কিভাবে আপনি আপনার Boss কে প্রভাবিত করবেন?

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত

গেস্ট ব্লগিং হচ্ছে ইদানিং সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি এসইও পদ্ধতি। যদি আপনি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন, তাহলে নিচ্ছয়ই “গেস্ট ব্লগিং” শব্দটা শুনে থাকবেন। গেস্ট ব্লগিং হচ্ছে অন্যের ব্লগে গেস্ট হিসেবে আর্টিকেল লেখা। গেস্ট ব্লগিং এর মাধ্যমে ব্লগ মালিক এবং গেস্ট লেখক দুজনেই উপকৃত হয়ে থাকেন। পাশাপাশি আপনার সাইটের জন্যও একটি ব্যাকলিংক তৈরী হবে। অপরদিকে যে ব্লগে আর্টিকেলটি প্রকাশিত হবে সে ব্লগটিও ইউনিক আর্টিকেলের মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ হবে। এজন্য, বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং সাইটসমূহে গেষ্ট টিউনিং এর মাধ্যমে ব্যাকলিংক তৈরির প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।
guest Blog

আপনি গেস্ট ব্লগিং করার জন্য কেমন লক্ষ্য নির্ধারণ করবেন

প্রত্যেকের উচিৎ তাদের নিজ লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে চলা। উক্তিটি সকলকেই মানতে হবে। আপনার সর্ব প্রথম কাজ হবে লক্ষ নির্ধারণ করা। সর্বদাই তথ্য বহুল আর্টিকেল তৈরির লক্ষ্য নিয়ে এগুতে হবে। তাহলে অথোরেটি তার ব্লগে আর্টিকেলটি প্রকাশ করতে দিবে। আপনিই চিন্তা করেন আমার এই আর্টিকেল জ্ঞানমূলক তথ্যবহুল এবং মানসম্মত না হয়  তাহলে আপনি অবশ্যই আর্টিকেল টি পড়বেন না। তাই নুতুন কিছু নিয়ে লিখেন। নয়তো পুরনো টাইই মডিফাই করুন নুতুন আঙ্গিকে লিখুন। লক্ষ্য নিন আপনার আর্টিকেল টি সকলকে পড়ারনোর।
ট্রপিকালই আপনাকে তিনটি লক্ষ্য স্থাপন করতে হবে। টা হল –
শ্রোতাকে আপনার লিখা দ্বারা আকৃষ্ট করতে হবে – নির্দিষ্ট কিছু টপিকস বেছে নিতে হবে য়ার দ্বারা শ্রোতা বিষয়টি পড়তে আগ্রহর সৃষ্টি করবে। এমন কিছু লিখুন যেন যাতে শ্রোতার ব্রেইন তাঁকে আদেশ করে সম্পূর্ণটি পড়তে। চোখ যদি দেখেই বোরিং হয়ে যায় তাহলে ব্রেন না পড়ার সিদ্ধান্ত নিবে। আর চোখ সবসময় সুন্দর জিনিস খুজে। সেজন্য লেখার সময় কয়েকটি বিষয় আপনাকে মনে রাখতে হবে সবসময়। পয়েন্ট পয়েন্ট করে সব লিখা যেন পড়তে সুবিধা বোধ করে মানুষ। চোখ সুন্দর জিনিস খুঁজে তাই লেখার মধ্যে আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করলে পাঠকের ব্রেন পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি করে। তাদের কে আপনার লিখা দ্বারা আকৃষ্ট করতে পারলে তারা আপনার ফ্যান, ফলওয়ার হয়ে যাবে। ফলে আপনার সকল কিছুই তারা সংগ্রহে রাখবে। অন্যকে শেয়ার করবে। পড়তে আগ্রহ বাড়াবে। সঙ্গে রিডারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।
