SEO করে ইনকাম করতে চাইলে এই টিউনটি আপনার জন্য

টিউন বিভাগ এসইও
প্রকাশিত
জোসস করেছেন

এই টিউনে আমি SEO এর ব্যাসিক নিয়ে পরিপূর্ণভাবে আলোচনা করেছি। যথেষ্ট টাইম ও শ্রম দিয়ে অনেক কষ্ট করে লিখেছি, পর্যাপ্ত মন্তব্য আশা করছি। আপনার যেকোনো মন্তব্য গ্রহন করা হবে। প্রথমেই বলে রাখি, এই কন্টেন্ট টা সম্পূর্ণ বিগেনার ও মিড লেভেলদের জন্য, এক্সপার্টরা দৃষ্টি না দিয়ে যেতে পারেন পক্ষান্তরে পড়তেও পারেন।

বর্তমানে একটানা জগতে অনেক ধরনের পেশা বিদ্যমান তার মধ্যে মডার্ন প্রচার সর্বসেরা একটি পেশা। তথ্য প্রযুক্তি যেমনঃ দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে, প্রচুর অনলাইনে অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে। যার ফলে প্রতিটা কোম্পানি ডিজিটাল এর সঙ্গে জড়িত হলো আর এইজন্নই এজেন্সি গুলোতে অনেক আধুনিক মার্কেটার দরকার হচ্ছে। বর্তমান যুগ মডার্ন যুগ। আপনি পৃথিবীতে বাস করছেন ডিজিটাল টেকনোলজির মাঝে। সেই হিসেবে আপনার ব্যবসায় সফলতা পেতে নিশ্চয়ই আধুনিক প্রচার নির্ভুলভাবে করার জন্য হবে। আপনি ট্র্যাডিশনাল প্রচার হতে তুলনা মুলক ভাবে কম খরচে স্মার্ট প্রচার এর সাহায্যে যেকোনো পণ্যের বিস্তার ও মার্কেটিং করা যায়।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্ব, চলুন পরিসংখ্যান দেখি

আমরা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট নিয়ে একটু অনুমান করি। বিশ্বে যেখানে এখনকার দিনে ৪০০ কোটির বহু মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে তার সঙ্গে তার মধ্যে ৩০০ কোটির বেশি মানুষ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়া প্রয়োগ করে থাকে। (সূত্র- statista.com) সেখানেবাংলাদেশের ১৬ কোটি জনগনের প্রায় ৮ কোটিরও বেশী সাম্প্রতিক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। (সূত্র- btrc.gov.bd) সেই সাথে সনামধন্য যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৩ কোটি। যেখানে ২০১২ সালে সর্বমোট ইন্টারনেট ইউজার ছিল মাত্র ৩১ হাজারের একটু অধিক (সূত্র- btrc.gov.bd)। আর সে টাইমে ফেসবুকের ইউজার ছিল তো গুটি কয়েকটি মানুষ। এই পরিসংখ্যান থেকেই বোঝা যায় কেন দিন দিন মডার্ন প্রচার এত সনামধন্য হচ্ছে। তাছাড়াও মডার্ন প্রচার এর গুরুত্ব অনেক, সাম্পপ্রতিককালে মাঝারি ও সুবিশাল পর্যায়ের প্রায় সব ব্যবসাকে প্রমোট করার জন্য আধুনিক প্রচার করার জন্য হয় এমনকি ছোট খাটো ব্যবসায় গুলোতেও আধুনিক মার্কেটার দরকার হচ্ছে।

এবার আসা যাক SEO-এর দুনিয়ায়

আমরা সকালে উঠে শুরুতে কি করি, স্মার্টফোন হাতে নেই, গতকাল ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম, কতটা লাইক পরেছে, কতটা টিউমেন্ট পরেছে সেগুলো চেক করি, কিংবা অন্য কেউ Post করলো কিনা, কি Post করেছে সেইটা দেখার চেষ্টা করি। অনেকেই আবার নিদ্রা হতে উঠে অফিসের মেইল চেক করছি, ক্লায়েন্টের কোন মেইল আসছে কিনা দেখছি, ই-কমার্স বাজারে নতুন কোন পন্য আসতে চলেছে কিনা খুঁজে দেখি, এইভাবে প্রায় সকলেই অনলাইনের সাথে জড়িয়ে যাচ্ছি। এতে করে এক পক্ষ্যকে কিন্ত সুযোগ করে দিচ্ছি, আর তারা হলো আধুনিক মার্কেটার। তারমানে বুঝতেই পারছেন, ডিজিটাল মার্কেটিং কতটা জরুরি ও প্রয়োজনীয়।

ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায়

  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাউজেশন (SEO)
  • সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং (SEM)
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং
  • ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট মার্কেটিং
  • কন্টেন্ট অটোমেশন
  • ডিজিটাল ডিসপ্লে বিজ্ঞাপণ
  • ভাইরাল মার্কেটিং
  • ইমেইল মার্কেটিং
  • ক্যাম্পেইন মার্কেটিং
  • অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং
  • ডাটা-ড্রাইভেন মার্কেটিং
  • ইন্টারেক্টিভ মার্কেটিং
  • ই-কমার্স মার্কেটিং
  • টার্গেটেড রিমার্কেটিং
  • এবং স্পন্সর মার্কেটিং স্ট্রেটেজি অন্যতম।

এছাড়াও বিদ্যমান অনেক প্রচার স্ট্রেটেজি, সময়, ট্রেন্ড ও সিচুয়েশন বুঝে মার্কেটিং এর বিভিন্ন কৌশল আপ্লাই করতে হয়, তাহলে জানানো যায় মডার্ন মার্কেটিং প্রচুর বিশাল একটা সেক্টর। ডিজিটাল মার্কেটিং এর সর্বসেরা ১টি অংশ হচ্ছে এসইওডিজিটাল প্রচার এর সর্বসেরা একটি পার্ট হচ্ছে এসইও। এসইও কাজের চাহিদা রয়েছে অনেক। আজকে কেবলমাত্র এসইও সম্পর্কে ব্যাসিক পরিপূর্ণভাবে অনুমান দেওয়ার চেষ্টা করবো। আচ্ছা স্মার্ট প্রচার এর সংজ্ঞাটা দিয়ে ফেলি তাহলে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন টা বুঝতে এ জাতীয় সহজ হবে।

একমাত্র মার্কেটিং বলতে আমরা কি বুঝি, যেকোনো পণ্য কিংবা সেবা, বিজ্ঞাপণ বা প্রচারণা করে বিক্রয় করা। ডিজিটাল মার্কেটিং বলতে, যেকোনো মডার্ন টেকনোলজি ব্যবহার করে, প্রধানত ইন্টারনেট তার সঙ্গে এইরকম অন্যান্য ডিজিটাল টুলস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে যেকোনো পণ্যের বা সেবার অ্যাডভারটাইজমেন্ট ও প্রচার করাকে বোঝায়। অর্থাৎ, আধুনিক মার্কেটিং এর স্তর যেমনঃ খোঁজ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশান (এসইও), খোঁজ ইঞ্জিন মার্কেটিং (এসইএম), সামাজিক গণমাধ্যম প্রচার (এসএমএম), সোশাল মিডিয়া অপ্টিমাইজেশান, ই-মেইল মার্কেটিং, কনটেন্ট মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং, ই-কমার্স মার্কেটিং, ডিসপ্লে অ্যাডভারটাইজিং, টিভি অ্যাডভারটিজিং, মোবাইল ফোন এসএমএস তার সাথে এমএমএস, কলব্যাক, তার সাথে ইলেক্ট্রনিক্স বিলবোর্ডসহ এ জাতীয় যন্ত্রের মাধ্যমে নির্ভুল এবং খাটি ভাবে যেকোনো পণ্য বা সেবা নির্দিষ্ট কোনো বায়ার বা ভোক্তার নিকট পৌঁছানোকেই আধুনিক প্রচার বলে।

তাহলে এখন বুঝতেই পারছেন, আধুনিক প্রচার প্রচুর বড় একটা ডিপার্টমেন্ট, এটা থেকে পারেন ইন্টারনেটে কিংবা অফলাইনে, কিন্তু আধুনিক তার সঙ্গে ইলেকট্রনি মিডিয়ার সাহায্যে হবে এবং বেশির ভাগ কাজ হবে অনলাইনের মাধ্যমে। বেশির ভাগ বলতে বুঝাচ্ছি ৯০% প্রচার ইন্টারনেটে। এখন কি বুঝলেন, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন টা আসলে কি? জানানো যায় সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হলো মডার্ন প্রচার এর অন্যতম, গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহৎ পার্ট বা উপায়। ডিজিটাল প্রচার করার জন্য গেলে প্রথমেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর কথা সবার শুরুতে আসে। তাহলে আমরা প্রথমে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন দিয়েই শুরু করবো। অর্থাৎ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন সম্পর্কে বিস্তারিত আন্দাজ নেওয়া ট্রাই করবো।

সহজ ভাষায় এসইও আসলে কী?

এসইও এর পুরো এলাভোরেশন হলো –সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO – Search Engine Optimization)। মূল বিষয় গুলো মাথায় রেখে অধিকাংশই অনেক ভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর সংজ্ঞা দিয়ে থাকেন, সবগুলোই সঠিক। আমি সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর সংজ্ঞা যেরকম ভাবে দিয়ে থাকি অলওয়েজ -এসইও হলো এমন কয়েকটি পদ্ধতি, যে পদ্ধতি গুলো নির্ভর করে সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে যেকোনো ধরনের ওয়েবসাইটকে প্রোমোট করা যায়। যদি একটু গভীর ভাবে বলি – সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন হল কয়েকটি বিধান আইন বা টেকনিক যার মাধ্যমে যেকোনো একটা ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের অনুসন্ধান ইঞ্জিন (যেমন- গুগল, বিং ইয়াহু) থেকে বেশি পরিমানে পরিদর্শক বা ট্রাফিক বিনামূল্যে নিয়ে আসা।

এক কথায়, যদি আমরা আমাদের ওয়েবসাইট গুলোতে ট্রাফিক আনতে চাই, তাহলেই এসইও করা দরকার। একটা ওয়েবসাইট কে যদি অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুলোতে ১ম পেইজ তার সাথে ১ম পজিশনে নিয়ে আসতে পারি, তাহলে বিনামূল্যে অনেক ট্রাফিক পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। যদি ১ম পেইজে ও প্রথম পজিশনে আনতে চাই, তাহলেই ওয়েবসাইটকে ঠিকভাবে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করা প্রয়োজন। খুব সরল ভাষায় বলছি, আপনার ওয়েবসাইটে ফ্রিতে পর্যবেক্ষক নিয়ে আসতে চাইলে এসইও করার জন্য হবে।

এসইও সম্মন্ধে শুরু হতে শেষ পর্যন্ত জানতে হলে, ধারাবাহিকভাবে পড়ে যেতে হবে এবং সাথে সঙ্গে অনুশীলন ও গুগলে রির্সাচ করার জন্য হবে। কতিপয় কয়েকটি টেকনিক্যাল ব্যাপার অতিশয় ভালোভাবে মনে রাখতে হবে। এসইও সম্পর্কে এই সিরিজে বিস্তারিত জানতে পারবেন, আমি যতটুকু জানি নির্ভুল ততটুকু জানাবো। তারজন্য আপনাকে স্তরে ধাপে পড়ে যেতে হবে।

আচ্ছা যাইহোক, আশাকরি কিছুটা ধারণা পেয়েছেন, এসইও টা কি? আরেকটু সোজা করার ট্রাই করছি, আমরা গুগলে হাজার হাজার ওয়েবসাইট দেখতে পায়, আপনি যখন কোন একটা কী ওয়ার্ড (ছোট করে বলি, কী ওয়ার্ড হচ্ছে গুগলে বা ইউটিউবে যা লিখে অনুসন্ধান দেয় সেই গুলোই এক একটা কী ওয়ার্ড) কী ওয়ার্ড দ্বারা গুগলে অনুসন্ধান করবেন, সেই টাইম কিন্ত গুগলের প্রথম পেইজে ১০টা ওয়েবসাইট দেখায়, নিচে দেখতে পারবেন ২য়, ৩য়, ৪র্থ এরকম প্রচুর পেইজে ১০টা ১০টা পর্যাপ্ত ওয়েবসাইট রয়েছে। কিন্ত আপনি যখন কোন কতিপয় গুগল হতে খুঁজে বের করার জন্য যাবেন সেই সময় তো সব ওয়েবসাইটে যাবেন না, একারণে না।

শুধুমাত্র ১ম পেইজে থাকা ১, ২, ৩ নাম্বার এর মধ্যে যেকোনো একটা সাইটে প্রবেশ করছেন, আপনার কাঙ্খিত ইনফরমেশন পাওয়া জন্য। তাহলে অবশিষ্ট ওয়েবসাইট গুলো তো পরিদর্শক পাচ্ছে না, আর ওয়েবসাইটে পরিদর্শক না থাকা মানে, কাস্টমার ছাড়া দোকান, ওয়েবসাইট থেকে করার জন্য হলে, ওয়েবসাইট দিয়ে বিজনেস করার জন্য হলে নিশ্চয়ই অনেক ট্রাফিক নিয়ে আসতে হবে। অর্থাৎ কাস্টমার নাই, আপনার বিজনেস ও নাই, লাভ লস পড়ে হিসাব করবেন। আশাকরি এইবার বুজাতে পেরেছেন, না বোঝে থাকে তাহলে আবার পড়ুন।

আপনার অনলাইন ব্যবসার জন্য SEO কেন অপরিহার্য?

অনলাইন বিজনেস করার সেরা ও উত্তম ধাপ হচ্ছে প্রথমেই একটা ওয়েবসাইট থাকা। আপনি একটা অনলাইন বিজনেস দিয়েছেন, একটা ওয়েবসাইট বানিয়েছেন আপনি বা ডেভেলপার দ্বারা, এরপর এখানে নানারকম ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রয় করবেন অথবা কোন পরিসেবা দিবেন। এখন আপনার প্রোডাক্ট বা পরিসেবা বিক্রয় করার জন্য কাস্টমার দরকার (অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর ভাষায় ট্রাফিক)। যেকোনো কাস্টমার আয়োজন করলেই কিন্ত শক্তিস্তর হবে না, নিশ্চয়ই আপনার পণ্য রিলেটেড থেকে হবে। অর্থাৎ আপনার টার্গেটেড লোকদেরকে জানাতে হবে আপনার একটা বিজনেস আছে। আর ফ্রিতে জানানোর মাধ্যমটাই হচ্ছে এসইও। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ব্যতীত আপনি আপনার বিজনেস প্রমোট করার জন্য পারবেন না, প্রচার করার সেরা উপায় হলো এসইও। এইটাও বলতে পারি যে, সঠিক এসইও ব্যতীত আপনি অনলাইনে আপনার ব্যবসার মার্কেটিং করার জন্য পারবেন না। তাই অনলইনে ব্যবসা শুরু করে প্রতিষ্ঠা করার জন্য হলে, যেকোনো অনলাইন ব্যবসাকে বেশ সুন্দর পজিশনে নিয়ে যেতে হলে ওয়েবসাইট দরকার, আর যেখানেই ওয়েবসাইট সেখানেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন প্রয়োজন।

