রহস্যময় জ্ঞান বিজ্ঞানের পৃথিবী

সকলের উপর শান্তি বর্ষিত হোক, আমরা মানুষ, জাতিগত ভাবে মানবজাতি, আমাদের বাসস্থান অর্থাৎ আমাদের বসবাস করার জায়গা হল এই পৃথিবী, এখন পর্যন্ত  এই পৃথিবী রহস্যময় রয়েই গেছে, খুব অল্প সংখ্যক মানুষ ই এই বৈচিত্র্যময় রহস্য ঘেরা পৃথিবীর মূল রহস্য উদঘাটন করতে পেরেছেন, এই পৃথিবীর চার ভাগের তিন ভাগ হল পানি আর এক ভাগ আমাদের বাসস্থান ভূমি অথবা মাটি।

এর কারণ হল একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ পানির উপর কোন বস্তু ভাস্যমান রাখতে গেলে পানির ভরের তুলনায় বস্তুটির ভর কম হতে হবে, যদি বস্তুটি পানির ভরের তুলনায় অর্ধেক হয় তাহলে বস্তুটি পানির মধ্যে ডুবে যাওয়ায় সম্ভাবনা বেশি থাকে, আর যদি পানির তুলনার চার ভাগের এক ভাগ সমান সেই বস্তুটি তৈরি করা হয় তাহলে বস্তুটি ভারসাম্য ঠিক থাকবে এবং পানিতে ভাস্যমান রাখা যাবে।
ঠিক সেই একই ভাবে আমাদের এই পৃথিবীর মাটি এবং পানির অনুপাত,
আমাদের এই পৃথিবীর মাটি বা ভূমি হল একটা জাহাজ, নৌকা বা ভেলা, জলজান যা আমাদের বসবাস করার জন্য তৈরী করে দিয়েছেন আমাদের সৃষ্টি কর্তা।

আর এই পৃথিবী টা ঘূর্ণিওমান, রুটে টিং, রিভলভিং, আরবি টিং, শুধ পৃথিবী না পৃথিবীর উপরে ভাস্যমান সূর্য, চন্দ্র, গ্রহ, নক্ষত্র, ছায়াপথ, ব্লাকহোল, গ্যালাক্সি, ইউনিভার্স, মাল্টিভার্স, সুপার ভার্স, সবকিছুই ঘূর্ণয়মান, প্রতিটি বস্তুই তার নির্দিষ্ট কক্ষপথে নির্দিষ্ট গতিতে ঘুরতেছে,
পৃথিবী ঘূর্ণিয়মান তাই পৃথিবীর যে দিকে ভর বেশি হয় সেদিকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ বন্যা নেমে আসে, কারন পৃথিবীটা হল ভাস্যমান জাহাজ,
এর চতুর্দিকে পানি বিদ্যমান,

এই দুনিয়ার সব কিছুর রহস্য উদঘাটন করতে গেলে দুইটা জিনিস প্রয়োজন তা হল জ্ঞান আর বিজ্ঞান।
জ্ঞান হল এই মহা বিশ্বের সৃষ্টি কর্তা মহান আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে যুগে যুগে মানবজাতির উপর যে নির্দেশনা এসেছে তা হল জ্ঞান,

আর এই নির্দেশনা আসে দুই ভাবে এক নবী রাসূলদের পক্ষ থেকে আরেক তাদের উপর অবতীর্ণ হওয়া আসমানী কিতাব থেকে।
যুগে যুগে আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির মধ্যে থেকে উত্তম বেস্ট মানুষ গুলোকে সিলেক্ট করেছেন এবং তাদের কে মানবজাতিকে পথ নির্দেশনা দেওয়ার জন্য নির্বাচিত করেছেন, আর তাদেরকেই
মেসেঞ্জার বলা হয়। তারাই ছিলেন যুগ শ্রেষ্ঠ রিয়েল সুপার হিরো। একেক জনের পাওয়ার ছিল একেক ধরনের, কেও লাঠির স্পর্শ দিয়ে সাগরে রাস্তা তৈরী করেছে, কেও লোহাকে কোন তাপ প্রয়োগ ছাড়াই সুপার পাওয়ার দ্বারা কঠিন থেকে তরলে পরিনত করেছেন, কেও আবার সুপার পাওয়ার দ্বারা বাতাস কে নিয়ন্ত্রণ করেছেন, বাতাসের সাহায্যে উড়তে পেরেছেন, আবার কেও সূর্যের ভলিউম কমাতে বাড়াতে পারতো, তারা মাইন্ড কন্ট্রোলিং করে বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারতো, কেও সুপার পাওয়ার দ্বারা মৃত ব্যক্তি কে জীবিত করতে পারতো। আমাদের নবী (সাঃ) এক লোকের কথায় চন্দ্রকেই দুই ভাগ করে দেখিয়েছিলেন এক ভাগ ছিল আকাশে আরেগ ভাগ পাহাড়ের আরেক পাশে ছিল,

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা থেকে এপেলো 11 মিশনে তিনজন ব্যক্তি চাঁদে অভিযান করেছিলেন, নীল আর্মস্ট্রং, মাইক কলিন আর বাজ অল্ড্রিং, নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের বুকে প্রথম পা রেখেছিলেন এবং তিনি চাঁদের বুকে একটা রেখা বা ফাটল চিহ্ন দেখেছিলেন, তিনি হয়ত যানতেন না যে অই রেখাটাই ছিল সেই ফাটলের চিহ্ন যা মহানবী হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মক্কার এক অবিশ্বাসী ব্যক্তি কে প্রমাণ দেখানোর জন্য ডিভাইডেড করেছিলেন।

আর মহান আল্লাহ তায়ালা মানবজাতির ব্রেইন মস্তিষ্কে সৃষ্টিগত ভাবে যে বুদ্ধি, হেকমা, বা ইনটেলিজেন্স দান করেছেন তা হল বিজ্ঞান।
আমাদের সৃষ্টি কর্তা এবং পরিচালক মহান আল্লাহ তায়ালার অনুদান অনুগ্রহ ছাড়া মানবজাতি কিছুই করতে পারবে না।
আল্লাহ তায়ালার কমান্ড নির্দেশ ছাড়া এই দুনিয়ায় কিছুই হয়না, কিছুই ঘটেনা এই মহা বিশ্বে যা কিছু হয় সব মহান আল্লাহ তায়ালার নির্দেশে।

Level 0

আমি সিয়াদ হাসান। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 9 মাস 3 সপ্তাহ যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 1 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।

Hello Everyone. I am scientists. I am Researching about Everything From Earth to Space.


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস