পবিত্র কোরআনের গাণিতিক কাঠামো ¬–The Methametical Structure of `The Holy Quran’

 

 

আমার টিউন টি আমার বাবার লেখা আর্টিকেল থেকে নেয়া।আশাকরি ভালো লাগবে।

 

সূধী পাঠক, পবিত্র কোরআন পৃথিবীর মানুষের পথপ্রদর্শক এক ঐশি গ্রন্থ।এর গঠণ শৈলী ও গাণিতিক কাঠামোই তার অলৌকিকতার প্রমাণ ও প্রতিরক্ষা বুহ্য।এই মহান গ্রন্থের রচয়ীতা নিজেই তার পবিত্রতা রক্ষার দ্বায়িত্ব নিয়েছেন। পাথর,ছিন্নবস্ত্র,চামড়ার উপর লিখিত এই গ্রন্থটি বিশৃঙ্খল ভাবে পড়ে থাকার পরেও যে তার একটি হরফও বিনষ্ট হয়নি বা কারোর দ্বারা কোন উপায়ে কলুষিত হয়নি তা আজকের এই বৈজ্ঞানীক যুগেও প্রমাণিত।এই প্রতিরক্ষার পিছনে রয়েছে এক অলৌকিক অনুপ্রেরণা, কারণ পবিত্র কোরআন তার স্বকীয় কাঠামোতে আজও অটুট রয়েছে।গ্রন্থটি অবতীর্ণ হয়েছে প্রায় দেড়হাজার বছর আগে।সময়ের এই দীর্ঘ পরিক্রমায় কোন উপায়েই কি এটি আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি? হয়ে থাকলেও আমরা তা সুনির্দিষ্ট ভাবে জানিনা,আরও জানিনা তার অটুটতা।সৌভাগ্যের বিষয় এই যে বিংশ শতাব্দীতে এসে যখন মানুষের চোখে ধরা পড়ল কোরআনের গাণিতিক কাঠামো তখন থেকেই এই মহান গ্রণ্থের অলৌকিকতা ও তার অটুটতা আমাদের চোখে প্রতিভাত হতে লাগলো। তাই আমরাও দেখতে চাই প্রতিরক্ষার সেই কুশলতা। আসুন আমরা সবাই মিলে নয়ন মেলে দেখি পবিত্র কোরআনের অলৌকিকতা ও পবিত্রতার মহা সনদগুলো এক এক করে!

গণিতের অতুলনীয় নিশ্চয়তা

আমরা এ অধ্যায়ে পবিত্র কোরআনের গাণিতিক সমন্বয় নিয়ে আলোচনা করবো। অঙ্কের ভাষাই হল বিজ্ঞানের সকল সাখার ষাধারণ ভাষা। এটিই হল সকলের মৌলিক অস্ত্র। গাণিতক নিশ্চয়তা দার্শনিক,বৈজ্ঞানীক এমনকি সাধারণের ও দৃষ্টি আকর্ষণ করে। ১৬ শতকের দিকে এসে সকলের দৃষ্টি পড়ে গাণিতীক সাফল্যের দিকে। সকল ক্ষেত্রেই মানুষ এর সাফল্যের উপর নির্ভর করতে শুরু করে। গণিতের প্রয়োগে বিজ্ঞানের অভূত উন্নতি সাধিত হতে থাকে। মানুষের চিন্তার সকল ক্ষেত্রেই শুরু হতে থাকে এই গণিতের ব্যবহার। মানুষ গণিতের সহযোগিতায় প্রযুক্তির বিকাশ ঘটাতে  থাকে অমিয় গতিতে। গণিত ছাড়া আমরা মহাবিশ্বকে বুঝতে পারতামনা, পরতামনা নতুন আবিস্কারের দিকে মনযোগ দিতে। বিজ্ঞানের ক্রমোন্নতিতে দেখা গেছে মহাবিশ্বে যাকিছু রয়েছে সবকিছুই এমনই সূক্ষ গাণিতিক হিসেবে সমন্বিত যে, আজকের বিজ্ঞান তার সকল সাধ্য সাধনা দিয়ে খুব সামান্যই জানতে পারছে। তাইতো গ্যালিলিও তার মানযন্ত্রটি দিয়ে আকাশের পানে তাকিয়ে বিষ্ময়ে বিমূঢ় হয়ে বলেছিলেন, ‘অঙ্কই হল সেই ভাষা যে ভাষায় বিধাতা মহাবিশ্বকে লিখেছেন’। আজকের বিজ্ঞানীগণ বলছেন,বিজ্ঞানের আত্মা হল অঙ্ক। বিজ্ঞানের প্রতিটি বিষয়ই গণিতের যুক্তিতে এনে পরে সঠিক ব্যাখ্যা দিতে হয়।