যেকোনো ওয়েবসাইটের জন্য SEO কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

আগের কথাই, আপনার ওয়েবসাইটে পরিদর্শক না থাকলে, সেই ওয়েবসাইট দিয়ে কিছুই করার জন্য পারবেন না। ওয়েবসাইট খুলে লাভ নেই যদি অনেক পরিদর্শক না থাকে তার সঙ্গে প্রচুর পরিদর্শক ব্যতীত আপনি আপনার পন্য শক্তিস্তর করতে পারবেন না, ট্রাফিক ব্যতীত ওয়েবসাইট মানে, কাস্টমার ছাড়া দোকান। একারণে প্রতিটা ওয়েবসাইটকেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করার জন্য হবে। প্রতিটা ওয়েবসাইটকে অত্যন্ত মর্যাদা সহকারে অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করা আবশ্যক, যদি ওয়েবসাইট থেকে করার জন্য চান বা আপনার কোন পন্য বা সার্ভিস শক্তিস্তর করতে চান।

ক্যারিয়ার হিসেবে SEO. আপনার ভবিষ্যৎ কতটা উজ্জ্বল?

কেন ক্যারিয়ার হিসেবে অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কে বেঁচে নিবেন? এইটা কি আধৌ চমৎকার সিদ্ধান্ত হবে আপনার জন্য? ভবিষ্যতে কি এইটার প্রাইস থাকবে? জবের ক্ষেত্র কিরকম বিদ্যমান বাংলাদেশে বা বিশ্বে? সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন শিখে কোথায় কোথায় জব করা বা কাজ করা যাবে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এক্সাপার্ট হয়ে কিরকম আয় করা যায়। এরকম পর্যাপ্ত প্রশ্নই আপনার মনে থাকতে পারে।

আসলে, এক কথায় যদি বলি – এসইও এক্সপার্টদের এখনকার দিনে প্রচুর ভ্যালু রয়েছে। একজন স্কিলফুল সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারের কাজের ক্ষেত্রের অপ্রাচুর্য নেই দেশে বা সারা জগতে বলেন। আপনি চাইলে ইন্টারনেটে ও কাজ করার জন্য পারেন পক্ষান্তরে অফলাইনে কোন কোম্পানির সঙ্গে ও কাজ করার জন্য পারেন। তারজন্য নিশ্চয়ই আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এক্সপার্ট হতে হবে তার সাথে এ টো জেড প্রচুর খাটি ভাবে জানতে হবে।

সাম্প্রতিক সময়ে একটি ওয়েবসাইটের অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন নিরতিশয় তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়। সময় তার সঙ্গে কাজের ধরনের এই পরিবর্তনে যুগোপযোগি পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। যারা এই পেশার সাথে সম্পৃক্ত তাদের অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপটিমাইজার বলা হয় বা এসইও এক্সপার্ট বলা হয়।

বাংলাদেশেই হাজার হাজার তরুণ তরুণী খোঁজ ইঞ্জিন অপটিমাইজার হিসেবে প্রতি মাসের মধ্যেই হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। ইন্টারনেটে বিভিন্ন ধরনের মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন, অন্য কোন রাষ্ট্রের সাথেও সরাসরি কক্ষে বসে কাজ করার জন্য পারবেন অনালাইনে। হাঁ ভবিষ্যতেও এইটার ভ্যালু থাকবে। যতদিন ওয়েবসাইট থাকবে, ইন্টারনেট থাকবে, ফেইসবুক, ইউটিউব থাকবে ঠিক ততদিন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর প্রয়োজন হবে, ততদিন সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর কাজ পাওয়া যাবে।

আপওয়ার্ক বাজারে এ নোটিশ গেছে প্রায় ৫ হাজারের অধিক সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের কাজ পাওয়া যায়। ফ্রিল্যান্সার.কম অনলাইন মার্কেটপ্লেসটিতেও প্রায় দুই হাজারের বেশি প্রজেক্ট রয়েছে। তার সাথে অনলাইন মার্কেটপ্লেসের ভিতরে সেরা হচ্ছে ফাইবার.কম এখানেও অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন রিলেটেড ৫ ডলার হতে শুরু করে ১০০০/২০০০ ডলারের পরিসেবা দেওয়া যায়। এগুলো ঘন্টাচুক্তিতে বা ফিক্সড প্রাইসে করা যায়। এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজারকে পসিবল হলে লোকাল মার্কেটের কয়েকটি কাজ করে পার্সোনাল ব্র্যান্ডিং দর বাড়ানো উচিত। এতে জাতীয় বা আন্তর্জাতিকভাবে কাজ প্রাপ্তির নিশ্চয়তা থাকে। লোকাল বৃহৎ বড় কোম্পানি আপনাকে হায়ার করে নিবে যখন অনেক এক্সপিরিয়েন্স হবে। বাংলাদেশের প্রচুর সংস্থা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন স্কিলফুল হায়ার করে নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।

SEO শেখার পর আপনার জন্য কী কী পথ খোলা আছে?

এসইও শিখে কি করবেন, এত কষ্ট করে শিখে লাভ কি হবে? দিনের পর দিন গবেষণা করে কি করবেন? আপনি কি কি ধরনের কাজ করতে পারবেন? ছলনাহীন ভাষায় যদি বলি, অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন শিখে কিভাবে আপনি ইনকাম করবেন? এ জাতীয় ও প্রশ্ন আপনার মনে আসতে পারে। আপনার অনলাইন কোন বিজনেস থাকলে, সেইটাকে এ জাতীয় উন্নত করার জন্য পারবেন, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন দ্বারা বিজনেসের সেল বাড়াতে পারবেন।

Anything online that actually require traffic, online a website, blogging, e-commerce website, affiliate marketing etc.

এসইও শিখার পর কি ধরনের কাজ করার জন্য পারবেন, ডিটেইলস জানুন

  1. আপনি ইন্টারনেটে ব্যবসা করার জন্য পারবেনঃ

    হাঁ, আপনি চাইলে নিজের একটা ব্যবসা ইন্টারনেটে করতে পারবেন এসইও শিখার পর। অফলাইনে তো হাজার হাজার বিজনেস দেখছেন প্রতিষ্ঠা হতে। কিন্তু ইদানিং অনলাইনে ও প্রচুর বিজনেস দিন দিন প্রতিষ্ঠা হচ্ছে। অনেকেই ই কমার্স বিজনেস করছে, আপনি ও চাইলে করার জন্য পারবেন। এসইও জানা থাকে তাহলে প্রচুর পর্যাপ্ত ভালো ভাবে মার্কেট ধরতে পারবেন তার সঙ্গে নিজের ব্যবসাকে প্রমোট করার জন্য পারবেন। নিজের কোন ওয়েবসাইট থাকে তাহলে সেখানেও যেকোনো সেবা প্রোভাইড করার জন্য পারবেন। মনে করুন আপনি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ঘড়ি সেল করবেন, তাহলে একটা ওয়েবসাইট ওপেন করার জন্য পারেন, এবং এসইও করার মাধ্যমে ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারবেন, আর অনেক টার্গেটেড ট্রাফিক নিয়ে আসতে পারলে ঘড়ি গুলো খুব সহজেই শক্তিস্তর করার জন্য পারবেন।

