কোয়ান্টাম ফ্লাকচুএশনের ফলে মহাবিস্ফরন এর মাধ্যমে স্থান কালের এক মহাকাব্যিক যাত্রা শুরু হয় এই মহাবিশ্বের। শুরুর সেই সময়টা ছিল ঘটনাবহুল আর রহস্যময়। তো বন্ধুরা, দেরি না করে চলুন প্রথম তিন মিনিটের সেই ইতিহাসে চোখ বুলিয়ে নেয়া যাক
১.দৃশ্যমান মহাবিশ্বের সকল ভর, শক্তি একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত ছিল। এর নাম Singularity বা অনন্যতা
২.অনন্যতার পূর্বে যেহেতু সময়ের অস্তিত্ব ছিল না তাই তার আগের ঘটনা ব্যাখ্যাতিত। তবে বিজ্ঞানীরা একটি সময় থেকে মহাবিশ্বের সময় গননা করেন। সময়টির মান হল ১০^-৪৩ সেকেন্ড যা প্লাঙ্ক সময় নামে পরিচিত। এ সময় থেকেই মহাবিশ্ব বিভক্ত হতে শুরু করে।
৩.এ পর্যায়ে এসে মাধ্যাকর্ষণ বল সর্বপ্রথম পৃথক হয়ে পরে।
৪.১০^-৩৬ তম সেকেন্ডে সবল বল পৃথক হয়।
৫.এই পর্যায়ে এসে স্ফীতি ঘটে। সময়ের ব্যাবধান ছিল ১০^ -৩৬ থেকে ১০^-৩২ সেকেন্ড। সবল বল পৃথক হওয়ার কারনে স্ফীতি দশা ঘটে।
৬.১০^-৩২ থেকে ১০^ -৫ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ের আগে পদার্থের মৌলিক কণা যেমন ইলেক্ট্রন, কোয়ার্ক ও এন্টি কোয়ার্ক তৈরি হয়েছে। কোয়ার্ক ও এন্টি কোয়ার্ক এর মিলনের ফলে শক্তি উৎপন্ন হয় আর অবশিষ্ট কোয়ার্ক পদার্থ সৃষ্টির কাজে ব্যবহৃত হয়।
৭.১০^-১২ সেকেন্ডে প্রকৃতির বাকি দুটো বল পৃথক হওয়া শুরু করে। এই সময় কার্বন কণা তাড়িতচৌম্বক বলের বাহক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে
৮.দুর্বল বল তেজস্ক্রিয় ক্ষয় কে নিয়ন্ত্রন করা শুরু করে।
৯.মহাবিশ্ব ১ লক্ষ কোটি ডিগ্রী কেলভিন তাপমাত্রায় শীতল হয়। ফলে কোয়ার্করা মিলে প্রোটন ও নিউট্রন গঠন করা শুরু করে।
১০.মৌল সংশ্লেষণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। মহাবিশ্বের ১ম সেকেন্ড থেকে তিন মিনিট পর্যন্ত পরমানুর নিউক্লিয়াস গঠন চলতে থাকে
এই হল মহাবিশ্বের প্রথম তিন মিনিটের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
প্রথম প্রকাশ
https://bigganchinta.blogspot.com/2018/02/blog-post_81.html
আমি মেহেদী হাসান নাঈম। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 9 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 3 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 1 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।