সেই পুরাকাল থেকেই দার্শনিকরা অঙ্কের যুক্তিকে সঠিক ভাবে কাজে লাগাতে চেয়েছেন। প্রাচীণ দার্শনিকদের মধ্যে পীথাঘোরাস মনে করতেন মহাবিশ্বের মৌলিক শাষন অঙ্কের নিয়মেই চলছে। খুব বেশীদিন হয়নি বিজ্ঞান তার সকল যুক্তিকে অঙ্কের নিয়মে বাঁধতে চেষ্টা করছে। বিজ্ঞান বলছে,অঙ্কই হল উন্নত নিয়মানুবর্ততিার যোগসূত্র। অঙ্কই হওয়া উচিত মানব সভ্যতার সবচেয়ে বড় আবিস্কার। এডিসনের বিদ্যুত বাতি আবিস্কার থেকে আইষ্টাইনের রিলেটিভিটি সূত্র সবই যেন এক সূত্রে গাথা,যেন অঙ্কেরই ভষা,শুধু মাত্র ব্যক্ত হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন মণিষির মুখ দিয়ে। গণিতের যুক্তিতে বাঁধা পড়েছে বলেই আজ বিজ্ঞান হয়ে উঠেছে সর্বজন গৃহিত। পবিত্র কোরআন ১৪০০ বছর পূর্বে সকলের অজান্তেই নিজেকে বেঁধে রেখেছে এই গণিতের ছঁকে। আর সেই কাঠামো এতগুলো বছর ধরে নীরবে একমাত্র রক্ষা কবচ হিসেবে পবিত্র এই গ্রন্থকে অপিবিত্র লোকদেরদ হাত থেকে রক্ষা করে আসছে।

 

সূধী পাঠক, আমরা এবার দেখবো মহাকাশে গণিতের এই হিসেব নিয়ে পবিত্র কোরআন কি বলছে, সূরা আর রহমান এর ৫ নং আয়াতে মহান আল্লাহ বলছেন,

الشَّمْسُ وَالْقَمَرُ بِحُسْبَانٍ

৫৫:৫ সূর্য ও চন্দ্র হিসাবমত চলে।

এই যে হিসেবের কথা বলা হল, কিসের হিসেব! মাত্র ১৬ শতাব্দীতে গ্যালিলিওর দূরবীণ আবিস্কারের আগেও মানুষ এই হিসাবের কথা ভাবতে পারতোনা। গণিতের এত বড় তথ্য পড়ে রইলো নীরবে নিভৃতে পবিত্র কোরাআনের পাতায়। বিংশ মতাব্দীর দারগোড়ায় এসে বিজ্ঞান যখন স্থির করলো চন্দ্র সূর্য প্রত্যেকেই আবর্তন করে নিজ নিজ কক্ষ পথে; তখন সকলেরই দৃষ্টি পড়লো ৫৫:৫ আয়াতের দিকে। দেখা গেল ঠিক এই কথাটিই সঠিক সূক্ষতায় বর্ণিত হয়ে আছে পবিত্র কোরআনের পাতায় আর লোলুপ্ত দৃষ্টিতে তাঁকিয়ে আছে কিছু ভাবুক মানুষের দিকে। কে নেবে এই ব্যর্থতার দায়?