  2. অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন শিখে আপনি ব্লগিং করার জন্য পারবেনঃ

    এসইও শিখে আপনি বিভিন্ন ধরনের সিংগেল নিস সাইট বা মাল্টি নিস সাইট প্রস্তুত করতে পারবেন। এককথায় যাকে আমরা ব্লগিং বলে থাকি, হাঁ ব্লগিং করে সাম্প্রতিক কালে হাজার হাজার ডলার রোজগার করছে স্কিলফুল সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এক্সপার্টরা। ব্লগিং কাকে বলে? কোন একটা বিষয়বস্তু বা বিষয় সম্পর্কে দিন দিন পর্যায়ক্রমে আর্টিকেল পাব্লিশ করাকেই ব্লগিং বলে। কল্পনা করুন আপনি একজন একাউন্টিং বা ম্যানেজমেন্ট এর ছাত্র, আপনি চাইলে এই বিষয় গুলোর ওপর বিভিন্ন ধরনের কার্যকরী ইনফরমেশন দিয়ে আর্টিকেল লিখতে পারেন, দিন দিন আপনার ওয়েবসাইট এ আর্টিকেল পাব্লিশ করাকে ব্লগিং বলে। ব্লগিং করে অধিক আয় করার জন্য পারবেন। ওয়েবসাইটে বিভিন ধরনের ইনফোরমেটিভ ও কার্যকরী তথ্য দিয়ে বা যেকোনো ধরনের সার্ভিস দিয়ে শুরু করার জন্য পারবেন আপনার নিজস্ব ব্লগিং সাইট। সেখান হতে অ্যাডসেন্সে করতে পারবেন। ব্লগিং এ ট্রাফিক নিয়ে আসতে হলে নিশ্চয়ই সবগুলো কন্টেন্টকে এসইও করতে হবে। আর ট্রাফিক প্রচুর হলে অ্যাডসেন্স ছাড়াও আরও অনেক উপায়ে টাকা করার জন্য পারবেন। যদি আপনার সাইটের লক্ষ্য হয় লোকাল তাহলে লোকাল কোন কোম্পানির অ্যাড দিয়ে ও রোজগার করার জন্য পারবেন। যদি গ্লোবালি ওয়েবসাইট বানান, তাহলে অ্যাডসেন্স দিয়ে প্রচুর করার জন্য পারবেন। এছাড়াও আছে মিডিয়া.নেট তা সত্ত্বেও তার জন্য নিশ্চয়ই প্রথম বিশ্বের দেশ গুলোতে হতে ট্রাফিক আনতে হবে। আর এইজন্য়ই আপনার বেশ ভালো ভাবে জানা কর্তব্য অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন কিভাবে করতে হয়। যারা ব্লগিং চালু করছেন, তাদের উদ্দেশ্যে -"একটা সন্তুষ্ঠজনক কথা সবসময় মাথাই রাখা উচিত, সেটি হচ্ছে সঠিক, কোন কিছু লেখার টাইম সৎ এবং নির্ভুল তথ্য দেওয়ার জন্য হবে, কোন ব্যক্তি বা ইন্সটিটিউট সম্পর্কে ভ্রান্তি তার সাথে ব্রিভান্তিকর তথ্য দেওয়া যাবে না। অর্থাৎ, তর্ক বিতর্কের বা ভিত্তিহীন বিভ্রান্তিকর কোন আর্টিকেল দেওয়া যাবে না। "

    ব্লগিং ওয়েবসাইট বানিয়ে প্রচুর ভাবে করা যায়, তার মধ্যে সেরা হলো গুগল অ্যাডসেন্স দিয়ে রোজগার করা। AdSense পাবার সর্বাপেক্ষা উপায়।

    1. ইংরেজী কন্টেন্ট হলে কপি ফ্রি ৬-১০টা ইউনিক Post করুন। বাংলা হলে ১০-১৫টা ইউনিক পোস্ট করুন।
    2. প্রতিটা Post-এ কমপক্ষে একটা ফটো রাখন, ২/৩ টি হলে ভালো হয় তার সাথে ফটো গুলোর সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করুন।
    3. ওয়েবসাইটের থিম/ট্যামপ্লেট/ডিজাইন এক্সট্রা গর্জিয়াস করবেণ না, চেষ্টা করবেন একদম সিম্পল রাখতে।
    4. ওয়েবসাইটের ল্যান্ডিং/হোম পেইজ এর লোডিং সময় যাতে কম থাকে সেদিকে লক্ষ রাখুন।
    5. Contact Us, About Us, Privacy Policy এই ৩টা পেইজ নিশ্চয়ই থাকতে হবে।
    6. Google এর নিজস্ব প্ল্যাটফর্ম Blogger এ সাইট হলে AdSense পাওয়ার সম্ভাবনা অন্য প্ল্যাটফর্ম এর তুলনায় ১০-২০% বেশি। অথচ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে আমরা করবো, রিজন ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে করলে সহজেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করার জন্য পারবো। যেহেতু সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন ছাড়া উপায় নাই, একারণে যে সাইট দিলে সহজেই অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন করার জন্য পারবো, সেটি দিয়ে করবো, অর্থাৎ ওয়ার্ডপ্রেস দিয়ে সাইট সৃষ্টি করবো।
    7. সাইট অবশ্যই পর্যাপ্ত পরিষ্কারভাবে Google Search Console এ সাবমিট করা থাকতে হবে।
    8. AdSense অ্যাপ্লাই করার সময় ওয়েবসাইটে যেনো কোন এডাল্ট কন্টেন্ট তার সাথে অন্য কোম্পানির Ad/Affiliate Link/Promote Link etc. না থাকে।
    9. AdSense আপিল করার সময় ওয়েবসাইটে কোন কিছুর ডাউনলোড ইউআরএল Post না করাই ভালো। কারন এতে গুগল মনে করে আপনি ঐ এপ বা প্রোডাক্ট টাকে প্রমোট করছেন।

    এই নিয়মগুলো মেনে আবেদন করলে ইনশাআল্লাহ ১-৩ দিনের মধ্যেই এপ্রুভাল ইমেইল পেয়ে যাবেন। তার সাথে করা আরম্ভ করে দিতে পারবেন। সম্প্রতি যত ট্রাফিক নিয়ে আসবেন, তত অ্যাড এ ক্লিক পরবে তার সাথে তত করতে পারবেন।

  3. অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর পরিসেবা দেওয়ার জন্য পারবেনঃ

    আপনি অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এক্সপার্ট, আয়ের কথা ভাবছেন? সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন শিখে টাকা করার সেরা উপায় হচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানি বা ক্লায়েন্টকে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর সেবা দেওয়া। ঘরে বসে ইন্টারনেটে সাম্প্রতিক সারা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর পরিসেবা গুলো দিয়ে পর্যাপ্ত ডলার রোজগার করতে পারবেন। তাছাড়া লোকাল সংগঠন তো আছেই। আপনি চাইলে প্রজেক্ট হিসেবে কাজ করার জন্য পারেন, চাইলে কাজের জায়গায় গিয়ে সার্ভিসেস দেওয়ার জন্য পারবেন। এখন হইতো বলবেন, অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন শিখে কি কি সার্ভিস দেওয়া যায়। কোম্পানির দরকার অনুযায়ী, নিস পরিকল্পনা দেওয়ার জন্য পারবেন, কীওয়ার্ড রির্সাচ করে দিতে পারবেন, কোম্পিটিটর এনালাইসিস করে দিতে পারবেন, তাছাড়া সবচেয়ে জনপ্রিয় কাজ হচ্ছে অন পেইজ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, বন্ধ পেইজ এসইও, বা সম্পূর্ণ ওয়েবসাইট এর অডিট করে দেওয়ার জন্য পারেন। বিস্তারিত এ জাতীয় জানতে পারবেন, যখন এসইও এক্সপার্ট হয়ে যাবেন। কেবল লেগে থাকেন, গুগল ইউটিউবে রির্সাচ করেন আপডেট থাকেন নিয়মিত।