২/ নিজের ব্লগে বা ওয়েবসাইটের ট্রাফিক পাওয়ার লক্ষ্য রাখতে হবে -  প্রত্যেকবার বিভিন্ন ব্লগ এ নির্দিষ্ট টপিকস এর টিউন করলে অনেক মানুষ আপনার লিখা পড়তে পারবে যার ফলে আপনার লিখা সম্পর্কে তারা পরিচিত হবে. যদি মানসম্মত্ত এবং তথ্যবহুল হয় তাহলে তারা সর্বদা আপনার লিখা পরবে এবং আপনার লিখা খুজবে যার ফলে ওই নির্দিষ্ট টপিকস এ একজন এক্সপার্ট হিসাবে নিজের সুনাম প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন সঙ্গে তো পাবেনি আনলিমিটেড ট্রাফিক।কেন না শ্রোতা  আপনার ভাল লিখা গুলোই খুঁজবে। উদাহরণ দিতে গেলে একটি কথা বলব আমি নিজেই তাঁর ফ্যান। তাঁর প্রতিটাই লিখা আমি পরি। শুধু অপেক্ষা করি তাঁর লিখা কখন টিউন হবে। তিনি হলেন জেনিসিস ব্লগের প্রতিষ্ঠাতা জনাব ইকরাম ভাইয়া। আরও অনেকে আছে অনেক ভাল লিখেন তবু তাঁর লিখা আমার চোখে সর্ব শ্রেষ্ঠ। তাঁর লিখা পড়ার জন্য আমি সব লিঙ্কেই যেতে রাজি। তেমনি আপনি যদি ভাল মানসম্মত কিছু লিখেন তবে আসা করি রিডার আপনার লিখা খুঁজতে আপনার দেওয়া লিঙ্কে অবশ্যই আসবে। ফলে আপনি ভাল ট্রাফিক পাছেন। তাঁর লক্ষ্য ঠিক করুন।
Guest-blogging
৩/ আপনার ব্লগ বা ওয়েবসাইটের ব্যাকলিঙ্ক তৈরির লক্ষ্য রাখতে হবে – বর্তমানে গুগলের সম্প্রতি পান্ডা এবং পেঙ্গুইন আপডেডের রুল অনুযায়ী লিংক বিল্ডিং এর ক্ষেত্রে গেস্ট ব্লগিং একটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।  নিজের লিখা প্রকাশের মাধ্যমে নিজের সাইট এর জন্য আপনি লিংক বিল্ড করতে পারবেন। যার ফলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার অবস্থান ভালো হবে। আপনার যদি লিংক এর ভ্যালু সম্পর্কে ধারণা থাকে আপনি সহজেই বুঝবেন একটি ভালো সাইট হতে লিংক বিল্ড করার মুল্য কতটা. আর বর্তমানে সার্চ ইঞ্জিন ডুপ্লিকেট কন্টেন্ট এর সাইট কে শাস্তি দিচ্ছে তাই সেই ক্ষেত্রে গেস্ট ব্লগিং আপনার সাইট এর সুনাম রক্ষা করতে সাহায্য করবে। আপনি যখন অথোরেটি সাইটে ব্লগিং করবেন তারা আপনাকে দুইভাবে সাহায্য করবে। একটি হল অথোরেটি সাইটে টিউন করার মাধ্যমে আপনি গুড কোয়ালিটি অথোরেটি ব্যাক লিঙ্ক পাচ্ছেন যা আপনার সাইটের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ ।তাছাড়াও আপনি ব্লগিং কমিনিটির সাথেও ভালো করে পরিচিত হতে পারছেন। এই  কাজটি ব্যক্তিগত ভাবে আমি করি এবং এটা যে কত কাজের তা আমিই জানি তাই আপনি ট্রাই করে দেখতে পারেন। আপনার ব্লগে নতুন টিউন পাবলিশড করার পর পরই চেষ্টা করবেন সেই টিউনের পারমালিংকের উপর অন্তত ৪-৫ টি হাই কোয়ালিটি অথোরিটি ব্যাক লিঙ্ক তৈরি করা সেটা যেভাবেই হোক। আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই বলছি গেস্ট ব্লগ ই হল শ্রেষ্ঠ।

কিন্তু আপনাকে এটা সর্বদা মনে রাখতে হবে যে গেস্ট ব্লগিং কে শুধু লিংক বিল্ডিং এর মাধ্যম হিসাবে নিলে ভুল করবেন। উপরে আমি যেই কয় একটা বিষয় এর কথা বলেছি এগুলো সবই গুরত্বপূর্ণ। যদি আপনি শুধুমাত্র লিংক বিল্ড এর কথা ভাবেন তাহলে আপনার আর্টিকেল কখনই মানসম্মত্ত হবেনা। আর মানসম্মত্ত নাহলে আপনার আর্টিকেল ব্লগার কখনই তা গ্রহণ করবেনা। বিশেষ করে যখন তারা বুঝবে যে আপনার টার্গেট শুধু লিংক বিল্ড করা। হয়ত কিছু নিচু মানের ব্লগ এ আপনি আপনার লিখা পাবলিস করতেও পারেবন কিন্তু সেটার তেমন মুল্য থাকবেনা বরং কোনো ক্ষেত্রে তা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

 গেস্ট ব্লগিং এবং আর্টিকেল মার্কেটিং এক নয় :

মনে রাখবেন গেস্ট ব্লগিং এবং আর্টিকেল মার্কেটিং এক নয়। গেস্ট ব্লগিং এর জন্য আপনার ইউনিক আর্টিকেল লাগবে যেটা আর্টিকেল মার্কেটিং এর ক্ষেত্রেও লাগে। কিন্তু মাঝে মাঝে স্পিন কন্টেন্ট দিয়েও কাজ করা যায় যেটা গেস্ট ব্লগিং এ সম্ভভ নয়। এছাড়া আর্টিকেল মার্কেটিং শু্ধুমাত্র আপনাকে লিংক ছাড়া তেমন কিছু দিবেনা কিন্তু গেস্ট ব্লগিং আপনাকে লিংক ছাড়া নিজের ব্র্যান্ড তৈরিতে, সুনাম প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে, নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে. তাই ২ টাকে এক জিনিস  ভাবার কারণ নাই। ভাল ও মানসম্মত কনটেন্ট নিয়ে গেস্ট ব্লগিং করুন আশা করি ভাল ফলাফল পাবেন।

কিভাবে গেস্ট ব্লগিং এর সহজে খুঁজে পাবেন :

গেস্ট ব্লগিং খুঁজে পাবার কিছু মাধ্যম আছে। আপনি তাদের সুত্র ও বলতে পারেন। সুত্র গুলো মেনে চললেই হয়তো ভাল গেস্ট ব্লগিং গুলো খুঁজে পাবেন। আমরা তো গুগলে সার্চ করতে সবাই পারি। সিম্পল একটি কাজ নিচে দেওয়া কোড দিয়ে গুগল এ সার্চ দেন।
•    “Submit a guest post”
•    ”submit post”
•    ‘’Submit blog post’’
•    ”Add blog post”
•    ”Submit an article”
•    ”Suggest a guest post”
আপনি দেখছেন সবগুলা কোটেসন মার্ক দিয়ে লিখা হয়েছে। কোটেসন মার্ক গুলো ভুলেও বাদ দিয়েন না। কোটেসন মার্ক গুলো দিয়ে গুগলে সার্চ দেওয়ায় গুগল আমাদের কে সঠিক রেজাল্ট টা দিবে. নিচের ছবিটা খেয়াল করুন:-
1

হু আর একটি কোড আসে টা হল ওয়াইল্ড কার্ড অপারেটর(*)।এই কোডটি ব্যবহার করে গেস্ট ব্লগিং  এর সাইট খুঁজে বের করা যায়। কোটেসন মার্ক বেবহার করলে রেজাল্ট ফিল্টার করে বের করা যায়। কিন্তু এর ফলে অনেক সুযোগ হাতছাড়া হয়। অন্য অনেক রেজাল্ট এড়ানো হয় যা কিনা আমাদের কাজে লাগত। তাই সেই ক্ষেত্রে ওয়াইল্ড কার্ড অপারেটর(*) এই মার্ক বেবহার করা যায়। নিচের ছবিটি লক্ষ্য করুন –
2