সূধী পাঠক, এই যে হিসেবের কথা বলা হল,তা, আমরা কোরআনের পাতায়তো জ্যুতির্বিদ্যার কোন ফর্মূলা খুঁজে পাচ্ছিনা! তহলে কি করে বুঝবো যে, এই হিসেব গণিতের হিসেব? আছে! হিসেবের ফুলজুড়ি লুকিয়ে রয়েছে পবিত্র কোরআনের পাতায় পাতায়। আমরা তারই কিছু নমুনা ধীরে ধীরে দেখতো পাবো। পকৃতই বিধাতা অঙ্কের ভাষায় সাজিয়েছেন কোরআনের আয়াতগুলো। কোথাও এতটুকু ভুল রাখেননি! বিষ্ময়ে আপনার চিত্ত স্তম্ভিত হয়ে উঠবে। এ বিষ্ময় লুক্কায়িত, আপনাকে আমাকে খুঁজে খুঁজে নিতে হবে। আসুন,আমরাও খুঁজে দেখি কিছু পাই কিনা! বিজ্ঞান বলছে,মহাবিশ্বে সকল মহাজাগতিক বস্তুই আপন আপন কক্ষপথে ঘুরছে; পত্যেকেই কাউকে না কাউকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। চাঁদ পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে,পৃথিবী চাঁদকে নিয়ে সূর্যের চারিদিকে ঘুরছে। সূর্য তার পরিবার বর্গ নিয়ে ছায়াপথের কেন্দ্রকে প্রদক্ষিণ করছে। যেহেতু সূর্য ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে ২৬০০০ আলোক বর্ষ দূরে অবস্থিত এবং সেই কেন্দ্রকে ২২৬ মিলিয়ন বছরে একবার প্রদক্ষিন করে ফলে তাকে প্রচণ্ড গতিতে গোলাকার পথে ছুটতে হচ্ছে আর এই গতি ঘন্টায় প্রায় ৭৮২০০ কি মি। পৃথিবী তার নিজ অক্ষের উপর ঘন্টায় ১৭৭০ কিমি  গতিতে ঘুরছে আর এই ভাবে ঘুরতে ঘুরতে ঘন্টায় ১,০৮,০০০ কি মি বেগে সূর্যের চারিদিকে প্রদক্ষিণ করছে। এইযে আমাদর  সূর্যের প্রদক্ষিণ কাল, তাকে কসমিক ইয়ার বা মহাজাগতিক বর্ষও বলা হয়ে থাকে। বিজ্ঞানের জানামতে আগামী ৭ বিলিয়ন বা সাতশত কোটি বছরে সূর্যের সকল জ্বালানী প্রায শেষ হয়ে আসবে। আর এই সময়ে সূর্যের মাত্র ২০.৪ টি চক্র সম্পন্ন হতে পারে।

গাণিতিক সমন্বয় কেন?

বিজ্ঞান তার প্রগতির পথে প্রায় সকলকে নিয়েই দাঁড়িয়ে আছে অঙ্কের হিসেবের উপর। গণিত বিজ্ঞানকে যেমন দিয়েছে হিসেবের সঠিকতা,তেমনিভাবে দিয়েছে গ্রহন যোগ্যতা। মানুষ গণিতের যুক্তিকে এড়িয়ে যেতে পারেনা। বিশেষজ্ঞরা ধর্মীয় ক্ষেত্রগুলোতেও ইদানিং গণিতের এই যুক্তিকে খুঁজে বেড়াচ্ছে। আমাদের এই মহাবিশ্ব কোন এলোমেলো বিচরণ ক্ষেত্র নয়। এখানকার প্রতিটি বস্তু একটা সুনির্দিষ্ট হিসেবের মধ্যে চলছে। প্রতিটি কণা সুক্ষ গাণিতিক সমন্বয়ে সমন্বিত। আর এই সমন্বয়ের মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে প্রকৃতির নিয়ম, যে নিয়মের অধীনে চলছে এই মহাবিশ্ব। এই গনিতের নিয়মই নিয়ন্ত্রন করছে পদার্থ ও রসায়নের বৈশিষ্ট। এই যে গনিতের নিয়ম,তা হঠাৎ কের শুরু হয়িন, আর এমনো নয় যে কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতিকে পরিচালনার মাধ্যামে মহাবিশ্বের ভৌত ও রাসায়নিক নিয়ম কানুনেক নিয়ন্ত্রন করছে! এটি একটি সংবাদ মাত্র। যিঁনিই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি কেরেছেন তিঁন এই সংবাদও গোপন করে গেছেন হয়তো এই জন্যে যে,১৫ বিলিয়ন বছর পরের বুদ্ধিমান মানুষগুলো খুঁজে বের করবে গণিতের এই সমন্বয়।

