ঘড়ি আমাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি অবিচ্ছেদ অংশ। ঘুড়ি ছাড়া আমরা জীবনে একটি মুহূর্ত কল্পনা করতে পারবোনা। আরে কল্পনায় কি আমরা তো মুহূর্ত গণনা করতে পারব না ঘড়ি ছাড়া!
ঘড়ির ইতিহাস পরিচয় আলোচনা করলে দেখা যায় যে প্রথম প্রাচীন মিশর ও ব্যবলীয় সম্রাজ্যে সূর্য ঘড়ি ব্যবহার ছিল।

আজ এমনই এক ঘড়ির আলোচনা করব। ঘড়িটা দেখতে হাতির মতো। তাই ঘড়িটার নামও হাতি ঘড়ি। তৈরি করেছিলেন মধ্যযুগের একজন মুসলিম বিজ্ঞানী। নাম ইসমাইল আল-জাজারি। তাকে রোবটিক্স ্এর জনক হিসাবে পরিচিত। তার ১২০৬ সালে প্রকাশিত "The Book of Knowledge of Ingenious Mechanical Device's" বইটি লিখেছিলেন যা খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তিনি সুলতান কে এই বই উপহার দিয়েছিলেন। এই বইয়ের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রের ডিজাইন রয়েছে কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত যন্ত্র ছিল হাতির ঘড়িটি বিশ ফুট লম্বা এই ঘড়ির মধ্যে মূল যন্ত্রটি মূলত হাতির মধ্যে লুকিয়ে ছিল। চন্দ্রের উপরের দিকের রুপালী ও কালো ডিস্ক ধারা ঘন্টার দেখানো হতো। একটু নিচে স্ক্রাব প্যান দ্বারা মিনিট নির্দেশ করা হতো। হাতিটি ছিল মূলত এশিয়ান হাতি যে ভারতে কে ইঙ্গিত করে। ড্রাগন মূলত চীনকে নির্দেশ করে আর ফিনিক্স প্রাচীন মিশরকে। হাতির ভেতরে একটি অর্ধপূর্ণ পানি দ্বারা ভোট দিয়ে একটি জলধার থাকতো। যার মধ্যে একটি ছোট ছিদ্রযুক্ত বালটি ভাসানো অবস্থায় থাকতো। ঘড়িটা
মূলত একটি স্বয়ংক্রিয় জলঘরী। এই যন্ত্রটি মূলত প্রতিআধ ঘন্টা বা ঘন্টা অন্তর রেকর্ড করে একটি ছিদ্রযুক্ত বাড়াতে বালতি ব্যবহার করে যা জল সংগ্রহ করে এবং যখন এটি জলধারা পূর্ণ হয়ে যায় তখন গতিশক্তি ধারা নির্দেশ করে ঘন্টা বাদ ঘণ্টা পূর্ণ হয়েছে। ইসমাইল আল জাজারীর আরেকটি আবিষ্কারের মধ্যে দিয়েছিল ১১ ফুট লম্বা ক্যামেল জ্যোতিবিদ্যা ঘড়ি। যে ঘড়ির জটিলতা এতটাই জটিল যে এটিকে একটি প্রাথমিক প্রোগ্রামার এনালগ কম্পিউটার হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শ