চাঁদের কক্ষ পথ-THE ORBIT OF THE MOON

আমার টিউন টি আমার বাবার লেখা আর্টিকেল থেকে নেয়া।আশাকরি ভালো লাগবে।

চাঁদ আমাদের সবচেয়ে কাছাকাছি ও ঘণিষ্ট মহাকাশীয় বস্তু; তার রূপ সৌন্দর্যো অত্যান্ত দৃষ্টি নন্দন,আমাদের মন কাড়ে;সাধারন চিন্তায় এই মহাকাশীয় বস্তটি পৃথিবীর সহোদর ও রূপ বৃদ্ধির উপাধান মনে হলেও বৈজ্ঞানীক দৃষ্টি ভঙ্গিতে অত্যান্ত প্রয়োজনীয় সঙ্গী।ভাবুক লোকদের অনেকেই এর জন্ম ইতিহাস বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন,কোন মহাকাশী বস্তু সম্ভবত পথ ভুল করে সৌর মণ্ডলে প্রবেশ করে পৃথিবীর সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়;তারই ফলশ্রুতিতে ভূস্তরের বিচ্ছিন অংশ মধ্যাকর্ষণের টানে জড়ো হয়ে চাঁদের সৃষ্টি করে এবং তার কক্ষপথে নিয়মিত হয়।সূধী পাঠক গল্পটি কোন অস্বভাবিক বিষয় নয়; যেহেতু আমরা তার সুনির্দিষ্ট পরিক্ষিত কারন জানিনা,ফলে বিষয়টি অসম্ভব ও বলা চলেনা,তবে এই গল্পে ‘তার কক্ষপথে নিয়মিত হওয়ার বিষয়টি প্রশ্ন সাপেক্ষ।প্রথম প্রশ্ন হল সংঘর্ষে বিচ্চিন্ন বিচূর্ণ পদার্থগুলো তার মাতৃ দেহ ছেড়ে গেল কি করে? যদি বলা হয় সংঘর্ষ থেকে প্রাপ্ত ভরবেগ থেকে তারা দূরত্ব অর্জণ করে নিজেদের মধ্যে মধ্যাকর্ষনের দ্বারা একত্রিত হয়ে সূর্যো ও পৃথিবীর মহাকর্ষ ক্ষেত্রে একটা সমন্বিত অবস্থা পেয়েছে এবং অন্যান্য মহাজগতিক বস্তুর মতই কক্ষপথে সঞ্চালন গতি পেয়েছে।সূধী পাঠক,আমার মনে হয় কথাটি একদম ঠিক(আল্লাহই জানেন ভাল), কারণ,মহাজাগতিক বস্তু সৃষ্টির এটাও একটি প্রক্রিয়া যা প্রকৃতির নিয়ম মেনেই তৈরী হয়। এখানে যে বিষয়টি সবচেয়ে জরুরী তা হল পৃথিবীতে প্রাণ সৃষ্টির পরিবেশ তৈরীর জন্যে চাঁদকে যতটুকু ভর সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন ঠিক ততটুকু পরিমান পদার্থ বিচ্ছিন্ন হয়ে জড়ো পিণ্ডের আকৃতি নিয়ে একটা সুনির্দিষ্ট দূরত্বে স্থাপিত হওয়া ও প্রয়োজনীয় কক্ষগতি পাওয়া কোন রকমেই আপনা আপনি বা দৈবাৎ ঘটে যাওয়া স্বাভাবিক কোন বিষয় নয়;তা অবশ্যই কোন এক মহাজ্ঞানী,সর্বজান্তা মহাস্বত্ত্বার আপন ইচ্ছায় পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরী হওয়া।

চাঁদ সৃষ্টির প্রসঙ্গে উপরের গল্পটি যদিও বহুল সমাদৃত বিজ্ঞান সম্মত তথাপি আধুনিক বিজ্ঞান বলছে ভিন্ন কথা। বলছে,তুলনামূলক একটা বড় ধরণের উপগ্রহ পৃথিবীর চারিদিকে পরিক্রমনের জন্য একটা জটীল হিসেবের মধে স্থাপিত হয়েছে।পৃথিবীর পরিমণ্ডলে ঠিক কত ভরের চাঁদ হলে পৃথিবীতে জীবন উন্মেষের পরিবেশ হতে পারে তা একটা জটীল হিসেব। বিজ্ঞান আরও বলছে যে,কোন না কোন উপায়ে এই হিসেব সাধিত হয়েই চাঁদের জন্ম হয়েছে, সে কোন দূঘর্টনার মধ্যদিয়েই হোক আর আপনা আপনিই হোক; হিসেব ছাড়া এমন সুবিন্যস্থ বিধান হতে পারেনা।আর যদি মেনে নেওয়াও হয় যে চন্দ্রের এই সুবিণ্যস্ত অবস্থান কোন দূর্ঘটনা থেকে হিসেব বিহীন ভাবেই হয়েছে তাহলে এ কথাও স্বীকার করতে হবে যে,পৃথিবীতে জীবনও আপনা আপনিই হয়েছে অথবা কোন স্রষ্টা খুঁজতে খুঁজতে একটা সুন্দর পরিবেশ পেয়ে জীবনের উণ্মেষ ঘটিয়েছেন।তবে একটা কথা থেকে যায়; তা হল, যে স্রষ্টা প্রাণ সৃষ্টি করার মত কুশলী, অবশ্যই সেই স্রষ্টার পক্ষে দূর্ঘটনার সময় প্রয়োজনীয় একটা হসেব সেঁটে দেওয়া এমন কোন কঠিণ কাজ নয়। আর যদি তেমনটাই হয়ে থাকে তবে আর কোন বিরোধ নেই ; তা চাঁদ দূর্ঘটনা থেকেই জন্মাক বা আপনা আপনিই সৃষ্টি হয়ে থাক! আমাদের স্বীকার্যো হল ‘চাঁদকে সুনির্দিষ্ট  হিসেবের মধ্যে অবস্থান দেওয়া হয়েছে যাতে পৃথিবীর বুকে জীবন সৃষ্টি সহজ হয়।আধুনিক বৈজ্ঞানীক পরীক্ষা নীরিক্ষা অনেকটা সে রকমই বলছে।বিজ্ঞান বলছে বহু বছরে বিভিন্ন সমন্বয়তার মধ্য দিয়েই পৃথিবী জীবন ধারনের পরিবেশ পেয়েছে।তার জন্যে হয়তো কেটে গেছে কোটি কোটি বছর। হয়তে প্রশ্ন করবেন, স্রষ্টাকে কেন এত বছরের জন্যে অপেক্ষা করতে হবে: হা সূধী পাঠক,আপনার কৌতুহল অত্যান্ত স্বাভাবিক; তবে আমরা সময়ের আপেক্ষিকতায় দেখেছি,এই কোটী কোটী বছরের পরিসর স্রষ্টার জন্যে নয়। আমরা  তার সঠিক পরিসংখ্যান না জানলেও আমাদের হিসেবে মিহাবিশ্বের বয়স ১৫ শত কোটি বছর, আর এই পরিস্র যে মহান স্রষ্টার কাছে মাত্র কয়েক দিন হতে পারে তা কিন্তু বিজ্ঞান নিঃসঙ্কোচে মেনে নিচ্ছে।বিজ্ঞান একসময়ে ভিন্ন চিন্তা করলেও ক্রমান্বয়ে সময়ের পরিক্রমায় মত পাল্টাচ্ছে। বিজ্ঞানের এই মত পাল্টাবার মধ্যেই প্রকৃত সার্থকতা ও সাহসিকতার পরিচয় মেলে। কারণ; বিজ্ঞান সত্যের সাধক, পকৃত সত্যের সন্ধানে তারা বহুবার মত পাল্টাতে পারে। এটি তার লজ্জা নয়,সার্থকতা; কারণ প্রতিষ্ঠিত সত্যের সিদ্ধান্ত দু’টি উপায়ে আসেতে পারে,যাদু ব্যাতিত তার  একটি হল, চাক্ষুস প্রমান থেকে, অপরটি পরীক্ষা নীরিক্ষা দ্বারা প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে যুক্তি তর্কের বিশ্লেষণে যা সত্যের কাছাকাছি, তাকেই সত্য বলে মেনে নেওয়া; আর এ ক্ষেত্রে পরীক্ষা লব্ধ যে কান ফলাফলের পরবর্তী সংস্করণ থেকে যে কোন সময় লব্ধ ফলাফল পূর্বের ফলাফল থেকে পরিবর্তীতও হতে পারে;ফলে তাকে মেনে নেওয়াও সত্য অনুসন্ধানের আরেকটি সর্ত।এ ক্ষেত্রে বিজ্ঞানের সিদ্ধান্তকে দূর্বল ভাবার কোন সুযোগ নেই।

সূধী পাঠক চাঁদ তার বৃহৎ আকৃতির দেহ ও সুনির্দিষ্ট দূরত্ব ও গতির আলোচনার জন্যে বিশাল পরিসর দরকার,এখানে আমাদের হাতে সে সুযোগ নেই,দয়াময় আল্লাহ যদি সুযোগ করে দেন আমরা নিশ্চই অন্য পর্বে সেই আলোচনার চেষ্টা করবো।তেবে যৎসামান্য আলোচনা ‘পবিত্র কোরআনের আলোকে আধুনিক বিজ্ঞান’ গ্রন্থে করা হয়েছে,সুযোগ পেলে দেখে নেবেন। মহাকাশীয় বস্তনিলয়  সৃষ্টির পর তার অবস্থানের সাথে জড়িয়ে থাকে এক জটীল মহাকর্ষীয় হিসেব;যেমন, তার বস্তুভর, চারিদিকের মহাকর্ষীয় ক্ষেত্রের প্রভাবে উৎপন্ন লব্দিবলই নিরূপণ করে মহাকাশের কোন্ স্থানে তার অবস্থান হতে পারে।এমনি করে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র হিসেবের মধ্য দিয়ে সমন্বিত হয়েই চাঁদ তার নিজ্স্ব অবস্থানে অবস্থান নিয়েছে।বিভিন্ন ধর্মীয় প্রেক্ষাপটে নানাবিধ ভ্রান্ত ধারনার নিয়ে আলোচনা করবোনা, তবে পবিত্র কোরআনের সূরা ইয়াসিনের ৩৯ নং আয়াতে বর্ণীত হয়েছে চাঁদের গানিতিক ব্যবস্থাপনার কথা।

وَالْقَمَرَ قَدَّرْنَاهُ مَنَازِلَ حَتَّى عَادَ كَالْعُرْجُونِ الْقَدِيمِ

৩৬:৩৯ চন্দ্রের জন্যে আমি বিভিন্ন মনযিল নির্ধারিত করেছি। অবশেষে সে পুরাতন খর্জুর শাখার অনুরূপ হয়ে যায়।

39- And the moon. We have measured for it mansions. Till

it returns like an old curved palm tree branch.

36-Ya-Seen, 39

মহান আল্লাহ قَدَّرْ ‘ক্কাদার’ শব্দটি যার অর্থ ‘পরিমাপ’ ব্যবহার করে গাণিতিক হিসেবের ইঙ্গিত দিয়েছেন।চাঁদের ভর পৃথিবী থেকে তার দূরত্ব, তার অক্ষ ও কক্ষ গতি,তার মধ্যাকর্ষণ শক্তি সবকিছুর পরিমিত ব্যবস্থার কথাই বুঝানো হয়েছে এই قَدَّرْ শব্দ দিয়ে।এই সকল পরিমাপের যৎসামান্য রদবদল নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারে পৃথিবীর সকল প্রাকৃতিক ব্যাবস্থার সমন্বয় ও প্রাণীকুলের অবস্থান।

সূর্যের উপর চাঁদের নির্ভরশীলতা-MOON’S DEPENDENCE ON THE SUN

সূরা আশ-শামস্ এর ১-২ আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন,

وَضُحَاهَا وَالشَّمْسِ

৯১:১ শপথ সূর্যের ও তার কিরণের,

تَلَاهَا إِذَا وَالْقَمَرِ

৯:২ শপথ চন্দ্রের যখন তা সূর্যের পশ্চাতে আসে,

1- By the sun and its brightness

2- And the moon that follows it.

91-The Sun, 1-2

আমরা জানি চাঁদ  পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরছে, আবার পৃথিবী চাঁদ সমেত সূর্যের চারিদিকে ঘুরে। ফলে সূর্যের সাথে চাদেরও রয়েছে মহাজাগতিক সম্পর্ক। تَلَاهَا শব্দের অর্থ হল অনুসারী; আমরা জানি,চাঁদ পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করে,সূর্যোকে নয়;কিন্ত এই চাঁদ সমেত পৃথিবী সুর্যোকে প্রদক্ষিণ করে।উক্ত শব্দটিতে বলা হয়েছে অনুসরণ করে।তাহলে শব্দটির যথার্ততা কোথায়? পবিত্র কোরআন নাযিল হওয়ার সময় পৃথিবীর মানুষের ধারনা ছিল স্থির পৃথিবীকে সূর্যো প্রদক্ষিন করে,কালের বিবর্তনে এই ধারনা পরিবর্তন হতে হতে আমরা জানলাম সূর্যো নয় চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবী স্বয়ং মহাদেব সূর্যোকে প্রতি এক বছরে প্রদক্ষিন করে।পবিত্র কোরআন যে আরো একটি বারতি কথা বলে রেখেছে اهَاتَلَ অর্থাত অনুসরণ করে; সূধী পাঠক বিজ্ঞান অতি অধুনা অর্থাৎ বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে আবিস্কার করেছে যে মহাবিশ্বে সূর্যের অবস্থান স্থির নয়; ঘূর্ণনরত ছায়াপথেরে কেন্দ্রের দিকে ভেগা নামক এক নক্ষত্র বরাবর ছুটে চলেছে অমীয় গতিতে।সূর্যের এই গতি আমাদের কল্পনারও বাইরে; প্রতি ঘন্টায় ৭ লক্ষ কি মি (700,000 km/h)।সূর্যের এই গতি আবার সরল পথে নয়,ঢেউয়ের মত।এবার ভাবুন কোন মহাজগতে আছি আমরা।সূর্যো কিন্তু এই গতিতে একা একা সড়ে পড়ছেনা,সে তার পরিবার বর্গকে সঙ্গে নিয়েই পারি জমাচ্ছে তার অন্তিম নিবাসে।তাহলে অর্থ দাঁড়াল কি? চন্দ্র পৃথিবীর সাথে সূর্যের পথ অনুসরণ করছে।এই দ্রুত গতিশীল অবস্থায়ও কিন্ত চন্দ্র ও পৃথিবীর কারোরই পরিক্রমন গতি থেমে নেই।বিজ্ঞানের এই আবিস্কারের মাধ্যামে এ কথা  পরিস্কার হয়ে গেল যে পৃথিবীর মত চাঁদও সূর্যের অনুসারী।অর্থাৎ দেড়হাজার বছর আগে অবর্তীর্ণ হওয়া বাণী আজকের বিজ্ঞানের আবিস্কারের বিষয়, ভাবনা চিন্তাকারীদের বিষয়বস্তু। প্রকৃত পক্ষেই চাঁদের এই অনুসরণ পবিত্র কোরআনের বিষ্ময়কর বর্ণনা।পবিত্র কোরআনের সূরা আল ইনশিক্বাক্ব এর ১৬-২০ আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন,

فَلَا أُقْسِمُ بِالشَّفَقِ

৮৪:১৬ আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার

وَاللَّيْلِ وَمَا وَسَقَ

৮৪:১৭ এবং রাত্রির, এবং তাতে যার সমাবেশ ঘটে

وَالْقَمَرِ إِذَا اتَّسَقَ

৮৪:১৮ এবং চন্দ্রের, যখন তা পূর্ণরূপ লাভ করে,

لَتَرْكَبُنَّ طَبَقًا عَن طَبَقٍ

৮৪:১৯ নিশ্চয় তোমরা এক সিঁড়ি থেকে আরেক সিঁড়িতে আরোহণ করবে।

فَمَا لَهُمْ لَا يُؤْمِنُونَ

৮৪:২০ অতএব, তাদের কি হল যে, তারা ঈমান আনে না?