আমরা জানি বিজ্ঞান যখনই তার কোন আবিস্কারকে যুক্তির আওতায় গণিতের ছকে ফেলে প্রকাশ করে তখন মানুষ তা পছন্দ না করলেও মিথ্যে বলে দূরে ফেলে দিতে পারেনা, কারণ সেখানে যে যোগ-বিয়োগের সমাধান রয়েছে! বিশ্বাসকে তখন আর অবরূদ্ধ করে রাখতে পারেনা। নিজের অজান্তেই এমন একটা ধারনা এসে জন্ম নেয় যে,‘হতেওতো পারে’। সেই ধারণা পাকা ও পরিস্ফুটিত হয়ে উঠে গণিতের সমন্বয় থেকে। সম্ভবত সে কারণেই ঐশরিক বাণীগুলি গণিতের সমন্বয়ে সমন্বিত। গণিতের সমন্বয় মানেই, যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগের একটা সমন্বয়। কেউ চাইলেও কোন পরিবর্তনের মাধ্যামে এই সমন্বয় রক্ষা করতে পারবেনা। আর এ ধরনের সমন্বয় সাধারনত বুদ্ধিমানদের আকৃষ্ট করে থাকে। মহান স্রষ্টা নিশ্চই জানতেন বিবর্তেনর ধারায় সময় ও মনুষের চাহিদা কি হতে পারে। আর সেইমতই তিঁনি তাঁর বাণী গুলোকেও সাজিয়েছেন। তাছাড়াও কোন বাণী যতই কঠিণ দার্শনিকতায় পূর্ণ হোকনা কেন,তাতে যদি যোগ-বিয়োগের হিসেব না থাকে তবে বুদ্ধিমান প্রাণীদের দ্বারা তার অনুরূপ সৃষ্টি করা একেবারে অসম্ভব নাও হতে পারে! তাই হয়তোবা মহান স্রষ্টা এই দূর্বল নিরাপত্তাকে সবল করার লক্ষে তাঁর বাণীগুলোতে সেঁটে  দিয়েছেন গাণিতিক নিরাপত্তা। আর এমন ইঙ্গিত তিঁনি ৭৪:৩১ আয়াতে দিয়েছেন।

NOT EVEN ONE SINGLE SURA CAN BE DUPLICATED

সম্ভবত এমনিতর নিরাপত্তার সুবাদেই তিঁনি নিম্নোক্ত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছেন বুদ্ধিমানদের প্রতি।

23- If you are in doubt of what We have revealed to Our Servant, then bring a sura like this, and call any witness you like, apart from God, if you are truthful.

24- But if you cannot, as indeed you cannot, then guard

yourselves against the fire whose fuel is men and rocks,

which has been prepared for the disbelievers.

