বিগ ব্যাং থিয়োরি কি সঠিক? বিন্দু কণা থেকে মহাবিশ্ব তৈরী সম্ভব?

সমস্ত প্রশংসা সেই মহান সৃষ্টি কর্তার যিনি সমর্গ সৃষ্টি জগৎ কে পরিচালনা করতেছেন।

আপনাদের সবার প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক।

এই মহাবিশ্বে একসময় কিছুই ছিলনা সবকিছু ছিল একটা বিন্দু আকারে এটোম বা ক্ষুদ্র আকারে যাকে বলা হয় মহা সিংগুলারিটি। সেটা একটা মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে তৈরী হয়েছে আমাদের এই বিশ্ব ভ্রম্মান্ড। এমন টাই দাবী কালের মহাথিয়োরি বিগ ব্যাং এর। এবং এ নিয়ে একটা বই লিখেছেন কালের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন ডাব্লিউ হকিং যার নাম A breef History of time কালের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
তাদের থিয়োরির মূল ভিত্তি ছিল আমাদের সৃষ্টি কর্তার প্রেরিত দিকনির্দেশনা বা আসমানী মহা গ্রন্থ আল কোরআনের একটা ভার্স বা আয়াত কে কেন্দ্র করে।
যেখানে বলা হয়েছে এই
মহাবিশ্বের সবকিছু একসময় একজায়গায় একত্রিত ছিল মহান সৃষ্টি কর্তার নির্দেশে এক মহা বিস্ফোরণের মাধ্যমে সেটা আলাদা খন্ডে খন্ডে বিভক্ত হয়ে যায়। এবং তা পর্যায়ক্রমে প্রসারিত হয়ে সেখান থেকেই তৈরী হয় আমাদের এই বিশ্ব জগৎ।

আমরা জানি এই মহাবিশ্বের সবকিছুই পদার্থ দিয়ে গঠিত আর পদার্থের অবস্থান তিন প্রকার হয়ে থাকে।
কঠিন- Solid
তরল- liquid
বায়বীয়- Gas

পদার্থ তিন অবস্থার যে কোন অবস্থানেই থাকতে পারে।
যেমন - এক লিটার পানি চাইলে আপনি তাপ হ্রাস করে সেটাকে বরফ বা কঠিন অবস্থায় রাখতে পারেন।
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সেটাকে তরল অবস্থায় রাখতে পারেন এবং চাইলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি করে সেই এক লিটার পানিকে বাষ্পেও পরিণত করতে পারেন।
পানি কিন্তু এক লিটার বা সম পরিমাণ এবং সমান ভরই থাকবে। কিন্তু আপনি চাইলে যাস্ট অবস্থান পরিবর্তন করে রাখতে পারেন।
যে কোন পদার্থের অবস্থান পরিবর্তন করা যায় তাপ বা চাপ প্রয়োগ করে।
ঠিক তেমনি আমাদের এই মহাবিশ্বকে আমাদের সৃষ্টি কর্তা বায়বীয় পদার্থে রুপান্তর করে রেখেছিল। মহাবিশ্ব তৈরির আগে।
যে কোন পদার্থের আকার পরিবর্তন করা যায় কিন্তু ভড় সমান থাকবে।
আপনি চাইলে ১০০ বা ১০০০ কেজি ওজনের একটা লোহার বস্তুকে চাপ বা তাপ প্রয়োগ করে আন্তআনবিক শক্তি বা সেই বস্তুর অণু পরমাণু গুলোকে কাছাকাছি এনে সেই বস্তুর আকার আকৃতি পরিবর্তন করতে পারেন।
এই পদ্ধতিতে
৫ টন পানিকে এক লিটার বোতলে রাখা সম্ভব তার পানির ভড় ৫ টন থাকবে কিন্তু সেটা একটা এক লিটার বোলের আকারে থাকবে।
এবার এই ৫ টন ভরের এক বোতল পানিকে বাষ্পীয় ভূত করলে কি হবে ছোট একটা আকার আয়তনের মধ্য ৫ টন পানি রাখা এটাই হল মহা সিংগুলারিটির প্রমাণ। আমাদের এই পৃথিবীর সবকিছু এই মহা সিংগুলারিটির সূত্র অনুযায়ী একটা ফুটবলের আকৃতিতে রাখা সম্ভব। ভড় সমান থাকবে কিন্তু আকার আকৃতি আয়তন ছোট হবে। এবং যে কোন পদার্থে রুপান্তর করা যাবে।

আল কোরানের বর্ণনা অনুযায়ী
এই পৃথিবীর সবকিছু তৈরী করা হয়েছে পানি থেকে।
সুতরাং পানিকে সহজেই বিভিন্ন স্তরে রাখা যায়।

আমাদের মানবজাতির বসবাস যোগ্য এই পৃথিবীকে
তৈরী করেছেন আমাদের সৃষ্টি কর্তা ৬ দিনে।
আমাদের এই পৃথিবীতে চার ভাগের তিন ভাগ পানি
কোন একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পানিতে যদি কোন বস্তু ভাস্যমান রেখে সেটার ব্যালেন্স ঠিক রাখতে চান তাহলে সেই পানির তুলনায় বস্তুটি চার ভাগের এক ভাগ হতে হবে।
যেমন বস্তুটি যদি পানির অর্ধেক হয় তাহলে পানির ভড় এবং সেই বস্তুর ভড় সমান হবে ফলে বস্তুটি পানিতে ডুবে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। আর যদি বস্তুটি পানির তুলনায় অনেক ছোট বা ৫ ভাগের এক ভাগ হয় তাহলে সেই বস্তুটি পানির ভড়ের তুলনায় বেশি কম হওয়ার বস্তুটি পানির উপরে থাকবে যার ফলে সেই বস্তুটি হেলে ঢুলে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকবে এবং নিচ থেকে পানি সংগ্রহ করতে কঠিন হবে পানির লেয়ার অনেক নিচে থাকবে যার কারণে পানির ঘাটতি দেখা দিবে সেই বস্তুতে।
আর যদি পানির তুলনায় বস্তুটি চার ভাগের এক ভাগ হয় তাহলে সেটার ব্যালেন্স ঠিক থাকবে এবং সেই বস্তুর ভিতরে পানির কমতি থাকবে না। ঠিক সেই একুরেট মাস্টার প্লান করে আমাদের এই পৃথিবীকে তৈরী করেছেন আমাদের সৃষ্টি কর্তা।
ধন্যবাদ কৃতজ্ঞতা যানায় আমাদের সৃষ্টি কর্তাকে

 

 

Level 0

আমি সিয়াদ হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 1 বছর 3 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।

Hello Everyone. I am scientists. I am Researching about Everything From Earth to Space.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস