উইল নিজের অস্বস্তি স্বীকার করল। ওয়াল এ চার বছর কাটানোর অভিজ্ঞতা আছে তার। প্রথমবার যখন ওপারে পাঠানো হয়েছিলো তাকে, পুরোনো গল্পগুলো ঘোরের মত তার মাথায় ভিড় করে। ভয়ে তার পেটের ভেতরের সব যেন পানি হয়ে গিয়েছিলো।
যদিও পরে সে সেই অভিজ্ঞতা ভেবে হাসাহাসি করেছে। এখন অবধি হাজার অভিযানের অভিজ্ঞতা তার থলিতে। “হন্টেড ফরেস্ট” বলে পরিচিত অন্ধকারে ঘেরা সীমাহীন বুনো অঞ্চল তাকে আর শংকিত করে না।
তবে আজ রাত অবধি ! আজ রাতে ভিন্ন কিছু আছে। এই অন্ধকারের কোল ঘেঁষে কিছু একটা আছে যা তাকে ক্রমাগত ভীত করে রাখছে।নয় দিন হল তারা এই পথে।
উত্তর,উত্তর পশ্চিম,এরপর আবার উত্তর। ওয়াল থেকে ক্রমাগত দূরে।একঝাঁক ওয়াইল্ডলিং ঘোড়সওয়ার এর এঁকে যাওয়া পথ ধরে।
প্রত্যেক দিন আগের দিন হতে খারাপ। তবে আজকের দিনটা যেন সবথেকে বাজে। উত্তর থেকে একটা ঠান্ডা বাতাস বইছিলো,যা গাছের ভেতর দিয়ে যাবার সময় গাছগুলোকে যেন জীবন্ত করে তুলছিলো।
সারা দিনভর,উইলের মনে হচ্ছিলো কিছু একটা তাকে দেখছে,ঠান্ডা আর নির্মম কিছু।
গ্যারেড এর ও একই অনুভুতি হচ্ছিলো। উইলের শরীর মন ওয়াল এর নিরাপদ আশ্রয় এ ছুটে যেতে চাইছিলো। কিন্তু এমন আকাঙ্ক্ষা যে তোমার কমান্ডার এর কাছে ব্যক্ত করা উচিৎ নয়। বিশেষ করে গ্যারেড এর মত কমান্ডার এর সামনে।
স্যার ওয়েইমার রয়েস ছিলেন এক প্রাচীন পরিবারের কনিষ্ঠতম সন্তান,যাদের অনেক,অনেক বেশী উত্তরসূরী ছিলো।
আঠারো বছরের সুদর্শন, ধূসর চোখা চাকুর মত সরু এবং সাবলীল শরীরবিশিষ্ট যুবক ওয়েইমার রয়েস। নিজের বিশাল ঘোড়ার ওপর আসীন হয়ে তিনি উইল ও গ্যারেড এর ছোট সওয়ার গুলোর কাছে পাহারসমান ছিলেন।
তার পায়ে ছিলো কালো চামড়ার বুটজুতো, পরণে ছিলো কালো উলের প্যান্ট, কালো মোলের লোমের তৈরী দস্তানা।আরো ছিলো তাপ দেয়া চামড়া আর কালো উলের পরতের ওপর কালো রিংমেইল রক্ষাকবজ।
স্যার ওয়েইমার রয়েস আধ বছরের কম সময় হলো নাইটস ওয়াচ এর একজন শপথপূর্বক ভাই হিসেবে দায়িত্বে আছেন। কিন্তু কেও বলতে পারবে না তার প্রস্তুতি কোনো অংশে কম।যদি শুধুমাত্র তার পোশাকভান্ডার বিবেচনায় আনা হয় ! তার কাছে তার কালো পোশাক টি ছিলো খুবই গর্বের কিছু।
“ বাজি ধরতে পারি সে সবগুলোকে একাই হত্যা করেছে,তাদের ছোট ঘাড়গুলো মটকে দিয়ে”,ওয়াইন হাতে ব্যারাকের সবাইকে বলল গ্যারেড, “আমাদের শক্তিশালী যোদ্ধা।”সেদিন সবাই হেসেছিলো।
একদিন যাকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করেছো তারই কাছ থেকে আদেশ নেয়া বাস্তবিকই অনেক কঠিন।
উইল নিজের ঘোড়ায় বসে ভাবলো,গ্যারেড এর হয়তো এমনই অনুভূতি হচ্ছে এখন।
“মরমন্ট বলেছিলেন আমাদের ওদের পিছে পিছে যেতে,এবং আমরা তা করেছি।“গ্যারেড বললেন,”তারা মৃত,আর বিপজ্জনক না তারা আমাদের জন্য। সামনে পথ ভালো হবে না,এই আবহাওয়াও আমার কাছে সুবিধার ঠেকছে না।এখন যদি বরফ পড়া শুরু করে,আমাদের ফিরে যেতে দুই সপ্তাহের বেশী লেগে যেতে পারে,আর তুষারপাত হতে পারে ভালো কিছু !
“কখনো তুষাড়ঝড় দেখেছেন প্রভু?”
আমি জাহিম ফাওয়াদ। বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সৌশল নেটওয়ার্ক - টেকটিউনস এ আমি 6 বছর 7 মাস যাবৎ যুক্ত আছি। টেকটিউনস আমি এ পর্যন্ত 4 টি টিউন ও 0 টি টিউমেন্ট করেছি। টেকটিউনসে আমার 2 ফলোয়ার আছে এবং আমি টেকটিউনসে 1 টিউনারকে ফলো করি।