2-The Cow, 23- 24

সূধী পাঠক,আমরা প্রতিদিন কোরআন পড়ি,ভিন্ন ভাষাবাসী বলে মহান ব্যক্তিদের কল্যানে নিজ নিজ ভাষায় তরজমা পড়ে বাণী গাম্ভীর্যতা উপলব্দি করি; আবেগ দিয়ে তা বুঝতে চেষ্টা করি। অনেক ভেবে চিন্তে মনে হয়েছে আরবী অক্ষেরের সমন্বয়ে যে বাণী সৃষ্টি হয়েছে তা হয়তোবা আরবী ভাষা সাহিত্যে পারদর্শী দার্শনিকদের পক্ষে অনুরূপ তৈরী করা একেবারে অসম্ভব নাও হতে পারে! কিন্তু অসীম দয়াময়ের ইচ্ছায় যখন তাঁরই কিছু সূধী জনের আবিস্কৃত পবিত্র কোরআনে সজ্জিত আরবী হরফের অন্তরালে গণিতের ভাষা পড়তে পারলাম,তখন সূরা বাকারার ২৩ নং আয়াতটি চোখের সামনে ভেসে উঠল, আর আমার নিভৃত মন উচ্চকণ্ঠে বলে উঠল ‌না! এ কোন রকমেই সম্ভব নয়, এ একমাত্র মহান স্রষ্টার পক্ষেই সম্ভব!সূধী পাঠক পবিত্র কোরআনের গাণিতিক সমন্বয় এর ১ম পর্বে হয়তোবা দেখে থাকবেন, বিভাজ্যতার কি স্বতস্ফূর্ত ধারাবাহিকতা! ১৪০০ বছর আগেকার এক বেদুইন যুবেকর কণ্ঠে যে বাণী ধ্বণীত প্রতিধ্বণিত হয়েছে তা কোন প্রকারেই মানব রচিত হতে পারেনা। গণিতের এই সমন্বয় যে কোন কঠিণ চিত্তকেও কোমল করে তুলবে। আর মনে হবে শুধু মানব কেন কোন দানবের পক্ষেও এই বাণী যেমনি রচনা করা সম্ভব নয় তেমনি একে কলূষিত করাও সম্ভব নয়। এই বাণী নিরাপত্তা বুহ্যে আবৃত, প্রতিটি সূরা গণিতের নিচ্ছিদ্র জালে আটকানো প্রতিটি শব্দ পরস্পরের সাথে এমনি ভাবে সংখ্যার হিসেবে আবদ্ধ যে, এ কারা ভেঙে অক্ষরকে মুক্ত করা কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। প্রতিটি অক্ষর এমনি সজ্জায় সজ্জিত যে, একটি অক্ষর, না কমানো না বাড়ানো না স্থান পরিবর্তণ করা সম্ভব। একটা উদাহরণ দিলেই বিষয়টা পরিস্কার হয়ে যাবে, আমরা জানি পবিত্র কোরআনে মোট সূরা রয়েছে ১১৪ আর এই সংখ্যাটি ১৯ দ্বারা বিভাজ্য; অর্থাৎ ১১৪= 19x6; এখন আমরা যদি কোরআনের একটি ছোট্ট সূরাও সরিয়ে ফেলি তাতে এই বিভাজ্যতা আর ঠিক থাকেনা। আমরা জানি পবিত্র কোরআনে দিবস শব্দটি রয়েছে ৩৬৫ বার, ধরে নেই বাদ দেওয়া সূরায় দিবস শব্দটি আছে ২ বার; তাহলে সমগ্র কোরআনে দিবস শব্দের সঙখ্যা কমে দাঁড়াল ৩৬৩ তে,ফলে গাণিতিক সঙ্কেত পদ্ধতি গেল ভেঙে। মনে করি সরিয়ে নেওয়া সূরায় দুনিয়া শব্দটি রয়েছে  ২ বার আর পরকাল শব্দটি রয়েছে ১ বার; কিন্তু আমরা জানি কোরআনে দু’টি শব্দই ১১৫ বার করে আছে। উক্ত সূরাটি সরিয়ে নেওয়ার ফলে ঐ সংখ্যা আর ঠিক থাকবেনা; বিভাজ্যতা বিনষ্ট হয়ে যাবে। পবিত্র কোরআনের যে কোন একটি সূরা সরিয়ে নিলে সমগ্র কোরআনের গাণিতীক সমন্বয় ভেঙে পড়ে। এই গাণিতিক সমন্বয়ই বলে দেয় যে, এই গ্রন্থ এমন কি একটি সূরা বা একটি আয়াতও বিকল্পভাবে তৈরী করা  সম্ভব নয়।এই বাস্তবতা তাদের কাছে স্ফটিকের মত স্বচ্ছ যারা চেষ্টা করে দেখতে চায়। সূরা বণী ইসরাইলে মহান আল্লাহ বলছেন,

وَلاَ تَقْفُ مَا لَيْسَ لَكَ بِهِ عِلْمٌ إِنَّ السَّمْعَ وَالْبَصَرَ وَالْفُؤَادَ كُلُّ أُولـئِكَ كَانَ عَنْهُ مَسْؤُولاً

17:36 যে বিষয়ে তোমার কোন জ্ঞান নেই, তার পিছনে পড়ো না। নিশ্চয় কান, চক্ষু ও অন্তঃকরণ এদের প্রত্যেকটিই জিজ্ঞাসিত হবে।

মহান স্রষ্টার এই গাণিতিক ও বৈজ্ঞানীক বিষ্ময় তাদেরই জন্য প্রদর্শণ করেন যারা মন দিয়ে তা জানতে ও বুঝতে চায়। অবাধ্য বাদীরা যারা স্রষ্টাকে অস্বীকার করতে চায়,বা যার ধর্ম থেকে সুবিধা আদায় করে,বা যারা ধর্মকে অতিরজ্ঞিত করে নিজের সুবিধার্থে তা ব্যবহার করে,ধর্মকে যারা পৌরানিক কাহিনী বা স্বপ্ন মনে করে, তারা এই বিষ্ময়কর অনুভূতি প্রাপ্ত হয়না যতক্ষণ না তাদের এই বৈশিষ্ট পরিবর্তন না করে। মহান  স্রষ্টা আমাদেরকে যে গ্রন্থ দিয়েছেন তার সকল বাক্যই অলৌকিকতায় আবৃত। প্রতিটি কথার অন্তরালে রয়েছে গাণিতিক পরিসীমা,যা থেকে রেরিয়ে নতুন কোন অবয়ব বা আকৃতি ধারন করার কোন পথ খোলা নেই।পবিত্র কোরআন আমাদের ঐশরিক প্রথ প্রদর্শক।

মহান আল্লাহ সূরা আল আনকাবুত এর ৫০-৫১ আয়াতে বলছেন,

وَقَالُوا لَوْلَا أُنزِلَ عَلَيْهِ آيَاتٌ مِّن رَّبِّهِ قُلْ إِنَّمَا الْآيَاتُ عِندَ اللَّهِ وَإِنَّمَا أَنَا نَذِيرٌ مُّبِينٌ

29:50 তারা বলে, তার পালনকর্তার পক্ষ থেকে তার প্রতি কিছু নিদর্শন অবতীর্ণ হল না কেন? বলুন, নিদর্শন তো আল্লাহর ইচ্ছাধীন। আমি তো একজন সুস্পষ্ট সতর্ককারী মাত্র।

 

أَوَلَمْ يَكْفِهِمْ أَنَّا أَنزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ يُتْلَى عَلَيْهِمْ إِنَّ فِي ذَلِكَ لَرَحْمَةً وَذِكْرَى لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ

29:51 এটাকি তাদের জন্যে যথেষ্ট নয় যে, আমি আপনার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি, যা তাদের কাছে পাঠ করা হয়। এতে অবশ্যই বিশ্বাসী লোকদের জন্যে রহমত ও উপদেশ আছে।

 

সূধী পাঠক, এই নিদর্শন যে আজ আমাদের চোখের সামনে উন্মুক্ত,আসুননা ধীরে ধীরে খুজে দেখি কোন আয়াতে কি লুকিয়ে আছে!

প্রবন্ধটি ‘THE QURAN UNCHALLENGEABLE MIRACLE’  By CANER TASLAMAN গ্রন্থের সহযোগিতায় প্রণিত।

 

 

চাইলেআমারবাবারব্লগটিঘুরেআসতেপারেন।

http://sciencewithquran.wordpress.com

________________________________________

 

আমিফেসবুকএ ,

https:www.facebook.com/hridoy.khandakar1

 

Level 0

আমি হৃদয় খন্দকার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 10 বছর 10 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 35 টি টিউন ও 60 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

অনেক সুন্দর। হয়েছে।

ভাল লাগলো
চালাইয়া যান

Level 0

MashaAllah..