হিউম্যান ব্রেইন হ্যাকিং সম্ভব, তাহলে হিউম্যান ব্রেইন হ্যাকিং কোন পথে এগুবে।

বিশ্বজুড়ে যুদ্ধের ধারনা আস্তে আস্তে পাল্টাচ্ছে। জল স্থল অন্তরীক্ষের ধারনা থেকে আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে থেকে সাইবার স্পেসও থাকছে গুরুত্বপূরর্ন ক্ষেত্র হিসেবে। যে কোন যুদ্ধের শুরুতেই অনলাইন বা সাইবার জগতে বড়সড় হৈ চৈ পড়ে যায়। শুরু হয় হ্যাকিং পাল্টা হ্যাকিং বা ভাইরাস ইনপুট করার মতো ঘটনা।সাইবার যুদ্ধের সাথে আমরা সকলে পরিচিত হলেও যুদ্ধের আরেকটি ক্ষেত্রের সাথে আমরা অনেকেই অজ্ঞাত আর তা হচ্ছে হিউম্যান ব্রেইন বা মানবমস্তিস্ক।নতুন এই যুদ্ধক্ষেতে শুধু তথ্যপ্রত্যাশী মানুষের মন ও হৃদয়ের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়া হয়। সেখানে কেবল প্রভাব সৃষ্টি করাই নয়, বরং ওই ব্যাক্তির ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার মনোজগতকে পুরোপুরি পাল্টে দেয়া যায়। আর যুদ্ধক্ষেত্রে এমনটা করতে পারলে মুহূর্তেই শত্রু পরিনত হয় মিত্রতে। এর একটা সংজ্ঞাও রয়েছে। সেই সংজ্ঞা অনুসারে শত্রুকে বাধ্য করা কারও ইচ্ছার কাছে সমর্পন করতে। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে কিভাবে সম্ভব এই অসাধ্য সাধন? সম্ভব। বিজ্ঞান যেমন আসম্ভবকে সম্ভব করেছে তেমনি বিসিআই(ব্রেইন কানেকটোম ইন্টারফেস টেকনোলজি) প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছে মানুষ। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানব মস্তিস্কের সাথে ডিভাইসের সংযোগ ঘটানো হয়। এর সাম্প্রতিক কর্মপরিধি গবেষনা কম্পাইলিং থেকে ইন্টারফেসিং ডাটা পর্যূন্ত বিস্তৃত। উদাহরনস্বরূপ হিউম্যান কানেকটোম প্রজেক্ট এ বিজ্ঞানীরা কাজ করছে মানবমস্তিস্ককে রোবটের সাথে সংযুক্ত করতে। মানবমস্তিস্কের বিশ্লেষন করতেও এর ব্যবহার হচ্ছে। আর বিসিআই প্রযুক্তি নিয়ে বিজ্ঞানীরা কাজ করছেন নিরাপত্তা কিংবা মানবিক কাজে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে, এ ধরনের গবেষনা এবং প্রযুক্তি অপপ্রয়োগের গুরুত্বপূর্ন প্রভাব পড়বে আগামী দিনের যুদ্ধক্ষেত্রে। বিসিআই প্রযুক্তি সুযোগ এনে দেবে আহত হওয়ার পর একজন সৈনিককে সক্রিয় দায়িত্ব পালনের।একজন পক্ষাঘাতগ্রস্থকে সক্ষমতা দেবে মস্তিস্ক ব্যবহার করে টাইপ করতে কিংবা অঙ্গহীনরা পাবে বায়োনিক অঙ্গ ব্যবহারের সুযোগ। তবে মস্তিস্ক হ্যাক হলে হ্যাকার হ্যাকিংয়ের স্বীকার ব্যাক্তিকে ইচ্ছামতো ব্যবহার করতে পারবে।মোটকথায় বিসিআই প্রযুক্তি দিয়ে সুযোগের ব্যবহারও করা যাবে আবার হত্যার কাজও করা যাবে।

মোবাইল দিয়েই লিখলাম ভুল হলে বাঁকা চোখে তাকাবেননা। emotiv-brain-control

 

 

 

 

Level 0

আমি রিদোয়ান হোসেন। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 12 বছর যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 7 টি টিউন ও 77 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 0 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 0 টিউনারকে ফলো করি।


টিউনস


আরও টিউনস


টিউনারের আরও টিউনস


টিউমেন্টস

ধন্যবাদ এটি আমার প্রথম টিউন দোয়া করবেধ সবাই।

Level 0

https://www.techtunes.io/news/tune-id/188255 টিউনটা একবার পড়ে দেখবেন।