বিভিন্ন কোম্পানি তাদের ব্র্যান্ডকে আরও সামাজিক ভাবে উপস্থাপন করার জন্য কি কি করে সেটা দেখার জন্য সবসময় Facebook, Google+, Pinterest, Tumbler, Linked in, Twitter এ অনেক ঘুরঘুরি করেছি। সারা বিশ্বে যখন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কনসেপ্ট চালু হয়ে গেছে, তখন বাংলাদেশে হাতে গোনা কয়েকটি কোম্পানি নিজের প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ডের সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং চালু করেছিল। রিসেন্ট কয়েকমাসে সেটা বাড়তে শুরু করেছে দ্রুত গতিতে। এটা বেশ ভালো লেগেছে যে বাংলাদেশী কোম্পানিগুলো বিশ্বের সাথে তাল মেলাতে দ্রুত চেষ্টা করছে। তবে অনেকের মধ্যে হয়ত এই মনোভাব হতে পারে যে সোশ্যাল মিডিয়াতে যোগদান করলে কিংবা নিজের প্রোডাক্ট/ব্র্যান্ড কে সোশ্যাল মিডিয়াতে উপস্থাপন করলে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বাড়বে, কিংবা সেটা তার সেলসে পজিটিভ ইফেক্ট ফেলবে অর্থাৎ এর কোন আর্থিক প্রভাব পড়বে। কিন্তু ব্যাপারটি সেরকম নয়। মার্কেটিং এর অন্যান্য চ্যানেলে এ যেভাবে রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বের করা হয় তার সাথে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট মাপা হয় এটি আপনার ভোক্তা/ক্রেতাদের মনে কি পরিমাণ প্রভাব ফেলতে পারছে তার উপর। সেভাবে সরাসরি এর আর্থিক প্রভাব লক্ষ্য করা যাবে না যেটা অন্যান্য মার্কেটিং চ্যানেল এর ক্ষেত্রে বের করা সম্ভব। তাই সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আদৌ প্রভাব ফেলে কিনা সেটা সরাসরি বলাটা কঠিন। তবে সেটার অবশ্যই একটা পজিটিভ ফলাফল আছে যদি আপনি সঠিক ভাবে এটি সম্পূর্ণ করতে পারেন। ব্যাক্তিগত ভাবে আমি মনে করি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর অবশ্যই একটি সরাসরি প্রভাব রয়েছে সেলসের উপরে। আমি নিজেই একটি ফ্যাশন হাউজ থেকে কিছু লন পিচ (এক প্রকার জামা) কিনেছিলাম। ফ্যাশন হাউজটির ফেসবুক পেইজে জানানো হয়েছিল যারা এই পেইজের ফ্যান শুধুমাত্র তারাই ডিসকাউন্ট পাবে। আমি সাথে সাথে অফারটি লুফে নিয়েছিলাম। অবশ্য আমি যেখানে থাকি তখনও সেখানে প্রোডাক্ট টি বাজার জাত করে নি । তাই বিশেষ ভাবে এফ-কমার্স এ বিজ্ঞাপন দেখে লোপ সামলাতে না পেরে কিনেছিলাম থেকেই কিনে ছিলাম । বর্তমানে অনলাইন শপিং ই করি বেশি ।
Branding for social media (3)

আমি এখানেই কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর রিটার্ন অন ইনভেস্টমেন্ট বের করতে হয় সেটা আলোচনা করব না। আপনাদের সারা পেলে সামনে হয়ত এটা নিয়ে কিছু একটা লিখার চেষ্টা করব ।
এতক্ষণে বিরক্ত হয়ে গেছেন বুঝতে পারছি কেন না কিভাবে লাভবান হবেন তা না বলে আজাইরা কথা বাড়াইলাম তাই ভাবছেন । অকে, একটু মনোযোগ দিন-তো, চিন্তা করুন আপনার চারপাশে ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলা সোশ্যাল মিডিয়া আর অপরদিকে প্রচলিত মিডিয়ার অবস্থান   । আপনাদের মধ্যে কতজন আছেন যারা নিয়মিত প্রতিদিন বিনোদনের আশায় টিভি দেখতে বসেন? ২বছর আগে টিভি দেখার পিছনে যেই সময়টা ব্যায় করতেন এখন কি সেরকম সময় ব্যায় করেন? অপরদিকে ২বছর আগে ইন্টারনেটের পিছনে যেই সময় ব্যায় করতেন এখন কি তার থেকে বেশি না কম? গত একসপ্তাহে চলার পথে কয়টা বিলবোর্ড এর নাম মনে করতে পারেন? কিংবা আজকের পেপারের প্রথম পাতায় যেই বিজ্ঞাপনটা দিয়েছে তা স্মরণ করতে পারছেন কি? এখন চিন্তা করা শেষ । নিশ্চিই উতর পেয়ে গেছেন । যারা পাননি তাঁদের উদ্দেশে বলছি দিন দিন ইন্টারনেট ব্যাবহার বাড়ছে । সোশ্যাল  মিডিয়া গুলোতে মানুষের আনা গোনা বাড়ছে । টিভি দেখার চেয়ে প্রায় ৬০% বেশি সময় ফেসবুকের মতো সোশ্যাল সাইট গুলো ব্যাবহার করছে । তবে আপনি কেন লাভবান হবেন না বলুন । সঠিক পরিকল্পনা মতাবেক প্লান গড়ে তুলুন আপনার একটি প্রোডাক্ট ই উন্নত ব্রান্ড হিসেবে গড়ে উঠবে ।