সূধী পাঠক চাঁদ মানুষের মনে সৌন্দর্যের প্রতীক;রাতের আধারে মানুষ চাঁদের পানে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়,আবেগে আপ্লুত হয়,মন ভরে দেখে তার অপরূপ শোভা, দেখে তার ক্ষয়িষ্ণু রূপের পরিবর্তণ। চাঁদের এই আবর্তনে অনেকেই দিন সপ্তাহ মাস হিসেব করে।এই ধারা চলে আসছে মানব সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে সাথে।চাঁদের প্রভাবে জোয়ার ভাঁটা মানুষের মনে বহুকালীন বিষ্ময়।সূধী পাঠক লক্ষ্য করুন উপরের আয়াত গুলো,কি বিষ্ময়কর বর্ণনা। বর্ণনার ধারাবাহিকতায় কি অভূতপূর্ব অভিধার পরিচয়।আয়াতগুলো শুধু যে ভাবগাম্ভীর্জতারই পরিচয় বহন করে তা নয়।প্রতিটি আয়াত আজকের বিজ্ঞানের এক একটি মহাদিগন্ত। বিজ্ঞান প্রকৃতির কাছে আজ হাবুডুবু খাচ্ছে।পবিত্র কোরআন তার বর্ণনার স্থানে ভাবুকদের জন্যে চিহ্ন করে রেখেছে।কিশোর বিজ্ঞান কতদূর ভাববে? তদুপরি বিজ্ঞান কে ধন্যবাদ,ধীরে ধীরে হলেও কোরআনের রহস্যগুলোকে উন্মোচিত করছে। হয়তোবা সুদূর ভবিষ্যতে পবিত্র কোরআনের প্রতিটি আয়াতের রহস্যই উন্মোচিত হয়ে আমাদের চোখের সামনে ভেসে উঠবে।

সূধী পাঠক তাকিয়ে দেখুন,আয়াত ৮৪:১৬ ‘আমি শপথ করি সন্ধ্যাকালীন লাল আভার’। এ যে কি বিষ্ময়কর রূপের বর্ণনা তা আজকের বিজ্ঞান জানে। আলো আধারীর সন্ধিক্ষণে রঙের যে চিত্রময় সম্মিলন তার কিছুই আমরা দেখতে পাইনা। আবেগ আপ্লুত হয়ে তার কিছুটা বর্ণনা দিয়েছেন চন্দ্র যাত্রীরা,তারা বলেছেন এই গোধূলী লগ্নতে আলোর খেলা দেখতে হলে পৃথিবী ছেড়ে মহাশূণ্যে অনেক দূর চলে যেত হয়,সেখান থেকে দেখা যায় বিষ্ময় কর আলো আঁধারীর খেলা। তাছাড়া নিশাকালীণ আগন্তুকদের পরিচয় বিজ্ঞানের কাছেই সবচেয়ে ভাল জানা। ১৮ নং আয়াতটি সম্পূর্ণই গাণিতিক হিসেবের বিষয়, তার পরের আয়াতটি গোটা বিজ্ঞান জগতের কাছে এক আশার বাণী। ২০ নং আয়াতটি অত্যান্ত আবেগময়ী। সূধী পাঠক, প্রতিটি আয়াতই বিস্তর পরিসরে ব্যাখ্যার দাবীদার; মহান আল্লাহ আমাদেরকে সুযোগ করে দিলে আমরা আমাদের চেষ্টার ত্রুটি করবোনা।

সূত্র-প্রবন্দটি CANER TASLAMAN এর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘THE QURAN UNCHALLENGEABLE MIRACLE’  এর সহযোগিতায় প্রণিত।

আব্দুল আজিজ খন্দকার

১২.০৫.২০১৪

 

other posts:

 

চাইলেআমারবাবারব্লগটিঘুরেআসতেপারেন।

http://sciencewithquran.wordpress.com

 

 

________________________________________

 

আমিফেসবুকএ ,

https:www.facebook.com/hridoy.khandakar1

 

Level 0

আমি হৃদয় খন্দকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 60 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

Level New

Thanks vi . . onek kisu janlam

আপনার প্রতিটা পোস্ট ই সুন্দর।

সূর্যো নয় চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবী স্বয়ং মহাদেব সূর্যোকে প্রতি এক বছরে প্রদক্ষিন করে।

আপনার এখানে “মহাদেব” কথাটা মুছে দিন।কথাটা অপ্রাসঙ্গিক এবং বিভ্রান্তিকর।

সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

সূর্যো নয় চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে পৃথিবী স্বয়ং মহাদেব সূর্যোকে প্রতি এক বছরে প্রদক্ষিন করে।

আপনার এখানে “মহাদেব” কথাটা মুছে দিন।কথাটা অপ্রাসঙ্গিক এবং বিভ্রান্তিকর।

সুন্দর পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।