  4. অনলাইন মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করতে পারবেনঃ

    এসই শিখে আপনি ইন্টারনেটে কাজ করার জন্য পারবেন, যেইটা আমরা ফ্রীলাঞ্চিং বলে থাকে। জনপ্রিয় অনলাইন মার্কেট প্লেস হচ্ছে, আপওয়ার্ক, ফ্রীলান্সার, ফাইবার, পিপল লঙ্ঘন আওয়ার সহ আরও প্রচুর ইন্টারনেটে মার্কেটপ্লেস রয়েছে। যেখানে আপনি এসইও এর বিভিন্ন সার্ভিসেস দেওয়ার জন্য পারবেন। তা সত্ত্বেও অবশ্যই আপনাকে পরিষ্কারভাবে কাজ শিখে মার্কেটপ্লেস গুলোতে যেতে হবে। ওখান যারা কাজ করে তারা প্রচুর এক্সপার্ট, তাছাড়া যেহেতু আপনার আমার মতো এইরকম হাজার হাজার অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন দক্ষ কাজ করবে, এজন্য কাজ পাওয়াটাও একটু কঠিন হয়ে পরবে। কিন্তু যতদিন যাবে সঠিক এক্সপেরিয়েন্স বৃদ্ধি পাবে তত কাজ পাবেন। তারজন্য কাজ করে লেগে থাকতে হবে, রির্সাচ করার জন্য হবে। অন্যরা কেমন করে কাজ নিচ্ছে ক্লায়েন্ট থেকে সেগুল ক্লিয়ারভাবে এনালাইসি করার জন্য হবে।

  5. কোন লোকাল কোম্পানিতে জব করার জন্য পারবেনঃ

    এসইও স্কিলফুল হয়ে লোকাল কোন কোম্পানির সাথে সরাসরি ভাবে ভাবে কাজ করার জন্য পারেন। তাদের ওয়েবসাইটে ট্রাফিক নিয়ে প্রবল জন্য আপনাকে হায়ার করবে। সম্প্রতি বাংলাদেশে প্রচুর কাজ পাওয়া যাচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এক্সপার্টদের, নির্দিষ্ট কোন সালারি দিয়ে হায়ার করছে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এক্সপার্টদের। কিংবা আপনি প্রজেক্ট আকারেও কাজ করার জন্য পারবেন। এইটা শিওর রাখেন যে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন নিয়ে আগামিতে আমাদের দেশের পর্যাপ্ত জব পাওয়া যাবে। রিজন দিনের পর অনেকেই ওয়েবসাইট তৈরি করছে, তাহলে কেনই বা অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন শিখবেন না। যারা জব লাইক করেন তারাও কাজ করার জন্য পারবেন প্রজেক্ট আকারে।

  6. অ্যাফিলিয়েট প্রচার করার জন্য পারবেনঃ

    অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে কিছু জানেন কি? পর্যাপ্ত আছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট করে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করছে। সরল করে স্বল্প ল্যাংগুয়েজে বলি, অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে – আপনার ওয়েবসাইট দ্বারা অ্যামাজনের মতো যারা কমিশন দেয় বা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর অ্যারেঞ্জমেন্ট রেখেছে তাদের কোন প্রোডাক্ট শক্তিস্তর করে দিবেন। অর্থাৎ আপনার যদি একটা নিস ওয়েবসাইট থাকে বা প্রস্তুত করেন এবং ওখান অ্যামাজনের কোন প্রোডাক্টের রিলেটেড কন্টেন্ট দেন, তার সাথে প্রচুর টার্গেটেড ট্রাফিক নিয়ে আসেন অতঃপর তারা যদি আপনার ওয়েবসাইট হতে পণ্য কিনার জন্য অ্যামাজন ওয়েবসাইট যায় এবং আপনার রেফারেন্সে কোন কাস্টমার যদি অ্যামাজন হতে প্রোডাক্ট কিনে, তাহলে অ্যামাজন আপনাকে কয়েকটি কমিশন দিবে এইটাই হলো অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। আপনি অ্যাফিলিয়েট প্রচার যেকোনো ইকমার্সের সাথে করতে পারবেন। তাদের পণ্য শক্তিস্তর করে দিবেন তার বিনিময়ে নির্দিষ্ট একটা ডিস্কাউন্ট পাবেন।

  7. এসইও বন্ধুত্বপূর্ণ আর্টিকেল লিখতে পারবেনঃ

    ওয়েবসাইট থেকে করার সর্বসেরা উপায় হচ্ছে কন্টেন্ট, অর্থাৎ ওয়েবসাইট থেকে আয় করার জন্য নিশ্চয়ই আপনাকে কন্টেন্টের ব্যবস্থা করার জন্য হবে। কন্টেন্ট কি? একটা ওয়েবসাইট আমরা যা দেখি সবগুল এক একটি কন্টেন্ট। উদাহরণসরূপ ইমেজ, ভিডিও, আর্টিকেল, ইত্যাদি হচ্ছে কন্টেন্ট। আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য নিশ্চয়ই আপনাকে অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন জানতে হবে। অর্থাৎ গুগলে রাঙ্ক করার জন্য তার সঙ্গে পরিদর্শক বাড়ানোর জন্য জন্য নিশ্চয়ই আপনাকে অনুসন্ধান ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বন্ধুত্বপূর্ণ আর্টিকেল রাইটিং করার জন্য হবে। বর্তমানে এসইও বন্ধুত্বপূর্ণ রাইটিং এর জন্য পর্যাপ্ত সুবিশাল বিশাল এজেন্সি এক্সপার্ট রাইটার খুঁজে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর সঙ্গে রাইটিং এর সামঞ্জস্য থাকে তাহলে ও অধিকাংশই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন তার সাথে সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বন্ধুত্বপূর্ণ কন্টেন্ট রাইটিংকে আলাদা আলাদা পেশা হিসেবে নিয়ে থাকে। আবার অনেকেই একসাথে কাজ করে। আপনি যদি ইংলিশে স্কিলফুল থাকেন তার সাথে লেখা লিখি করার অভ্যাস থাকে, তাহলে এই পেশাটাকে নিয়ে পারেন। এসইও শিখতে হবে শুরুতে অতঃপর অনুসন্ধান ইঞ্জিন

বেসিক শিখার জন্য আপনার সেলফ-স্টাডি গাইড

একটা ডিপার্টমেন্ট, একেবারে শিখা পর্যাপ্ত সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাদের জন্য আমার ছোট একটা টিপস, নিচে দেখেন প্রায় ৪০টা প্রশ্ন দিয়েছি। প্রশ্ন গুলো ১ম হতে সম্পন্ন পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে একটা একটা করে তত্ত্বানুসন্ধান করার জন্য হবে, গুগল, ইউটিউবে।