এছাড়াও আরো কিছু নিয়ম আছে যা গুগল এ খুজলেই পেয়ে যাবেন। তাছাড়া সবচে ভালো হয় নিজের পরিচিত নেটওয়ার্ক এ কাজ শুরু করলে। যেমন আপনার বন্ধুর আপনার সাইট রিলেটেড ব্লগ আছে। আপনি তার সাথে যোগাযোগ করে গেস্ট টিউন করতে পারেন।

গেস্ট ব্লগিং নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু পর্বের মাধ্যমে লিখবো। পরবর্তী টিউনে থাকছে গেস্ট ব্লগিং নিয়ে বিশেষ চমক। সাথে থাকবে আরনিং এর বিশেষ পর্ব। যা দ্বারা সাধারণ নলেজ থাকলেই আপনি সফল হবেন।

টিউন টি আগে এখানে প্রকাশ করেছি

এ টিউনটি পড়ার পর আশা করব, সকলে পরবর্তী টিউন পড়ার জন্য অপেক্ষা করবেন। যেকোনো সমস্যা হলে ফেসবুক এ আমাকে জানাতে পারেন। তবে আজে বাজে এস এম এস দিয়ে দয়া করে বিরক্ত করবেন না। এই সমসায় পড়ে মাঝে মাঝে মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পরি। কাজে মন দিতে পারি না। ফেসবক ডিএকটিভ করতে মন চায়। যেকোনো হেল্প লাগলে নক দিয়েন সমাধান দিতে পারলে অবশ্যই দিব।

Level 0

আমি নাসরিন আক্তার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 11 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 8 টি টিউন ও 13 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

সুন্দর গেস্ট ব্লগিং । অনেক কিছূ শিখলাম । ধন্যবাদ ।

সেইরাম জিনিস শিখলুম। চালিয়ে যান। বেশি বেশি চাই টেকটিউনসের জন্য। ফিচার টিউন চাই, যা অনেক্ষন ধরে পড়বো।
ধন্যবাদ। 🙂

ভাল পোস্ট । নতুন কিছু শিখলাম ।

Level 0

অনেক দরকারি একটা পোস্ট! ধন্যবাদ !

একদম কাজের কথা বলেছেন

বাহ ! বেশ ভালোই হয়েছে পোস্টটি ! 🙂

Level 2

লেখাটা খুব সুন্দর হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাকরণিক উৎকর্ষতা, ভাষার সৌন্দর্য্য। ধন্যবাদ আপু। আগামী লেখার অপেক্ষায় আছি।

মান সম্মত লেখা, ভালো হইছে 🙂

প্রিয় নাসরিন আক্তার,

আমি টেকটিউনস কমিউনিটি ম্যানেজার, শোয়াইব,

টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করতে চাচ্ছি। টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করার জন্য http://techtun.es/2obSQxE লিংকটিতে ক্লিক করে আপনার সাথে যোগাযোগের প্রয়োজনীয় তথ্য সাবমিট করে আমাদের সাহায্য করবেন আশা করছি।

ছদ্ম ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact পরিহার করে আপনার প্রকৃত/আসল ছবি, নাম, ইমেইল, ফোন, ঠিকানা ও সৌশল Contact দিন। যেহেতু টেকটিউনস থেকে আপনার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ করা হবে।

সাবমিট করার পর আমাদের এই ম্যাসেজের রিপ্লাই আপনার কাছ থেকে আশা করছি।

বিশেষ নোট: আপনি যদি পূর্বে আমাদের এই ম্যাসেজ পেয়ে ফর্মটি সাবমিট করে থাকেন তবে আর পুনরায় সাবমিট করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু যদি আপনি এখনও আমাদের এই ফর্মটি পেয়ে সাবমিট করে না থাকেন তবে অবশ্যই এখনই সাবমিট করুন এবং সাবমিট করার পর অবশ্যই আমাদের এই ম্যাসেজের রিপ্লাই দিন।

ধন্যবাদ আপনাকে।

দারুন