প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং কে বিবেচনা করে ঠিক করুন কোথায় করবেন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং –

উইকিপিডিয়ার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এ পৃথিবীতে প্রায় ২০০টির অধিক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট জনপ্রিয় রয়েছে। যার সবকয়টিতেই কি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে বেড়াবেন? অবশ্যই না। যেসব সাইটে আপনার কাস্টমার, ক্রেতারা বেশি পাওয়া যায় সেসব জায়গাতেই মার্কেটিং করলে সফল হবেন। নয়ত ব্যাপারটা অনেকটা উলু বনে মুক্ত ছড়ানো (অপাত্রে/অস্থানে মূল্যবান দ্রব্য প্রদান) এর মত হয়ে যাবে। যদি আপনি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং থেকে সর্বোচ্চ রিটার্ন পেতে চান তাহলে নির্দিষ্ট কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মের উপর নির্ভর করবেন না। একসাথে কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম এর উপর আপনার সোশ্যাল মিডিয়া স্ট্রাটেজি দাড়া করাতে হবে। সেটা হতে পারে Facebook, Twitter, Instagram, Youtube এর কম্বিনেশন কিংবা Tumbler, Linked in, Flickr, Foursquare সমন্বয়ে। তবে বর্তমানে facebook একাই অনেকটা কভার দিচ্ছে দেখে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর জন্য অনেকেই শুধুমাত্র Facebook কেই বেছে নিচ্ছে।
Branding for social media (3)
আগে ভাবুন আপনার অঞ্চলের জন্য কোনটি শ্রেষ্ট । আপনার দেশের মানুষ কোনগুলো বেশি ব্যাবহার করে তা লক্ষ্য করুন, সে গুলোই ব্যাবহার করুন । বাংলাদেশের দেশিও প্রোডাক্ট হলে Facebook এবং Youtube এর কম্বিনেশন যথেষ্ট । তবে ইন্টারন্যাশনাল হলে তা অবশ্যই আপনাকে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া বেছে নিতে হবে । কেননা বাংলাদেশের বাহিরে অনেকেই অনেক মিডিয়া ব্যাবহার করে। তাই প্রোডাক্ট অনুযায়ী বেছে নিন আপনার প্রোডাক্ট এর জন্য সর্ব শ্রেষ্ট সোশ্যাল মিডিয়া । আর নিজের ব্রান্ড কে গড়ে তুলুন উচ্চ কয়ালিটি সম্পুন্ন সফল ব্রান্ড ।
প্রথম পর্ব এখানেই শেষ করলাম কারন একবারে দিলে পর্বটি অনেক বড় হত ।

এক নজরে দেখে নিন শেষ পর্বে কি কি থাকছে –

1.    প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং এ সোশ্যাল মিডিয়া তে যে ভুল গুলো করা একে বারেই উচিত নয় –
2.    সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর প্রতি আপনার বিশেষ মনযোগী হওয়া উচিৎ -
3.    প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং এ সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে পরিচিতি বৃদ্ধি ও যোগাযোগের প্রতি লক্ষ্য রাখুন -
4.    সোশ্যাল মিডিয়া তে একই কন্টেন্ট অনেক বেশি শেয়ারিং করা থেকে বিরত থাকুন -
5.    প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং এ বিশেষ ভাবে প্রয়োজনীয় ভাইরাল প্রমোশনে নজর দিন সঙ্গে পণ্য অথবা সেবা বিক্রি করুন  -

লিখাটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করবেন । অন্তত ২০০ শেয়ার না হলে পরবতি পোষ্টটি আর দিব না ।লিখলাম আপনাদের সুবিধা ভেবে । আপনারাই না পড়তে চাইলে লিখে তো কোনই লাভ হবে না তাই না । তাই যদি আমার লিখা ভাল লাগে আরও লিখা চান অবশ্যই শেয়ার ও কমেন্ট করবেন । আপানদের জন্য আমার সাহায্যের দরজা সর্বদা খুলা থাকবে ।তবে আজাইরা কি করি কেমন আছি বাড়ি কই এই সব  এস এম এস দিয়ে বিরক্ত করবেন না। ফেসবুকে আমার লিঙ্ক তা দিলাম ।তবে দোয়া করে আজে বাজে এসএমএস দিয়ে আমার কাজের প্রবলেম কইরেন না । শেয়ার কমেন্ট মাস্ট করবেন কিন্তু ।

Level 0

আমি নাসরিন আক্তার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

আপু অনেক কষ্ট করে লিখেছেন বুঝা যাচ্ছে … খুব ভালো লেগেছে … একটা পশ্ন ছিল ,,, আমি কিভাবে একটি র্ভাচুয়াল ক্র্যডিট কার্ড পেতে পারি ,,,, bancore থেকে একটা নিয়েছিলাম ,,,, ওটা বাতিল হয়ে গেছে ,,এখন আর খুলতে পারছি না ,,, যদি একটু হেল্প করতেন …উপোকার হতো …

Level 0

আপনার লেখাটি খুবই ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ

অসাধারণ

আপনার লেখার মান আনেক ভালো । Thanks