উদাহরণসরূপ -
=> What is Digital Marketing? এই কীওয়ার্ড টা প্রথমে নিবেন, তারপর গুগলে খোঁজ দিবেন, যে ওয়েবসাইট গুলো আসবে, সেগুলো থেকে ১ম ৫/৬ টা ওয়েবসাইটে ভিজিট করবেন এবং মনোযোগ সহকারে প্রতিটা কন্টেন্ট পড়ার চেষ্টা করবেন。
=> গুগলে রিসার্চ করার পর ইউটিউবে যাবেন, একই ভাবে খোঁজ করবেন, আর ভিডিও দেখার ট্রাই করবেন। আশাকরি, অনেকটা আন্দাজ পেয়ে যাবেন। অন্নতপক্ষে বেসিক একটা স্বচ্ছ ধারণা পাবেন。
=> এইভাবে ৪০টা প্রশ্ন তত্ত্বানুসন্ধান করুন, স্তরে ধাপে。
(ধন্যবাদ)

  1. What is Digital Marketing?
  2. What is the difference between digital marketing and internet marketing?
  3. What is the difference between digital marketing and traditional marketing?
  4. What are the types of digital marketing?
  5. What are the benefits of digital marketing
  6. Why digital marketing is so important?
  7. Is Digital Marketing the future?
  8. What jobs are in digital marketing?
  9. What skills do you need for digital marketing?
  10. How to become a digital marketer?
  11. What is the Website?
  12. What are domain and hosting?
  13. How to buy domain and hosting?
  14. What is a niche?
  15. What is Blog?
  16. What is the difference between website and blog?
  17. Blog or website which is better?
  18. What is the difference between blog and vlog?
  19. How to start an online blog?
  20. The free website creates the list.
  21. What is SEO?
  22. What is SEM?
  23. What is SMM?
  24. What is PPC?
  25. What is CPC?
  26. What is Email Marketing?
  27. What is Affiliate Marketing?
  28. What is CPA Marketing
  29. What is Content Marketing?
  30. What is Inbound Marketing?
  31. What is E-commerce marketing?
  32. What is the difference between SEO and SEM
  33. What is the difference between SEO and SMM
  34. What is the difference between SEO and PPC
  35. What is the difference between PPC and CPC
  36. Which is better SEO or SEM?
  37. Why SEO and SMM are more important?
  38. Digital Marketing glossary.
  39. Introduce Digital Marketing experts in the world.
  40. Some important websites for learning Digital Marketing update

কাজের ধরন অনুযায়ী SEO-এর প্রকারভেদ

Word Perspective a এসইওকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়,

  1. On Page SEO
  2. Technical SEO
  3. Off Page SEO

What is On Page SEO?

একটা ওয়েবসাইট এর মধ্যে যে কাজ গুলো করা যায়, সবই হলো On page SEO. অর্থাৎ ট্রাফিক আনার জন্য একটা সাইটের ভিতরে যেসব কার্যক্রম করা হয়, সব কয়েকটি On page SEO তে পড়ে। (বিস্তারিত এইরকম প্রচুর কতিপয় আছে)

What is Technical SEO?

অনেকেই technical SEO কে আলাদা না করে on page SEO এর সাথে অ্যাড করে দেয়। আবার অনেকেই আলাদা করে দেয়, কারণ technical SEO তে সব google er technical কাজ করা হয়। অর্থাৎ, একটা সাইটকে অনুসন্ধান ইঞ্জিন গুলোতে বা গুগলের সার্ভারে জমা দেওয়া হতে আরম্ভ করে সবকিছু নোটিশ বা ঠিক রাখাই হচ্ছে technical SEO। (বিস্তারিত এ জাতীয় পর্যাপ্ত কতিপয় আছে)

What is Off Page SEO?

সহজ ল্যাংগুয়েজে যদি, একটা ওয়েবসাইটকে বাহিরে যত মার্কেটিং করা হয়, সবকিছু off page SEO সাইটের ভিতরে প্রবেশ না করে বাহিরে থেকে যেসব পদ্ধিতে ট্রাফিক আনা হয়, সেগুলোকেই off page SEO বলে। (বিস্তারিত এইরকম পর্যাপ্ত কতিপয় আছে)

ভালো আর মন্দের লড়াই: What is White Hat & Black Hat SEO?

ব্ল্যাক হ্যাট সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন – SEO ইন্ডাস্ট্রিতে আছে আর “ব্ল্যাক হ্যাট SEO” টার্মটি শোনেনি এরূপ ব্যক্তি সম্ভবত ভীষণ একটা পাওয়া যাবেনা। এটি মূলত SEO ইন্ডাস্ট্রিতে সবথেকে বহুল ব্যবহৃত একটি টার্ম। প্রত্যেকটি কাজের উদাহরণসরূপ অনেক ভালো খারাপ ২টি দিক থাকে তেমনি SEO এরও বেশ অনেক ভালো মন্দ ২টি দিক আছে। “ব্ল্যাক হ্যাট SEO” মূলত SEO এর ভালো না দিক। অর্থাৎ ব্ল্যাক হ্যাট SEO বলতে তাই বোঝায় যা অনৈতিক তার সঙ্গে যে কাজগুলো অনুসন্ধান রেজাল্টকে ম্যানিউপুলেট করতে সাহায্য করে। দীর্ঘ টাইম কোনো ১টি সাইট এ কাজ করার ইচ্ছে থাকলে “ব্ল্যাক হ্যাট SEO” টেকটিক গুলো কোনো ভাবেই ব্যবহার করা সমীচীন না কারন এরফলে ওয়েবাসইট যেকোনো বড় সমস্যার সম্মুখ্যীন হতে পারে। এমনকি “ব্ল্যাক হ্যাট SEO” ব্যবহার করার জন্য খোঁজ ইন্জিন ওয়েবসাইটকে প্যানাল্টি দিতে পারে। স

What is Local SEO? এলাকাভিত্তিক সার্চে সেরা হওয়ার কৌশল

যখন আমরা কোন নির্দিষ্ট ছোট ছোট শহর বা দেশ কেন্দ্রিক কোন কয়েকটি গুগল এ খুঁজে থাকি সেই সময় তাকে লোকাল সার্চ জানানো যায়, আর সেই অনুসন্ধান এ নিজের ওয়েবসাইট এর অবস্থান এর জন্য ওয়েবসাইট কে যে নিয়মে এসইও করা হয় তাকে লোকাল এসইও বলে। লোকাল সার্চ দুই ধরনের হয়। যেমন আপনি অনুসন্ধান করলেন –

  1. SEO Service Provider ……… আপনার IP এর উপর নির্ভর করে আপনার কাছাকাছি যে সব SEO Service Provider রয়েছেন তাদের গুগল দেখাবে।
  2. SEO Service Provider in Mirpur ………মিরপুর এর যে সব SEO Service Provider-দের দেখাবে।

গ্লোবাল এসইও

গ্লোবাল এসইও হলো বিশ্বব্যপী টার্গেট নিয়ে করা হয়। মানে, আপনার ওয়েবসাইটকে সাড়া বিশ্বজুড়ে অপ্টিমাইজেশন করাই হচ্ছে গ্লোবাল এসইও। এই ক্ষেত্রে আপনাকে আসতে হবে google.com এর টপে। তবে একটা তথ্য জেনে নেয়া ভাল যে, গুগল ব্যবহৃত হয়, সাড়া প্রথিবির স্ট্যান্ডার্ড অনুসন্ধান ইঙ্গিন হিসেবে তার সাথে এতা আমেরিকার লোকাল অনুসন্ধান ইঙ্গিন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

কিছু গুরুত্বপূর্ণ SEO Technical Glossary যা আপনাকে জানতেই হবে

এসইও তে কিছু কারিগরি টার্ম রয়েছে, যা নিশ্চয়ই আপনাকে পরিষ্কারভাবে জানা উচিতম যদি পেশাদার সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বিশেষজ্ঞ থেকে চান। এই গুলোর সম্পর্কে প্রচুর ধারণা থাকে তাহলে সাইটে এসইও করার জন্য অনেক সুযোগ-সুবিধা হয় তার সঙ্গে পর্যাপ্ত কিছুই ইজিলি বুঝা যায়। একটা পড়বেন তার সাথে বুঝার ট্রাই করবেন। যদি এই টার্ম গুলোর সম্মন্ধে ডিটেইলস জানতে চান, তাহলে সবার নিম্নদেশে একটা ইম্পোর্টেন্ট ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দেওয়া আছে, ওই জায়গা বিস্তারিত পাবেন। কিন্তু যদি একটা একটা টার্ম কপি করে গুগলে সার্চ দেন, তার সঙ্গে টপ ওয়েবসাইট গুলোতে গিয়ে ডিটেইলস পড়ে আসেন, তাহলে সর্বাপেক্ষা অধিক কার্যকরী হবে তার সঙ্গে মনে থাকবে। তাছাড়া গুগলে অনুসন্ধান করার হ্যাবিট ও থেকে থাকবে, রির্সাচ করার ক্ষমতা ও বৃদ্ধি পাবে। তাহলে আরম্ভ করুন।

  • Algorithm
  • Anchor Text
  • Artificial Intelligence (AI)
  • Authority
  • B2B
  • B2C
  • Backlink
  • Bounce Rate
  • Branded Keyword
  • Broken Link
  • Click-Through Rate (CTR)
  • Content
  • Content is King
  • Conversion
  • Conversion Rate
  • Crawler
  • Do-follow
  • Domain Authority
  • Duplicate Content
  • Dwell Time
  • Inbound Link
  • External Link/Outbound Link
  • Google Rank Brain
  • Google Search Console
  • Google Trends
  • Guest Blogging
  • Homepage
  • HTTP
  • HTTPS
  • Internal Link
  • IP Address
  • Keyword
  • Keyword Density
  • Keyword Stuffing
  • Knowledge Graph
  • Latent Semantic Indexing (LSI)
  • Link Building
  • Link Juice
  • Long-Tail Keyword
  • Meta Description
  • Natural Link
  • Niche
  • Orphan Page
  • PageRank
  • Page Speed
  • PBN
  • Penalty
  • PPC (Pay Per Click)
  • Quality Content
  • Quality Link
  • Ranking Factor
  • Reciprocal Links
  • Redirect
  • Responsive Website
  • robots.txt
  • Return on Investment (ROI)
  • Schema
  • Search Engine Marketing (SEM)
  • Search Engine Optimization (SEO)
  • Search Engine Results Page (SERP)
  • Sitemap
  • Social Media
  • Spam
  • Split Testing
  • SSL Certificate
  • Subdomain
  • Top-Level Domain (TLD)
  • Traffic
  • User-Generated Content (UGC)
  • URL
  • User Experience (UX)
  • Voice Search
  • WordPress

আচ্ছা, এই গুলো সম্মন্ধে আরও ডিটেইলস জানতে চান, তাহলে নিম্ন ওয়েবসাইটের লিঙ্ক দিয়েছি, সেখানে এসইও ২০০+ টার্ম সম্মন্ধে বিস্তারিত দেওয়া আছে, স্তরে ধাপে পড়ার ও বুঝার চেষ্টা করুন।
https://www.searchenginejournal.com/./seo-glossary./

বিশ্বের সেরা কিছু SEO Specialist যাদেরকে অনুসরণ করতে পারেন

বিশ্বে কিছু টপ লেভেলের সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন বিশেষজ্ঞ ও মার্কেটার

SEO শেখার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইট

এসইও সম্পর্কে ডিটেইলস জানতে, আপনাকে অনেক তত্ত্বানুসন্ধান করতে হবে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন নিয়ে কন্টেন্ট লিখে এইরকম কতিপয় গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটের নাম দিয়ে রাখলাম। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর নতুন কোন আইন আসছে কিনা, গুগল অ্যালগোরিদম আপডেট হচ্ছে কিনা, এই সম্মন্ধে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

সার্চ ইঞ্জিন কী এবং কিভাবে কাজ করে?

সার্চ ইঞ্জিন কি?

সার্চ ইঞ্জিন হলো এক প্রকারের অনলাইন ডাটা স্টোরেড সার্চ মেশিন। যাহা নানারকম ধরনের ডাটা বা ইনফরমেশন অনলাইন ডাটাবেজে জমা করে রাখে তার সাথে ভিজিটরের চাই অনুযায়ী নানারকম ইনফরমেশন বা সেবা প্রদান করে থাকে। পরিদর্শক তার অনুসন্ধান সর্ম্পকিত সকল প্রকারের তথ্য খুব সহজেই সার্চ ইঞ্জিনে অনুসন্ধান করে পেয়ে থাকেন। সার্চ ইঞ্জিন তার এই কাজ টি করার জন্য সময় গ্রহণ করে মাত্র ন্যানো সেকেন্ড। অকপট ভাষায় বলা যায় সার্চ ইঞ্জিন হলো অনলাইনে কীয়ার্ডের মাধ্যমে কোন কিছু খোঁজার এক ধরনের সফটওয়ার বা এপ্লিকেশন। যেখানে কোন কিছু লিখে সার্চ দিলেই চোখের পলকে যে কোন বিষয়ে হাজার হাজার তথ্য সামনে হাজির করবে। ১ম Search Engine হিসেবে http://www.excite.com আত্মপ্রকাশ করে। সম্প্রতি সময়ের সবচাইতে জনপ্রিয় অনুসন্ধান ইঞ্জিন হচ্ছে Google. এ ছাড়াও জনপ্রিয়তার তালিকায় রয়েছে

  • google.com
  • yahoo.com
  • bing.com
  • ask.com
  • msn.com
  • aol.com
  • altheweb.com
  • altavista.com

সার্চ ইঞ্জিন তার পার্সোনাল সফ্টওয়ার এর এর মাধ্যমে কাজ করে থাকে। সফ্টওয়ারটির নাম ক্রউলার। সার্চ ইঞ্জিন তার স্বয়ংক্রিয় ক্রউলার নানারকম ওয়েবসাইট বা ব্লগে পাঠায়, ক্রউলার ইন্টারনেটে ওয়েবসাইট বা ব্লগ হতে দরকারী ডাটা কালেক্ট করে, নিজস্ব ডাটা বেজে বা ডাটা সেন্টারে জমা রাখে। সার্চ ইঞ্জিন ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব এর সকল ধরনের ওয়েবসাইটসহ প্রত্যেকটি সাইটের সকল লিংক ভিজিট অর্থাৎ Crawling (ক্রলিং) করার সাহায্যে সকল শ্রেণিবিভাগ ডাটাবেজ Index করে Save করে নেয়।

Google কিভাবে কাজ করে?

গুগল কেমনে কাজ করে? যারা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন প্রফেশনালি শিখতে চাচ্ছেন বা সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন দক্ষ হতে চাচ্ছেন, তাদের সবাইকে নিশ্চয়ই ভালোভাবে জানা উচিত, গুগল কিভাবে কাজ করে? আমরা দিন দিন মুল্যবান তথ্য পাওয়ার জন্য বিভিন্ন কিওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান করি গুগলে এইজন্য না? গুগল সেই সময় কি করে, প্রথম পেইজে ১০টা ওয়েবসাইট নিয়ে আসে তার সঙ্গে ২য় পেইজে নিয়ে আসে ১০টা, ধারাবাহিকভাবে ৩য়, চতুর্থ পেইজে ওয়েবসাইট গুলো নিয়ে আসতে থাকে। এইভাবে হাজার হাজার ওয়েবসাইট নিয়ে আসে গুগল তার ডাটাবেজ থেকে, পর্যায়ক্রমে কেমন করে নিয়ে আসে এই সম্মন্ধে অবশ্যই ডিটেইলস আপনার জানা উচিত। প্রশ্ন হলো এখানে কোন ওয়েবসাইট গুলো ১ম পেইজে কিভাবে নিয়ে আসে।

গুগলের সার্ভারে হাজার হাজার ওয়েবসাইট জমা দেওয়া রয়েছে এবং প্রতিনিয়ত দিচ্ছে। আমরা যখন কোন শব্দ দিয়ে অনুসন্ধান করি প্রথম পেইজে ১০টি ওয়েবসাইট দেখায়, আর বাকি গুলো ২য়, তৃতীয় পেইজগুলোতে দেখাই।

যেমনঃ আপনি যদি গুগলে সার্চ দেন, Digital Marketing Services in USA তাহলে দেখতে পারবেন হাজার হাজার ওয়েবসাইট পর্যায়ক্রমে দেখাচ্ছে, কিন্ত একটা ব্যপার করে দেখতে পারবেন ১ম ১০টা ওয়েবসাইট যেমন ডিজিটাল মার্কেটিং সার্ভিস গুলো দিচ্ছে নির্ভুল দ্বিতীয় পেইজের ১০টা ওয়েবসাইট ও ডিজিটাল মার্কেটিং পরিসেবা গুলো দিচ্ছে, তাহলে সাম্প্রতিক প্রশ্ন হচ্ছে গুগল এই কাজটা কিভাবে করে থাকে?

কি কি রিজন গুলোর জন্য ১০টা ওয়েবসাইট গুগলের ১ম পেইজে দেখাইছে কেনো। এর জবাব নির্ভুলভাবে জানতে ও বুঝতে পারেন, তাহলেই আপনার সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন শিখাটা এইরকম হবে তার সাথে আপনার ওয়েবসাইটকে ও প্রথম পেইজে নিয়ে আসতে পারবেন।

প্রথম ধাপেঃ

গুগলে আমরা কোন কীওয়ার্ড দিয়ে অনুসন্ধান দিয়ে থাকি। সেই সময় গুগলের রোবট এই কীওয়ার্ড টা অনেক ঈষৎ টাইমের মধ্যে ক্যাচ করে ফেলে।

দ্বিতীয় ধাপেঃ

গুগলের রোবট গুলোসার্চ করা কিওয়ার্ড সম্পর্কিত সকল ওয়েবসাইট তার ডাটাবেজ থেকে আলাদা করে ফেলে। অর্থাৎ আমরা যে শব্দ লিখে গুগলে অনুসন্ধান দিয়ে থাকি, গুগলের রোবট তার সার্ভার থেকে জমাকৃত ওয়েবসাইট গুলোর মধ্য হতে ওই শব্দ রিলেটেড সকল ওয়েবসাইটকে আলাদা করে ফেলে।

তৃতীয় ধাপেঃ

সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাজ হয়ে থাকে এই ধাপে। অর্থাৎ এখান থেকেই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন এর খেলা-ধুলা আরম্ভ হয়। সার্চ করা শব্দ সামঞ্জস্যপূর্ণ যে ওয়েবসাইট গুলোকে গুগল তার ডাটাবেজ হতে আলাদা করে ফেলে, আলাদা করা সব ওয়েবসাইট এর ভিতরে গুগল অ্যালগোরিদম অ্যাপ্লাই করে। অর্থাৎ কোন ওয়েবসাইটকে ১ম পেইজে ১ম পজিশনে দেখাবে, কোন সাইটকে প্রথম পেইজে দ্বিতীয় পজিশনে দেখাবে, বা তৃতীয় পজিশনে দেখাবে এককথায়, ধাপে স্তরে কোন ওয়েবসাইট গুলো প্রথমে দেখাবে, এই কাজটা করার জন্য গুগল সার্চ করা কীওয়ার্ড রিলেটেড আলাদা করা ওয়েবসাইট গুলোর উপর, গুগলের २००+ রেঙ্কিং ফ্যাক্টর কাজ করে।

যে ওয়েবসাইট এর মধ্যে ২০০+ রেঙ্কিং ফ্যাক্টর পরিপূর্ণভাবে পাবে, সেই ওয়েবসাইটটি প্রথম পেইজে ১ম পজিশনে দেখাবে। অতিশয় নগণ্য সময়ে গুগল এইভাবেই আমাদের সামনে ওয়েবসাইট উপস্তাপন করে থাকে।

এই বিষয়টা অধিক গুরুত্বপূর্ণ, আপনাকে অবশ্যই ইন ডিটেইলস জানা কর্তব্য ২০০+ রেঙ্কিং গুলো সম্পর্কে। তাহলে আমরা ডিটেইলস ভাবে এইগুলো সম্মন্ধে জানবো তার সাথে ২০০+ রেকিং ফ্যাক্টর গুলোর মধ্যে কয়েকটি ইম্পোর্টেন্ট ফ্যাক্টর রয়েছে অর্থাৎ ২০টি গুরুত্বপূর্ণ রেঙ্কিং ফ্যাক্টর গুলো সম্মন্ধে ক্লিয়ারভাবে জানবো।

সবচেয়ে জরুরি ১৫টি Ranking Factor

  1. ইনফরমেটিভ, তার সাথে মানসম্মত কন্টেন্ট
  2. ইউনিক কন্টেন্ট
  3. কন্টেন্ট লেন্থ এবং অপটিমাইজেশন
  4. টাইটেল ট্যাগ ও মেটা ট্যাগে কীওয়ার্ড
  5. ইমেজ অপটিমাইজেশন
  6. কীওয়ার্ড প্রমিনেন্স ও Postিং
  7. পাওয়ারফুল রিলিভেন্সি লিঙ্ক
  8. পেইজ স্পিড
  9. টাইটেল, ইউআরএল, ডোমেইন অথরিটি
  10. মুঠো ফোন ব্যবহারকারী ফ্রেন্ডলি
  11. কন্টেন্ট/টপিকেল অথরিটি
  12. ডোমেইন অথরিটি
  13. পেইজ অথরিটি
  14. সোশাল সিগন্যাল
  15. কেনোনিক্যাল ট্যাগ'

গুগলের ২০০+ Ranking Factor

এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই জানতে পারবেন গুগলে ২০০+ রেঙ্কিং ফ্যাক্টর, ভালোভাবে পড়ে গ্রহন করুন বুঝার চেষ্টা করুন। এবং না বুঝলে গুগলে খোঁজ করুন কিংবা গ্রুপে Post করুন। সব কিছু ইন ডিটেইলস লিখতে পর্যাপ্ত সময় লাগবে, তাছাড়া শুধুমাত্র পড়লেই হবে না, পর্যাপ্ত রিসার্চ করতে হবে।

যথেষ্ট রেসপন্স প্রার্থনা করছি, কেউ শেয়ার দিলে অবশ্যই আমার নামটা কষ্ট করে উল্লেখ করে দিয়েন, ধন্যবাদ।

Level 0

আমি ফারুক। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 4 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 2 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস